শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

মানুষ মানুষের জন্য

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মানুষ মানুষের জন্য

১৮৭২ সাল, রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন কেবল ১১ বছর। কলকাতায় ভীষণরকম ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মানুষ কাতরাচ্ছে চারদিকে। ১৮৭২ সালের গ্রীষ্মের দিকে রোগটির সংক্রমণ যখন সর্বব্যাপী ও সর্বগ্রাসী হতে শুরু করে সে সময় কলকাতার অবস্থাপন্ন পরিবারগুলো মহামারী থেকে পালিয়ে বাঁচতে ছুটতে লাগল দিগ্বিদিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ছোট্ট রবিকে সঙ্গে নিয়ে তারাও পালিয়ে গেলেন কলকাতার বাইরে। রবীন্দ্রনাথসহ ঠাকুরবাড়ির বৃহৎ পরিবারের অনেকে ডেঙ্গু থেকে আত্মরক্ষার জন্য ১৮৭২ সালের ১৪ মে মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন রবিবার পর্যন্ত কলকাতা থেকে বেশ খানিকটা দূরে গঙ্গাতীরবর্তী পানিহাটির বাগানবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমলে পুনরায় তারা ফিরে আসেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথ সে সময় ছোট ছিলেন বলেই হয়তো পরিবারের সঙ্গে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, গিয়েছিলেন দূরে। এমন একটি মহামারীর সম্মুখীন তাঁর পরিণত বয়সে হলে কি তিনি পালিয়ে যেতেন? কিংবা তাঁর বিবেক কি সাড়া দিত পালিয়ে যেতে? সে খবরও পাওয়া যায় ইতিহাস খুঁড়লে। সেটা বোধকরি ১৮৯৮ সালের কথা। ভারতে প্লেগ ভীষণ বিপর্যয় আকার ধারণ করেছে। রোগটির প্রথম সূত্রপাত মুম্বাই শহর থেকে কিন্তু ধীরে ধীরে সে বিপর্যয়ের ঢেউ বিরাট আকারে আছড়ে পড়ে কলকাতা শহরেও। মানুষজন দলে দলে ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করে। সংক্রমণের চেয়েও বেশি ছিল ভয়। আতঙ্কের নানা খবরে মানুষ দিশাহারা। ১৮৭৮ সালের মে মাসে অমৃতবাজার পত্রিকা ফলাও করে খবর প্রকাশ করে : আতঙ্কের রূপ অদৃশ্যপূর্ব। আগে কখনো কলকাতার বিপুল জনসংখ্যা এ রকম প্রবলভাবে আন্দোলিত হয়নি। যেসব নারীর মুখ সূর্যও কখনো দেখেনি তারাও শহরের পথের ওপর দিয়ে দৌড়াচ্ছেন। অনেকে আবার ট্রামে চড়ে পালাচ্ছেন শহর ছেড়ে দূরে। বিপুলসংখ্যক মানুষের পলায়ন সেই সঙ্গে দোকানপাট বন্ধ এবং পথে গাড়ি-ঘোড়ার অনুপস্থিতি সব মিলিয়ে কলকাতা যেন একটি পরিত্যক্ত নগরীর চেহারা ধারণ করেছিল সে সময়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ পালিয়ে যাননি। যেতে পারেননি কারণ তাঁর বিবেক সাড়া দেয়নি পালিয়ে যেতে। বরং তিনি এবার পাশে দাঁড়ালেন দুস্থ, আক্রান্ত ও অবহেলিত সেসব মানুষের। ভগিনী নিবেদিতা সদ্য ইংল্যান্ড থেকে এসেছেন কলকাতায়। রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্ব হয়েছে নিবেদিতার সঙ্গে। মানবহিতৈষী ও পরোপকারী রবীন্দ্রনাথ ও নিবেদিতা নেমে এলেন রাস্তায়। দুজন একসঙ্গে নামলেন সেই মহামারী ঠেকাতে। শুধু রবীন্দ্রনাথই নয়, প্লেগের সেই ভয়াবহতা রুখতে সেদিন মাঠে নেমেছিলেন আলোকিত বিবেকবান অনেক মানুষই। তাঁদের মধ্যে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ আরও অনেকে। বিবেকানন্দ শুধু নিজেই মাঠে নামেননি, মাঠে নামিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের বহু সদস্যকে। তাঁরা পীড়িতদের কেবল সেবাই করেননি নানারকম সচেতনতামূলক প্রচারপত্রও বিলি করতেন সে সময়। তখনকার অনেক কথাই লিপিবদ্ধ হয়েছে ইতিহাসে। Calcutta Notes নামক গ্রন্থে নিবেদিতা লিখেছেন : A few great Hindu families notably the Tagore’s stood firm in the hope of allaying the agitation. রবিঠাকুরের ভাইপো বিখ্যাত লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ধারে’ গ্রন্থে লিখেছেন : ‘সেই সময় কলকাতায় লাগল প্লেগ। চারদিকে মহামারী চলছে, ঘরে ঘরে লোক মরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। রবিকাকা এবং আমরা এবাড়ির সবাই মিলে চাঁদা তুলে প্লেগ হাসপাতাল খুলেছি, চুন বিলি করেছি। রবিকাকা ও সিস্টার নিবেদিতা পাড়ায় পাড়ায় ইন্সপেকশনে যেতেন। নার্স ডাক্তার সব রাখা হয়েছিল।’ এ পৃথিবীতে সব দিক গজ মানুষই মানবতাবাদী হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিতে পারে না। জীবনের মায়ায় পরাভূত হয়ে অনেকে পালিয়েও যায় বিপর্যয় থেকে। কেউ কেউ আবার ঘরে বসে বসেই তামাশা দেখে। সে সময়ের বিখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুও ছিলেন সে রকম একজন মানুষ। যে ব্যক্তিটি প্রথম আমাদের জানিয়েছিলেন গাছের প্রাণ আছে। গাছের প্রতি তাঁর যথেষ্ট মায়া থাকলেও মানুষের প্রতি দরদ যে সামান্যই ছিল তা ভাববার কিন্তু যথেষ্ট কারণ রয়েছে। স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধুস্থানীয়। বসু যখন বিলেতে বসে বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন রবীন্দ্রনাথ তখন মাঝেমধ্যেই তাঁকে টাকা পাঠিয়ে সাহায্য করতেন। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ কন্যা মীরার সঙ্গে জগদীশচন্দ্রের পালিত পুত্র অরবিন্দ মোহনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, সেই জগদীশচন্দ্র বসু পর্যন্ত প্লেগের ভয়ে বাড়ি পরিবর্তন করে ফেললেন। কারণ ছিল অতি সামান্য। বসু সাহেবের একজন ভৃত্য সে সময় মারা গিয়েছিল প্লেগে। ১৩৯ নম্বর ধর্মতলা স্ট্রিট থেকে বসু মহাশয় বন্ধু রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ করে লিখেছেন : ‘উপরের ঠিকানা থেকে বুঝিতে পারিয়াছেন যে, আমি পলাতক। প্লেগের অনুগ্রহে আমার একজন ভৃত্য ছুটী লইয়া একদিন বড়বাজার গিয়াছিল। সেখান হইতে আসিয়া একদিন পরেই প্লেগ হয়। আর ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু। বাড়ি ছাড়িয়া আসিয়া উক্ত ঠিকানায় আছি। কতদিন পলায়ন চলিবে জানি না।’

ইতিহাস থেকে উপরোক্ত ঘটনাগুলো তুলে ধরলাম এ কারণে যে করোনা মহামারীতে আমি হারিয়েছি আমার বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয়-স্বজন। মাস তিন-চারেক আগের ঘটনা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে দুজন মানুষের মৃত্যু হয়। প্রথম মৃত্যুবরণ করেন আমার শ্বশুর প্রফেসর ডা. হুমায়ুন কবির এবং ১০ দিন পর আমার একমাত্র বড় ভায়রাভাই। আমার শ্বশুর পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। অর্থোপেডিক সার্জন। তাঁর শেষ কর্মস্থল ছিল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। সেখানে তিনি অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। চিকিৎসা জগতের অনেকেই হয়তো তাঁকে চিনবেন। আমার ভায়রাভাই একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। দিল্লি পাবলিক স্কুলের আইটি বিভাগের প্রধান ছিলেন। বয়স তেমন হয়নি আমার চেয়ে চার-পাঁচ বছরের বড়। সে হিসেবে ৪৬-৪৭ হবে। এর ঠিক মাসখানেক পর এ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান আমার মেজ বোনের শ্বশুর। চোখের সামনে পরিবারের তিনটি মৃত্যু। সত্যিই মাঝেমধ্যে বিশ্বাস হতে চায় না। মানুষ জন্মালে মৃত্যুর স্বাদ তাকে নিতে হবে সেটা অবধারিত ও স্বাভাবিক কিন্তু এমন একটি বিপদে পতিত না হলে হয়তো বোঝাই যেত আপনপর। কিছু কিছু আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের যে কী বিচিত্র আচরণ তা বোঝা গেল এ করোনায়। বিপদে কাকে পাশে পাবেন আর কাকে পাবেন না তাও আপনি বিপদে না পড়লে বুঝবেন না। পাঠকদের সঙ্গে আমার সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্যই আজকের এ লেখা।

আমার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানা গেল তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। কর্কট রোগটি বাসা বেঁধেছে লিভারে। আশ্চর্যের বিষয় তাঁর করোনা নেই জেনেও শুভানুধ্যায়ী ও আত্মীয়-স্বজনের একটি বড় অংশ তাঁকে দেখতে পর্যন্ত এলেন না। পাশে থাকা দূরের কথা। পরে অবস্থা অবনতির দিকে ধাবিত হলে তাঁকে যখন আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তখন তিনি আক্রান্ত হন করোনায়। এরপর নিশ্চিত মৃত্যু। আমার শ্বশুরের বয়স হয়েছিল আশির কাছাকাছি। সে জন্য হয়তো তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমার ভায়রাভাই যে ৪৬-৪৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করবেন তা ছিল চিন্তার অতীত। আমার শ্বশুরের কোনো ছেলেসন্তান নেই। শুধু দুটি কন্যা। দুজনই ডাক্তার। দুজনই বাবার সেবা করেছেন আপ্রাণ। আমার স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েও একপর্যায়ে আক্রান্ত হন করোনায়। আল্লাহর রহমতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। চারদিকে আমাদের যখন এমন ভয়াবহ বিপদ তখন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দেখলাম পরিবারের দু-চার জন সদস্য ছাড়া আর কেউ পাশে নেই। করোনায় মৃত্যু বলে কেউ লাশ ধরতে চায় না, কবরে নামাতে চায় না। অবশেষে আমার এক ভগ্নিপতি (আমার ছোট বোনের স্বামী) ও এক শ্যালক (আমার স্ত্রীর আপন চাচাতো ছোট ভাই) লাফ দিয়ে কবরে নেমে আমার শ্বশুরকে কবরে শায়িত করে।

আমার শ্বশুরের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে সাদা কাফনের কাপড়টি ভিজে জবুথবু অবস্থা। সে কারণেই দুই হাত রক্তে ভরে যায় আমার সেই ভগ্নিপতির। তার দুই হাতে রক্ত দেখে আমি বললাম, ‘জয় শিগগিরই হাত ধুয়ে স্যানিটাইজ করে নাও।’ আমার ভগ্নিপতি প্রতিউত্তরে বলল, ‘ভাইয়া! আল্লাহ যেভাবে মরণ লিখে রেখেছেন সেভাবেই মৃত্যু হবে।’ কথা মিথ্যা বলেনি আমার সেই ভগ্নিপতি, কারণ এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা কিনা এক কদম পা ঘরের বাইরে ফেলেনি তার পরও তাদের করোনা হয়েছে। আবার সমস্ত মুলুক ঘুরেও অনেকের কিছুই হয়নি। সে যাই হোক, করোনার ভয়ে কিছু মানুষ আমাদের বাড়ির ছায়া পর্যন্ত মাড়াত না। অথচ আমার সেই ভগ্নিপতির দুই হাত রক্তে মাখামাখি হওয়ার পরও সে সময় তার করোনা হয়নি। তবে তার করোনা হয়েছিল ঠিক তার তিন মাস পর। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে একটু জ্বর-কাশি হয়েই ভালো হয়ে উঠেছিল সে। আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের করোনা হওয়ার কারণে ওদের স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকতে হয় বেশ কিছু দিন। আমার রান্নাবান্নার লোক নেই, খাওয়া-দাওয়ার বেহাল অবস্থা! এ নিদারুণ বিপদে আমার ছোট তিন বোন ও আমার ভগ্নিপতিরা যে কী পরিমাণ সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা লিখে বোঝানো যাবে না। আমার পরবর্তী ছোট বোন সকাল-বিকাল আমাকে রান্না করে খাইয়েছে। সবার ছোট যে বোনটি সে পেশায় একজন স্থপতি, ওর স্বামী ব্যাংকার। এত ব্যস্ততার মধ্যেও বোনটি আমার নিজ হাতে রান্না করে এত্ত এত্ত খাবার নিয়ে আসত দু-এক দিন পরপর। বোনদের মধ্যে যে মেজ সে পেশায় ডাক্তার, থাকে রাজশাহী। ওখান থেকে সেও খাবার রান্না করে আমার জন্য পাঠাত। আমার মেজ ভগ্নিপতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক। সেও আক্রান্ত হয়েছিল করোনায়। যেহেতু ওর অভিজ্ঞতা ছিল সে জন্য সে আমাকে নানাভাবে পরামর্শ দিত। আমার জন্য ফেভিপিরাভির (জাপানে যে ওষুধের নাম এভিগান) নামে করোনার ওষুধ পাঠিয়েছে সেই রাজশাহী থেকে। আল্লাহ মাফ করুন, আমার যদি হঠাৎ করোনা হয়েও যায় সে জন্য শুরুতেই যেন ওষুধ খেয়ে করোনা মোকাবিলা করতে পারি।

তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশ স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক ও বৈপরীত্য মনোভাবাপন্ন। বৈপরীত্য বললাম এ কারণে যে, যখন একজন মানুষ বিপদে পড়ে তখন সে কিন্তু ঠিকই কায়মনোবাক্যে আশা করে তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক সবাই। অথচ নিজে কিন্তু বিপদগ্রস্ত সেই বন্ধু-স্বজনের পাশে থাকে না কখনো। আমি কিন্তু সবার কথা বলছি না। তবে অধিকাংশই এমন চরিত্রের। আবার কাউকে দেখি কথায় কথায় আলহামদুলিল্লাহ, মাশা আল্লাহ, ইনশা আল্লাহ এবং কথাবার্তায় বোঝান তিনি বেশ ধার্মিক কিন্তু বিপদে তাকে মানুষের পাশে পাওয়া যায় না। অথচ মানুষের বিপদ ও মহামারীর বিষয়ে ইসলামে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে।

আল কোরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘যারা মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল আপনি কি তাদের দেখেননি? অথচ তারা ছিল হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ তাদের বললেন মরে যাও (সঙ্গে সঙ্গে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল)।’ সুরা বাকারা, আয়াত ২৪৩।

আয়াতের মর্মার্থ হলো, ভীরুতার কারণে আত্মগোপন করা বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে বেড়ানো মৃত্যু থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নয়।

তবে আমার মতে দুই ধরনের মানুষ সাধারণত আতঙ্ক ও বিপদে পিছপা হয় না। প্রথমত যারা আলোকিত তারা সাধারণত আত্মকেন্দ্রিকতা অতিক্রম করতে পারেন। দ্বিতীয়ত যেসব মানুষ পারিবারিকভাবে শিক্ষা পেয়েছে মানুষের পাশে থাকার তাদের সাধারণত দেখা যায় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে। আমি দীর্ঘদিন পাশ্চাত্যে লেখাপড়া করেছি। আমি দেখেছি সেসব দেশের মানুষ কি ভীষণরকম পরোপকারী। তবে আমার ধারণা ভারতবর্ষের মাটিতেই হয়তো কোনো সমস্যা আছে সে জন্য এ অঞ্চলের মানুষ এত আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর। এ প্রসঙ্গে আমার কয়েকটি ঘটনা মনে পড়ছে। দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর আত্মজীবনী ‘ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য’ গ্রন্থে লিখেছেন : ‘ঢাকায় তখন যেরূপ ওলাওঠার প্রকোপ হইয়াছিল, সেইরূপ উৎকট অবস্থা বড় একটা দেখা যায় না। কলেরা তাঁতীবাজার হইতে শুরু করিয়া ধীরে ধীরে বাবুবাজার মুখে রওয়ানা হইল। ভীতসন্ত্রস্ত বহু শহরবাসী নদীর ঘাটে হাজির হইয়াছে ও প্রাণ লইয়া পলাইতেছে, নৌকা আর পাওয়া যায় না। রাস্তা দিয়া আসিতে পথে পথে কেবল “হরি বোল” কান্নার রোল, অনাথ ছেলেমেয়েদের চিৎকার, দোকানপাট বন্ধ।’

তবে যে কোনো বিপদ ও মহামারীতে ধনাঢ্য ব্যক্তিরাই সম্ভবত বেশি আতঙ্কে থাকেন। ১৮২০ সালের ২৯ এপ্রিলের ‘সমাচার দর্পণ’-এর খবর অনুযায়ী অর্থের জোরে কেউ কেউ কলেরা আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতেন বলে জানা যায়। ঢাকায় কলেরার উপদ্রব দেখা দিলে অনেকেই নৌকায় করে শহর ছাড়ার চেষ্টা করতেন দেখে ২-৩ টাকার নৌকা ভাড়া ৩০-৪০ টাকা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে শহর ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয় একমাত্র ধনাঢ্য ব্যক্তিরাই। আবার স্থানীয় জলাশয় বা কলের পানিতে কলেরার জীবাণু থাকতে পারে এমন ভয়ে ঢাকার অনেক অবস্থাপন্ন ব্যক্তি উনিশ শতকে প্রচুর টাকা খরচ করে মেঘনা নদীর পানি আনিয়ে তা পান করত বলেও জানা যায়। তবে পৃথিবীতে সবাই স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক হয় না। তা না হলে মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল, হেলেন কিলার, হাজী মুহম্মদ মুহসীন, স্যার সলিমুল্লাহ প্রভৃতি মানবদরদির জন্ম হতো না। হেলেন কিলার ছিলেন অন্ধ অথচ মানবসেবায় অন্ধত্ব কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মাদার তেরেসা যুগোশ্লাভিয়া থেকে ছুটে এসেছিলেন কলকাতায়। যাঁরা তেরেসার জীবনী পড়েছেন তাঁরা অবশ্যই জানেন তেরেসার লেখালেখির হাত ছিল দুর্দান্ত। সে সময় অনেকেই ধারণা করেছিলেন লেখালেখি করেই হয়তো তিনি জীবিকা নির্বাহ করবেন। কিন্তু তাঁর আগ্রহ ছিল মানবসেবায়। চিকিৎসাসেবাবঞ্চিত কুষ্ঠ রোগীদের তিনি শুধু আশ্রয়ই দেননি, প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে নিজ হাতে তাদের সেবা করেছেন দিনের পর দিন। এভাবে ভালোবাসা বিলিয়ে তিনি বিশ্ববাসীর কাছে হয়ে ওঠেন বিশ্বমাতা। তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসার চেয়ে সহজ ও সর্বজনীন ভাষা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। দুস্থ মানবতার সেবায় আত্মোৎসর্গের স্বীকৃতিস্বরূপ মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের সে সময়কার সেক্রেটারি জেনারেল পেরেজ দ্য কুয়েলার মাদার তেরেসা সম্পর্কে এক সভায় বলেছিলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মানবী হচ্ছেন মাদার তেরেসা।

তবে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, মানুষের বিপদ দেখে সবাই পালিয়ে যায় না। কেউ কেউ নিজের জীবনের মায়া উপক্ষো করেও মানুষের পাশে থাকে। রবীন্দ্রনাথের কথা তো আগেই বলেছি তিনি শুধু মানুষের পাশেই থাকেননি তাঁর লেখা ‘চতুরঙ্গ’ উপন্যাসেও দেখা যায় প্লেগে জ্যাঠামশাইয়ের মৃত্যুর কথা লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। ‘নাস্তিক জ্যাঠামশাই বাড়িতেই প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে গরিব মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজেও একসময় আক্রান্ত হলেন এই রোগে।’ প্রসঙ্গত, এ প্লেগেই মারা যান শরৎচন্দ্রের স্ত্রী ও শিশু পুত্র। এ মহামারী প্রবেশ করে ঠাকুরবাড়িতেও। অবনীন্দ্রনাথের শিশুকন্যা মারা যায় প্লেগে। শরৎচন্দ্রের স্ত্রী ও শিশু পুত্র, অবনীন্দ্রনাথের শিশু কন্যা প্লেগে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বলে তারা কেউ ঘরে অন্তরিন থাকেননি। সেসব দুঃখ-যন্ত্রণা ভুলে তাঁরা ঠিকই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মানুষের। সেকালে কলেরা ছিল ভীষণ ছোঁয়াচে রোগ, তা জেনেও তারাশঙ্কর গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে কলেরা রোগীদের সেবা করে বেড়াতেন। তিনি তাঁর অফুরন্ত সেবা দিয়ে একবার কলেরায় আক্রান্ত এক বাইজিকে সুস্থ করে তুলেছিলেন।

করোনার শুরু থেকেই আমরা দেখেছি করোনা আক্রান্ত হয়ে কোনো মানুষ মারা গেলে মৃতের আত্মীয়-পরিজন সেই লাশ গ্রহণ করতে আসত না। আমরা দেখেছি লাশ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যেতে। কি ভয়ঙ্কর লজ্জার কথা। কিন্তু এসব স্বার্থপরতা বিবেকহীনতার মধ্যেও দেখেছি কিছু কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠান নিজের জীবন তুচ্ছ করে এগিয়ে এসেছিলেন মানুষের সেবায়। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সেই বিখ্যাত ও বহুল আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। যাঁকে সবাই আমরা খোরশেদ আলম নামে চিনি।

করোনার উপসর্গ নিয়ে বা করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে পরিবারের লোকজন যখন দাফন করতে এগিয়ে আসেনি, ঠিক সে সময় মৃতদেহ দাফনে কাজ করতেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ। ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত মোট ৬১ জন করোনায় বা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মৃতদেহের দাফন ও সৎকার করেন খোরশেদ ও তার টিমের সদস্যরা।

এসব করতে গিয়ে তিনি নিজে ও তাঁর স্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায় তার পরও দমে যাননি তারা। করোনামুক্ত হয়ে আবার পূর্ণোদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মৃতের সৎকারে। ইতিহাসে এসব মানুষের নামই লেখা হবে। খুঁজলে হয়তো এমন শতসহস্র খোরশেদ পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের এ দেশের জন্য শতসহস্র খোরশেদ আসলে যথেষ্ট নয়। আমাদের প্রয়োজন প্রতি ঘরে ঘরে একজন খোরশেদ।

            লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

            ইমেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
এসএসসির ফলাফল
এসএসসির ফলাফল
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
শহুরে ছাদকৃষিতে বাণিজ্যিক নার্সারি
শহুরে ছাদকৃষিতে বাণিজ্যিক নার্সারি
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
সর্বশেষ খবর
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত : র‌্যাব

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে ট্যাক্সির ছাদে ঠাঁই পেল হাতে বানানো এয়ার কুলার
দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে ট্যাক্সির ছাদে ঠাঁই পেল হাতে বানানো এয়ার কুলার

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন
চাঁদপুরে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

মোংলায় বৃষ্টিতে তলিয়েছে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের
মোংলায় বৃষ্টিতে তলিয়েছে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা
নদীর এই বাঁধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো সম্ভব নয় : দুর্যোগ উপদেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

জেমিনি এখন পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, সুরক্ষায় বদলান সেটিং
জেমিনি এখন পড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, সুরক্ষায় বদলান সেটিং

৪৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী
সিরিয়ার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘সরকার জনগণের জানমাল ও সম্মান রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ’
‌‘সরকার জনগণের জানমাল ও সম্মান রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব
এবার মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখলেন সাকিব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫০ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন
পররাষ্ট্র দপ্তরের ১৩৫০ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে হাসপাতালে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
ঝিনাইদহে হাসপাতালে বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

জঙ্গিবাদের সন্দেহে বাংলাদেশি নাগরিকদের তদন্তে সহযোগিতা করবে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ
জঙ্গিবাদের সন্দেহে বাংলাদেশি নাগরিকদের তদন্তে সহযোগিতা করবে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারুফুলের হাতেই থাকছে আবাহনীর দায়িত্ব
মারুফুলের হাতেই থাকছে আবাহনীর দায়িত্ব

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে বেরোবি যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা
আবু সাঈদের শাহাদাত বার্ষিকীতে বেরোবি যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাইবান্ধায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু
গাইবান্ধায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুই দেশের হয়ে টেস্ট খেলা মুরের অবসর
দুই দেশের হয়ে টেস্ট খেলা মুরের অবসর

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬
ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোতা’র ২০ নম্বর জার্সি আজীবনের জন্য তুলে রাখলো লিভারপুল
জোতা’র ২০ নম্বর জার্সি আজীবনের জন্য তুলে রাখলো লিভারপুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্থায়ীভাবে অভাব দূর করছে বসুন্ধরা গ্রুপ
স্থায়ীভাবে অভাব দূর করছে বসুন্ধরা গ্রুপ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবা-মায়ের পর মারা গেছে দগ্ধ শিশু রাফিয়াও
বাবা-মায়ের পর মারা গেছে দগ্ধ শিশু রাফিয়াও

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো
কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান
সেনাপ্রধানের হুংকার, এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বে না ইরান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানালো তদন্তকারীরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বর্তমান অবস্থা কি?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে আবুল বারকাত
কারাগারে আবুল বারকাত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!
জোয়ালে বেঁধে নব দম্পতিকে দিয়ে করানো হলো হালচাষ!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ
পদ্মা সেতুর বোঝা এখনও টানছেন গ্রাহকরা, মোবাইল রিচার্জে কাটে সারচার্জ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট
বিমানে ‘বোমা থাকার’ ফোনে থামল কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় বাসার সামনে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের
যুদ্ধে ৫০০ ইসরায়েলি নিহত, দাবি ইরানি স্পিকারের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে
চার দশকের সংঘাতের অবসান, অস্ত্র ধ্বংস করছে পিকেকে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসাধীন শিল্পী ফরিদা পারভীনের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা
টেনিস খেলোয়াড় ‘মেয়েকে গুলি করে হত্যা’ করলেন বাবা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত
গাজায় ৮ ইসরায়েলি সেনা হতাহত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ
সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল
২১ জেলায় পানিতে ডুবেছে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে
ইচ্ছামতো সূর্যস্নান করতে পারবেন না ট্রাম্প, ড্রোন হামলা হতে পারে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু
নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ দিলেই চলমান সব সংকট কেটে যাবে: দুদু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত
সেই হীরার শহর এখন ভূতুড়ে অতীত

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন
কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে খলিলের ২০ মিলিয়ন ডলারের মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেক্সাসে বন্যায় নিহত বেড়ে ১২৮, নিখোঁজ ১৬০— পরিদর্শনে ট্রাম্প
টেক্সাসে বন্যায় নিহত বেড়ে ১২৮, নিখোঁজ ১৬০— পরিদর্শনে ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা
নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে চলে উন্মত্ততা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন
প্রকাশ্যে গুলি ও রগ কেটে খুন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না
ঢাকায় মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!
দুর্গন্ধযুক্ত আয়নাঘরে পারফিউমের ঘ্রাণ!

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজপথ যেন মরণফাঁদ
রাজপথ যেন মরণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

অবসরে যাচ্ছেন মোদি
অবসরে যাচ্ছেন মোদি

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়
এনসিপির দরজা খোলা, জামায়াতের সঙ্গে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাধীরাই খানের টাকার খনি
অপরাধীরাই খানের টাকার খনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাঘ দম্পতি রোমিও জুলিয়েটের কোলে ডোনাল্ড ট্রাম্প

পেছনের পৃষ্ঠা

খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার
খাল থেকে ১৫ কেজির বোয়াল শিকার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল
পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজারে আতঙ্ক গুপ্তখাল

নগর জীবন

ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে
ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে

শনিবারের সকাল

নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক
নেপালে বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটক

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার
আগে দরকার সুশীল সমাজের সংস্কার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের
বিদেশি নায়িকা কেন পছন্দ শাকিবের

শোবিজ

আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা
আল্লু অর্জুনের চার নায়িকা

শোবিজ

আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী
আতঙ্কে ফেনী নোয়াখালীবাসী

পেছনের পৃষ্ঠা

উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান
উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে খালেদা জিয়ার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত
বিষাক্ত ধোঁয়ায় মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট
পঞ্চম শীর্ষ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান রুট

মাঠে ময়দানে

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী
বৃষ্টিভেজা দিনে কাছাকাছি রাজ-শুভশ্রী

শোবিজ

জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের
জয়ে শুরু রংপুর রাইডার্সের

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশের দাপটে অসহায় শ্রীলঙ্কা

মাঠে ময়দানে

ব্যাটারদের টেকনিকে দুর্বলতা রয়েছে
ব্যাটারদের টেকনিকে দুর্বলতা রয়েছে

মাঠে ময়দানে

সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস
সোনালি যুগের চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাস

শোবিজ

চিলড্রেন অব হ্যাভেন
চিলড্রেন অব হ্যাভেন

শোবিজ

জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!
জোনাকির আলোয় বৈদ্যুতিক বাতির বিকল্প!

পরিবেশ ও জীবন