শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

সময়টা শেখ হাসিনার প্রথম শাসনকাল। গণতন্ত্র ও সুশাসনের সুবর্ণ সময়। সরকারে যেমন দাপুটে মন্ত্রী, দলেও তেমন জাঁদরেল সব নেতা। মাঠের নেতৃত্বও পোড় খাওয়া রাজনীতির পথ হাঁটা নেতা-কর্মীদের হাতে। সংসদেও গণমুখী রাজনীতিবিদ চোখে পড়ার মতো। এখনকার মতো খরাকবলিত নয় রাজনীতি। সংসদেও শক্তিশালী বিরোধী দল। তখন সব বাগানেই ফলের সমাহার। এখন শেখ হাসিনা একাই সামনে, সঙ্গে অভিজ্ঞ দক্ষ রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী কম। সংসদেও বিতর্কিত এমপিদের মুখ ভাসে বড় বেশি। হঠাৎ চৈত্রের কাঠফাটা রোদে বের হয়ে তাকালে যেমন চোখে বড় লাগে তেমনি এখনকার রাজনীতি ও সংসদের দিকে তাকালে বড্ড লাগে। বেমানান মনে হয়। আওয়ামী লীগের এক যুগের শাসনকালে যেখানে সর্বত্র সরকারি দল দৃশ্যমান সেখানে শাসক দল নিয়েই কথা বেশি আসে। যাক, সেই শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন ডা. এস এ মালেক। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। এমবিবিএস পাস ডাক্তার হলেও হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় যশ ছিল। এক সন্ধ্যায় তাঁর কলাবাগানের চেম্বারে গেলাম ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অনেক কথাই বললেন। আমিও হাত খুলে লিখলাম। ইন্টারভিউ ছাপা হওয়ার পর হয়তো চাপে পড়লেন। সন্ধ্যার পর অফিসে গিয়ে শুনলাম ডা. এস এ মালেক ফোন করেছিলেন। আমি যেন কল ব্যাক করি। ফোন করতেই তিনি বললেন, আমি আপনাকে এত কথা লেখার জন্য বলিনি। বললাম, আপনি তো না লিখতে মানাও করেননি। তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। মনটা খারাপ হলো। একজন মুরব্বি মানুষ। লজ্জাও পেলাম। লজ্জা আমরা পাই কেউ ক্ষমতার জোর না দেখিয়ে বিনয়ী হলে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাতা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে লিখেছিলাম। বড় হাসিমুখী প্রাণবন্ত সজ্জন মানুষ তিনি। কোনো কথা বলেননি। একবার আমরা সাংবাদিকদের বড় টিম আয়েবার সম্মেলনে যাচ্ছি মালয়েশিয়া। এয়ারপোর্টে নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত ও আমাকে দেখে এগিয়ে এলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। সেই হাসিমুখে বললেন, পীর হাবিবুর রহমান ভাই এখন আর কারও পদত্যাগ চান না। এটুকুতেই হেসে উঠলেন সবাই। তিনি তখন মন্ত্রী নন। আমি লজ্জিতই হলাম। সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। আহারে তাঁর সঙ্গে আরেক ভদ্র বিনয়ী সৎ মানুষ সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারকেও। কারণ তিনি কাকে মন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এমন সাহায্য করা এ দেশের সংস্কৃতি। মানুষের কাছে মানুষ গেলে ডাক্তার থেকে মন্ত্রী আমলা কাউকে পরিচয় করিয়ে দেয়। কাউকে সাহায্য করতে সুপারিশ করে। আবুল হাসান চৌধুরীকে চিনি ও বিশ্বাস ছিল বলে প্রতিবাদ সবখানেই করেছি। একমাত্র শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে সৈয়দ আবুল হোসেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নাকচ করে তাদের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু প্রায় শেষ করছেন আজ। কানাডার আদালতও বেকসুর খালাস দিয়েছে, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু মিডিয়া তখন সৈয়দ আবুল হোসেনকে যেভাবে হেয় করেছে তার জন্য পরবর্তীতে কখনো দুঃখ প্রকাশ দূরে থাক, লজ্জা বা সমালোচকরা অনুতপ্ত হয়েছেন বলে মনে হয় না। এ দেশে বিশ্বব্যাংকের খবরদারিতে অনেক অতীতের মন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আর্তনাদ করেছেন কিন্তু দমাতে পারেননি। শেখ হাসিনা খবরদারিটা রুখে দেন এবং অহমটা ভেঙে দেন। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেন পরবর্তীতে সরকার, সংসদ বা দলের কাঠামোতে কেন নেই সেটি আর জানি না।

সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তীতে মানুষ মরেছে। যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। এখনো আসেনি। সড়কে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে এ দেশের কিশোর-কিশোরীরা নজিরবিহীন আন্দোলনও দেখিয়েছে। কদিন তারা ট্রাফিক ব্যবস্থা হাতেও তুলে নিয়েছে। যারা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদের গাড়ি থেকে নামিয়েও দিয়েছে যত প্রভাবশালী ক্ষমতাধর হোন না কেন। গণজাগরণ তারা ঘটিয়ে সচেতন করেছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী থাকতে শাজাহান খান জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা হিসেবে সড়কসন্ত্রাসী বেপরোয়া বাসচালকদের পক্ষে সব সময় তার অবস্থান বহাল রেখে সমালোচিত হয়েছেন। মন্ত্রী-রাজনীতিবিদের চেয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতার মোহ ও অহংকার তার মাঝে সব সময় কাজ করেছে। তার পদত্যাগও চেয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। আজন্ম দুঃসময়ে ঝুঁকি নেওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে সেই গণবাহিনীর শাজাহান খানই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ৫০ বছরের মাথায় এসেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা শেষ হয় না। সব সরকারের আমলে এ তালিকা হয়। কেউ রাজাকারের তালিকা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সরকার রাজাকারের তালিকা করার ঘোষণা করল। আমরা আনন্দিত হলাম।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন রাজাকারের তালিকা দিলেন যেখানে একাত্তরের বীর মুক্তিযুদ্ধের বাহিনীপ্রধান, সংগঠক, গেরিলা যোদ্ধাদেরও নাম এলো। তুমুল বিতর্ক হলো। যেন ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলাও অবস্থা। বিতর্কের মুখে সেটি ডিপফ্রিজে গেল। মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলাম। সাড়া পাইনি।

করোনাকালের শুরুতে স্বাস্থ্য খাতের যে মহাবিপর্যয় আর কেলেংকারি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্য, ভূমিকা তৎপরতা মিলিয়ে সরে দাঁড়াতে বলেছিলাম। লাভ হয়নি। স্বাস্থ্য খাতের লুটেরা মিঠু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থাও দেখিনি। করোনাকালেও লুটেরার আবির্ভাব হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে স্বাস্থ্য খাতকে করোনার যুদ্ধে ঘুরে দাঁড় করিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলতা হাতের মুঠোয় পুরেছেন তাতে মন্ত্রণালয় আর অধিদফতরের কান্ডকীর্তি মানুষ ভুলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে করোনাযুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ক্যারিশমা দক্ষতা প্রজ্ঞা দূরদর্শিতা আর সাফল্যে তিনিই দেশবাসীর সামনে একক ভরসার জায়গায়। সব আশা-আশ্রয়ের ঠিকানা। সরকারের অনেক মন্ত্রী ভালোই করছেন। কয়েকজন তো অভিজ্ঞ ও দক্ষতার স্বাক্ষরও রাখছেন। ক্লিন ইমেজও আছে। তাদের কথা বলতে হয় না। মানুষ এখন আর কারও কাছে নয়, সব প্রত্যাশার আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই রেখেছেন আস্থায় বিশ্বাসে। মন্ত্রী আমলা নেতাদের দিকে তাকান না।

আমিও এখন আর কারও পদত্যাগ চাই না। এখন আমি আর কারও কারও বিরূপ কান্ডকীর্তির ব্যর্থতায় তাদের লজ্জিত বা অনুতপ্ত হতে না দেখে অবাক হই না। নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত হই। আজকাল বেহায়াকে বেহায়া বললে লজ্জা পায় না বরং বেহায়াকে আমরা যারা বেহায়া বলি, দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলি, চোরকে চোর বলি, ডাকাতকে ডাকাত বলি তারাই লজ্জা পাই। ওরা লজ্জা পায় না। ওরা অন্যায় অপরাধ করে কি কুৎসিত হাসি হাসে। ভোগ-বিলাসের লোভের বিষের জলে ভাসে।

দেশের সবাই একযোগে আওয়ামী লীগ হয়ে যাওয়ার সুবাদে কোথায় কখন কীভাবে ভুল করছেন, অন্যায় করছেন, অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বৃত্তায়ণেরও প্রসার ঘটাচ্ছেন, কীভাবে কোথায় কে ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক আচরণ করছেন তা ফিরেও দেখছেন না। আয়নায় কেউ কেউ নিজেদের চেহারা দেখা দূরে থাক, মানুষ সমালোচনা কী করছে তাও শুনতে পাচ্ছে না। কুম্ভকর্ণের ঘুম আর ক্ষমতার আনন্দে বেহুঁশ। তারা যেন নিশ্চিত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে একাই লড়বেন আর তারা ভোগ করবেন। জনমনে কী আলোচনা তা জানা বা শোনার আগ্রহ নেই। মন্ত্রীদের একদল আর এমপিদের অনেকেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। মাঠ নেতারাও আখের গোছাতে বেহুঁশ। বিএনপি যখন রাজপথে নামার চেষ্টা করছে, আলজাজিরা যখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের আঘাত হানার চেষ্টা করেছে তখন অনেক জেলায় স্থানীয় মন্ত্রী-এমপি-মাঠ নেতাদের বিরোধ-সংঘাতে গৃহদাহ দেখা দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে গৃহদাহ সংবাদকর্মীর লাশটা নিয়ে স্বজনের মাতম। দায়টা কার? নোয়াখালী থেকে সুনামগঞ্জ বিরোধ। যশোরের এমপি নেতা শাহীন চাকলাদার বললেন ওসিকে, থানায় বোমা মেরে পরিবেশবাদীকে মামলায় ঝুলিয়ে দাও। হাই কোর্ট নয়, তার কথাই শেষ কথা। দল, প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে? এরা এমপির মডেল? কেউ কেউ আসমানে তাকিয়ে হাঁটছেন যেন কালের মহাকাব্য লিখছেন। সেগুনবাগিচা থেকে রাজনৈতিক ঢালাও বিবৃতি আর দার্শনিকের মতো অসার বক্তব্য এসেছে এক ঝড়ে। কূটনৈতিক ভাষার কোনো প্রয়োগ নেই কোথাও। অতিকথনের ঝড়ে এক ইস্যুতে ছেঁড়াবেড়া অবস্থা অদক্ষদের হাতে। আইন যেখানে রাজনৈতিক মামলার আসামিকে দন্ড মওকুফের সুযোগ দিয়েছে এবং সেটি দেওয়া হয়েছে সেখানে এটা গোপন রাখা বা পরবর্তীতে জানি না বলারই দরকার কী ছিল বুঝি না। লুকোচুরি সব বয়সে খেলতে নেই।

সাংবাদিকরা দলীয় রাজনীতিতে বিভক্ত বহু আগেই। বিএনপিপন্থিরা অনেক আগেই মূল দলের পদবি লাভে এগিয়ে। এবার আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা দলের খুচরা উপকমিটির সদস্যপদ লাভ করে গর্বিত। সাংবাদিকতাও দলের পদবিতে বিলীন হতে শুরু করেছে। গণমাধ্যমে বড় পদে থেকেও রাজনৈতিক দলের উপকমিটির সদস্যপদের মোহ কেন জানি না। দল বা গণমাধ্যম কী পাবে তাও বুঝি না। জগাখিচুড়ি মসলা হয়ে যাচ্ছে পেশাজীবীরা।

জীবনে এমপি হবেন ভাবেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা এমপি করেছেন, মন্ত্রী করেছেন। এখন তাদের কেউ কেউ বাজিকর তৈরি করেন। বাণিজ্য করেন, এলাকায় এমপি-নেতাদের সঙ্গে বিরোধ দলাদলি প্রকাশ্যে এনেছেন। সিলেট বিভাগের এক জেলার মন্ত্রী তো এখন একেক উপজেলায় নিজের মতো যাচ্ছেন আর সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বর্জন করছেন। এমপি-নেতারাও কাউন্টার সভা করছেন। দলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ কারও নেই। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে অনেকের মনোনয়ন বাণিজ্যের আশঙ্কাও রয়েছে। এসবে তাদের লজ্জা নেই- বলতে বা দেখতেই আজ সমাজে যত লজ্জা। যারা দেখেন, যারা বলেন ও ভাবেন তারা যেন নির্লজ্জ বেহায়া, আর যারা করেন তাদের লাজলজ্জাহীন বোধহীন ভোগবাদী অন্ধ অহম মাত্র। অবাক-বিস্ময়কর ঘটনা সমাজে চলছে। কয়েকজন সচিব তো জাল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষিত মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার কতটা করতে পারেন সব আমলেই দেখা যায়। শেষ হয় না। বাড়ে ঘটনা।

সম্প্রতি পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার বা পি কে হালদার কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলেন তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগের ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ১৫ মার্চের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে পি কে হালদারের দেশত্যাগের দিন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।

শুনেছি পি কে হালদারের লুটে নেওয়া টাকার শোকে শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী স্ট্রোক করেছেন। সঞ্চয় জমা দিয়ে খুইয়েছেন। কত মানুষ রিক্ত-নিঃস্ব হয়েছেন। তাকে কারা তৈরি করেছে? কারা সহায়তা দিয়েছে? প্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কি ঘুমিয়েছিল? আদালতকে আজ নির্দেশনা দিতে হয়। দুদকে অনেক নিরীহ ফাঁসে অনেক বড় অপরাধীরা বের হয়ে যায়, নয় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেন এমন হচ্ছে? লুটেরা পি কে হালদাররা মডেল মাত্র। এদের তৈরি করে বেহায়া বাজিকর। তাদের নাম আসে না সামনে। অন্ধকারে থাকে।

যারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। যারা দিনের পর দিন ঋণখেলাপি হয়ে বিলাসী ও ভোগের জীবনযাপন করছে তাদের কেন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ষা করা হয়? এর উত্তর মেলে না। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখা বৃহৎ শিল্পপতি থেকে মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের যেখানে ব্যাংক ঋণের সুদ পাই পাই করে শোধ করতে হয়। যেখানে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কৃষককে মামলার জালে অল্প টাকার জন্য আটকে যেতে হয় কৃষিতে বিপ্লব এনেও, সেখানে ঋণখেলাপিদের কেন রক্ষা করা হচ্ছে বারেবারে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, খেলাপি ঋণের নতুন সুবিধা বন্ধ করতে হবে। খেলাপি ঋণের পুরনো সমস্যা জিইয়ে রাখা বা এড়িয়ে যাওয়া চলবে না সেখানে ব্যাংকিং খাতকে খেলাপিদের জন্য কেন বোঝা বইতে হবে? যারা এ রকম ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী, ব্যাংক ডাকাত তাদের আজ কোনো লজ্জা নেই। শরম নেই। বেহায়া সব। সব লজ্জা মানুষের, জনগণের। যারা ভাবছেন, দেখছেন, কথা বলছেন তাদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ভদ্রলোক সৎ ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ ছাড়া জাতির কপালে কিছু জোটেনি। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার আলোর মুখ দেখেনি। এটা যাদের করার কথা ছিল তারা করেননি। উত্তরসূরিরাও হাত দিচ্ছেন না। কারণটা কী? ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই। তাহলে শৃঙ্খলায় এনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দেওয়া যায়। খেলাপিদের কোমরে দড়ি বেঁধে জামানত নেওয়া যায়।

কুয়েতের আদালতে চার বছরের জন্য দন্ডিত এমপি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ এবার খারিজ হয়েছে। মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ। রায়ের কপি পেয়েই আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। কিন্তু এত দিন আমরা যখন বলেছি, কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। নষ্ট সমাজের লোভের শিকার পাপুল, অবৈধ অর্থ নিয়ে এলেন, কতগুলো মানুষকে কিনলেন এবং সস্ত্রীক এমপি হলেন। সদস্য পদ খারিজে সংসদ হয়তো কিছুটা কলঙ্কমুক্ত হবে কিন্তু পাপুল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যে লজ্জা এনে দিয়েছে তা কখনো ঘুচবে না। এটা খারাপ নজির হয়ে থাকবে। পাপুল যেভাবে এমপি হয়েছিলেন সেটি তার কাছে লজ্জার নয়। অহংকারের। আর যারা অর্থের লোভে বানিয়েছিলেন তারা তাদের ক্ষমতা ও রুচিহীন লোভ দেখিয়েছিলেন। এই নির্লজ্জ রুচিহীন বেহায়াদের চেহারা কখনো উন্মোচিত হবে না। এর কোনো তদন্ত হবে না। এটা কত বড় বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধ সেটি ভাবা যায়? আসলে অপরাধীরা কখনো লজ্জা পায় না। জেনে শুনে অহংকার ও দম্ভ করে। পরিণতি দেশ জাতি সমাজকে ভোগ করতে হয়। ওদের কোনো লজ্জা শরম নেই, সব লাজ-লজ্জা শরম মানুষের। মানুষ দেখে, জানে, বুঝে এবং এ নিয়ে কথা বলে। চিন্তা করে। ক্ষমতার দম্ভে সুবিধাভোগী অপরাধীরা একবারও ভাবে না কাল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে কত বড় আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর আসবে। দেশ রক্তগঙ্গা হবে। লুটেরারা পালাবে, বর্ণচোরা সুবিধাভোগীরা চেহারা বদলাবে। আদর্শবানরা, সমর্থকরা আক্রান্ত হবে। দেশের উন্নয়ন আবার বড় হোঁচট খাবে। অতএব আইনের ঊর্ধ্বে কাউকে যেতে দেওয়া যায় না। সুশাসন নিশ্চিত দরকার। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান চাই শক্তিশালী। আর ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, অর্থ পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা