শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৯ জুলাই, ২০২১

আমাদেরও একজন ‘পিকে’ দরকার!

মেজর অব. আখতার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
আমাদেরও একজন ‘পিকে’ দরকার!

২০১৯ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ‘চমক’ দেখানোর পর আওয়াজ তুলেছিল, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও আসল চমক দেখাবে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ, এখানে ফুটবে পদ্মফুল।’ অর্থাৎ বিজেপির মার্কা পদ্মফুলের বিজয় হবে। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা মানে রাজ্যসভার নির্বাচনে তৃণমূলকে হটিয়ে ‘আসল পরিবর্তন’ আনবে বিজেপি। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ আসনের বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচনে জয়ের জন্য মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি ও তৃণমূল। বিজেপির এবারের টার্গেট ছিল ১৮০ আসন; বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও দিয়েছিলেন সে কথা। তিনি বলেছিলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল। কিন্তু নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোর নামে এক ভদ্রলোক বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, তৃণমূলই জিতবে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার নির্বাচনে। বিজেপি ৩ সংখ্যার অঙ্কে অর্থাৎ ১০০ আসন পাওয়ার লক্ষ্যেই পৌঁছাতে পারবে না বলে প্রশান্তবাবু ভবিষ্যদ্বাণী করেন। প্রশান্তবাবুর কথামতো বিজেপি আটকে থাকবে ২ সংখ্যায় তথা ৯৯ বা তার কম আসনে। তিনি এও বলেছিলেন, যদি বিজেপি ৩ সংখ্যার আসন পায় তবে প্রশান্তবাবু তার নিজের সংস্থা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাবেন। এরপর ২০২১ সালের রাজ্যসভার নির্বাচনের ফল গণনায় প্রশান্তবাবুর কথাই বাস্তবে প্রমাণিত হয়। ওই নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল পায় ২১৩টি আর বিজেপি ৭৭টি আসন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের ২২টিকে টার্গেট করেছিল বিজেপি। তবে দলটি জিতেছিল ১৮ আসনে। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট ছিল সব আসন। কিন্তু জয় পেয়েছিল মাত্র ২২ আসনে। লোকসভা নির্বাচনে মমতার স্বপ্ন ভেঙে যায়।

লোকসভার ফলের পর বিজেপির গলাবাজি এবং ১৮০ আসনে জয়লাভ করে পশ্চিমবঙ্গে মমতাকে হটিয়ে বিজেপি ক্ষমতা নেবে বলে বাগাড়ম্বর ভাবিয়ে তোলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। তখন মমতা ডাকেন ‘পিকে’-কে, বোম্বের মেগাহিট পিকে সিনেমার ‘পিকে’ নয়- এই ‘পিকে’ হলো যার পুরো নাম প্রশান্ত কিশোর। যিনি ভারতের সমসাময়িক রাজনীতির একজন সফল ও প্রখ্যাত পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট বা রাজনৈতিক কৌশল রচয়িতা- যিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার নির্বাচনে বিজেপি ৩ অঙ্কের আসন পাবে না। কিন্তু কে এই প্রশান্ত কিশোর? প্রশান্ত কিশোরের জন্ম বিহারের রোহতাস জেলার কোরান গ্রামে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর তার বাবা পাকাপাকিভাবে চলে যান বিহারেরই বক্সারে। অন্যদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হায়দরাবাদে যান প্রশান্ত। পড়াশোনার পাট চুকানোর পর কাজে যোগ দেন জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিভাগে। কর্মস্থল ছিল আফ্রিকা। আট বছর চাকরির পর ২০১১ সালে ফিরে আসেন দেশে। তৈরি করেন নিজের সংস্থা সিটিজেন্স ফর অ্যাকাউন্ট্যাবল গভর্নমেন্ট (সিএজি)। নিজের সংস্থায় নিয়োগ করেন আইআইটি-আইআইএমের পেশাদার লোকজনকে। কয়েক বছর যাবৎ প্রশান্ত কিশোর ভারতের রাজনীতিতে অত্যন্ত আলোচিত এক নাম। যিনি পিকে নামেও পরিচিত। তিনি সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে জড়িত নন, কোনো নেতাও নন, তবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি ভারতের প্রখ্যাত পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজিস্ট বা রাজনৈতিক কৌশলবিদ। তার মূল কাজটা হচ্ছে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে কীভাবে নির্বাচনে জয়ী করানো যায় সে কৌশল প্রণয়ন করে ওই দল বা ব্যক্তিকে নির্বাচনে জয়ী করা। বিনিময়ে খুব মোটা অঙ্কের টাকা নেন তিনি।

২০১২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পথ বাতলে দেন নরেন্দ্র মোদিকে। তারপর প্রধানমন্ত্রী হতেও প্রশান্তের ওপর ভরসা করেন মোদি। সে সময়ই প্রশান্তের মস্তিষ্ক থেকে বেরোয় ‘চায়ে পে চর্চা’, ‘রান ফর ইউনিটি’র মতো ‘মাস্টার স্ট্রোক’। আর সেসবের হাত ধরেই দেশজুড়ে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মোদি। ফল ২০১৪ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে উত্তরণ। এরপর নিজের সংস্থা সিএজি পরিবর্তন করে গড়ে তোলেন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আইপিএসি)। এর মধ্যেই ২০১৫ সালের গোড়ায় যোগ দেন নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ কুমার। পরে প্রশান্তের হাত ধরে কংগ্রেস। প্রথমেই দায়িত্ব পান ২০১৬ সালের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের। সেবার ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহের জয় নিশ্চিত করার কারিগর ছিলেন এ ‘পিকে’ই। পরের বছরই উত্তর প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে ব্যাকফুটে চলে যান প্রশান্ত। জেতাতে পারেননি কংগ্রেসকে। তার পরই অন্ধ্র প্রদেশে ওয়াইএসআরসিপির জগমোহন রেড্ডিকে জয় এনে দেন তিনি।

২০১৯ সালের জুনে মোটা অঙ্কের অর্থে নিয়োগ দিয়ে এই ‘জাদুকর’-এর সামনে মমতা ‘মিশন’ হিসেবে দেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। প্রশান্ত কিশোরকে বলা হয়েছিল মোদির ‘জাদু’ থামাতে হবে এবং ‘পাল্টা জাদু’ দেখাতে হবে ২০২১ সালের ভোটে। তিনি দেখালেনও; ২০০-এর বেশি আসনে জিতল তৃণমূল যেখানে সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪৮টি।

রাজনীতিতে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বা রীতি নেই যার বাইরে যাওয়া যাবে না। রাজনীতি একটি চলমান অতি গতিসম্পন্ন উচ্চমার্গ এবং পর্যায়ের প্রক্রিয়া, যেখানে আধা সফল বা কম সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাজনীতিতে পরাজিতের প্রতি কারও কোনো সহানুভূতি থাকে না বরং ব্যর্থতার সব কালিমা নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। রাজনীতিতে জয়ের যেমন কোনো বিকল্প নেই তেমনি জয়ী হওয়ারও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই, তা মেনে চললেই রাজনীতিতে বা যে কোনো যুদ্ধে বা কর্মে জয়লাভ করা সম্ভব হবে।

রাজনীতিতে আরেকটি বড় বাধা হয়, যা হলো একবার হেরে গেলে আবার সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়ে যায় তবে সঠিকভাবে কৌশল নির্ধারণ করতে পারলে ফিরেও আসা যায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ একাধিকবার হেরেও আবার ফিরে এসেছে। তাই নতুন কোনো প্রত্যাশা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারলে জনগণকে বারবার কাছে টানা সহজ হয়ে যায়।

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশে ধর্মীয় রাজনীতির বাইরে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সূচনা হয়েছিল। কিন্তু তা বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। ’৭৫-এর পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ধর্মীয় তথা ইসলামভিত্তিক রাজনীতির নতুন করে গোড়াপত্তন করেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রীদের কাছে ’৮১ সালে হেরে যান। এরপর জিয়ার শাহাদাতকে পুঁজি করে জেনারেল এরশাদ ধর্মনিরপেক্ষ তথা মুক্তিযোদ্ধাদের আবারও পরাজিত করে ক্ষমতা কুক্ষিগত এবং ইসলামভিত্তিক রাজনীতির প্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষকতা করেন। মূলত জেনারেল এরশাদের আমলেই মৌলবাদ তথা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। দীর্ঘ নয় বছর দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আপসহীন সংগ্রামে স্বৈরাচারী এরশাদকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে ১৯৯১ সালে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতাসীন হয়। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বিএনপি পুরোপুরি ধর্মনিরপেক্ষ বা কট্টর ইসলামপন্থি না হয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার এ মধ্যপন্থার নীতি দেশ ও বিদেশে সমাদৃত হয়ে তিনি একজন উদার মধ্যপন্থি শাসক হিসেবে বিশ্বব্যাপী নন্দিত হন। কিন্তু দেশনেত্রীর উদার মধ্যপন্থি রাজনীতির সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির কট্টর ও মৌলবাদী ইসলামী গোষ্ঠীর উত্থান হয় এবং সে সুযোগে ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীও বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রচন্ড প্রভাব নিয়ে আবিভর্‚ত হয়। ২০০৬ সালে মৌলবাদী ও কট্টর ধর্মীয় রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষদের মুখোমুখি দ্ধন্ধ মেটাতে না পারার কারণে দেশনেত্রীর রাজনীতির প্রচন্ড ক্ষতি হয়। যার  ফলে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ইসলামী মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের ঠেকানোর নামে বিএনপির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এর পরের ইতিহাসে বিএনপির জন্য এক মহাদুর্যোগ নেমে আসে যেখান থেকে আমাদের উত্তরণ এখনো সম্ভব হয়নি। ডান ও বাঁয়ের সংঘাতে কুপোকাত হয়েছে বিএনপি।

যে যেভাবেই নিক না কেন, কিন্তু চরম বাস্তবতা হলো বিএনপিতে এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। তারেক রহমানের নেতৃত্ব ছাড়া বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা যাবে না। কিন্তু আজ সবচেয়ে বড় ও জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশে তারেক রহমানের সশরীরে অনুপস্থিতি এবং সেই সঙ্গে দেশে তারেক রহমানের কোনো প্রতিনিধিও নেই, যিনি নিজ দায়িত্বে এবং ঝুঁকিতে দেশের ভিতরে থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। যে যত কথাই বলুক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের ভিতরে ভারতের ‘পিকে’-এর মতো একজন প্রধান নির্বাহী হিসেবে তারেক রহমানের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি না থাকবে তত দিন পর্যন্ত চরম বাস্তবতা হলো বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। শুধু মুখপাত্র বা সংবাদ সম্মেলনকারী হলেই হবে না। যিনি দেশের ভিতরে তারেক রহমানের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হবেন তার অবশ্যই যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। উক্ত প্রতিনিধির সর্বময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা থাকতে হবে এবং দলের প্রধান তারেক রহমানকেও বিনা প্রশ্নে প্রতিনিধিত্বকারীর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। দলের সাংগঠনিক কোনো ক্ষমতা উক্ত প্রতিনিধির ওপর দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। দল যথারীতি জনাব তারেক রহমান, দলের ভারপ্রাপ্ত বা পূর্ণ চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন এবং তার স্বাধীন মত অনুযায়ী স্থায়ী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি নিয়ে দল চালাবেন। উল্লিখিত প্রতিনিধির বা ‘পিকে’-এর দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে কোনো দায়দায়িত্ব থাকবে না।

উল্লিখিত প্রতিনিধির ‘পিকে’-এর মূল দায়িত্ব হবে রাজনীতি তথা আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে ভিশন, মিশন ও কৌশল নির্ধারণ করা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে বিএনপিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার। বাংলাদেশের বিশেষ করে বিএনপির আলোকে উক্ত প্রতিনিধির পদ, পদমর্যাদা, নিয়োগ, দায়িত্ব ও কর্মসমূহ এবং পদের সংজ্ঞা সম্বন্ধে একটি ধারণাচিত্র দেওয়া হলো যা দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরামে আরও বিস্তারিত আলোচনা করে চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন :

১। পদ : উক্ত প্রতিনিধির পদ হবে নিম্নের ১৭ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কার্য সম্পাদনের নিমিত্ত দলের প্রধান কৌশলবিদ (ঈযরবভ ঝঃৎধঃবমরংঃ) নামে সৃষ্ট দলে নতুন একটি পদ। ২। পদমর্যাদা : প্রধান কৌশলবিদের পদমর্যাদা হবে স্থায়ী কমিটির সদস্যের পদমর্যাদার ওপরে এবং দলের তৃতীয় ব্যক্তির মর্যাদায় আসীন হবেন। ৩। দায়ভার : প্রধান কৌশলবিদ তার সব কাজের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের কাছে দায়ী থাকবেন। ৪। দায়িত্বের মেয়াদকাল : চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দু-তিন বছরের জন্য প্রধান কৌশলবিদকে পূর্ণ সময়ের জন্য নিয়োগ করবেন। ৫। যোগ্যতা : সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো নারী বা পুরুষ। ৬। নিয়োগদাতা : চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ৭। অপসারণ : চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে কোনো সময় কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই প্রধান কৌশলবিদকে তার পদ থেকে অপসারণ করতে পারবেন। ৮। বেতন ও ভাতা : অবৈতনিক। ৯। তহবিল। প্রধান কৌশলবিদ তার দায়িত্ব পালন ও কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য নিজ দায়িত্বে একটি তহবিল গঠন করতে পারবেন এবং তা পরিচালনা করার জন্য যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন। তবে উক্ত তহবিল থেকে প্রধান কৌশলবিদ ও তার পরিবারের ভরণপোষণ বা ব্যক্তিগত কাজের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। যদি করেন তাহলে তা দুর্নীতিমূলক অপরাধ বলে গণ্য হবে। ১০। তহবিল সংগ্রহ : যে কোনো বৈধ উপায়ে প্রধান কৌশলবিদ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে পারবেন। ১১। চার্টার অব ডিউটিজ : ক। সাংগঠনিক কার্যক্রম ছাড়া সব কাজের জন্য বিএনপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। খ। বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যতিরেকে দলের তাবৎ রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করবেন। গ। দলের স্বল্পমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করে তা একক দায়িত্বে সম্পাদন করবেন। ঘ। দলের স্বল্পমেয়াদি কৌশলের আওতায় চলমান কার্যক্রম তথা দল সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে, না আগামী নির্বাচনের জন্য দলের কৌশল নির্ধারণ করে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করবে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে সেভাবে দলকে কাজে লাগাবেন। তবে দল অবশ্যই প্রধান কৌশলবিদকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে এবং তার অনুরোধ এবং নির্দেশনা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্দেশনা হিসেবে গণ্য করে তা বিনা প্রশ্নে মান্য করবে। ১২। প্রধান কৌশলবিদের সচিবালয় : প্রধান কৌশলবিদ যেখানে যেভাবে প্রয়োজন মনে করবেন সেভাবেই প্রধান কৌশলবিদকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য প্রধান কৌশলবিদের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। ১৩। প্রধান কৌশলবিদের সহায়ক সংগঠন : প্রধান কৌশলবিদ তার কাজে সহায়তা করার জন্য যত জন সহায়তাকারী প্রয়োজন মনে করবেন ততজন সহায়তাকারী যত সময়ের জন্য প্রয়োজন তত সময়ের জন্য বেতন বা বিনা-বেতনে নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে সব সহায়তাকারী প্রধান কৌশলবিদের সন্তুষ্টি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রধান কৌশলবিদ কারও প্রতি সন্তুষ্ট না থাকলে তাকে বা তাদের তৎক্ষণাৎ অব্যাহতি দিতে পারবেন। ১৪। প্রধান কৌশলবিদের দায়িত্বের পরিধি : প্রধান কৌশলবিদ সমগ্র বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বব্যাপী যে কোনো দেশে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। ১৫। চুক্তি বা সমঝোতা : প্রধান কৌশলবিদ দলের চেয়ারম্যান বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পূর্বানুমতি নিয়ে সরকার বা যে কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষের সঙ্গে যে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক, মৌখিক বা লিখিত প্রতিশ্রুতি দলের পক্ষে স্বাক্ষর বা চুক্তি করতে পারবেন। প্রধান কৌশলবিদের স্বাক্ষরিত সব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক বা সব ধরনের প্রতিশ্রুতি বিনা ওজর-আপত্তিতে দল বাস্তবায়ন করবে। ১৬। প্রধান কৌশলবিদ তার দায়িত্ব পালনে সরকার কর্তৃক নিগৃহীত বা নির্যাতিত হলে তা প্রধান কৌশলবিদের দায়িত্ব পালনে ব্যক্তিগত প্রাপ্য হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য দল কোনো দায়ভার বহন করবে না। ১৭। কৌশলবিদের সংজ্ঞা : A strategist is a person with responsibility for the formulation and implementation of a strategy. Strategy generally involves setting goals, determining actions to achieve the goals, and mobilizing resources to execute the actions. A strategy describes how the ends (goals) will be achieved by the means (resources).

এ লেখাটি সম্পূর্ণভাবে আমার ব্যক্তিগত ধারণা ও চিন্তা-চেতনা। এর সঙ্গে আমার দল বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং লেখাটি প্রকাশ না করা পর্যন্ত কারও সঙ্গে কোনো আলোচনাও হয়নি। মূলত ভারতের প্রখ্যাত পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট বা রাজনৈতিক কৌশল রচয়িতা প্রশান্ত কিশোর তথা ‘পিকে’-এর কার্যক্রম ও সফলতায় প্রচন্ডভাবে প্রভাবান্বিত হয়েই লেখাটি লিখেছি। আমার বিশ্বাস আমরাও এভাবে কাউকে দায়িত্ব দিলে সফলতা আসতেও পারে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
শ্রম সংস্কার
শ্রম সংস্কার
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
পুলিশ ও র‌্যাব পুনর্গঠন
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
বাইতুল্লাহর মুসাফিরদের জন্য জরুরি নসিহত
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
নতুন বিনিয়োগের গ্যারান্টি চাই
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে
ফিলিস্তিন নিয়ে কি পারমাণবিক যুদ্ধ বাধবে
গরু চোরাচালান
গরু চোরাচালান
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
মুমিনের হজ
মুমিনের হজ
চুল নিয়ে চুলোচুলি
চুল নিয়ে চুলোচুলি
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
সর্বশেষ খবর
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিল ইরান

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্কারজয়ী পরিচালক রবার্ট বেন্টন মারা গেছেন
অস্কারজয়ী পরিচালক রবার্ট বেন্টন মারা গেছেন

৮ মিনিট আগে | শোবিজ

ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে: সাদা দল
ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে: সাদা দল

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

শত চ্যালেঞ্জেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী
শত চ্যালেঞ্জেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ ঢাকার বাতাস সহনীয়
আজ ঢাকার বাতাস সহনীয়

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করব না: নেতানিয়াহু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লক্ষ্মীপুরে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বাংলা মদপানে একজনের মৃত্যু
ঝিনাইদহে বাংলা মদপানে একজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়
কেমিক্যালমুক্ত আম চেনার উপায়

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব
নিহত সাম্য আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতা: রাকিব

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে মন্তব্য, জবাবে যা বললেন প্রীতি জিনতা
ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে মন্তব্য, জবাবে যা বললেন প্রীতি জিনতা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাম্য হত্যায় জড়িত সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত
সাম্য হত্যায় জড়িত সবার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রকাশ্যে চিরকুটের নতুন অ্যালবামের প্রথম গান
প্রকাশ্যে চিরকুটের নতুন অ্যালবামের প্রথম গান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাচারের অর্থ ফেরাতে বড় বাধা ‘লেয়ারিং’
পাচারের অর্থ ফেরাতে বড় বাধা ‘লেয়ারিং’

২ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

নির্বাচন পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: প্রেস সচিব
নির্বাচন পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: প্রেস সচিব

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রিসের উপকূলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
গ্রিসের উপকূলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনচেলোত্তির নেতৃত্বে ‘হেক্সা’ দেখছেন রিভালদো
আনচেলোত্তির নেতৃত্বে ‘হেক্সা’ দেখছেন রিভালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কুয়েত সিটি, ঢাকার পরিস্থিতি কী?
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কুয়েত সিটি, ঢাকার পরিস্থিতি কী?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার পরিণতি ভয়াবহ
মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার পরিণতি ভয়াবহ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বাংলাদেশের তারুণ্যের বিশ্বজয়
বাংলাদেশের তারুণ্যের বিশ্বজয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাম্য ছিল রাজপথের সাহসী সৈনিক: ছাত্রদল সভাপতি
সাম্য ছিল রাজপথের সাহসী সৈনিক: ছাত্রদল সভাপতি

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিয়াম-মেহজাবীনের গিগাবাইট টাইটানস চ্যাম্পিয়ন
সিয়াম-মেহজাবীনের গিগাবাইট টাইটানস চ্যাম্পিয়ন

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়
আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিশরের সঙ্গে অন-অ্যারাইভাল ভিসা বিবেচনায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মিশরের সঙ্গে অন-অ্যারাইভাল ভিসা বিবেচনায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পলিথিনের বিকল্প পাট-কাপড়ের ব্যাগ সুলভে দিতে চায় সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
পলিথিনের বিকল্প পাট-কাপড়ের ব্যাগ সুলভে দিতে চায় সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা
আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান
পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ
চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার
এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাইল ভারত
রাশিয়ার কাছে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাইল ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস
শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল
প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত
পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আপিলের জন্য জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ
আপিলের জন্য জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইশরাকের গেজেট: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না ইসি
ইশরাকের গেজেট: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না ইসি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে কুপিয়ে দুই মেয়েকে আছাড়, শেষে নিজেই নিজের গলা কাটেন মামুন
স্ত্রীকে কুপিয়ে দুই মেয়েকে আছাড়, শেষে নিজেই নিজের গলা কাটেন মামুন

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারা ফেলেছে পঞ্চগড়ের লাল সোনা
সারা ফেলেছে পঞ্চগড়ের লাল সোনা

১৭ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’
‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমিকার মোবাইলে হোটেলের ওয়াইফাই সংযোগ, রাগে সম্পর্কচ্ছেদ প্রেমিকের!
প্রেমিকার মোবাইলে হোটেলের ওয়াইফাই সংযোগ, রাগে সম্পর্কচ্ছেদ প্রেমিকের!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ
সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা
এনবিআর বিলুপ্তিতে কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না : অর্থ উপদেষ্টা
ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না : অর্থ উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুক লাইভেই গুলিতে নিহত মেয়র প্রার্থী
ফেসবুক লাইভেই গুলিতে নিহত মেয়র প্রার্থী

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা
চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় যা বললো ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়
আহত তটিনী, দুই দিনের বিশ্রামে ঢাকায়

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না : ডিএনসিসি প্রশাসক
ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না : ডিএনসিসি প্রশাসক

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই
সৌদি আরবের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪২ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি সই

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
এহতেশামের নায়িকারা কে কোথায়?
এহতেশামের নায়িকারা কে কোথায়?

শোবিজ

তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে মাঠে বিএনপি
তরুণ ভোটারদের কাছে টানতে মাঠে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আসনে আসনে সক্রিয় জামায়াত
আসনে আসনে সক্রিয় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ
কূপ খননে গতি আনতে রিগ কিনছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি
তৃণমূলে শক্ত অবস্থান তৈরিতে হিমশিম এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীতে অবৈধ রিকশা বন্ধে অভিযান
রাজধানীতে অবৈধ রিকশা বন্ধে অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ তিন বছর
বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ তিন বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বিনিয়োগেই পাল্টে যাবে বন্দর
বিদেশি বিনিয়োগেই পাল্টে যাবে বন্দর

নগর জীবন

দুই ধাপে আমিরাত যাচ্ছে লিটন বাহিনী
দুই ধাপে আমিরাত যাচ্ছে লিটন বাহিনী

মাঠে ময়দানে

এনামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
এনামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রথম পৃষ্ঠা

শনিবার থেকে আইপিএল পিএসএল
শনিবার থেকে আইপিএল পিএসএল

মাঠে ময়দানে

সরকারপ্রধান হিসেবে আজ প্রথম চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস
সরকারপ্রধান হিসেবে আজ প্রথম চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন উচ্চতায় যেতে চায় ডেনিম শিল্প
নতুন উচ্চতায় যেতে চায় ডেনিম শিল্প

নগর জীবন

কুয়েটে ফের বিক্ষোভ
কুয়েটে ফের বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা
আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ সচিবকে অপসারণের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান
পাঁচ সচিবকে অপসারণের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান

প্রথম পৃষ্ঠা

আনুষ্কার আসল নায়ক কে?
আনুষ্কার আসল নায়ক কে?

শোবিজ

দেশে পাকিস্তানপন্থা বলতে কিছু নেই
দেশে পাকিস্তানপন্থা বলতে কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

৭৮তম কান-এর চমক কারা
৭৮তম কান-এর চমক কারা

শোবিজ

ফাঁসির সাত আসামির সাজা কমে জেল
ফাঁসির সাত আসামির সাজা কমে জেল

প্রথম পৃষ্ঠা

উৎসবে বর্ষা
উৎসবে বর্ষা

শোবিজ

জমে উঠেছে চারের লড়াই
জমে উঠেছে চারের লড়াই

মাঠে ময়দানে

কৌশলী রাজনীতি জনগণ দেখতে চায় না
কৌশলী রাজনীতি জনগণ দেখতে চায় না

নগর জীবন

প্রিমিয়ার লিগের পথে হামজার দল
প্রিমিয়ার লিগের পথে হামজার দল

মাঠে ময়দানে

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ চ্যাম্পিয়ন
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ চ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

ইতালিয়ান ওপেনে দাপট দেখাচ্ছেন সাবালেঙ্কা
ইতালিয়ান ওপেনে দাপট দেখাচ্ছেন সাবালেঙ্কা

মাঠে ময়দানে

সামনে যুবাদলের সেমিফাইনাল
সামনে যুবাদলের সেমিফাইনাল

মাঠে ময়দানে

মিরাজের স্বপ্ন শীর্ষে ওঠা
মিরাজের স্বপ্ন শীর্ষে ওঠা

মাঠে ময়দানে