শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

সময়টা শেখ হাসিনার প্রথম শাসনকাল। গণতন্ত্র ও সুশাসনের সুবর্ণ সময়। সরকারে যেমন দাপুটে মন্ত্রী, দলেও তেমন জাঁদরেল সব নেতা। মাঠের নেতৃত্বও পোড় খাওয়া রাজনীতির পথ হাঁটা নেতা-কর্মীদের হাতে। সংসদেও গণমুখী রাজনীতিবিদ চোখে পড়ার মতো। এখনকার মতো খরাকবলিত নয় রাজনীতি। সংসদেও শক্তিশালী বিরোধী দল। তখন সব বাগানেই ফলের সমাহার। এখন শেখ হাসিনা একাই সামনে, সঙ্গে অভিজ্ঞ দক্ষ রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী কম। সংসদেও বিতর্কিত এমপিদের মুখ ভাসে বড় বেশি। হঠাৎ চৈত্রের কাঠফাটা রোদে বের হয়ে তাকালে যেমন চোখে বড় লাগে তেমনি এখনকার রাজনীতি ও সংসদের দিকে তাকালে বড্ড লাগে। বেমানান মনে হয়। আওয়ামী লীগের এক যুগের শাসনকালে যেখানে সর্বত্র সরকারি দল দৃশ্যমান সেখানে শাসক দল নিয়েই কথা বেশি আসে। যাক, সেই শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন ডা. এস এ মালেক। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। এমবিবিএস পাস ডাক্তার হলেও হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় যশ ছিল। এক সন্ধ্যায় তাঁর কলাবাগানের চেম্বারে গেলাম ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অনেক কথাই বললেন। আমিও হাত খুলে লিখলাম। ইন্টারভিউ ছাপা হওয়ার পর হয়তো চাপে পড়লেন। সন্ধ্যার পর অফিসে গিয়ে শুনলাম ডা. এস এ মালেক ফোন করেছিলেন। আমি যেন কল ব্যাক করি। ফোন করতেই তিনি বললেন, আমি আপনাকে এত কথা লেখার জন্য বলিনি। বললাম, আপনি তো না লিখতে মানাও করেননি। তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। মনটা খারাপ হলো। একজন মুরব্বি মানুষ। লজ্জাও পেলাম। লজ্জা আমরা পাই কেউ ক্ষমতার জোর না দেখিয়ে বিনয়ী হলে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাতা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে লিখেছিলাম। বড় হাসিমুখী প্রাণবন্ত সজ্জন মানুষ তিনি। কোনো কথা বলেননি। একবার আমরা সাংবাদিকদের বড় টিম আয়েবার সম্মেলনে যাচ্ছি মালয়েশিয়া। এয়ারপোর্টে নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত ও আমাকে দেখে এগিয়ে এলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। সেই হাসিমুখে বললেন, পীর হাবিবুর রহমান ভাই এখন আর কারও পদত্যাগ চান না। এটুকুতেই হেসে উঠলেন সবাই। তিনি তখন মন্ত্রী নন। আমি লজ্জিতই হলাম। সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। আহারে তাঁর সঙ্গে আরেক ভদ্র বিনয়ী সৎ মানুষ সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারকেও। কারণ তিনি কাকে মন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এমন সাহায্য করা এ দেশের সংস্কৃতি। মানুষের কাছে মানুষ গেলে ডাক্তার থেকে মন্ত্রী আমলা কাউকে পরিচয় করিয়ে দেয়। কাউকে সাহায্য করতে সুপারিশ করে। আবুল হাসান চৌধুরীকে চিনি ও বিশ্বাস ছিল বলে প্রতিবাদ সবখানেই করেছি। একমাত্র শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে সৈয়দ আবুল হোসেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নাকচ করে তাদের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু প্রায় শেষ করছেন আজ। কানাডার আদালতও বেকসুর খালাস দিয়েছে, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু মিডিয়া তখন সৈয়দ আবুল হোসেনকে যেভাবে হেয় করেছে তার জন্য পরবর্তীতে কখনো দুঃখ প্রকাশ দূরে থাক, লজ্জা বা সমালোচকরা অনুতপ্ত হয়েছেন বলে মনে হয় না। এ দেশে বিশ্বব্যাংকের খবরদারিতে অনেক অতীতের মন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আর্তনাদ করেছেন কিন্তু দমাতে পারেননি। শেখ হাসিনা খবরদারিটা রুখে দেন এবং অহমটা ভেঙে দেন। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেন পরবর্তীতে সরকার, সংসদ বা দলের কাঠামোতে কেন নেই সেটি আর জানি না।

সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তীতে মানুষ মরেছে। যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। এখনো আসেনি। সড়কে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে এ দেশের কিশোর-কিশোরীরা নজিরবিহীন আন্দোলনও দেখিয়েছে। কদিন তারা ট্রাফিক ব্যবস্থা হাতেও তুলে নিয়েছে। যারা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদের গাড়ি থেকে নামিয়েও দিয়েছে যত প্রভাবশালী ক্ষমতাধর হোন না কেন। গণজাগরণ তারা ঘটিয়ে সচেতন করেছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী থাকতে শাজাহান খান জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা হিসেবে সড়কসন্ত্রাসী বেপরোয়া বাসচালকদের পক্ষে সব সময় তার অবস্থান বহাল রেখে সমালোচিত হয়েছেন। মন্ত্রী-রাজনীতিবিদের চেয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতার মোহ ও অহংকার তার মাঝে সব সময় কাজ করেছে। তার পদত্যাগও চেয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। আজন্ম দুঃসময়ে ঝুঁকি নেওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে সেই গণবাহিনীর শাজাহান খানই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ৫০ বছরের মাথায় এসেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা শেষ হয় না। সব সরকারের আমলে এ তালিকা হয়। কেউ রাজাকারের তালিকা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সরকার রাজাকারের তালিকা করার ঘোষণা করল। আমরা আনন্দিত হলাম।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন রাজাকারের তালিকা দিলেন যেখানে একাত্তরের বীর মুক্তিযুদ্ধের বাহিনীপ্রধান, সংগঠক, গেরিলা যোদ্ধাদেরও নাম এলো। তুমুল বিতর্ক হলো। যেন ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলাও অবস্থা। বিতর্কের মুখে সেটি ডিপফ্রিজে গেল। মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলাম। সাড়া পাইনি।

করোনাকালের শুরুতে স্বাস্থ্য খাতের যে মহাবিপর্যয় আর কেলেংকারি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্য, ভূমিকা তৎপরতা মিলিয়ে সরে দাঁড়াতে বলেছিলাম। লাভ হয়নি। স্বাস্থ্য খাতের লুটেরা মিঠু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থাও দেখিনি। করোনাকালেও লুটেরার আবির্ভাব হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে স্বাস্থ্য খাতকে করোনার যুদ্ধে ঘুরে দাঁড় করিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলতা হাতের মুঠোয় পুরেছেন তাতে মন্ত্রণালয় আর অধিদফতরের কান্ডকীর্তি মানুষ ভুলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে করোনাযুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ক্যারিশমা দক্ষতা প্রজ্ঞা দূরদর্শিতা আর সাফল্যে তিনিই দেশবাসীর সামনে একক ভরসার জায়গায়। সব আশা-আশ্রয়ের ঠিকানা। সরকারের অনেক মন্ত্রী ভালোই করছেন। কয়েকজন তো অভিজ্ঞ ও দক্ষতার স্বাক্ষরও রাখছেন। ক্লিন ইমেজও আছে। তাদের কথা বলতে হয় না। মানুষ এখন আর কারও কাছে নয়, সব প্রত্যাশার আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই রেখেছেন আস্থায় বিশ্বাসে। মন্ত্রী আমলা নেতাদের দিকে তাকান না।

আমিও এখন আর কারও পদত্যাগ চাই না। এখন আমি আর কারও কারও বিরূপ কান্ডকীর্তির ব্যর্থতায় তাদের লজ্জিত বা অনুতপ্ত হতে না দেখে অবাক হই না। নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত হই। আজকাল বেহায়াকে বেহায়া বললে লজ্জা পায় না বরং বেহায়াকে আমরা যারা বেহায়া বলি, দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলি, চোরকে চোর বলি, ডাকাতকে ডাকাত বলি তারাই লজ্জা পাই। ওরা লজ্জা পায় না। ওরা অন্যায় অপরাধ করে কি কুৎসিত হাসি হাসে। ভোগ-বিলাসের লোভের বিষের জলে ভাসে।

দেশের সবাই একযোগে আওয়ামী লীগ হয়ে যাওয়ার সুবাদে কোথায় কখন কীভাবে ভুল করছেন, অন্যায় করছেন, অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বৃত্তায়ণেরও প্রসার ঘটাচ্ছেন, কীভাবে কোথায় কে ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক আচরণ করছেন তা ফিরেও দেখছেন না। আয়নায় কেউ কেউ নিজেদের চেহারা দেখা দূরে থাক, মানুষ সমালোচনা কী করছে তাও শুনতে পাচ্ছে না। কুম্ভকর্ণের ঘুম আর ক্ষমতার আনন্দে বেহুঁশ। তারা যেন নিশ্চিত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে একাই লড়বেন আর তারা ভোগ করবেন। জনমনে কী আলোচনা তা জানা বা শোনার আগ্রহ নেই। মন্ত্রীদের একদল আর এমপিদের অনেকেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। মাঠ নেতারাও আখের গোছাতে বেহুঁশ। বিএনপি যখন রাজপথে নামার চেষ্টা করছে, আলজাজিরা যখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের আঘাত হানার চেষ্টা করেছে তখন অনেক জেলায় স্থানীয় মন্ত্রী-এমপি-মাঠ নেতাদের বিরোধ-সংঘাতে গৃহদাহ দেখা দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে গৃহদাহ সংবাদকর্মীর লাশটা নিয়ে স্বজনের মাতম। দায়টা কার? নোয়াখালী থেকে সুনামগঞ্জ বিরোধ। যশোরের এমপি নেতা শাহীন চাকলাদার বললেন ওসিকে, থানায় বোমা মেরে পরিবেশবাদীকে মামলায় ঝুলিয়ে দাও। হাই কোর্ট নয়, তার কথাই শেষ কথা। দল, প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে? এরা এমপির মডেল? কেউ কেউ আসমানে তাকিয়ে হাঁটছেন যেন কালের মহাকাব্য লিখছেন। সেগুনবাগিচা থেকে রাজনৈতিক ঢালাও বিবৃতি আর দার্শনিকের মতো অসার বক্তব্য এসেছে এক ঝড়ে। কূটনৈতিক ভাষার কোনো প্রয়োগ নেই কোথাও। অতিকথনের ঝড়ে এক ইস্যুতে ছেঁড়াবেড়া অবস্থা অদক্ষদের হাতে। আইন যেখানে রাজনৈতিক মামলার আসামিকে দন্ড মওকুফের সুযোগ দিয়েছে এবং সেটি দেওয়া হয়েছে সেখানে এটা গোপন রাখা বা পরবর্তীতে জানি না বলারই দরকার কী ছিল বুঝি না। লুকোচুরি সব বয়সে খেলতে নেই।

সাংবাদিকরা দলীয় রাজনীতিতে বিভক্ত বহু আগেই। বিএনপিপন্থিরা অনেক আগেই মূল দলের পদবি লাভে এগিয়ে। এবার আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা দলের খুচরা উপকমিটির সদস্যপদ লাভ করে গর্বিত। সাংবাদিকতাও দলের পদবিতে বিলীন হতে শুরু করেছে। গণমাধ্যমে বড় পদে থেকেও রাজনৈতিক দলের উপকমিটির সদস্যপদের মোহ কেন জানি না। দল বা গণমাধ্যম কী পাবে তাও বুঝি না। জগাখিচুড়ি মসলা হয়ে যাচ্ছে পেশাজীবীরা।

জীবনে এমপি হবেন ভাবেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা এমপি করেছেন, মন্ত্রী করেছেন। এখন তাদের কেউ কেউ বাজিকর তৈরি করেন। বাণিজ্য করেন, এলাকায় এমপি-নেতাদের সঙ্গে বিরোধ দলাদলি প্রকাশ্যে এনেছেন। সিলেট বিভাগের এক জেলার মন্ত্রী তো এখন একেক উপজেলায় নিজের মতো যাচ্ছেন আর সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বর্জন করছেন। এমপি-নেতারাও কাউন্টার সভা করছেন। দলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ কারও নেই। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে অনেকের মনোনয়ন বাণিজ্যের আশঙ্কাও রয়েছে। এসবে তাদের লজ্জা নেই- বলতে বা দেখতেই আজ সমাজে যত লজ্জা। যারা দেখেন, যারা বলেন ও ভাবেন তারা যেন নির্লজ্জ বেহায়া, আর যারা করেন তাদের লাজলজ্জাহীন বোধহীন ভোগবাদী অন্ধ অহম মাত্র। অবাক-বিস্ময়কর ঘটনা সমাজে চলছে। কয়েকজন সচিব তো জাল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষিত মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার কতটা করতে পারেন সব আমলেই দেখা যায়। শেষ হয় না। বাড়ে ঘটনা।

সম্প্রতি পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার বা পি কে হালদার কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলেন তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগের ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ১৫ মার্চের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে পি কে হালদারের দেশত্যাগের দিন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।

শুনেছি পি কে হালদারের লুটে নেওয়া টাকার শোকে শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী স্ট্রোক করেছেন। সঞ্চয় জমা দিয়ে খুইয়েছেন। কত মানুষ রিক্ত-নিঃস্ব হয়েছেন। তাকে কারা তৈরি করেছে? কারা সহায়তা দিয়েছে? প্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কি ঘুমিয়েছিল? আদালতকে আজ নির্দেশনা দিতে হয়। দুদকে অনেক নিরীহ ফাঁসে অনেক বড় অপরাধীরা বের হয়ে যায়, নয় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেন এমন হচ্ছে? লুটেরা পি কে হালদাররা মডেল মাত্র। এদের তৈরি করে বেহায়া বাজিকর। তাদের নাম আসে না সামনে। অন্ধকারে থাকে।

যারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। যারা দিনের পর দিন ঋণখেলাপি হয়ে বিলাসী ও ভোগের জীবনযাপন করছে তাদের কেন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ষা করা হয়? এর উত্তর মেলে না। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখা বৃহৎ শিল্পপতি থেকে মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের যেখানে ব্যাংক ঋণের সুদ পাই পাই করে শোধ করতে হয়। যেখানে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কৃষককে মামলার জালে অল্প টাকার জন্য আটকে যেতে হয় কৃষিতে বিপ্লব এনেও, সেখানে ঋণখেলাপিদের কেন রক্ষা করা হচ্ছে বারেবারে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, খেলাপি ঋণের নতুন সুবিধা বন্ধ করতে হবে। খেলাপি ঋণের পুরনো সমস্যা জিইয়ে রাখা বা এড়িয়ে যাওয়া চলবে না সেখানে ব্যাংকিং খাতকে খেলাপিদের জন্য কেন বোঝা বইতে হবে? যারা এ রকম ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী, ব্যাংক ডাকাত তাদের আজ কোনো লজ্জা নেই। শরম নেই। বেহায়া সব। সব লজ্জা মানুষের, জনগণের। যারা ভাবছেন, দেখছেন, কথা বলছেন তাদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ভদ্রলোক সৎ ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ ছাড়া জাতির কপালে কিছু জোটেনি। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার আলোর মুখ দেখেনি। এটা যাদের করার কথা ছিল তারা করেননি। উত্তরসূরিরাও হাত দিচ্ছেন না। কারণটা কী? ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই। তাহলে শৃঙ্খলায় এনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দেওয়া যায়। খেলাপিদের কোমরে দড়ি বেঁধে জামানত নেওয়া যায়।

কুয়েতের আদালতে চার বছরের জন্য দন্ডিত এমপি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ এবার খারিজ হয়েছে। মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ। রায়ের কপি পেয়েই আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। কিন্তু এত দিন আমরা যখন বলেছি, কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। নষ্ট সমাজের লোভের শিকার পাপুল, অবৈধ অর্থ নিয়ে এলেন, কতগুলো মানুষকে কিনলেন এবং সস্ত্রীক এমপি হলেন। সদস্য পদ খারিজে সংসদ হয়তো কিছুটা কলঙ্কমুক্ত হবে কিন্তু পাপুল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যে লজ্জা এনে দিয়েছে তা কখনো ঘুচবে না। এটা খারাপ নজির হয়ে থাকবে। পাপুল যেভাবে এমপি হয়েছিলেন সেটি তার কাছে লজ্জার নয়। অহংকারের। আর যারা অর্থের লোভে বানিয়েছিলেন তারা তাদের ক্ষমতা ও রুচিহীন লোভ দেখিয়েছিলেন। এই নির্লজ্জ রুচিহীন বেহায়াদের চেহারা কখনো উন্মোচিত হবে না। এর কোনো তদন্ত হবে না। এটা কত বড় বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধ সেটি ভাবা যায়? আসলে অপরাধীরা কখনো লজ্জা পায় না। জেনে শুনে অহংকার ও দম্ভ করে। পরিণতি দেশ জাতি সমাজকে ভোগ করতে হয়। ওদের কোনো লজ্জা শরম নেই, সব লাজ-লজ্জা শরম মানুষের। মানুষ দেখে, জানে, বুঝে এবং এ নিয়ে কথা বলে। চিন্তা করে। ক্ষমতার দম্ভে সুবিধাভোগী অপরাধীরা একবারও ভাবে না কাল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে কত বড় আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর আসবে। দেশ রক্তগঙ্গা হবে। লুটেরারা পালাবে, বর্ণচোরা সুবিধাভোগীরা চেহারা বদলাবে। আদর্শবানরা, সমর্থকরা আক্রান্ত হবে। দেশের উন্নয়ন আবার বড় হোঁচট খাবে। অতএব আইনের ঊর্ধ্বে কাউকে যেতে দেওয়া যায় না। সুশাসন নিশ্চিত দরকার। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান চাই শক্তিশালী। আর ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, অর্থ পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
ফল বিপর্যয়
ফল বিপর্যয়
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
রাজপথে শিক্ষকরা
রাজপথে শিক্ষকরা
জাতীয় সনদ
জাতীয় সনদ
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
নতুন ট্যারিফ
নতুন ট্যারিফ
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তান হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের
পাকিস্তান হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিস্তানে চালককে কুপিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই
গুলিস্তানে চালককে কুপিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাইনিজ তাইপের কাছে বড় হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
চাইনিজ তাইপের কাছে বড় হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক : ফরিদা আখতার
লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক : ফরিদা আখতার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জাতীয়ভাবে লালন উৎসব পালন অব্যাহত থাকবে : ফারুকী
জাতীয়ভাবে লালন উৎসব পালন অব্যাহত থাকবে : ফারুকী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সূর্য হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর!
সূর্য হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর!

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে কৃষি উপদেষ্টার বৈঠক
এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে কৃষি উপদেষ্টার বৈঠক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলা একাডেমিতে ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপিত
বাংলা একাডেমিতে ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপিত

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্রিকেটে আসছে নতুন ফরম্যাট 'টেস্ট টোয়েন্টি'
ক্রিকেটে আসছে নতুন ফরম্যাট 'টেস্ট টোয়েন্টি'

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিরক্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করেছে এলিয়েনরা, বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা
বিরক্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করেছে এলিয়েনরা, বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ড্যারেন সামি
টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ড্যারেন সামি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর
ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল
সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী
ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুবিন গার্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি
জুবিন গার্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি
মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক

৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্রিতে অটোগ্রাফ দেয়া বন্ধ করছেন ইয়ামাল!
ফ্রিতে অটোগ্রাফ দেয়া বন্ধ করছেন ইয়ামাল!

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন
বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন

৭ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে সড়ক অবরোধ
নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে সড়ক অবরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় নারীকে গলা কেটে হত্যা
কুমিল্লায় নারীকে গলা কেটে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়
কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা
সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস
রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে চার তরুণ-তরুণী আটক
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে চার তরুণ-তরুণী আটক

১৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের
জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএস অফিসারের ঘরে ‘টাকার পাহাড়’
আইপিএস অফিসারের ঘরে ‘টাকার পাহাড়’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী
রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএ’কে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএ’কে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বাক্ষরিত হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’
স্বাক্ষরিত হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে সনদ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে সনদ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা
ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহী সকলেই নিহত
জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহী সকলেই নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব
রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সবজির দাম আকাশছোঁয়া
সবজির দাম আকাশছোঁয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার যে কয়েকটি এলাকায় থাকছে না বিদ্যুৎ
শনিবার যে কয়েকটি এলাকায় থাকছে না বিদ্যুৎ

১১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেইমারের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা স্থগিত সান্তোসের
নেইমারের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা স্থগিত সান্তোসের

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল
সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আড়াল থেকে কাঞ্চনকে দেখেছিলেন চম্পা
আড়াল থেকে কাঞ্চনকে দেখেছিলেন চম্পা

শোবিজ

পাসপোর্টেও লেখা আছে আমি ম্যারিড : মাহি
পাসপোর্টেও লেখা আছে আমি ম্যারিড : মাহি

শোবিজ

কালো মাটির উইকেট দেখে বিস্মিত স্যামি
কালো মাটির উইকেট দেখে বিস্মিত স্যামি

মাঠে ময়দানে

জন্মের খাটটি সংরক্ষণে রেখেছেন জয়া
জন্মের খাটটি সংরক্ষণে রেখেছেন জয়া

শোবিজ

নায়িকার চোখের আয়নায় দাড়ি কাটছে নায়ক
নায়িকার চোখের আয়নায় দাড়ি কাটছে নায়ক

শোবিজ

প্রেমের দেবী মধুবালা
প্রেমের দেবী মধুবালা

শোবিজ

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

শেজাদের নেতৃত্বে বসুন্ধরার জয়
শেজাদের নেতৃত্বে বসুন্ধরার জয়

মাঠে ময়দানে

মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর সিরিজ
মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর সিরিজ

মাঠে ময়দানে

ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর
ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

আয়ের শীর্ষে রোনালদো
আয়ের শীর্ষে রোনালদো

মাঠে ময়দানে

অপেক্ষা শুধু প্রথম উড্ডয়নের
অপেক্ষা শুধু প্রথম উড্ডয়নের

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা কিংস অ্যাকাডেমি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
বসুন্ধরা কিংস অ্যাকাডেমি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

মাঠে ময়দানে

নারী ফুটবলারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প
নারী ফুটবলারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প

মাঠে ময়দানে

ফিফায় এক ধাপ উন্নতি হামজাদের
ফিফায় এক ধাপ উন্নতি হামজাদের

মাঠে ময়দানে

লক্ষ্যহীন পথে অর্থনীতি
লক্ষ্যহীন পথে অর্থনীতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে
জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আবাসিক হোটেল থেকে আটক চার
আবাসিক হোটেল থেকে আটক চার

নগর জীবন

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই

নগর জীবন

নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চায় একটি মহল
নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চায় একটি মহল

নগর জীবন

পরিত্যক্ত দোকানে যুবকের লাশ
পরিত্যক্ত দোকানে যুবকের লাশ

নগর জীবন

ঢাকা মেট্রো বাদ পড়ায় হতাশ ক্রিকেটাররা
ঢাকা মেট্রো বাদ পড়ায় হতাশ ক্রিকেটাররা

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে সিএইচসিপিদের মানববন্ধন
চট্টগ্রামে সিএইচসিপিদের মানববন্ধন

খবর

উন্নয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
উন্নয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

নগর জীবন

জিম্মি ওমরি মিরানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর
জিম্মি ওমরি মিরানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর

পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জুলাই যোদ্ধারা
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জুলাই যোদ্ধারা

খবর

মৌমাছির অদ্ভুত নাচ
মৌমাছির অদ্ভুত নাচ

পরিবেশ ও জীবন

আবাসিক কক্ষে লাশ এনজিওকর্মীর
আবাসিক কক্ষে লাশ এনজিওকর্মীর

দেশগ্রাম

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম