সোমবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন বই নতুন প্রত্যাশা

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে

অন্যান্য বছরের মতো এ বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নতুন বই। করোনার কারণে গত বছরের মতো এ বছরও কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো বই উৎসব হয়নি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই সরবরাহ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। বছরের প্রথম দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিলেও এ জন্য অন্য বছরের মতো বই উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। তবে নতুন বই শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের মধ্যে যে উৎসবী আমেজ সৃষ্টি করেছে তা নজিরবিহীন বললেও অত্যুক্তি হবে না। ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য এবার ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৩০ কপি, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮০ কপি বই ও অনুশীলন খাতা এবং পাঁচ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য  ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪ কপি বই ছাপানো হয়েছে। আর ইবতেদায়ি মাদরাসা, দাখিল মাদরাসাসহ মাধ্যমিক স্তরে মোট বইয়ের সংখ্যা ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৫৬ হাজার ২২০। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক পর্যায়ের বই বিতরণ ১ জানুয়ারি শুরু হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলো এবার ১ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিতরণ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলগুলোতে বই বিতরণ করা হবে। করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে বছরের বেশির ভাগ সময়জুড়ে। আগের বছর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া না হলেও বিদায়ী বছরে তিনটি পরীক্ষা হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে পরবর্তী শ্রেণিতে। বছরের প্রথম দিন থেকে বই বিতরণ শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তির হাওয়া বইছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমও চালু থাকবে। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ সরকারের একটি উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি। শিক্ষা বিস্তারে এ কর্মসূচি যে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে তা প্রশংসার দাবিদার। আমরা আশা করব করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন বছরে শিক্ষা কার্যক্রম আরও নিবিড় করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর