সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নতুন বিপদ ওমিক্রন

সতর্কতার বিকল্প নেই

করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এর ছোবল থেকে কিছুতেই শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না বিশ্ববাসী। নিত্যনতুন চেহারায় এ ভাইরাস থাবা বিস্তার করছে দুনিয়াজুড়ে। দুই বছর আগে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর রেকর্ড পরিমাণ কম সময়ে এর টিকা উদ্ভাবন হয়। চিকিৎসার জন্য ওষুধও বাজারে এসেছে। টিকা নিলেই করোনাঘাতে আক্রান্ত হবে না মানুষ এমন কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও আক্রান্তদের প্রাণহানির ঝুঁকি অনেকাংশে কমেছে। করোনার যে ওষুধ তৈরি ও ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে তা আক্রান্তদের ওপর প্রয়োগ করলে সংক্রমণের গতি রোধ হবে। এর ফলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না রোগীর। মৃত্যুর শঙ্কাও হ্রাস পাবে। এ সাফল্য সত্ত্বেও করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর আগ্রাসন ঠেকাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির কথা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যার নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন। ভ্যারিয়েন্টটির বিপুলসংখ্যক মিউটেশন রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি উদ্বেগের। এ ভ্যারিয়েন্ট টিকা থেকে প্রাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ভ্যারিয়েন্টটি আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা রাখে। প্রথমবার ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। পরে বতসোয়ানা, ইসরায়েল, বেলজিয়াম ও হংকংয়েও এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি দেশে যাওয়া-আসার ওপর কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেশ কিছু দেশ। করোনাভাইরাস গত দুই বছরে মানব জাতির জন্য যে ক্ষয়ক্ষতি বয়ে এনেছে তা দুটি মহাযুদ্ধের চেয়েও বেশি। প্রাণহানির পাশাপাশি কোটি কোটি মানুষের জীবিকায়ও আঘাত হেনেছে এই ভাইরাস। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য বাংলাদেশকে সর্বাধিক সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে হেলাফেলার কোনো সুযোগ থাকাই উচিত নয়। ঘরের বাইরে মাস্কের ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর