শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ আপডেট:

চরখিদিরপুর : ভাঙছে নদী কাঁদছে মানুষ

হানিফ সংকেত
প্রিন্ট ভার্সন
চরখিদিরপুর : ভাঙছে নদী কাঁদছে মানুষ

কেউ কি কল্পনা করতে পারেন, বাংলাদেশে এমন গ্রামও আছে যেখানে মানুষ প্রতি মুহূর্তেই তার আশ্রয়স্থল হারানোর আশঙ্কায় থাকে। যেখানে প্রতিটি সকালেই জন্ম নেয় নতুন খবর। পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বদলে যায় মানুষের ঠিকানা। যেখানে মানুষ যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়ায় ঠিকানার সন্ধানে। শুধু তাই নয়, যেখানে ভাঙনের ফলে আশঙ্কা দেখা দেয় দেশের মানচিত্র পাল্টে যাওয়ার। সেই গ্রামটির নাম খিদিরপুর। রাজশাহী শহর থেকে দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। যেতে হয় পদ্মা পাড়ি দিয়ে। একমাত্র যাতায়াতব্যবস্থা নৌকা। আর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যেতে লাগে ৪০ মিনিটের মতো। ২৯ অক্টোবরের ইত্যাদিতে এ চরটি নিয়ে আমরা একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছিলাম। সে কারণেই নিজ চোখে দেখেছি এ চরের মানুষের করুণ অবস্থা, দুর্দশার চিত্র। প্রতি মুহূর্তে ঠিকানা হারানোর ভয়। বেঁচে থাকার আকুতি। পদ্মার এপারে রাজশাহী আর ওপারে ভারতের পতাকাবাহী সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলা। আর ওপারের সীমান্ত ঘেঁষেই রয়েছে বাংলাদেশের ছোট্ট এই গ্রাম ‘চরখিদিরপুর’। গ্রামটিকে কেউ কেউ চর খানপুরও বলেন।

নদীমাতৃক দেশ বলেই হয়তো আমাদের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নদী ভাঙন। এ ভাঙন সবকিছু কেড়ে নিচ্ছে। সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে এ এলাকার মানুষকে। স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে সাজানো সংসার। মাঝেমথ্যে দুঃখ এবং কষ্ট এ শব্দ দুটিও যে দুঃখ-কষ্টের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয় তেমনই এক অকল্পনীয় চিত্র দেখেছি এ গ্রামে গিয়ে। দিনের পর দিন এ গ্রামের মানুষের রাত কাটে অনিদ্রায়, এই বুঝি ভাঙল নদী। এই বুঝি নদীতে বিলীন হয়ে গেল তার আশ্রয়ের ছোট্ট ঘরখানা। দু-তিনটি বেড়া বা টিনের চালই যার ঘরের সম্বল। প্রবল স্রোতে এখানে ভাঙছে তীর। যখন স্রোত বাড়ে ভাঙনের গতিও বাড়ে। অপ্রতিরোধ্য সে গতি। সে স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সব। এ ভাঙন দুর্যোগে সবচেয়ে সমস্যায় পড়ে শিশু, নারী ও বয়স্করা। এখানকার মানুষ যেন স^প্ন দেখতেই ভুলে গেছে। আজ কোনোভাবে বেঁচে গেলে অপেক্ষা পরের দিনের জন্য।

এ চরের ওপর ‘ইত্যাদি’র প্রতিবেদন ধারণ করার জন্য আমরা ২৬ সেপ্টেম্বর খিদিরপুর যাওয়ার পরিকল্পনা করি। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি ঘটে। তখন উত্তাল পদ্মা। কূলে এসে আছড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। স্থানীয়রা পদ্মার এ অবস্থায় খিদিরপুর যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন। যদিও এ ঝুঁকি নিয়েই দিনের পর দিন পদ্মার বুক চিরে খিদিরপুরের মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করছে সেই চরে। যেহেতু আমরা রাজশাহীতে অনুষ্ঠান করব এবং রাজশাহীর এ চরের মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা আগেই শুনেছি তাই যত ঝুঁকিই থাক খিদিরপুর যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হলাম। কিন্তু ২৫ তারিখ রাতে স্থানীয় পবা উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা জানালেন ওইদিন সন্ধ্যায়ই পদ্মার টি-বাঁধ এলাকায় অর্থাৎ যেখান থেকে চরের উদ্দেশে যাত্রা হয় এবং নৌভ্রমণকারীরাও যেখান থেকে নৌকায় আরোহণ করেন, সেখানেই একটি নৌকাডুবি হয়েছে ১১ যাত্রীসহ। প্রশাসনের প্রায় সবাই যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যস্ত। রাতে জানা গেল ১১ জনের মধ্যে নয়জনকে উদ্ধার সম্ভব হয়েছে এবং বাকি দুজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ। খবরটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। পরে জানলাম দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটিতে বহন ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ওঠে এবং প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি একটি বিপজ্জনক পানির ঘূর্ণিতে পড়ে যায়, আর সে কারণেই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কারণে নৌকায় পদ্মা যাত্রায় কিছুটা ভীত হয়ে পড়লাম। পরে জানতে পারি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ বিজিবির যাতায়াত ও সীমান্তে টহলের জন্য নিজস্ব স্পিডবোট রয়েছে। যা বেশ নিরাপদ। বিজিবির স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ এটি ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবে না। তাই বাধ্য হয়ে সে রাতেই বিজিবি মহাপরিচালক মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তাঁর আন্তরিক সহযোগিতা ও সহৃদয় বিবেচনায় অনুমতি পেয়ে আমরা বিজিবির স্পিডবোটে পরদিন সকালে নির্ভয়ে যাত্রা করি চরখিদিরপুরের উদ্দেশে।

স্পিডবোট এগিয়ে চলছে। উত্তাল পদ্মা, তার ওপর বন্যার পানি- সব মিলিয়ে যেন ফুঁসে ওঠে পদ্মা। এ সময় পদ্মার চেহারা অনেকটা সাগরের মতো, এপার-ওপার দেখা যায় না। যেতে যেতে লক্ষ্য করলাম পদ্মার মাঝখানে এক বিশাল চর। এ চরটিকে বলা হয় মধ্যচর। পদ্মার মাঝখানে জেগেছে বলে নাম মধ্যচর। ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে চলছি চরখিদিরপুরের দিকে। স্পিডবোটটি বেশ সতর্কতার সঙ্গে চলছিল। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু স্থান দিয়ে একটু ঘুরে যাচ্ছিল। কারণ নদীর ওই স্থানগুলো ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েছে, মুর্শিদাবাদ     জেলায়। তবে এসব এলাকার কিছু অংশ একসময়  বাংলাদেশেই ছিল কিন্তু ভাঙনের কবলে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে গেছে। দূর থেকে দেখে চরটিকে বেশ আঁকাবাঁকা মনে হলো। চরের কোথাও বেশি ভেঙেছে, কোথাও কম। ভাঙতে ভাঙতে কোথাও বেশ ভিতরে ঢুকে গেছে। স্পিডবোটটি কিছুটা দ্রুতগতিসম্পন্ন থাকায় আমরা আধ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাই খিদিরপুর।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু তার কজন সহকর্মী ও গ্রামবাসী নিয়ে আমাদের জন্য তীরে অপেক্ষা করছিলেন। চরে নেমেই কুশল বিনিময়ের পর সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথমেই পুরো চরটা ঘুরে দেখব। তাই এক প্রান্ত থেকে হাঁটা শুরু করলাম। অত্যন্ত ছোট্ট গ্রাম খিদিরপুর। বলা যায় এর তিন দিকেই ভারতীয় সীমান্ত, একদিকে পদ্মা অর্থাৎ এর দক্ষিণ ও পশ্চিমে ভারত এবং পূর্ব-উত্তর কোণেও ভারত। পূর্বে ও উত্তরে বাংলাদেশ। ১৫ বছর আগে এ স্থানের আয়তন ছিল প্রায় ৪ হাজার হেক্টর। এখন মাত্র ৪০ হেক্টর! ভাঙছে পাড় কমছে আয়তন। আগে গ্রাম ছিল তিনটি- তারানগর, খানপুর আর চরখিদিরপুর। আর এখন এ তিনটি গ্রামের দুটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। অবশিষ্ট আছে খিদিরপুর গ্রামের কিছু অংশ- পশ্চিমপাড়া। অর্থাৎ খিদিরপুর গ্রামটিরও পুরো অংশ এখন নেই। ১৫ বছর আগে এখানকার লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার, এখন আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজারের মতো। এখন গ্রামে মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার বাস করে। গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা পদ্মায় মাছ শিকার, কৃষিকাজ ও পশুপালন। তবে ভাঙনের ফলে এখন অধিকাংশ জমিই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কৃষিজমি তেমন নেই। অথচ একসময় এসব চরের সবজির জন্য রাজশাহী শহরের মানুষ মুখিয়ে থাকত। পদ্মার পলিবিধৌত এসব অঞ্চলে প্রচুর সবজি হতো। যেখানে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হতো না। সে সময় বিষ ও ভেজালমুক্ত এসব সবজি বিক্রি করেও অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করতে। এখন আয়ের সে পথও বন্ধ। এ চরে কোনো চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র নেই। এখানে কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য কোনো চিকিৎসাব্যবস্থাও নেই। নেই কোনো চিকিৎসকও। চিকিৎসা কর্মীরাও কালেভদ্রে এখানে আসেন। কেউ অসুস্থ হলে তাকে পদ্মা পার হয়ে যেতে হবে মূল ভূখ- রাজশাহীতে। আর বিদ্যুৎ সংযোগ তো নেই-ই।

হাঁটতে হাঁটতে আমরা একটি স্কুলের সামনে এসে পড়লাম। সীমান্ত ঘেঁষে চরের ঠিক মাঝখানে স্কুলটির অবস্থান। পাশেই রয়েছে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির একমাত্র ক্যাম্প। স‹ুলটির নাম তারানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া গ্রামে আরও দুটি স্কুল রয়েছে- চরখিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুল থাকলেও আশানুরূপ ছাত্র-ছাত্রী আগেও ছিল না, এখন তো নেই-ই। এর কারণ বাল্যবিয়ে। এটিকে এক অর্থে শতভাগ বাল্যবিয়ের গ্রামও বলা যায়। গ্রামে ঢুকলেই দেখা হয় শিশু মায়েদের সঙ্গে। রীতি অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় এখানে গ্রামের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়। আর ছেলেরা হয়ে যায় রাখাল। মাঠে গরু চরানোই তাদের কাজ। গ্রামের পথে হাঁটতে হাঁটতে আমরা বেশ কজন শিশু মায়ের দেখা পাই। গ্রামের এক প্রান্তে একটি বাড়ির সামনে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে একটি শিশু আর তার কোলে আরেকটি শিশু। কথা বলি শিশুটির সঙ্গে। নাম মোসা. সানোয়ারা বেগম। কোলের শিশুটিকে দেখিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে জবাব দিল না। বারবার জিজ্ঞেস করার পর বলল এটি তার সন্তান। অর্থাৎ এক শিশু মায়ের কোলে আর এক শিশু সন্তান! কোলের শিশুটির বয়স আড়াই বছর। জানতে চাইলাম সানোয়ারার বয়স কত? কিছুতেই বয়স বলতে রাজি হলো না। জানাল, তার বিয়ে হয়েছে চার বছর আগে। তখন সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। এ থেকে সহজেই বোঝা যায় সে সময় এই শিশু মায়ের বয়স কত ছিল। এ বয়সে কোলের শিশুটিকে লালনপালন করতে তার কষ্ট হয় কিনা জানতে চাইলেও উত্তর পেলাম না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল আমার দিকে। জিজ্ঞেস করলাম তার লেখাপড়া করতে ইচ্ছে হয় কি না। নিচের দিকে তাকিয়ে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে মাটিতে আঁচড় কাটছিল। কোনো উত্তর দিল না। কীই বা উত্তর দেবে! কারণ এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই তার কাছে। এখানকার রীতিই বাল্যবিয়ে। সুতরাং তার অভিভাবকের ইচ্ছেতেই সে বাল্যবিয়েতে বাধ্য হয়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য রাজশাহীর সচেতন সমাজ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে বেশ কবার উদ্যোগ নেয়, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। কারণ শিক্ষার অভাব। শিক্ষিত না হলে এদের বোধোদয় হবে না। বুঝতে পারবে না বাল্যবিয়ে তাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।

হাঁটতে হাঁটতে আমি খিদিরপুরের পশ্চিমপাড়ার শেষ প্রান্তে সীমান্তের কাছে চলে আসি। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় রয়েছে বিস্তীর্ণ মাঠ। একদিকে খিদিরপুরের সীমানা, অন্যদিকে ভারতের রানীনগর থানা ও মুর্শিদাবাদ জেলা। আমি যেখানে দাঁড়াই সেখান থেকে এক পা ডানে গেলে ভারত আর এক পা বাঁয়ে এলেই বাংলাদেশ। ওপাশে দেখলাম অনেক গরু-ছাগল চড়ে বেড়াচ্ছে। ওরা বাংলাদেশে থাকে কিন্তু চড়ে বেড়ায় ভারতের মাঠে। খায় সে মাঠের ঘাস। দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এত ছোট গ্রাম বোধহয় আর কোথাও নেই। তবে এ এলাকার নদীতীরের বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম ভাঙন। নদীগর্ভে সব হারিয়ে এখানকার মানুষ ছুটছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে।

হাঁটতে হাঁটতে নদীতীরের মানুষের অসহায়ত্ব ও দুর্দশা দেখে মাঝেমধ্যেই চোখ ভিজে আসছিল। কেউ বা তাকিয়ে আছে পদ্মার অথই পানির উত্তাল ঢেউয়ের দিকে। জানে না তার ভবিষ্যৎ কী। কেউ ঘরের সব আসবাবপত্র, হাঁড়ি-পাতিল গুছিয়ে বস্তাবন্দী করছে। কেউ খুলছে বাড়ির জরাজীর্ণ বেড়া, কেউ বা ঘরের টিনের চাল নিয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। সব সময়ই ভয় এই বুঝি পাড় ভাঙল। কোথাও কোথাও শুধু ভিটে পড়ে আছে, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বাড়িঘর। কোথাও সীমান্ত ঘেঁষে কেউ বানাচ্ছে নতুন ঘর। কিন্তু এরপর? সব সময় চিন্তা এবং ভয় গ্রামের অবশিষ্ট মাটিটুকুও যদি বিলীন হয়ে যায়, তাহলে তারা যাবে কোথায়! পাশেই সীমান্ত, দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। সীমান্তের ওপারে তো আর যাওয়া যাবে না। তাহলে উপায়?

কথা বলি নদীভাঙা কজনের সঙ্গে। বৃদ্ধা জমিলা বেগম আমাকে দেখে চিৎকার করে বললেন, ‘ছবি তুলে কী হবে, তোমরা কি আমারে একটা ঠিকানা দিতে পারবা? আমার বাড়িঘর না হইলেও ১০ বার ভাইঙ্গেছে। য়াঁমার থাকার জায়গা নাই।’ আশপাশের সবার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বললেন, ‘এদের নাই, আমাদের নাই, ওদের নাই, তাদের নাই- কারোরই নাই। আমাদের কারোরই থাকার জায়গা নাই। আমরা সবাই খালি ভাইসা বেড়াচ্ছি।’

২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় সেদিনের ভাঙন শুরু হয়। তার দাপট চলে রাত ১টা পর্যন্ত। চরের এসব মানুষ ভাঙন  শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকে।   অনেকে সারা রাত ঘুমায় না, জেগে থাকে। এখানে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর সুযোগ নেই। সতর্ক দৃষ্টি- ভয়-ভাঙন কখন হানা দেয় তার দুয়ারে। বৃদ্ধ বশির মিয়া কাঁদো কাঁদো হয়ে বললেন, ‘আমাদের কি কেউ মানুষ মনে করে? এর পরে যদি এই নদী ভাঙ্গে আমরা কোথায় যাব? এরপর যদি ভাঙ্গি যায় তাহলে আমাদের গাছতলা ছাড়া আর কোনো    উপায় নাই।’ কোহিনুর বেগম বললেন, সারা রাত খোলা আকাশের নিচে ছিলেন, ঘরের চাল ছিল না। শুধু দুই পাশে বেড়া ছিল। সেই বেড়ার খুঁটির সঙ্গে দুটি সাপ জড়িয়ে ছিল। কেউই জানত না সে সাপের কথা। সকালে ঘুম থেকে উঠে সাপ দেখে আঁতকে ওঠেন কোহিনুর বেগম। বললেন, একটু আগে সে সাপ দুটোকে সরিয়ে দেন তার স্বামী। জিজ্ঞেস করি, ‘সাপ দেখে ভয় পাননি?’

‘ভয় পাব কেন? ভয়ের মধ্যে থাকতি থাকতি এখন আর কিছুতেই ভয় পাই না বাবা। এই নদী আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। আমাদের অনেক কষ্ট।’

নদীভাঙা এ মানুষগুলোর কষ্ট ও দুর্ভোগের শেষ নেই। এদের যাওয়ারও কোনো জায়গা নেই, বসতবাড়ি হারিয়ে কেউ নতুন কোনো চরে অস্থায়ীভাবে থাকে। যখন বর্ষা আসে তখন আবার তারা ঠিকানাহীন হয়ে যায়। স্থানীয় হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্ষেপ করে বললেন, ‘বলতে পারেন তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।’ আর এ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণেই হয়তো ভাঙনের শব্দে এ চরবাসীদের বুক কাঁপে। তার পরও প্রতিনিয়ত এখানে ভাঙছে নদী আর ভাঙনের কবলে পড়ে কাঁদছে মানুষ।

একূল ভেঙে ওকূল গড়া নদীর খেলা হলেও এ ভাঙাগড়ার খেলায় সর্বনাশ নেমে আসে নদীতীরে বসবাসকারী মানুষের জীবনে। তাই এ আশার পদ্মাও কখনো কখনো সর্বনাশা হয়ে ওঠে তাদের কাছে। যেমনটি হয়েছে খিদিরপুরের পশ্চিমপাড়ার মানুষের জীবনে। এ মুহূর্তে তাদের প্রয়োজন পুনর্বাসন এবং জীবন ধারণের জন্য একটি ঠিকানা।

 

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব; পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নকর্মী।

এই বিভাগের আরও খবর
রাজপথ অবরোধ
রাজপথ অবরোধ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ইসলামি নির্দেশনা
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ইসলামি নির্দেশনা
চিকিৎসাসংকট : গরিবের দুর্দশা
চিকিৎসাসংকট : গরিবের দুর্দশা
শতদল ফেলে শামুকের মালা গলে
শতদল ফেলে শামুকের মালা গলে
হজ সচ্ছল মুমিনদের জন্য ফরজ ইবাদত
হজ সচ্ছল মুমিনদের জন্য ফরজ ইবাদত
পুশইন-পুশব্যাক
পুশইন-পুশব্যাক
অসন্তোষ বাড়ছে
অসন্তোষ বাড়ছে
নির্বাচনই একমাত্র সমাধান
নির্বাচনই একমাত্র সমাধান
দেশ চালায় আল্লায়! মধু খায় উল্লায়!
দেশ চালায় আল্লায়! মধু খায় উল্লায়!
বিনিয়োগে শ্লথগতি
বিনিয়োগে শ্লথগতি
খুলে পড়ল বিমানের চাকা
খুলে পড়ল বিমানের চাকা
সর্বশেষ খবর
তেজগাঁওয়ে পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল দিনমজুরের
তেজগাঁওয়ে পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল দিনমজুরের

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ মে)

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

হজের সফরে দোয়া কবুলের ১০ সময়
হজের সফরে দোয়া কবুলের ১০ সময়

১৮ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

সা‌বেক এম‌পি লায়লা পারভীন‌ সেঁজুতি আটক
সা‌বেক এম‌পি লায়লা পারভীন‌ সেঁজুতি আটক

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীকে হত্যা করে দুই সন্তান নিয়ে পালালেন স্বামী
স্ত্রীকে হত্যা করে দুই সন্তান নিয়ে পালালেন স্বামী

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির নতুন সম্ভাবনা?
ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির নতুন সম্ভাবনা?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিন-জেলেনস্কির সাথে ফোনালাপের পর যা বললেন ট্রাম্প
পুতিন-জেলেনস্কির সাথে ফোনালাপের পর যা বললেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে রোনালদো জুনিয়রের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল
ফাইনালে রোনালদো জুনিয়রের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেত্রকোনায় দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত
নেত্রকোনায় দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেল লখনৌ
হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেল লখনৌ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টরন্টোতে রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে 'রবিপ্রণাম' অনুষ্ঠিত
টরন্টোতে রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে 'রবিপ্রণাম' অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনা খরচে হজের আমন্ত্রণ সৌদির
এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনা খরচে হজের আমন্ত্রণ সৌদির

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনভিজ্ঞ অভিনেতায় ভরে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি: নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি
অনভিজ্ঞ অভিনেতায় ভরে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি: নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদেশে টাকা পাঠাতে ৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব, শঙ্কায় ভারতীয়রা
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদেশে টাকা পাঠাতে ৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব, শঙ্কায় ভারতীয়রা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট
এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট

৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিজ হলের পাশেই ছুরিকাঘাতে আহত রাবি শিক্ষার্থী
নিজ হলের পাশেই ছুরিকাঘাতে আহত রাবি শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে হারিয়ে আরব আমিরাতের ইতিহাস
বাংলাদেশকে হারিয়ে আরব আমিরাতের ইতিহাস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াইট হাউসে খুবই কম থাকছেন মেলানিয়া, কারণ কি?
হোয়াইট হাউসে খুবই কম থাকছেন মেলানিয়া, কারণ কি?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার মামলার আপিল করলেন ফয়জুল করিম
বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার মামলার আপিল করলেন ফয়জুল করিম

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিরি আ’র শিরোপা নির্ধারণী দুই ম্যাচ এগিয়ে আনা হলো
সিরি আ’র শিরোপা নির্ধারণী দুই ম্যাচ এগিয়ে আনা হলো

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের ইউটিউবার জ্যোতি যেভাবে পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তি করতেন
ভারতের ইউটিউবার জ্যোতি যেভাবে পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তি করতেন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস
টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্ডান সীমান্তে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা বেড়া নির্মাণ করছে ইসরায়েল
জর্ডান সীমান্তে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা বেড়া নির্মাণ করছে ইসরায়েল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তামিম-হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের রানের পাহাড়
তামিম-হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের রানের পাহাড়

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলি বিশেষ অভিযান ব্যর্থ!
ইসরায়েলি বিশেষ অভিযান ব্যর্থ!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরমাণু আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের নতুন হুঁশিয়ারি
পরমাণু আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের নতুন হুঁশিয়ারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেই সেঞ্চুরিয়ান ইমন
যে কারণে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেই সেঞ্চুরিয়ান ইমন

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের বিপুল পরিমাণ আমের চালান বিমানবন্দর থেকেই ফেরাল যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের বিপুল পরিমাণ আমের চালান বিমানবন্দর থেকেই ফেরাল যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যামিলি ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর দিল ইতালি দূতাবাস
ফ্যামিলি ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর দিল ইতালি দূতাবাস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইশরাকের শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা আছে: উপদেষ্টা আসিফ
ইশরাকের শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা আছে: উপদেষ্টা আসিফ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে নুসরাত ফারিয়া
কারাগারে নুসরাত ফারিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিমানবন্দরে ছেড়ে দিলে বলতেন, ছেড়ে দিয়েছেন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমানবন্দরে ছেড়ে দিলে বলতেন, ছেড়ে দিয়েছেন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি : ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি : ক্ষমা চাইলেন ইশরাক

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যে কী?
চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ভাইরাল ভিডিওর নেপথ্যে কী?

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে লাখো মানুষের অভূতপূর্ব বিক্ষোভ
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে লাখো মানুষের অভূতপূর্ব বিক্ষোভ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমর্থকদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন ইশরাক
সমর্থকদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন ইশরাক

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা
চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা : উপদেষ্টা আসিফ
বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা : উপদেষ্টা আসিফ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় শাকিলের
সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় শাকিলের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস
টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা সম্পত্তির মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা : প্রেস সচিব
জব্দ করা সম্পত্তির মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা : প্রেস সচিব

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে’
‘আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে’

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ডিজিটাল জরিপ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা কমিয়ে আনবে: মহাপরিচালক
ডিজিটাল জরিপ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা কমিয়ে আনবে: মহাপরিচালক

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, জরুরি সভা ডাকলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা, জরুরি সভা ডাকলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে
কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গোটা গাজা দখলের ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু
গোটা গাজা দখলের ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্লকেডে আটকা নগর ভবন, সেবা কার্যক্রম বন্ধ
ব্লকেডে আটকা নগর ভবন, সেবা কার্যক্রম বন্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট
এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট

৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ভারতের আধিপত্য মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: পাকিস্তান
ভারতের আধিপত্য মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই : হাসনাত
পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই : হাসনাত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক ও তার স্ত্রীর আরও ৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক ও তার স্ত্রীর আরও ৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা জালিয়াতিতে দোষী প্রমাণিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
ভিসা জালিয়াতিতে দোষী প্রমাণিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানকে চাপে রাখতে এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়াল ভারত
পাকিস্তানকে চাপে রাখতে এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়াল ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিকে লিগ্যাল নোটিশ
জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে ইসিকে লিগ্যাল নোটিশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর জামিন স্থগিতের আদেশ
আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর জামিন স্থগিতের আদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
দখলদারের কবজায় ১২ লাখ কোটি টাকার বনভূমি
দখলদারের কবজায় ১২ লাখ কোটি টাকার বনভূমি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঙালির আমেরিকান স্বপ্ন পূরণে অনন্য উদাহরণ
বাঙালির আমেরিকান স্বপ্ন পূরণে অনন্য উদাহরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মতো মনোযোগ সরাচ্ছে সরকার
হাসিনার মতো মনোযোগ সরাচ্ছে সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিয়ারিং কাজ না করায় খুলে যায় বিমানের চাকা
বিয়ারিং কাজ না করায় খুলে যায় বিমানের চাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করবেন না, এখনই নির্বাচন দিন
ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করবেন না, এখনই নির্বাচন দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন দল গঠনের উর্বর সময়
নতুন দল গঠনের উর্বর সময়

প্রথম পৃষ্ঠা

চালকবিহীন গাড়ি তৈরি শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের
চালকবিহীন গাড়ি তৈরি শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

দাবি আদায়ে অনড় ইশরাক সমর্থকরা
দাবি আদায়ে অনড় ইশরাক সমর্থকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখছি না
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখছি না

প্রথম পৃষ্ঠা

খুলনার সবচেয়ে বড় গরু ‘রাজা মানিক’
খুলনার সবচেয়ে বড় গরু ‘রাজা মানিক’

পেছনের পৃষ্ঠা

মসলার বাজারে কারসাজির শঙ্কা
মসলার বাজারে কারসাজির শঙ্কা

নগর জীবন

রংপুর চিড়িয়াখানায় অন্তিম সময়ে নিঃসঙ্গ দুই প্রাণী
রংপুর চিড়িয়াখানায় অন্তিম সময়ে নিঃসঙ্গ দুই প্রাণী

পেছনের পৃষ্ঠা

বাজারে মৌসুমি ফল
বাজারে মৌসুমি ফল

পেছনের পৃষ্ঠা

কার্বন নিঃসরণ কমাতে দরকার ৬৬০ কোটি ডলার
কার্বন নিঃসরণ কমাতে দরকার ৬৬০ কোটি ডলার

শিল্প বাণিজ্য

আমার কপালে পোড়া কোনো দাগ নেই : ফেরদৌসী মজুমদার
আমার কপালে পোড়া কোনো দাগ নেই : ফেরদৌসী মজুমদার

শোবিজ

আরও যারা অভিনয় করেন
আরও যারা অভিনয় করেন

শোবিজ

লাহোর কালান্দার্সে খেলবেন মিরাজ
লাহোর কালান্দার্সে খেলবেন মিরাজ

মাঠে ময়দানে

এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট
এবার বেক্সিমকোর কায়দায় নাবিল গ্রুপের ব্যাংক লুট

প্রথম পৃষ্ঠা

শৃঙ্খলা ফেরেনি শিক্ষায়
শৃঙ্খলা ফেরেনি শিক্ষায়

পেছনের পৃষ্ঠা

উপকূলের অর্থনীতি জোরদার কাঁকড়ায়
উপকূলের অর্থনীতি জোরদার কাঁকড়ায়

শিল্প বাণিজ্য

তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে : ইশরাক
তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে : ইশরাক

প্রথম পৃষ্ঠা

সেভেন সিস্টারসে বাণিজ্য বন্ধ
সেভেন সিস্টারসে বাণিজ্য বন্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা আছে : উপদেষ্টা
শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা আছে : উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

কাকতালের কার্যক্রম বন্ধ
কাকতালের কার্যক্রম বন্ধ

শোবিজ

আমিরাতের কাছে লজ্জার হার
আমিরাতের কাছে লজ্জার হার

মাঠে ময়দানে

ফলাফল
ফলাফল

মাঠে ময়দানে

দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে
দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতি স্থগিত
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতি স্থগিত

নগর জীবন

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকা আসছেন
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঢাকা আসছেন

প্রথম পৃষ্ঠা