শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পাপুলদের নেপথ্যের বেহায়া বাজিকর কারা

সময়টা শেখ হাসিনার প্রথম শাসনকাল। গণতন্ত্র ও সুশাসনের সুবর্ণ সময়। সরকারে যেমন দাপুটে মন্ত্রী, দলেও তেমন জাঁদরেল সব নেতা। মাঠের নেতৃত্বও পোড় খাওয়া রাজনীতির পথ হাঁটা নেতা-কর্মীদের হাতে। সংসদেও গণমুখী রাজনীতিবিদ চোখে পড়ার মতো। এখনকার মতো খরাকবলিত নয় রাজনীতি। সংসদেও শক্তিশালী বিরোধী দল। তখন সব বাগানেই ফলের সমাহার। এখন শেখ হাসিনা একাই সামনে, সঙ্গে অভিজ্ঞ দক্ষ রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী কম। সংসদেও বিতর্কিত এমপিদের মুখ ভাসে বড় বেশি। হঠাৎ চৈত্রের কাঠফাটা রোদে বের হয়ে তাকালে যেমন চোখে বড় লাগে তেমনি এখনকার রাজনীতি ও সংসদের দিকে তাকালে বড্ড লাগে। বেমানান মনে হয়। আওয়ামী লীগের এক যুগের শাসনকালে যেখানে সর্বত্র সরকারি দল দৃশ্যমান সেখানে শাসক দল নিয়েই কথা বেশি আসে। যাক, সেই শাসনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন ডা. এস এ মালেক। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। এমবিবিএস পাস ডাক্তার হলেও হোমিওপ্যাথির চিকিৎসায় যশ ছিল। এক সন্ধ্যায় তাঁর কলাবাগানের চেম্বারে গেলাম ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অনেক কথাই বললেন। আমিও হাত খুলে লিখলাম। ইন্টারভিউ ছাপা হওয়ার পর হয়তো চাপে পড়লেন। সন্ধ্যার পর অফিসে গিয়ে শুনলাম ডা. এস এ মালেক ফোন করেছিলেন। আমি যেন কল ব্যাক করি। ফোন করতেই তিনি বললেন, আমি আপনাকে এত কথা লেখার জন্য বলিনি। বললাম, আপনি তো না লিখতে মানাও করেননি। তিনি বললেন, আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন। মনটা খারাপ হলো। একজন মুরব্বি মানুষ। লজ্জাও পেলাম। লজ্জা আমরা পাই কেউ ক্ষমতার জোর না দেখিয়ে বিনয়ী হলে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাতা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে লিখেছিলাম। বড় হাসিমুখী প্রাণবন্ত সজ্জন মানুষ তিনি। কোনো কথা বলেননি। একবার আমরা সাংবাদিকদের বড় টিম আয়েবার সম্মেলনে যাচ্ছি মালয়েশিয়া। এয়ারপোর্টে নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত ও আমাকে দেখে এগিয়ে এলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। সেই হাসিমুখে বললেন, পীর হাবিবুর রহমান ভাই এখন আর কারও পদত্যাগ চান না। এটুকুতেই হেসে উঠলেন সবাই। তিনি তখন মন্ত্রী নন। আমি লজ্জিতই হলাম। সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। আহারে তাঁর সঙ্গে আরেক ভদ্র বিনয়ী সৎ মানুষ সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারকেও। কারণ তিনি কাকে মন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এমন সাহায্য করা এ দেশের সংস্কৃতি। মানুষের কাছে মানুষ গেলে ডাক্তার থেকে মন্ত্রী আমলা কাউকে পরিচয় করিয়ে দেয়। কাউকে সাহায্য করতে সুপারিশ করে। আবুল হাসান চৌধুরীকে চিনি ও বিশ্বাস ছিল বলে প্রতিবাদ সবখানেই করেছি। একমাত্র শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে সৈয়দ আবুল হোসেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নাকচ করে তাদের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু প্রায় শেষ করছেন আজ। কানাডার আদালতও বেকসুর খালাস দিয়েছে, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু মিডিয়া তখন সৈয়দ আবুল হোসেনকে যেভাবে হেয় করেছে তার জন্য পরবর্তীতে কখনো দুঃখ প্রকাশ দূরে থাক, লজ্জা বা সমালোচকরা অনুতপ্ত হয়েছেন বলে মনে হয় না। এ দেশে বিশ্বব্যাংকের খবরদারিতে অনেক অতীতের মন্ত্রী বা সরকারপ্রধান আর্তনাদ করেছেন কিন্তু দমাতে পারেননি। শেখ হাসিনা খবরদারিটা রুখে দেন এবং অহমটা ভেঙে দেন। কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেন পরবর্তীতে সরকার, সংসদ বা দলের কাঠামোতে কেন নেই সেটি আর জানি না।

সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তীতে মানুষ মরেছে। যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সড়কে শৃঙ্খলা আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। এখনো আসেনি। সড়কে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে এ দেশের কিশোর-কিশোরীরা নজিরবিহীন আন্দোলনও দেখিয়েছে। কদিন তারা ট্রাফিক ব্যবস্থা হাতেও তুলে নিয়েছে। যারা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদের গাড়ি থেকে নামিয়েও দিয়েছে যত প্রভাবশালী ক্ষমতাধর হোন না কেন। গণজাগরণ তারা ঘটিয়ে সচেতন করেছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী থাকতে শাজাহান খান জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতা হিসেবে সড়কসন্ত্রাসী বেপরোয়া বাসচালকদের পক্ষে সব সময় তার অবস্থান বহাল রেখে সমালোচিত হয়েছেন। মন্ত্রী-রাজনীতিবিদের চেয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতার মোহ ও অহংকার তার মাঝে সব সময় কাজ করেছে। তার পদত্যাগও চেয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। আজন্ম দুঃসময়ে ঝুঁকি নেওয়া নেতাদের বাদ দিয়ে সেই গণবাহিনীর শাজাহান খানই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ৫০ বছরের মাথায় এসেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা শেষ হয় না। সব সরকারের আমলে এ তালিকা হয়। কেউ রাজাকারের তালিকা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সরকার রাজাকারের তালিকা করার ঘোষণা করল। আমরা আনন্দিত হলাম।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন রাজাকারের তালিকা দিলেন যেখানে একাত্তরের বীর মুক্তিযুদ্ধের বাহিনীপ্রধান, সংগঠক, গেরিলা যোদ্ধাদেরও নাম এলো। তুমুল বিতর্ক হলো। যেন ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলাও অবস্থা। বিতর্কের মুখে সেটি ডিপফ্রিজে গেল। মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলাম। সাড়া পাইনি।

করোনাকালের শুরুতে স্বাস্থ্য খাতের যে মহাবিপর্যয় আর কেলেংকারি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্য, ভূমিকা তৎপরতা মিলিয়ে সরে দাঁড়াতে বলেছিলাম। লাভ হয়নি। স্বাস্থ্য খাতের লুটেরা মিঠু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থাও দেখিনি। করোনাকালেও লুটেরার আবির্ভাব হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে স্বাস্থ্য খাতকে করোনার যুদ্ধে ঘুরে দাঁড় করিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফলতা হাতের মুঠোয় পুরেছেন তাতে মন্ত্রণালয় আর অধিদফতরের কান্ডকীর্তি মানুষ ভুলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে করোনাযুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ক্যারিশমা দক্ষতা প্রজ্ঞা দূরদর্শিতা আর সাফল্যে তিনিই দেশবাসীর সামনে একক ভরসার জায়গায়। সব আশা-আশ্রয়ের ঠিকানা। সরকারের অনেক মন্ত্রী ভালোই করছেন। কয়েকজন তো অভিজ্ঞ ও দক্ষতার স্বাক্ষরও রাখছেন। ক্লিন ইমেজও আছে। তাদের কথা বলতে হয় না। মানুষ এখন আর কারও কাছে নয়, সব প্রত্যাশার আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই রেখেছেন আস্থায় বিশ্বাসে। মন্ত্রী আমলা নেতাদের দিকে তাকান না।

আমিও এখন আর কারও পদত্যাগ চাই না। এখন আমি আর কারও কারও বিরূপ কান্ডকীর্তির ব্যর্থতায় তাদের লজ্জিত বা অনুতপ্ত হতে না দেখে অবাক হই না। নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত হই। আজকাল বেহায়াকে বেহায়া বললে লজ্জা পায় না বরং বেহায়াকে আমরা যারা বেহায়া বলি, দুর্নীতিবাজকে দুর্নীতিবাজ বলি, চোরকে চোর বলি, ডাকাতকে ডাকাত বলি তারাই লজ্জা পাই। ওরা লজ্জা পায় না। ওরা অন্যায় অপরাধ করে কি কুৎসিত হাসি হাসে। ভোগ-বিলাসের লোভের বিষের জলে ভাসে।

দেশের সবাই একযোগে আওয়ামী লীগ হয়ে যাওয়ার সুবাদে কোথায় কখন কীভাবে ভুল করছেন, অন্যায় করছেন, অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্বৃত্তায়ণেরও প্রসার ঘটাচ্ছেন, কীভাবে কোথায় কে ক্ষমতার দম্ভে উন্নাসিক আচরণ করছেন তা ফিরেও দেখছেন না। আয়নায় কেউ কেউ নিজেদের চেহারা দেখা দূরে থাক, মানুষ সমালোচনা কী করছে তাও শুনতে পাচ্ছে না। কুম্ভকর্ণের ঘুম আর ক্ষমতার আনন্দে বেহুঁশ। তারা যেন নিশ্চিত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে একাই লড়বেন আর তারা ভোগ করবেন। জনমনে কী আলোচনা তা জানা বা শোনার আগ্রহ নেই। মন্ত্রীদের একদল আর এমপিদের অনেকেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। মাঠ নেতারাও আখের গোছাতে বেহুঁশ। বিএনপি যখন রাজপথে নামার চেষ্টা করছে, আলজাজিরা যখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের আঘাত হানার চেষ্টা করেছে তখন অনেক জেলায় স্থানীয় মন্ত্রী-এমপি-মাঠ নেতাদের বিরোধ-সংঘাতে গৃহদাহ দেখা দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে গৃহদাহ সংবাদকর্মীর লাশটা নিয়ে স্বজনের মাতম। দায়টা কার? নোয়াখালী থেকে সুনামগঞ্জ বিরোধ। যশোরের এমপি নেতা শাহীন চাকলাদার বললেন ওসিকে, থানায় বোমা মেরে পরিবেশবাদীকে মামলায় ঝুলিয়ে দাও। হাই কোর্ট নয়, তার কথাই শেষ কথা। দল, প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে? এরা এমপির মডেল? কেউ কেউ আসমানে তাকিয়ে হাঁটছেন যেন কালের মহাকাব্য লিখছেন। সেগুনবাগিচা থেকে রাজনৈতিক ঢালাও বিবৃতি আর দার্শনিকের মতো অসার বক্তব্য এসেছে এক ঝড়ে। কূটনৈতিক ভাষার কোনো প্রয়োগ নেই কোথাও। অতিকথনের ঝড়ে এক ইস্যুতে ছেঁড়াবেড়া অবস্থা অদক্ষদের হাতে। আইন যেখানে রাজনৈতিক মামলার আসামিকে দন্ড মওকুফের সুযোগ দিয়েছে এবং সেটি দেওয়া হয়েছে সেখানে এটা গোপন রাখা বা পরবর্তীতে জানি না বলারই দরকার কী ছিল বুঝি না। লুকোচুরি সব বয়সে খেলতে নেই।

সাংবাদিকরা দলীয় রাজনীতিতে বিভক্ত বহু আগেই। বিএনপিপন্থিরা অনেক আগেই মূল দলের পদবি লাভে এগিয়ে। এবার আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা দলের খুচরা উপকমিটির সদস্যপদ লাভ করে গর্বিত। সাংবাদিকতাও দলের পদবিতে বিলীন হতে শুরু করেছে। গণমাধ্যমে বড় পদে থেকেও রাজনৈতিক দলের উপকমিটির সদস্যপদের মোহ কেন জানি না। দল বা গণমাধ্যম কী পাবে তাও বুঝি না। জগাখিচুড়ি মসলা হয়ে যাচ্ছে পেশাজীবীরা।

জীবনে এমপি হবেন ভাবেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা এমপি করেছেন, মন্ত্রী করেছেন। এখন তাদের কেউ কেউ বাজিকর তৈরি করেন। বাণিজ্য করেন, এলাকায় এমপি-নেতাদের সঙ্গে বিরোধ দলাদলি প্রকাশ্যে এনেছেন। সিলেট বিভাগের এক জেলার মন্ত্রী তো এখন একেক উপজেলায় নিজের মতো যাচ্ছেন আর সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বর্জন করছেন। এমপি-নেতারাও কাউন্টার সভা করছেন। দলকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ কারও নেই। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে অনেকের মনোনয়ন বাণিজ্যের আশঙ্কাও রয়েছে। এসবে তাদের লজ্জা নেই- বলতে বা দেখতেই আজ সমাজে যত লজ্জা। যারা দেখেন, যারা বলেন ও ভাবেন তারা যেন নির্লজ্জ বেহায়া, আর যারা করেন তাদের লাজলজ্জাহীন বোধহীন ভোগবাদী অন্ধ অহম মাত্র। অবাক-বিস্ময়কর ঘটনা সমাজে চলছে। কয়েকজন সচিব তো জাল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষিত মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার কতটা করতে পারেন সব আমলেই দেখা যায়। শেষ হয় না। বাড়ে ঘটনা।

সম্প্রতি পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও প্রশান্ত কুমার বা পি কে হালদার কীভাবে বিদেশে পালিয়ে গেলেন তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগের ২০০৮ সাল থেকে কর্মরতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ১৫ মার্চের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে পি কে হালদারের দেশত্যাগের দিন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।

শুনেছি পি কে হালদারের লুটে নেওয়া টাকার শোকে শিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী স্ট্রোক করেছেন। সঞ্চয় জমা দিয়ে খুইয়েছেন। কত মানুষ রিক্ত-নিঃস্ব হয়েছেন। তাকে কারা তৈরি করেছে? কারা সহায়তা দিয়েছে? প্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক কি ঘুমিয়েছিল? আদালতকে আজ নির্দেশনা দিতে হয়। দুদকে অনেক নিরীহ ফাঁসে অনেক বড় অপরাধীরা বের হয়ে যায়, নয় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কেন এমন হচ্ছে? লুটেরা পি কে হালদাররা মডেল মাত্র। এদের তৈরি করে বেহায়া বাজিকর। তাদের নাম আসে না সামনে। অন্ধকারে থাকে।

যারা ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। যারা দিনের পর দিন ঋণখেলাপি হয়ে বিলাসী ও ভোগের জীবনযাপন করছে তাদের কেন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ষা করা হয়? এর উত্তর মেলে না। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখা বৃহৎ শিল্পপতি থেকে মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীদের যেখানে ব্যাংক ঋণের সুদ পাই পাই করে শোধ করতে হয়। যেখানে হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কৃষককে মামলার জালে অল্প টাকার জন্য আটকে যেতে হয় কৃষিতে বিপ্লব এনেও, সেখানে ঋণখেলাপিদের কেন রক্ষা করা হচ্ছে বারেবারে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, খেলাপি ঋণের নতুন সুবিধা বন্ধ করতে হবে। খেলাপি ঋণের পুরনো সমস্যা জিইয়ে রাখা বা এড়িয়ে যাওয়া চলবে না সেখানে ব্যাংকিং খাতকে খেলাপিদের জন্য কেন বোঝা বইতে হবে? যারা এ রকম ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী, ব্যাংক ডাকাত তাদের আজ কোনো লজ্জা নেই। শরম নেই। বেহায়া সব। সব লজ্জা মানুষের, জনগণের। যারা ভাবছেন, দেখছেন, কথা বলছেন তাদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ভদ্রলোক সৎ ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ ছাড়া জাতির কপালে কিছু জোটেনি। ব্যাংকিং খাতের সংস্কার আলোর মুখ দেখেনি। এটা যাদের করার কথা ছিল তারা করেননি। উত্তরসূরিরাও হাত দিচ্ছেন না। কারণটা কী? ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই। তাহলে শৃঙ্খলায় এনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দেওয়া যায়। খেলাপিদের কোমরে দড়ি বেঁধে জামানত নেওয়া যায়।

কুয়েতের আদালতে চার বছরের জন্য দন্ডিত এমপি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ এবার খারিজ হয়েছে। মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ। রায়ের কপি পেয়েই আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। কিন্তু এত দিন আমরা যখন বলেছি, কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। নষ্ট সমাজের লোভের শিকার পাপুল, অবৈধ অর্থ নিয়ে এলেন, কতগুলো মানুষকে কিনলেন এবং সস্ত্রীক এমপি হলেন। সদস্য পদ খারিজে সংসদ হয়তো কিছুটা কলঙ্কমুক্ত হবে কিন্তু পাপুল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যে লজ্জা এনে দিয়েছে তা কখনো ঘুচবে না। এটা খারাপ নজির হয়ে থাকবে। পাপুল যেভাবে এমপি হয়েছিলেন সেটি তার কাছে লজ্জার নয়। অহংকারের। আর যারা অর্থের লোভে বানিয়েছিলেন তারা তাদের ক্ষমতা ও রুচিহীন লোভ দেখিয়েছিলেন। এই নির্লজ্জ রুচিহীন বেহায়াদের চেহারা কখনো উন্মোচিত হবে না। এর কোনো তদন্ত হবে না। এটা কত বড় বুদ্ধিবৃত্তিক অপরাধ সেটি ভাবা যায়? আসলে অপরাধীরা কখনো লজ্জা পায় না। জেনে শুনে অহংকার ও দম্ভ করে। পরিণতি দেশ জাতি সমাজকে ভোগ করতে হয়। ওদের কোনো লজ্জা শরম নেই, সব লাজ-লজ্জা শরম মানুষের। মানুষ দেখে, জানে, বুঝে এবং এ নিয়ে কথা বলে। চিন্তা করে। ক্ষমতার দম্ভে সুবিধাভোগী অপরাধীরা একবারও ভাবে না কাল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে কত বড় আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর আসবে। দেশ রক্তগঙ্গা হবে। লুটেরারা পালাবে, বর্ণচোরা সুবিধাভোগীরা চেহারা বদলাবে। আদর্শবানরা, সমর্থকরা আক্রান্ত হবে। দেশের উন্নয়ন আবার বড় হোঁচট খাবে। অতএব আইনের ঊর্ধ্বে কাউকে যেতে দেওয়া যায় না। সুশাসন নিশ্চিত দরকার। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান চাই শক্তিশালী। আর ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, অর্থ পাচারকারীদের কঠোর শাস্তি।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বিমানে বোমা আতঙ্ক
বিমানে বোমা আতঙ্ক
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
থেঁতলে পিটিয়ে গুলিতে হত্যা
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
মানবাধিকার ও ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
অন্যের শর্তে যেন দেশ না চলে
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
এসএসসির ফলাফল
এসএসসির ফলাফল
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
যানজটমুক্তির প্রত্যাশা
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কোথায় পাব হোসাইনি রঙের মানুষ
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
কেয়ামতের বড় আলামত প্রকাশের পথে!
সর্বশেষ খবর
কতিপয় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক এই সরকারের বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছে : মোর্শেদ হাসান
কতিপয় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক এই সরকারের বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছে : মোর্শেদ হাসান

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

ঐকমত্যে পৌঁছে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ : আলী রীয়াজ
ঐকমত্যে পৌঁছে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ : আলী রীয়াজ

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত

১৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হবিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার মতবিনিময়
হবিগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার মতবিনিময়

১৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শতবর্ষী মাহাথির ক্লান্তিজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি
শতবর্ষী মাহাথির ক্লান্তিজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুগান্তরের সম্পাদককে ৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ
যুগান্তরের সম্পাদককে ৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে কোস্ট গার্ডের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে কোস্ট গার্ডের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

যে অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
যে অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

২৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

৭ মামলার আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৭ মামলার আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইতালির বিমানবন্দরে বিমানের ইঞ্জিনে ঝাঁপিয়ে মৃত্যু
ইতালির বিমানবন্দরে বিমানের ইঞ্জিনে ঝাঁপিয়ে মৃত্যু

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানিকগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও দুই আসামি গ্রেফতার
ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় আরও দুই আসামি গ্রেফতার

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে সংঘর্ষের ছয় দিন পর আহত রিমনের মৃত্যু
হবিগঞ্জে সংঘর্ষের ছয় দিন পর আহত রিমনের মৃত্যু

৫১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

মোদিকে আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
মোদিকে আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

কার্বন ডাই–অক্সাইড ও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ফসলে পুষ্টিহানি
কার্বন ডাই–অক্সাইড ও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ফসলে পুষ্টিহানি

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত দুইজনকে সংবর্ধনা জানালো পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত দুইজনকে সংবর্ধনা জানালো পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুকসুদপুরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন
মুকসুদপুরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় যুবকের লাশ উদ্ধার
ভাঙ্গায় যুবকের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাবিশ্বের গহ্বরে আটকে আছে পৃথিবী? সম্প্রসারণ বাড়ছে দ্রুতগতিতে
মহাবিশ্বের গহ্বরে আটকে আছে পৃথিবী? সম্প্রসারণ বাড়ছে দ্রুতগতিতে

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‌‘আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান’
‌‘আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সঙ্গে শিল্প চুক্তি স্বাক্ষর রাশিয়ার
পাকিস্তানের সঙ্গে শিল্প চুক্তি স্বাক্ষর রাশিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টাউনসভিলে বার্ষিক পিঠা উৎসবে মিষ্টি ঐতিহ্য আর আনন্দের মিলনমেলা
টাউনসভিলে বার্ষিক পিঠা উৎসবে মিষ্টি ঐতিহ্য আর আনন্দের মিলনমেলা

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সোহাগ হত্যার তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট
সোহাগ হত্যার তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে দাদির কোলে ফিরলো হারিয়ে যাওয়া শিশু রোজামনি
অবশেষে দাদির কোলে ফিরলো হারিয়ে যাওয়া শিশু রোজামনি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্যারিসের প্রেমের সেতুতে তালা দিলেন মেহজাবীন
প্যারিসের প্রেমের সেতুতে তালা দিলেন মেহজাবীন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের
১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা
মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের
যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি
কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‘আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান’
‌‘আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ
এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি
আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম
২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম

১১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি
ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা
এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!
এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি
চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

নৃশংস হত্যায় তোলপাড়
নৃশংস হত্যায় তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র
চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব
৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

কাটল না শুল্কসংকট
কাটল না শুল্কসংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক
প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক

পেছনের পৃষ্ঠা

যত আলো  তত অন্ধকার
যত আলো তত অন্ধকার

শোবিজ

জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ
জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান
প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা
হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা

শোবিজ

পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি
পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

ববির সমুদ্রবিলাস
ববির সমুদ্রবিলাস

শোবিজ

হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে
হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন
নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন
সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন

প্রথম পৃষ্ঠা

তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের
তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান
কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া
ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের

মাঠে ময়দানে

রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স
রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই

সম্পাদকীয়

ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের
ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই
অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই

মাঠে ময়দানে

সিনেমার মানুষে তারা...
সিনেমার মানুষে তারা...

শোবিজ

বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল

শোবিজ