রান্নায় পুদিনাপাতার কদর তো আছেই, কিন্তু ঔষধি হিসেবে এ পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। যা অনেকের অজানা। এ ছাড়া রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয় পুতিনাপাতা। রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে পুদিনাপাতা ও অ্যালোভেরার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সানবার্নের জ্বালা গায়েব।
আশ্চর্যজনক হলেও পুদিনাপাতার গুণ অনেক। বহু বিজ্ঞানীর দাবি, পুদিনাপাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনাপাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে। ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে তাজা পুদিনাপাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনাপাতার রস লাগান। সম্ভব হলে সারা রাত রাখুন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে কমপক্ষে দু-তিন ঘণ্টা রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাসখানেক এভাবে লাগালে ব্রণের দাগ উধাও হয়ে যাবে। চুলে উকুন হলে পুদিনার শিকড়ের রস লাগাতে পারেন। উকুনের মোক্ষম ওষুধ হলো পুদিনার পাতা বা শিকড়ের রস। পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় এ রস ভালো করে লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুবার এটা করুন। এক মাসের মধ্যে চুল হবে উকুনমুক্ত। সর্দি হলে নাক বুজে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো মারাত্মক কষ্ট পান অনেকেই। সে সময় যদি পুদিনাপাতার রস খান তাহলে এ কষ্ট থেকে রেহাই পাবেন নিমেষে। যারা অ্যাজমা ও কাশির সমস্যায় ভোগেন তাদের তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনাপাতা বেশ কার্যকর। খুব বেশি নিঃশ্বাস ও কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনাপাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে তার ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নিতে অসুবিধা হলে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
আলমগীর মতি।
