রাজশাহীর পরিচিতি শিক্ষানগরী হিসেবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর জনপদের এ নগরীকে এ অভিধা দান করেছে। রাজশাহী দেশের অন্যতম মহানগরী। সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পেয়েছে এ নগরী বহু আগে। রাজশাহী বিভাগের কল্যাণে এটি একটি বিভাগীয় শহর। ভারত ভাগের আগে রাজশাহী ছিল এক বিশাল বিভাগ। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংও ছিল রাজশাহীর অধীন। পরে পাকিস্তানি শাসনামলে খুলনা বিভাগ সৃষ্টি হয় রাজশাহী ভেঙে। সাম্প্রতিককালে রংপুর বিভাগের পত্তন ঘটেছে রাজশাহীর বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুরকে নিয়ে। রাজশাহী বিভাগীয় নগরী এবং সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পেলেও শিল্প ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ায় কর্মসংস্থানেও অনগ্রসর। এ অবস্থার অবসানে স্বপ্ন দেখাচ্ছে হাইটেক পার্ক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নির্র্মীয়মাণ এ হাইটেক পার্ক তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের তরুণদের পথ দেখাবে। এখানে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। স্মর্তব্য, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাজশাহী মহানগরীর পশ্চিম প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইটেক পার্ক স্থাপনের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই মহানগরীর বুলনপুরে ৩১ দশমিক ৬৩ একর জমির ওপর ২৮১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাইটেক পার্ক নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্য ছিল এ প্রকল্পটি পিছিয়ে পড়া রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। তা এখন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। এর ফলে খুলে যাবে কর্মসংস্থানের দুয়ার। এটি পুরোপুরি চালু হওয়ার পর রাজশাহী হবে প্রযুক্তির নগরী। ইতিমধ্যে এ হাইটেক পার্কে ঠাঁই পাওয়ার জন্য প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ পার্ককে কেন্দ্র করে রাজশাহীতে শিল্প স্থাপনের নবযাত্রার সূচনা হবে। রাজশাহীতে কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। উদ্যোক্তারা এ বিষয়টি প্রাধান্য দিলে উত্তরাঞ্চলের কৃষকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দবে।