শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২২ আপডেট:

মূল্যবোধের অবক্ষয়

তসলিমা নাসরিন
প্রিন্ট ভার্সন
মূল্যবোধের অবক্ষয়

১. একটা সময় ছিল, বাচ্চারা নিজেরাই ইস্কুলে যেত, নিজেরাই ইস্কুল থেকে বাড়ি ফিরতো। অভিভাবকের সাহায্যের দরকার পড়তো না। আমি ছিলাম মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। আমাকে বাড়ির কেউ ইস্কুলে নিয়ে যায়নি, ইস্কুল থেকে ফেরতও আনেনি। ইস্কুলে পায়ে হেঁটে অথবা রিক্সায় চড়ে যেতাম। সঙ্গে পাড়ার ইস্কুলযাত্রী ছেলেমেয়ে থাকতো। এখন তো দেখি ইস্কুলের ছেলেমেয়েদের ইস্কুলে দিয়ে আসে অভিভাবকেরা, নিয়েও আসে। এত সাবধানতা, তারপরও শুনি শিশুধর্ষণ বাড়ছে। শিশুধর্ষণের খবর শুনতে শুনতে এখন কোনও শিশুকে স্বজন দ্বারা বেষ্টিত না দেখলে আশঙ্কা হয়। আগে আমরা ছ’সাত বছর বয়সে মামা কাকাদের সংগে ঘুরতে বেরিয়ে পড়তাম। এখন মামা কাকারা ছ’সাত বছরের শিশুকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরোলে আশঙ্কা হয়। মামা কাকারা শিশুকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে পালিয়ে গেছে, এমন খবর আজকাল শুনতে হয়। বয়স্ক পড়শিরাও একই কীর্তি করছে। কাকে বিশ্বাস করবে মানুষ? শিশুরা কি বাবার কোলে নিরাপদ? না, বাবাও আপন কন্যাকে ধর্ষণ করে। কোনও বাবাকে যখন দেখি তার কন্যাকে জড়িয়ে ধরে আদর করছে, সন্দেহ হয়। সত্যি হয়। খবরের কাগজে কি পড়ি না কোনও কোনও বাবা কন্যাকে ধর্ষণ করে? বছরের পর বছর ধর্ষণ করছে বাবা? পৃথিবীটা বড় কুৎসিত হয়ে গেছে। বাবার কাছেই যদি কন্যা নিরাপদ নয়, তবে কন্যা কোথায় নিরাপদ? সত্যি কথা বলতে কী, কন্যা কোথাও নিরাপদ নয়। ঘরে বাইরে সর্বত্র কন্যা বিপদের মুখে। যে কোনও সময় যে কেউ, যে কোনও কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ তাকে ধর্ষণ করতে পারে, তাকে গণধর্ষণ করতে পারে, তাকে অবশেষে খুন করতে পারে। এসব দুর্ভাবনা অমূলক নয়, অমূলক নয়, কারণ এইসব ঘটছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত বছর ২০২১ সালে সারাদেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩২১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৬৪০ নারী। এদের মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন। নির্যাতনের কারণে মারা যান ৩৭২ জন এবং আত্মহত্যা করেন ১৪২ জন। শিশু অধিকারের ক্ষেত্রেও ২০২১ সালের চিত্র ছিল হতাশজনক। মোট ৮৫২টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ৫৯৬টি শিশুকে। দেশে ধর্ষণের শিকার এক হাজার ২৩৫ জনের মধ্যে ৬২৯টি কন্যাশিশু। এর মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ১৭৯ জন, যার মধ্যে ৬২টি কন্যাশিশু। অন্যদিকে ২২টি কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন সাতজন। এ ছাড়াও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ১৫৫ জন, এর মধ্যে ৯৩টিই কন্যাশিশু। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৬২টি কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন।

দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র না থাকলে মতপ্রকাশের অধিকার থাকে না। তখন বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর আক্রমণ বাড়ে, সাংবাদিক এবং মুক্তচিন্তকদের ওপর অত্যাচার বাড়ে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বাড়ে। কিন্তু পুরুষতন্ত্র পুরু হলে নৈতিকতার অবক্ষয় বাড়ে, নৈতিকতার অবক্ষয় বাড়লে নারী নির্যাতন বাড়ে।

ধর্ষকরা আজকাল প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের চেয়েও বেশি পছন্দ করছে শিশু। অবশ্য ৬ মাস বয়সী শিশু থেকে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলাদের তারা ধর্ষণ করছে, কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। সকল ধর্ষণই ভয়াবহ। তবে শিশুধর্ষণ সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। শিশু দুর্বল, শিশু জানে না ধর্ষণ কাকে বলে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সে পারে না। ধর্ষণের কারণে শিশুর মৃত্যু হওয়ার আশংকা প্রাপ্তবয়স্কাদের চেয়ে বেশি। পৃথিবীতে একটা নিয়ম ছিল, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে শিশু এবং নারীকে সবার আগে বাঁচানো হতো। সেই নিয়মটি এখন সম্পূর্ণই বদলে গেছে। শিশু এবং নারীকে এখন সবার আগে মারা হয়। বধূ হত্যায় পুরুষের আপত্তি নেই, এক বধূ গেলে আরেক বধূ মিলবে। অনাঘ্রাতা কুমারী মেয়ের স্বাদ পাওয়ার জন্য যুবক বৃদ্ধ সকলের জিভ বেরিয়ে আসে। এই বেরিয়ে আসা জিভকে কখনও তিরস্কার করা হয় না। বরং সমর্থন করা হয় এই বলে যে পুরুষকে কাম ক্রোধ একটু বেশিই দিয়েছেন ঈশ্বর। ঈশ্বরের দানের বিরুদ্ধে কারও প্রতিবাদ করার অধিকার নেই। বৃদ্ধদের হাতে চিরকাল সম্প্রদান করা হয়েছে কচি মেয়ে। কচি থেকে কচিতর, কচিতর থেকে কচিতম- হাত বাড়াতে বাড়াতে দুধের বাচ্চার যৌনাঙ্গে হাত দিয়েছে পুরুষেরা। আমি আজও বুঝি না, কী করে দুধের বাচ্চাকে বলাৎকার করার জন্য শরীরে এবং মনে তৈরি হয় ওরা? কী করে ওদের যৌন উত্তেজনা জাগে? পুরুষের শুক্রাণু মানবজন্মে সাহায্য করে বটে, এর মানে কিন্তু এই নয় যে, শুক্রাণু নির্গত করলেই পিতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়।

কিছু পুরুষ হয়তো জন্মগতভাবে শিশুকামী। শিশুকামী মস্তিষ্ক নিয়েই জন্ম হয়েছে তাদের। তারাও কিন্তু পারে হাত গুটিয়ে নিতে, পারে নিজেকে শাসন করতে। কোনও শিশুর অনিষ্ট না করতে চাইলে তাদের পক্ষেও সম্ভব কোনও শিশুর অনিষ্ট না করা। তোমার যৌন উত্তেজনা জাগছে, তাই বলে তুমি কিন্তু কারও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অধিকার রাখো না যতক্ষণ না সে তোমার ঝাঁপিয়ে পড়াকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। একটি শিশু কখনও আমন্ত্রণ জানায় না। কারণ শিশুর যৌনবোধ নেই। যৌনবোধ যদি কিছু শিশুর থাকেও, তাহলেও শিশুকে প্রতারণা করার অধিকার কোনও প্রাপ্তবয়স্কের নেই। নিজেকে মন্দ কাজ থেকে আমরা সব সময় সংবরণ করছি। আমাদের হাত কি নিশপিশ করে না একে ওকে পেটাতে, চাবকাতে, গায়ের চামড়া তুলে ফেলতে? ইচ্ছে করে। কিন্তু আমরা নিজের অবাধ ইচ্ছের লাগাম টেনে ধরতে জানি। অন্যের অনিষ্ট করবো না, এমন কী দোষীরও অনিষ্ট করবো না, দেশের বিচারব্যবস্থার কাছে আমরা বিচারের ভার ছেড়ে দিই। কেউ কেউ ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দেয় বিচারের দায়িত্ব। শুধু শিশুকামী নয়, সমকামী, উভকামী, বিষমকামী বা অসমকামী, কারও অধিকার নেই কাউকে যৌন হেনস্থা, যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ করার।

আমাদের সমাজের বড় সমস্যা এই, নীতিমান, আদর্শবান, চরিত্রবান হওয়ার, নারীর সমানাধিকার মানার উপদেশ যত না দেওয়া হয় ছেলেশিশুদের, তার চেয়ে বেশি দেওয়া হয় ক্লাসে প্রথম হওয়ার উপদেশ, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার উপদেশ, যে করেই হোক ধনী হওয়ার উপদেশ। ছেলেশিশুদের আস্কারা দিয়ে অপদার্থ বানায় অভিভাবকরা। ছেলেদের অপদার্থ বানাবার সংস্কৃতিটা যতদিন বিদেয় না হচ্ছে সমাজ থেকে, ততদিন নারী নির্যাতন, মেয়েশিশু নির্যাতন কমবে না, বরং বছর বছর বাড়বে।

মেয়েশিশুরা মাঠে খেলবে, রাস্তায় হাঁটবে, একা ইস্কুলে যাবে, মাঠ ঘাট হাট সব নিরাপদ তাদের জন্য। কিশোরীরা তাদের যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াবে, ঘরে বাইরে সর্বত্র তারা নিরাপদ। তরুণী, যুবতী, প্রবীণা, বৃদ্ধা- সবার জন্য প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি শহর নিরাপদ। কবে আসবে সে দিন? কবে আসবে সে দিন যে দিন কোনও মেয়ের বলার দরকার হবে না, হিজাব বা বোরখা পরলে যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচা যায়? যৌন নির্যাতন থেকে তাদের বাঁচাবে হিজাব বা বোরখা নয়, বাঁচাবে পুরুষের নৈতিকতা আর সততা।

অনেকে নিজেদের অপকর্ম এবং দুষ্কর্মের পক্ষে বলতে গিয়ে জোরগলায় বলে, পাশ্চাত্যে অনেক বেশি শিশুধর্ষণ ঘটে। যেন পাশ্চাত্যে যেহেতু অনেক বেশি শিশুধর্ষণ ঘটে, প্রাচ্যেও শিশুধর্ষণ ঘটলে কোনও ক্ষতি নেই। পাশ্চাত্যে অনেক বেশি শিশুধর্ষণ ঘটে না, পাশ্চাত্যে একটি ঘটনা ঘটলে তোলপাড় শুরু হয়, দাবানলের মতো খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। প্রাচ্যে শিশুধর্ষণ, শিশুহত্যা, নারীধর্ষণ, নারীহত্যা চুপচাপ ঘটতে থাকে। পাঁচশ’ ঘটনার একটি ঘটনা সামনে আসে কিনা সন্দেহ। ভুলে গেলে চলবে না, পাশ্চাত্যে শুধু সাদা ককেশিয়ানদের বাস নয়, হলুদ বাদামি কালো অর্থাৎ এশিয়া, আফ্রিকার লোকদেরও বাস বটে, তাদের নারীবিরোধী পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতি পাশ্চাত্যেও তারা ঘটা করে পালন করে।

শিশুধর্ষণ বাংলাদেশে বাড়ছে, নারীনির্যাতন বাড়ছে, এই তথ্যটি ধামাচাপা দিয়ে বাংলাদেশের লোকেরা, এমনকী সরকারি নেতারাও গর্ব করে বলেন দেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। উন্নতি হচ্ছে সুতরাং বগল বাজাও, আনন্দ করো। তাই কি হওয়া উচিত? অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়ে ছাই হবে যদি জনগণের নৈতিক উন্নতি না হয়। যতক্ষণ নারী এবং শিশুর জন্য দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি নিরাপদ না হয়, ততক্ষণ এই মাটি নারী বা শিশুর দেশ নয়। যে মাটিতে জন্মেছে মানুষ, সে মাটি যদি দেশ হওয়ার যোগ্যতা হারায়, তবে এ কাদের দোষ? তাদের দোষ যারা রাষ্ট্র, সমাজ এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়েছে যে ব্যবস্থাগুলো পুরুষকে ধর্ষক বানায়, আর নারীকে পুরুষের শিকার বানায়। এই ব্যবস্থাগুলোয় অর্থনৈতিক উন্নতি ঢাললে তা চিকচিক করে বটে, কিন্তু কান পাতলেই শোনা যায় নিপীড়িত নারীর আর্তনাদ। যে বছর শুরু হলো, সে বছরের শেষে আশা করছি খবর হবে এ বছর কোনও শিশুকে ধর্ষণ করা হয়নি, কোনও নারী যৌন-নির্যাতনের শিকার হয়নি।

২. মেয়েদের সমানাধিকার তো এখনো স্বপ্ন, অধিকারই যেখানে জোটে না। বৈষম্যহীন পরিবেশে বড় হওয়ার অধিকার প্রতিটি মেয়েরই আছে, কিন্তু প্রতিটি মেয়েই তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। লেখাপড়া করার, ঘরের বাইরে বের হওয়ার, যেখানে খুশি সেখানে যাওয়ার, নিরাপত্তা পাওয়ার, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার, নিজের পছন্দে নিজের জীবনযাপন করার, নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অধিকার ক’টা মেয়ে পায়? সব দেশেই মেয়েরা নির্যাতিত হচ্ছে শুধু মেয়ে বলেই। মেয়েদের খাবার কম দেওয়া, মেয়েদের কথা বলতে না দেওয়া, মেয়েদের হাসতে না দেওয়া, মেয়েদের চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি, লাথি-গুঁতো দেওয়া-এগুলো সংসারে ডালভাতের মতো স্বাভাবিক। শারীরিক নির্যাতন করা, কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, হত্যা করে আবর্জনার স্তূপে ফেলে রাখা এগুলো তো আছেই, সবচেয়ে বেশি যে নির্যাতন মেয়েদের করা হয়, সেটি যৌন নির্যাতন। আগে তো ভাবতাম মেয়েরা ঋতুবতী হওয়ার পর মেয়েদের প্রতি পুরুষের যৌন আকর্ষণ জন্মায়, ঠিক যেমন মেয়েদেরও পুরুষের প্রতি আকর্ষণ জন্ম নেয়। কিন্তু চার-পাঁচ বছরের শিশু এমনকি এক বছর বয়সী শিশুর প্রতি কী করে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের এই আকর্ষণটি জন্মায়? এত যে শিশু ধর্ষণ হচ্ছে চারদিকে, এগুলো যে শিশুকামীরা করছে তা কিন্তু নয়। শিশু-ধর্ষকদের অধিকাংশই বিবাহিত, সন্তানাদি আছে, প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের প্রতিও তাদের যৌন আকর্ষণ কিছু কম নয়। যৌন আকর্ষণ অন্যায় নয়। ধর্ষণ অন্যায়। শিশুকামীদের অধিকার নিয়ে আজকাল পাশ্চাত্যের দেশগুলো সরব হচ্ছে। শিশুদের প্রতি শিশুকামীদের যে যৌন আকর্ষণ সেটি তাদের মস্তিষ্কে, সেটি নিয়েই তারা জন্মেছে। সুতরাং এই অনাকাক্সিক্ষত আকর্ষণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী নয়। শিশুকামকে চিকিৎসা দিয়ে দমন করা যায়, কিন্তু সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায় না। তাদের আকর্ষণ নিয়ে তারা থাকুক, কিন্তু শিশুদের কোনও ক্ষতি না করুক, শিশুদের দিকে হাত না বাড়াক। তাহলেই তো সমাজের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। সমাজের ক্ষতি বরং তারাই বেশি করছে যাদের মস্তিষ্কে কোনও রোগ নেই, তারা সুস্থ মস্তিষ্কে ঠান্ডা মাথায় নারীর প্রতি অসম্ভব ঘৃণা আর বিদ্বেষ ধারণ করে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।

এবছর জানুয়ারির ২ তারিখে চট্টগ্রামের জালালাবাদ এলাকায় প্রতিবেশী এক শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে ৫০ বছর বয়সী মোতালেব। এর কিছুদিন আগে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মান্দারতলী গ্রামে ৮ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে নির্জন ঘরে জোর খাটিয়ে ধর্ষণ করেছে ৩০ বছর বয়সী মো. নাছির চৌকিদার। মেহেরপুরের গাংনীতে ৫ বছর বয়সী একটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে বয়স্ক মোখলেসুর রহমান। দিনাজপুরের বিরলে ৭ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। শিশুদের ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুন ঘটেই চলেছে।

সেদিন শুনি একটি গরুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নারী ধর্ষণ, কিশোরী ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণের পাশাপাশি গরুধর্ষণ চলছে। নিরীহ পশুপ্রাণীদেরও বাদ দেয় না কিছু বদ পুরুষ। নীতি আদর্শ সমস্তই লোপ পেয়েছে! যত বেশি ধর্ম বাড়ছে দেশে, তত বেশি অনাচার বাড়ছে। অথচ আমরা এরকমই শিখেছি ছোটবেলা থেকে, যত বেশি ধর্ম বাড়বে, তত বেশি অনাচার কমবে। আমি হিসেব মেলাতে পারি না। ধর্ম কি তবে মন্দ লোকরাই বেশি পালন করে? নাকি মন্দ কাজ করার জন্য ওপরে একটা ধার্মিকের লেবাস লাগানো হয়, যেন কারও সন্দেহভাজন হতে না হয়? আমার তো মনে হয়, ধার্মিকের লেবাস দেখলেই আজকাল ধর্ষক আর খুনি বলে অনেকের সন্দেহ হয়।

আমার মা ছিলেন ধার্মিক। আমার নানাও। ধর্মের অর্থ ওঁরা বুঝতেন কারও অনিষ্ট না করা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, বরং অন্যের দুঃখ-কষ্টে পাশে দাঁড়ানো, অন্যের অভাব দূর করা। ছোটবেলায় ওঁদের মতো অনেক ধার্মিকের দেখা আমি পেয়েছি। কিন্তু এ বেলায় এসব কী দেখছি দেশে? আগে ধর্ম মানে মানুষ বুঝতো সহিষ্ণুতা, উদারতা, মানবতা। আর এখন ধর্ম মানে হিজাব, হিংস্রতা, রমজান মাসে বিশাল খানাপিনা, ঈদে গরু জবাইএর ধুম, ধর্ম মানে মানুষ কুপিয়ে মারা, দিন দুপুরে গরুর মতো জবাই করে ফেলে রাখা। ভাগ্যিস আমার নানা বেঁচে নেই, মা’ও বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে ধর্মের এই রূপ দেখে ওঁরা নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পেতেন। আসলে ধর্ম যেমন ছিল, তেমনই আছে। মানুষ পাল্টেছে। বর্বর লোকরা ধর্মকে বর্ম হিসেবে রেখে যত বীভৎস হতে পারে হচ্ছে।

ধর্মকে আবার মানবিক করার সময় এসেছে। মসজিদের খুতবায়, মাদ্রাসার ক্লাসঘরে, ওয়াজ মাহফিলে কারও মগজধোলাই হচ্ছে কি না লক্ষ্য রাখতে হবে। মাদ্রাসার শিক্ষকদের, ওয়াজিদের চোখে চোখে রাখতে হবে যেন তারা ছেলেদের জঙ্গি হিসেবে তৈরি না করে, যেন শিশুদের ধর্ষণ না করে। ধর্ম করতে এসে অধর্ম করলে চলবে কেন!

দেশে দিন দিন দুঃসংবাদের পাহাড় গড়ে উঠছে। কী ভালোই না হতো যদি দেশটি থেকে ধর্ষণের খবর না আসতো। এখনও মেয়েকে গণধর্ষণ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। বাসের ভেতর। ভারত থেকে ভালো অনেক কিছু তো শেখার আছে। শিখলো শিখলো গণধর্ষণটাই শিখলো? যে লোকগুলো মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছে, ওদের জিজ্ঞেস করুন, ওরা ধর্মে বিশ্বাস করে কি না, সবাই, আমি নিশ্চিত, বলবে, করে। আল্লাহকে মানে? বলবে, মানে। তোমরা কি নাস্তিক? জিজ্ঞেস করুন। ওরা ফুঁসে উঠবে। এত বড় অসম্মান! আমাদের নাস্তিক বললো? ওরা তীব্র প্রতিবাদ করবে, বলবে যে ওরা আস্তিক। মাঝে মাঝে মনে হয়, নাস্তিক হওয়ার পথই বোধহয় সহিষ্ণু হওয়ার, উদার হওয়ার, মানবিক হওয়ার সঠিক পথ।

                লেখক : নির্বাসিত লেখিকা।

এই বিভাগের আরও খবর
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সর্বশেষ খবর
শাবির এফইটি সোসাইটির সভাপতি ফাহিম, সম্পাদক অভি
শাবির এফইটি সোসাইটির সভাপতি ফাহিম, সম্পাদক অভি

৫০ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, কাটবেন যেভাবে
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, কাটবেন যেভাবে

৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে ১৯ জেলে আটক
সেন্টমার্টিনে ১৯ জেলে আটক

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন

৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘সম্পর্ক দুই মিনিটে তৈরি হয়ে যাওয়া নুডুলসের মতো নয়’
‘সম্পর্ক দুই মিনিটে তৈরি হয়ে যাওয়া নুডুলসের মতো নয়’

১০ মিনিট আগে | শোবিজ

আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক-অভিভাবকের ভূমিকা অপরিসীম: মাহমুদ হাসান খান
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক-অভিভাবকের ভূমিকা অপরিসীম: মাহমুদ হাসান খান

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছোট্ট শিশু মরিয়ম ও ইসমাইলের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
ছোট্ট শিশু মরিয়ম ও ইসমাইলের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

র‍্যাবের পোশাক পরে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই করল দুর্বৃত্তরা
র‍্যাবের পোশাক পরে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই করল দুর্বৃত্তরা

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেরপুরে ফাইনাল ম্যাচ দেখতে দর্শকদের উপচে ভরা ভিড়
শেরপুরে ফাইনাল ম্যাচ দেখতে দর্শকদের উপচে ভরা ভিড়

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্য পুনর্জাগরণের দিন : মীর হেলাল
৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্য পুনর্জাগরণের দিন : মীর হেলাল

২১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

৩১ মিনিট আগে | রাজনীতি

সীতাকুন্ডে ১১ ঘণ্টা পর ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার
সীতাকুন্ডে ১১ ঘণ্টা পর ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুলাউড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু
কুলাউড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু

৩৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বাঞ্ছারামপুরে জাতীয় সংহতি দিবসে বিএনপির সমাবেশ
বাঞ্ছারামপুরে জাতীয় সংহতি দিবসে বিএনপির সমাবেশ

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স

৪২ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে কৃষক সমাবেশ
গাজীপুরে কৃষক সমাবেশ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ইজিবাইক চালক হত্যায় গ্রেফতার ২
বগুড়ায় ইজিবাইক চালক হত্যায় গ্রেফতার ২

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কলেজের মেয়েরা তো প্রতি সপ্তাহেই বয়ফ্রেন্ড বদলায়: রাভিনা
কলেজের মেয়েরা তো প্রতি সপ্তাহেই বয়ফ্রেন্ড বদলায়: রাভিনা

৫৪ মিনিট আগে | শোবিজ

সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোট নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না : আজহারুল ইসলাম মান্নান
ভোট নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না : আজহারুল ইসলাম মান্নান

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ডেঙ্গুসহ নানাবিধ রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে পরিচ্ছন্নতা : সাইফুল আলম
ডেঙ্গুসহ নানাবিধ রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে পরিচ্ছন্নতা : সাইফুল আলম

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি
গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

২১ ঘণ্টা আগে | টক শো

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম