বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সাইবার সিকিউরিটি সেল

অপরাধীদের সামাল দিতে ভূমিকা রাখুক

সুসংবদ্ধ অপরাধী চক্রের কবল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিতে সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর। সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকায় বিটিআরসির ভাবমূর্তি যখন তলানিতে তখন এ পদক্ষেপ তাদের সুনাম অর্জনে ভূমিকা রাখবে এমনটিই আশা করা যায়। সাইবার অপরাধীরা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের নামে ফেসবুক, জিমেইল, ট্রু-কলার, আইকন ও হোয়াটসআপে অ্যাকাউন্ট খোলার দুঃসাহসও দেখিয়েছে মো. আরিফ মাইনুদ্দিন নামের এক প্রতারক। আইজিপির ছবি ও পদবি ব্যবহার করে ওই প্রতারক বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে এবং বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে ফোন দিয়ে চাকরির সুপারিশ করে। সম্প্রতি ওই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিটিআরসির মতে, প্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার জগতে অপ্রীতিকর ঘটনা বাড়ছে। এতে অনেকের সামাজিক ও পারিবারিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় উসকানিমূলক বা এসংক্রান্ত কোনো কনটেন্ট অপসারণ কিংবা বন্ধ করার অনুরোধ পাওয়া সাপেক্ষে বিটিআরসি কারিগরি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অতএব, কেউ সামাজিক মাধ্যম দ্বারা ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিলে বিটিআরসি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হলেও এটি নাগরিকদের সুরক্ষা দেবে না ‘অশ্বডিম্ব’ প্রসব করবে তা নির্ভর করছে ত্বরিত পদক্ষেপের ওপর। সাইবার সিকিউরিটি সেল সংশ্লিষ্টদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত পারঙ্গমতার ওপরও তাদের সাফল্য ব্যর্থতার বিষয়টি নির্ভরশীল। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ এবং দায়িত্ব বণ্টনে যে দায়সারা এবং আর্থিক অর্জনের মনোভাব কাজ করে তা সাইবার সিকিউরিটি সেলের ক্ষেত্রে ঘটবে না আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর