বুধবার, ৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

অঘোষিত সাইবার যুদ্ধ

অপরাধ দমনে দক্ষতা বাড়াতে হবে

সাইবার অপরাধের আগ্রাসী থাবা দিন দিন বাড়ছে। সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজনেরাও তাদের ফাঁদে পড়ছে। হারাচ্ছে অর্থকড়ি এমনকি সামাজিক সম্মান। ব্ল্যাকমেলিংয়ের সবচেয়ে মোক্ষম মাধ্যম হয়ে উঠেছে সাইবার ক্রাইম নামের অপরাধের আধুনিকতম শাখাটি। অপরাধীদের সাম্প্রতিক টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে একটি চিহ্নিত মহল সাইবার যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সর্বনাশের নীলনকশা বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছে। সাইবার অপরাধীদের ঠেকাতে দেশে আইন থাকলেও তা বাস্তবে খুব একটা কাজে আসছে না। অপরাধীদের ধরতে গলদঘর্ম হচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনে প্রযুক্তির আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল ও সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আইনের সংস্কার, এমনকি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত হবে সক্ষমতা বাড়িয়ে ভয়ংকর এ সমস্যার মোকাবিলা করা। সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখনো যুগোপযোগী হয়ে ওঠেনি বলে মনে করেন অপরাধবিজ্ঞানীরা। প্রযুক্তি এবং সক্ষমতার দিক থেকে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো অনেক পিছিয়ে। তবে প্রয়োজন হলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ জনবল এ ক্ষেত্রে যুক্ত করা উচিত। সাইবার অপরাধের নির্দয় শিকার হচ্ছেন রাজনৈতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরাও। তাদের নামে ফেসবুক খুলে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টাও চালায় সাইবার অপরাধীরা। নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে অপরাধীরা সাইবার জগৎ সম্পর্কে অভিজ্ঞ হওয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাই নিশ্চিত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশে সাইবার অপরাধের সঙ্গে লন্ডন ও নিউইয়র্কে ঘাঁটি গেড়ে থাকা চিহ্নিত চক্র এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং চীন ও উত্তর কোরীয় নাগরিক জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎও ছিল সাইবার অপরাধ। এ অপরাধ দমনে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা বাড়াতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর