শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

সময়টা শেখ হাসিনার প্রথম শাসনকাল। গণতন্ত্র ও সুশাসনের সুবর্ণ সময়। সরকারে যেমন দাপুটে মন্ত্রী, দলেও তেমন জাঁদরেল সব নেতা। মাঠের নেতৃত্বও পোড় খাওয়া রাজনীতির পথ হাঁটা নেতা-কর্মীদের হাতে। সংসদেও গণমুখী রাজনীতিবিদ চোখে পড়ার মতো। এখনকার মতো খরাকবলিত নয় রাজনীতি। সংসদেও শক্তিশালী বিরোধী দল। তখন সব বাগানেই ফলের সমাহার। এখন শেখ হাসিনা একাই সামনে, সঙ্গে অভিজ্ঞ দক্ষ রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী কম। সংসদেও বিতর্কিত এমপিদের মুখ ভাসে বড় বেশি। হঠাৎ চৈত্রের কাঠফাটা রোদে বের হয়ে তাকালে যেমন চোখে বড় লাগে তেমনি এখনকার রাজনীতি ও সংসদের দিকে তাকালে বড্ড লাগে। বেমানান মনে হয়। আওয়ামী লীগের এক যুগের শাসনকালে যেখানে সর্বত্র সরকারি দল দৃশ্যমান সেখানে শাসক দল নিয়েই কথা বেশি আসে। যাক, সেই শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন ডা. এস এ মালেক। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। এমবিবিএস পাস ডাক্তার হলেও হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় যশ ছিল। এক সন্ধ্যায় তাঁর কলাবাগানের চেম্বারে গেলাম ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অনেক কথাই বললেন। আমিও হাত খুলে লিখলাম। ইন্টারভিউ ছাপা হওয়ার পর হয়তো চাপে পড়লেন। সন্ধ্যার পর অফিসে গিয়ে শুনলাম ডা. এস এ মালেক ফোন করেছিলেন। আমি যেন কল ব্যাক করি। ফোন করতেই তিনি বললেন, আমি আপনাকে এত কথা লেখার জন্য বলিনি। বললাম, আপনি তো না লিখতে মানাও করেননি। তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। মনটা খারাপ হলো। একজন মুরব্বি মানুষ। লজ্জাও পেলাম। লজ্জা আমরা পাই কেউ ক্ষমতার জোর না দেখিয়ে বিনয়ী হলে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাতা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে লিখেছিলাম। বড় হাসিমুখী প্রাণবন্ত সজ্জন মানুষ তিনি। কোনো কথা বলেননি। একবার আমরা সাংবাদিকদের বড় টিম আয়েবার সম্মেলনে যাচ্ছি মালয়েশিয়া। এয়ারপোর্টে নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত ও আমাকে দেখে এগিয়ে এলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। সেই হাসিমুখে বললেন, পীর হাবিবুর রহমান ভাই এখন আর কারও পদত্যাগ চান না। এটুকুতেই হেসে উঠলেন সবাই। তিনি তখন মন্ত্রী নন। আমি লজ্জিতই হলাম। সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। আহারে তাঁর সঙ্গে আরেক ভদ্র বিনয়ী সৎ মানুষ সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারকেও। কারণ তিনি কাকে মন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এমন সাহায্য করা এ দেশের সংস্কৃতি। মানুষের কাছে মানুষ গেলে ডাক্তার থেকে মন্ত্রী আমলা কাউকে পরিচয় করিয়ে দেয়। কাউকে সাহায্য করতে সুপারিশ করে। আবুল হাসান চৌধুরীকে চিনি ও বিশ্বাস ছিল বলে প্রতিবাদ সবখানেই করেছি। একমাত্র শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে সৈয়দ আবুল হোসেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নাকচ করে তাদের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু প্রায় শেষ করছেন আজ। কানাডার আদালতও বেকসুর খালাস দিয়েছে, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু মিডিয়া তখন সৈয়দ আবুল হোসেনকে যেভাবে হেয় করেছে তার জন্য পরবর্তীতে কখনো দুঃখ প্রকাশ দূরে থাক, লজ্জা বা সমালোচকরা অনুতপ্ত হয়েছেন বলে মনে হয় না। এ দেশে বিশ্বব্যাংকের খবরদারিতে অনেক অতীতের মন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আর্তনাদ করেছেন কিন্তু দমাতে পারেননি। শেখ হাসিনা খবরদারিটা রুখে দেন এবং অহমটা ভেঙে দেন। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেন পরবর্তীতে সরকার, সংসদ বা দলের কাঠামোতে কেন নেই সেটি আর জানি না।

সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তীতে মানুষ মরেছে। যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। এখনো আসেনি। সড়কে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে এ দেশের কিশোর-কিশোরীরা নজিরবিহীন আন্দোলনও দেখিয়েছে। কদিন তারা ট্রাফিক ব্যবস্থা হাতেও তুলে নিয়েছে। যারা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদের গাড়ি থেকে নামিয়েও দিয়েছে যত প্রভাবশালী ক্ষমতাধর হোন না কেন। গণজাগরণ তারা ঘটিয়ে সচেতন করেছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী থাকতে শাজাহান খান জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা হিসেবে সড়কসন্ত্রাসী বেপরোয়া বাসচালকদের পক্ষে সব সময় তার অবস্থান বহাল রেখে সমালোচিত হয়েছেন। মন্ত্রী-রাজনীতিবিদের চেয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতার মোহ ও অহংকার তার মাঝে সব সময় কাজ করেছে। তার পদত্যাগও চেয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। আজন্ম দুঃসময়ে ঝুঁকি নেওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে সেই গণবাহিনীর শাজাহান খানই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ৫০ বছরের মাথায় এসেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা শেষ হয় না। সব সরকারের আমলে এ তালিকা হয়। কেউ রাজাকারের তালিকা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সরকার রাজাকারের তালিকা করার ঘোষণা করল। আমরা আনন্দিত হলাম।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন রাজাকারের তালিকা দিলেন যেখানে একাত্তরের বীর মুক্তিযুদ্ধের বাহিনীপ্রধান, সংগঠক, গেরিলা যোদ্ধাদেরও নাম এলো। তুমুল বিতর্ক হলো। যেন ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলাও অবস্থা। বিতর্কের মুখে সেটি ডিপফ্রিজে গেল। মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলাম। সাড়া পাইনি।

করোনাকালের শুরুতে স্বাস্থ্য খাতের যে মহাবিপর্যয় আর কেলেংকারি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্য, ভূমিকা তৎপরতা মিলিয়ে সরে দাঁড়াতে বলেছিলাম। লাভ হয়নি। স্বাস্থ্য খাতের লুটেরা মিঠু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থাও দেখিনি। করোনাকালেও লুটেরার আবির্ভাব হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে স্বাস্থ্য খাতকে করোনার যুদ্ধে ঘুরে দাঁড় করিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলতা হাতের মুঠোয় পুরেছেন তাতে মন্ত্রণালয় আর অধিদফতরের কান্ডকীর্তি মানুষ ভুলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে করোনাযুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ক্যারিশমা দক্ষতা প্রজ্ঞা দূরদর্শিতা আর সাফল্যে তিনিই দেশবাসীর সামনে একক ভরসার জায়গায়। সব আশা-আশ্রয়ের ঠিকানা। সরকারের অনেক মন্ত্রী ভালোই করছেন। কয়েকজন তো অভিজ্ঞ ও দক্ষতার স্বাক্ষরও রাখছেন। ক্লিন ইমেজও আছে। তাদের কথা বলতে হয় না। মানুষ এখন আর কারও কাছে নয়, সব প্রত্যাশার আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই রেখেছেন আস্থায় বিশ্বাসে। মন্ত্রী আমলা নেতাদের দিকে তাকান না।

আমিও এখন আর কারও পদত্যাগ চাই না। এখন আমি আর কারও কারও বিরূপ কান্ডকীর্তির ব্যর্থতায় তাদের লজ্জিত বা অনুতপ্ত হতে না দেখে অবাক হই না। নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত হই। আজকাল বেহায়াকে বেহায়া বললে লজ্জা পায় না বরং বেহায়াকে আমরা যারা বেহায়া বলি, দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলি, চোরকে চোর বলি, ডাকাতকে ডাকাত বলি তারাই লজ্জা পাই। ওরা লজ্জা পায় না। ওরা অন্যায় অপরাধ করে কি কুৎসিত হাসি হাসে। ভোগ-বিলাসের লোভের বিষের জলে ভাসে।

দেশের সবাই একযোগে আওয়ামী লীগ হয়ে যাওয়ার সুবাদে কোথায় কখন কীভাবে ভুল করছেন, অন্যায় করছেন, অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বৃত্তায়ণেরও প্রসার ঘটাচ্ছেন, কীভাবে কোথায় কে ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক আচরণ করছেন তা ফিরেও দেখছেন না। আয়নায় কেউ কেউ নিজেদের চেহারা দেখা দূরে থাক, মানুষ সমালোচনা কী করছে তাও শুনতে পাচ্ছে না। কুম্ভকর্ণের ঘুম আর ক্ষমতার আনন্দে বেহুঁশ। তারা যেন নিশ্চিত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে একাই লড়বেন আর তারা ভোগ করবেন। জনমনে কী আলোচনা তা জানা বা শোনার আগ্রহ নেই। মন্ত্রীদের একদল আর এমপিদের অনেকেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। মাঠ নেতারাও আখের গোছাতে বেহুঁশ। বিএনপি যখন রাজপথে নামার চেষ্টা করছে, আলজাজিরা যখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের আঘাত হানার চেষ্টা করেছে তখন অনেক জেলায় স্থানীয় মন্ত্রী-এমপি-মাঠ নেতাদের বিরোধ-সংঘাতে গৃহদাহ দেখা দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে গৃহদাহ সংবাদকর্মীর লাশটা নিয়ে স্বজনের মাতম। দায়টা কার? নোয়াখালী থেকে সুনামগঞ্জ বিরোধ। যশোরের এমপি নেতা শাহীন চাকলাদার বললেন ওসিকে, থানায় বোমা মেরে পরিবেশবাদীকে মামলায় ঝুলিয়ে দাও। হাই কোর্ট নয়, তার কথাই শেষ কথা। দল, প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে? এরা এমপির মডেল? কেউ কেউ আসমানে তাকিয়ে হাঁটছেন যেন কালের মহাকাব্য লিখছেন। সেগুনবাগিচা থেকে রাজনৈতিক ঢালাও বিবৃতি আর দার্শনিকের মতো অসার বক্তব্য এসেছে এক ঝড়ে। কূটনৈতিক ভাষার কোনো প্রয়োগ নেই কোথাও। অতিকথনের ঝড়ে এক ইস্যুতে ছেঁড়াবেড়া অবস্থা অদক্ষদের হাতে। আইন যেখানে রাজনৈতিক মামলার আসামিকে দন্ড মওকুফের সুযোগ দিয়েছে এবং সেটি দেওয়া হয়েছে সেখানে এটা গোপন রাখা বা পরবর্তীতে জানি না বলারই দরকার কী ছিল বুঝি না। লুকোচুরি সব বয়সে খেলতে নেই।

সাংবাদিকরা দলীয় রাজনীতিতে বিভক্ত বহু আগেই। বিএনপিপন্থিরা অনেক আগেই মূল দলের পদবি লাভে এগিয়ে। এবার আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা দলের খুচরা উপকমিটির সদস্যপদ লাভ করে গর্বিত। সাংবাদিকতাও দলের পদবিতে বিলীন হতে শুরু করেছে। গণমাধ্যমে বড় পদে থেকেও রাজনৈতিক দলের উপকমিটির সদস্যপদের মোহ কেন জানি না। দল বা গণমাধ্যম কী পাবে তাও বুঝি না। জগাখিচুড়ি মসলা হয়ে যাচ্ছে পেশাজীবীরা।

জীবনে এমপি হবেন ভাবেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা এমপি করেছেন, মন্ত্রী করেছেন। এখন তাদের কেউ কেউ বাজিকর তৈরি করেন। বাণিজ্য করেন, এলাকায় এমপি-নেতাদের সঙ্গে বিরোধ দলাদলি প্রকাশ্যে এনেছেন। সিলেট বিভাগের এক জেলার মন্ত্রী তো এখন একেক উপজেলায় নিজের মতো যাচ্ছেন আর সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বর্জন করছেন। এমপি-নেতারাও কাউন্টার সভা করছেন। দলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ কারও নেই। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে অনেকের মনোনয়ন বাণিজ্যের আশঙ্কাও রয়েছে। এসবে তাদের লজ্জা নেই- বলতে বা দেখতেই আজ সমাজে যত লজ্জা। যারা দেখেন, যারা বলেন ও ভাবেন তারা যেন নির্লজ্জ বেহায়া, আর যারা করেন তাদের লাজলজ্জাহীন বোধহীন ভোগবাদী অন্ধ অহম মাত্র। অবাক-বিস্ময়কর ঘটনা সমাজে চলছে। কয়েকজন সচিব তো জাল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষিত মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার কতটা করতে পারেন সব আমলেই দেখা যায়। শেষ হয় না। বাড়ে ঘটনা।

সম্প্রতি পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার বা পি কে হালদার কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলেন তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগের ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ১৫ মার্চের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে পি কে হালদারের দেশত্যাগের দিন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।

শুনেছি পি কে হালদারের লুটে নেওয়া টাকার শোকে শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী স্ট্রোক করেছেন। সঞ্চয় জমা দিয়ে খুইয়েছেন। কত মানুষ রিক্ত-নিঃস্ব হয়েছেন। তাকে কারা তৈরি করেছে? কারা সহায়তা দিয়েছে? প্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কি ঘুমিয়েছিল? আদালতকে আজ নির্দেশনা দিতে হয়। দুদকে অনেক নিরীহ ফাঁসে অনেক বড় অপরাধীরা বের হয়ে যায়, নয় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেন এমন হচ্ছে? লুটেরা পি কে হালদাররা মডেল মাত্র। এদের তৈরি করে বেহায়া বাজিকর। তাদের নাম আসে না সামনে। অন্ধকারে থাকে।

যারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। যারা দিনের পর দিন ঋণখেলাপি হয়ে বিলাসী ও ভোগের জীবনযাপন করছে তাদের কেন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ষা করা হয়? এর উত্তর মেলে না। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখা বৃহৎ শিল্পপতি থেকে মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের যেখানে ব্যাংক ঋণের সুদ পাই পাই করে শোধ করতে হয়। যেখানে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কৃষককে মামলার জালে অল্প টাকার জন্য আটকে যেতে হয় কৃষিতে বিপ্লব এনেও, সেখানে ঋণখেলাপিদের কেন রক্ষা করা হচ্ছে বারেবারে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, খেলাপি ঋণের নতুন সুবিধা বন্ধ করতে হবে। খেলাপি ঋণের পুরনো সমস্যা জিইয়ে রাখা বা এড়িয়ে যাওয়া চলবে না সেখানে ব্যাংকিং খাতকে খেলাপিদের জন্য কেন বোঝা বইতে হবে? যারা এ রকম ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী, ব্যাংক ডাকাত তাদের আজ কোনো লজ্জা নেই। শরম নেই। বেহায়া সব। সব লজ্জা মানুষের, জনগণের। যারা ভাবছেন, দেখছেন, কথা বলছেন তাদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ভদ্রলোক সৎ ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ ছাড়া জাতির কপালে কিছু জোটেনি। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার আলোর মুখ দেখেনি। এটা যাদের করার কথা ছিল তারা করেননি। উত্তরসূরিরাও হাত দিচ্ছেন না। কারণটা কী? ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই। তাহলে শৃঙ্খলায় এনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দেওয়া যায়। খেলাপিদের কোমরে দড়ি বেঁধে জামানত নেওয়া যায়।

কুয়েতের আদালতে চার বছরের জন্য দন্ডিত এমপি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ এবার খারিজ হয়েছে। মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ। রায়ের কপি পেয়েই আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। কিন্তু এত দিন আমরা যখন বলেছি, কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। নষ্ট সমাজের লোভের শিকার পাপুল, অবৈধ অর্থ নিয়ে এলেন, কতগুলো মানুষকে কিনলেন এবং সস্ত্রীক এমপি হলেন। সদস্য পদ খারিজে সংসদ হয়তো কিছুটা কলঙ্কমুক্ত হবে কিন্তু পাপুল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যে লজ্জা এনে দিয়েছে তা কখনো ঘুচবে না। এটা খারাপ নজির হয়ে থাকবে। পাপুল যেভাবে এমপি হয়েছিলেন সেটি তার কাছে লজ্জার নয়। অহংকারের। আর যারা অর্থের লোভে বানিয়েছিলেন তারা তাদের ক্ষমতা ও রুচিহীন লোভ দেখিয়েছিলেন। এই নির্লজ্জ রুচিহীন বেহায়াদের চেহারা কখনো উন্মোচিত হবে না। এর কোনো তদন্ত হবে না। এটা কত বড় বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধ সেটি ভাবা যায়? আসলে অপরাধীরা কখনো লজ্জা পায় না। জেনে শুনে অহংকার ও দম্ভ করে। পরিণতি দেশ জাতি সমাজকে ভোগ করতে হয়। ওদের কোনো লজ্জা শরম নেই, সব লাজ-লজ্জা শরম মানুষের। মানুষ দেখে, জানে, বুঝে এবং এ নিয়ে কথা বলে। চিন্তা করে। ক্ষমতার দম্ভে সুবিধাভোগী অপরাধীরা একবারও ভাবে না কাল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে কত বড় আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর আসবে। দেশ রক্তগঙ্গা হবে। লুটেরারা পালাবে, বর্ণচোরা সুবিধাভোগীরা চেহারা বদলাবে। আদর্শবানরা, সমর্থকরা আক্রান্ত হবে। দেশের উন্নয়ন আবার বড় হোঁচট খাবে। অতএব আইনের ঊর্ধ্বে কাউকে যেতে দেওয়া যায় না। সুশাসন নিশ্চিত দরকার। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান চাই শক্তিশালী। আর ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, অর্থ পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান
কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি

নগর জীবন

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

নগর জীবন