শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারি, ২০২২ আপডেট:

মূল্যবোধের অবক্ষয়

তসলিমা নাসরিন
প্রিন্ট ভার্সন
মূল্যবোধের অবক্ষয়

১. একটা সময় ছিল, বাচ্চারা নিজেরাই ইস্কুলে যেত, নিজেরাই ইস্কুল থেকে বাড়ি ফিরতো। অভিভাবকের সাহায্যের দরকার পড়তো না। আমি ছিলাম মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। আমাকে বাড়ির কেউ ইস্কুলে নিয়ে যায়নি, ইস্কুল থেকে ফেরতও আনেনি। ইস্কুলে পায়ে হেঁটে অথবা রিক্সায় চড়ে যেতাম। সঙ্গে পাড়ার ইস্কুলযাত্রী ছেলেমেয়ে থাকতো। এখন তো দেখি ইস্কুলের ছেলেমেয়েদের ইস্কুলে দিয়ে আসে অভিভাবকেরা, নিয়েও আসে। এত সাবধানতা, তারপরও শুনি শিশুধর্ষণ বাড়ছে। শিশুধর্ষণের খবর শুনতে শুনতে এখন কোনও শিশুকে স্বজন দ্বারা বেষ্টিত না দেখলে আশঙ্কা হয়। আগে আমরা ছ’সাত বছর বয়সে মামা কাকাদের সংগে ঘুরতে বেরিয়ে পড়তাম। এখন মামা কাকারা ছ’সাত বছরের শিশুকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরোলে আশঙ্কা হয়। মামা কাকারা শিশুকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে পালিয়ে গেছে, এমন খবর আজকাল শুনতে হয়। বয়স্ক পড়শিরাও একই কীর্তি করছে। কাকে বিশ্বাস করবে মানুষ? শিশুরা কি বাবার কোলে নিরাপদ? না, বাবাও আপন কন্যাকে ধর্ষণ করে। কোনও বাবাকে যখন দেখি তার কন্যাকে জড়িয়ে ধরে আদর করছে, সন্দেহ হয়। সত্যি হয়। খবরের কাগজে কি পড়ি না কোনও কোনও বাবা কন্যাকে ধর্ষণ করে? বছরের পর বছর ধর্ষণ করছে বাবা? পৃথিবীটা বড় কুৎসিত হয়ে গেছে। বাবার কাছেই যদি কন্যা নিরাপদ নয়, তবে কন্যা কোথায় নিরাপদ? সত্যি কথা বলতে কী, কন্যা কোথাও নিরাপদ নয়। ঘরে বাইরে সর্বত্র কন্যা বিপদের মুখে। যে কোনও সময় যে কেউ, যে কোনও কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ তাকে ধর্ষণ করতে পারে, তাকে গণধর্ষণ করতে পারে, তাকে অবশেষে খুন করতে পারে। এসব দুর্ভাবনা অমূলক নয়, অমূলক নয়, কারণ এইসব ঘটছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে, গত বছর ২০২১ সালে সারাদেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১ হাজার ৩২১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৯ জন। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৬৪০ নারী। এদের মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২১০ জন। নির্যাতনের কারণে মারা যান ৩৭২ জন এবং আত্মহত্যা করেন ১৪২ জন। শিশু অধিকারের ক্ষেত্রেও ২০২১ সালের চিত্র ছিল হতাশজনক। মোট ৮৫২টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ৫৯৬টি শিশুকে। দেশে ধর্ষণের শিকার এক হাজার ২৩৫ জনের মধ্যে ৬২৯টি কন্যাশিশু। এর মধ্যে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ১৭৯ জন, যার মধ্যে ৬২টি কন্যাশিশু। অন্যদিকে ২২টি কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১ জন। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন সাতজন। এ ছাড়াও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ১৫৫ জন, এর মধ্যে ৯৩টিই কন্যাশিশু। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৬২টি কন্যাশিশুসহ ৯৫ জন।

দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র না থাকলে মতপ্রকাশের অধিকার থাকে না। তখন বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর আক্রমণ বাড়ে, সাংবাদিক এবং মুক্তচিন্তকদের ওপর অত্যাচার বাড়ে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বাড়ে। কিন্তু পুরুষতন্ত্র পুরু হলে নৈতিকতার অবক্ষয় বাড়ে, নৈতিকতার অবক্ষয় বাড়লে নারী নির্যাতন বাড়ে।

ধর্ষকরা আজকাল প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের চেয়েও বেশি পছন্দ করছে শিশু। অবশ্য ৬ মাস বয়সী শিশু থেকে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলাদের তারা ধর্ষণ করছে, কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। সকল ধর্ষণই ভয়াবহ। তবে শিশুধর্ষণ সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। শিশু দুর্বল, শিশু জানে না ধর্ষণ কাকে বলে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সে পারে না। ধর্ষণের কারণে শিশুর মৃত্যু হওয়ার আশংকা প্রাপ্তবয়স্কাদের চেয়ে বেশি। পৃথিবীতে একটা নিয়ম ছিল, কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে শিশু এবং নারীকে সবার আগে বাঁচানো হতো। সেই নিয়মটি এখন সম্পূর্ণই বদলে গেছে। শিশু এবং নারীকে এখন সবার আগে মারা হয়। বধূ হত্যায় পুরুষের আপত্তি নেই, এক বধূ গেলে আরেক বধূ মিলবে। অনাঘ্রাতা কুমারী মেয়ের স্বাদ পাওয়ার জন্য যুবক বৃদ্ধ সকলের জিভ বেরিয়ে আসে। এই বেরিয়ে আসা জিভকে কখনও তিরস্কার করা হয় না। বরং সমর্থন করা হয় এই বলে যে পুরুষকে কাম ক্রোধ একটু বেশিই দিয়েছেন ঈশ্বর। ঈশ্বরের দানের বিরুদ্ধে কারও প্রতিবাদ করার অধিকার নেই। বৃদ্ধদের হাতে চিরকাল সম্প্রদান করা হয়েছে কচি মেয়ে। কচি থেকে কচিতর, কচিতর থেকে কচিতম- হাত বাড়াতে বাড়াতে দুধের বাচ্চার যৌনাঙ্গে হাত দিয়েছে পুরুষেরা। আমি আজও বুঝি না, কী করে দুধের বাচ্চাকে বলাৎকার করার জন্য শরীরে এবং মনে তৈরি হয় ওরা? কী করে ওদের যৌন উত্তেজনা জাগে? পুরুষের শুক্রাণু মানবজন্মে সাহায্য করে বটে, এর মানে কিন্তু এই নয় যে, শুক্রাণু নির্গত করলেই পিতা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়।

কিছু পুরুষ হয়তো জন্মগতভাবে শিশুকামী। শিশুকামী মস্তিষ্ক নিয়েই জন্ম হয়েছে তাদের। তারাও কিন্তু পারে হাত গুটিয়ে নিতে, পারে নিজেকে শাসন করতে। কোনও শিশুর অনিষ্ট না করতে চাইলে তাদের পক্ষেও সম্ভব কোনও শিশুর অনিষ্ট না করা। তোমার যৌন উত্তেজনা জাগছে, তাই বলে তুমি কিন্তু কারও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার অধিকার রাখো না যতক্ষণ না সে তোমার ঝাঁপিয়ে পড়াকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। একটি শিশু কখনও আমন্ত্রণ জানায় না। কারণ শিশুর যৌনবোধ নেই। যৌনবোধ যদি কিছু শিশুর থাকেও, তাহলেও শিশুকে প্রতারণা করার অধিকার কোনও প্রাপ্তবয়স্কের নেই। নিজেকে মন্দ কাজ থেকে আমরা সব সময় সংবরণ করছি। আমাদের হাত কি নিশপিশ করে না একে ওকে পেটাতে, চাবকাতে, গায়ের চামড়া তুলে ফেলতে? ইচ্ছে করে। কিন্তু আমরা নিজের অবাধ ইচ্ছের লাগাম টেনে ধরতে জানি। অন্যের অনিষ্ট করবো না, এমন কী দোষীরও অনিষ্ট করবো না, দেশের বিচারব্যবস্থার কাছে আমরা বিচারের ভার ছেড়ে দিই। কেউ কেউ ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দেয় বিচারের দায়িত্ব। শুধু শিশুকামী নয়, সমকামী, উভকামী, বিষমকামী বা অসমকামী, কারও অধিকার নেই কাউকে যৌন হেনস্থা, যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ করার।

আমাদের সমাজের বড় সমস্যা এই, নীতিমান, আদর্শবান, চরিত্রবান হওয়ার, নারীর সমানাধিকার মানার উপদেশ যত না দেওয়া হয় ছেলেশিশুদের, তার চেয়ে বেশি দেওয়া হয় ক্লাসে প্রথম হওয়ার উপদেশ, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার উপদেশ, যে করেই হোক ধনী হওয়ার উপদেশ। ছেলেশিশুদের আস্কারা দিয়ে অপদার্থ বানায় অভিভাবকরা। ছেলেদের অপদার্থ বানাবার সংস্কৃতিটা যতদিন বিদেয় না হচ্ছে সমাজ থেকে, ততদিন নারী নির্যাতন, মেয়েশিশু নির্যাতন কমবে না, বরং বছর বছর বাড়বে।

মেয়েশিশুরা মাঠে খেলবে, রাস্তায় হাঁটবে, একা ইস্কুলে যাবে, মাঠ ঘাট হাট সব নিরাপদ তাদের জন্য। কিশোরীরা তাদের যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াবে, ঘরে বাইরে সর্বত্র তারা নিরাপদ। তরুণী, যুবতী, প্রবীণা, বৃদ্ধা- সবার জন্য প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি শহর নিরাপদ। কবে আসবে সে দিন? কবে আসবে সে দিন যে দিন কোনও মেয়ের বলার দরকার হবে না, হিজাব বা বোরখা পরলে যৌন নির্যাতন থেকে বাঁচা যায়? যৌন নির্যাতন থেকে তাদের বাঁচাবে হিজাব বা বোরখা নয়, বাঁচাবে পুরুষের নৈতিকতা আর সততা।

অনেকে নিজেদের অপকর্ম এবং দুষ্কর্মের পক্ষে বলতে গিয়ে জোরগলায় বলে, পাশ্চাত্যে অনেক বেশি শিশুধর্ষণ ঘটে। যেন পাশ্চাত্যে যেহেতু অনেক বেশি শিশুধর্ষণ ঘটে, প্রাচ্যেও শিশুধর্ষণ ঘটলে কোনও ক্ষতি নেই। পাশ্চাত্যে অনেক বেশি শিশুধর্ষণ ঘটে না, পাশ্চাত্যে একটি ঘটনা ঘটলে তোলপাড় শুরু হয়, দাবানলের মতো খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। প্রাচ্যে শিশুধর্ষণ, শিশুহত্যা, নারীধর্ষণ, নারীহত্যা চুপচাপ ঘটতে থাকে। পাঁচশ’ ঘটনার একটি ঘটনা সামনে আসে কিনা সন্দেহ। ভুলে গেলে চলবে না, পাশ্চাত্যে শুধু সাদা ককেশিয়ানদের বাস নয়, হলুদ বাদামি কালো অর্থাৎ এশিয়া, আফ্রিকার লোকদেরও বাস বটে, তাদের নারীবিরোধী পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতি পাশ্চাত্যেও তারা ঘটা করে পালন করে।

শিশুধর্ষণ বাংলাদেশে বাড়ছে, নারীনির্যাতন বাড়ছে, এই তথ্যটি ধামাচাপা দিয়ে বাংলাদেশের লোকেরা, এমনকী সরকারি নেতারাও গর্ব করে বলেন দেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে। উন্নতি হচ্ছে সুতরাং বগল বাজাও, আনন্দ করো। তাই কি হওয়া উচিত? অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়ে ছাই হবে যদি জনগণের নৈতিক উন্নতি না হয়। যতক্ষণ নারী এবং শিশুর জন্য দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি নিরাপদ না হয়, ততক্ষণ এই মাটি নারী বা শিশুর দেশ নয়। যে মাটিতে জন্মেছে মানুষ, সে মাটি যদি দেশ হওয়ার যোগ্যতা হারায়, তবে এ কাদের দোষ? তাদের দোষ যারা রাষ্ট্র, সমাজ এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়েছে যে ব্যবস্থাগুলো পুরুষকে ধর্ষক বানায়, আর নারীকে পুরুষের শিকার বানায়। এই ব্যবস্থাগুলোয় অর্থনৈতিক উন্নতি ঢাললে তা চিকচিক করে বটে, কিন্তু কান পাতলেই শোনা যায় নিপীড়িত নারীর আর্তনাদ। যে বছর শুরু হলো, সে বছরের শেষে আশা করছি খবর হবে এ বছর কোনও শিশুকে ধর্ষণ করা হয়নি, কোনও নারী যৌন-নির্যাতনের শিকার হয়নি।

২. মেয়েদের সমানাধিকার তো এখনো স্বপ্ন, অধিকারই যেখানে জোটে না। বৈষম্যহীন পরিবেশে বড় হওয়ার অধিকার প্রতিটি মেয়েরই আছে, কিন্তু প্রতিটি মেয়েই তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। লেখাপড়া করার, ঘরের বাইরে বের হওয়ার, যেখানে খুশি সেখানে যাওয়ার, নিরাপত্তা পাওয়ার, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার, নিজের পছন্দে নিজের জীবনযাপন করার, নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অধিকার ক’টা মেয়ে পায়? সব দেশেই মেয়েরা নির্যাতিত হচ্ছে শুধু মেয়ে বলেই। মেয়েদের খাবার কম দেওয়া, মেয়েদের কথা বলতে না দেওয়া, মেয়েদের হাসতে না দেওয়া, মেয়েদের চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি, লাথি-গুঁতো দেওয়া-এগুলো সংসারে ডালভাতের মতো স্বাভাবিক। শারীরিক নির্যাতন করা, কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, হত্যা করে আবর্জনার স্তূপে ফেলে রাখা এগুলো তো আছেই, সবচেয়ে বেশি যে নির্যাতন মেয়েদের করা হয়, সেটি যৌন নির্যাতন। আগে তো ভাবতাম মেয়েরা ঋতুবতী হওয়ার পর মেয়েদের প্রতি পুরুষের যৌন আকর্ষণ জন্মায়, ঠিক যেমন মেয়েদেরও পুরুষের প্রতি আকর্ষণ জন্ম নেয়। কিন্তু চার-পাঁচ বছরের শিশু এমনকি এক বছর বয়সী শিশুর প্রতি কী করে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের এই আকর্ষণটি জন্মায়? এত যে শিশু ধর্ষণ হচ্ছে চারদিকে, এগুলো যে শিশুকামীরা করছে তা কিন্তু নয়। শিশু-ধর্ষকদের অধিকাংশই বিবাহিত, সন্তানাদি আছে, প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের প্রতিও তাদের যৌন আকর্ষণ কিছু কম নয়। যৌন আকর্ষণ অন্যায় নয়। ধর্ষণ অন্যায়। শিশুকামীদের অধিকার নিয়ে আজকাল পাশ্চাত্যের দেশগুলো সরব হচ্ছে। শিশুদের প্রতি শিশুকামীদের যে যৌন আকর্ষণ সেটি তাদের মস্তিষ্কে, সেটি নিয়েই তারা জন্মেছে। সুতরাং এই অনাকাক্সিক্ষত আকর্ষণের জন্য তারা নিজেরা দায়ী নয়। শিশুকামকে চিকিৎসা দিয়ে দমন করা যায়, কিন্তু সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায় না। তাদের আকর্ষণ নিয়ে তারা থাকুক, কিন্তু শিশুদের কোনও ক্ষতি না করুক, শিশুদের দিকে হাত না বাড়াক। তাহলেই তো সমাজের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। সমাজের ক্ষতি বরং তারাই বেশি করছে যাদের মস্তিষ্কে কোনও রোগ নেই, তারা সুস্থ মস্তিষ্কে ঠান্ডা মাথায় নারীর প্রতি অসম্ভব ঘৃণা আর বিদ্বেষ ধারণ করে একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।

এবছর জানুয়ারির ২ তারিখে চট্টগ্রামের জালালাবাদ এলাকায় প্রতিবেশী এক শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে ৫০ বছর বয়সী মোতালেব। এর কিছুদিন আগে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মান্দারতলী গ্রামে ৮ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে নির্জন ঘরে জোর খাটিয়ে ধর্ষণ করেছে ৩০ বছর বয়সী মো. নাছির চৌকিদার। মেহেরপুরের গাংনীতে ৫ বছর বয়সী একটি শিশুকে ধর্ষণ করেছে বয়স্ক মোখলেসুর রহমান। দিনাজপুরের বিরলে ৭ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। শিশুদের ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুন ঘটেই চলেছে।

সেদিন শুনি একটি গরুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নারী ধর্ষণ, কিশোরী ধর্ষণ, শিশু ধর্ষণের পাশাপাশি গরুধর্ষণ চলছে। নিরীহ পশুপ্রাণীদেরও বাদ দেয় না কিছু বদ পুরুষ। নীতি আদর্শ সমস্তই লোপ পেয়েছে! যত বেশি ধর্ম বাড়ছে দেশে, তত বেশি অনাচার বাড়ছে। অথচ আমরা এরকমই শিখেছি ছোটবেলা থেকে, যত বেশি ধর্ম বাড়বে, তত বেশি অনাচার কমবে। আমি হিসেব মেলাতে পারি না। ধর্ম কি তবে মন্দ লোকরাই বেশি পালন করে? নাকি মন্দ কাজ করার জন্য ওপরে একটা ধার্মিকের লেবাস লাগানো হয়, যেন কারও সন্দেহভাজন হতে না হয়? আমার তো মনে হয়, ধার্মিকের লেবাস দেখলেই আজকাল ধর্ষক আর খুনি বলে অনেকের সন্দেহ হয়।

আমার মা ছিলেন ধার্মিক। আমার নানাও। ধর্মের অর্থ ওঁরা বুঝতেন কারও অনিষ্ট না করা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, বরং অন্যের দুঃখ-কষ্টে পাশে দাঁড়ানো, অন্যের অভাব দূর করা। ছোটবেলায় ওঁদের মতো অনেক ধার্মিকের দেখা আমি পেয়েছি। কিন্তু এ বেলায় এসব কী দেখছি দেশে? আগে ধর্ম মানে মানুষ বুঝতো সহিষ্ণুতা, উদারতা, মানবতা। আর এখন ধর্ম মানে হিজাব, হিংস্রতা, রমজান মাসে বিশাল খানাপিনা, ঈদে গরু জবাইএর ধুম, ধর্ম মানে মানুষ কুপিয়ে মারা, দিন দুপুরে গরুর মতো জবাই করে ফেলে রাখা। ভাগ্যিস আমার নানা বেঁচে নেই, মা’ও বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে ধর্মের এই রূপ দেখে ওঁরা নিশ্চয়ই খুব কষ্ট পেতেন। আসলে ধর্ম যেমন ছিল, তেমনই আছে। মানুষ পাল্টেছে। বর্বর লোকরা ধর্মকে বর্ম হিসেবে রেখে যত বীভৎস হতে পারে হচ্ছে।

ধর্মকে আবার মানবিক করার সময় এসেছে। মসজিদের খুতবায়, মাদ্রাসার ক্লাসঘরে, ওয়াজ মাহফিলে কারও মগজধোলাই হচ্ছে কি না লক্ষ্য রাখতে হবে। মাদ্রাসার শিক্ষকদের, ওয়াজিদের চোখে চোখে রাখতে হবে যেন তারা ছেলেদের জঙ্গি হিসেবে তৈরি না করে, যেন শিশুদের ধর্ষণ না করে। ধর্ম করতে এসে অধর্ম করলে চলবে কেন!

দেশে দিন দিন দুঃসংবাদের পাহাড় গড়ে উঠছে। কী ভালোই না হতো যদি দেশটি থেকে ধর্ষণের খবর না আসতো। এখনও মেয়েকে গণধর্ষণ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। বাসের ভেতর। ভারত থেকে ভালো অনেক কিছু তো শেখার আছে। শিখলো শিখলো গণধর্ষণটাই শিখলো? যে লোকগুলো মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছে, ওদের জিজ্ঞেস করুন, ওরা ধর্মে বিশ্বাস করে কি না, সবাই, আমি নিশ্চিত, বলবে, করে। আল্লাহকে মানে? বলবে, মানে। তোমরা কি নাস্তিক? জিজ্ঞেস করুন। ওরা ফুঁসে উঠবে। এত বড় অসম্মান! আমাদের নাস্তিক বললো? ওরা তীব্র প্রতিবাদ করবে, বলবে যে ওরা আস্তিক। মাঝে মাঝে মনে হয়, নাস্তিক হওয়ার পথই বোধহয় সহিষ্ণু হওয়ার, উদার হওয়ার, মানবিক হওয়ার সঠিক পথ।

                লেখক : নির্বাসিত লেখিকা।

এই বিভাগের আরও খবর
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
সর্বশেষ খবর
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্প

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

২৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত
রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন

৪৩ মিনিট আগে | শোবিজ

ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’

৪৯ মিনিট আগে | শোবিজ

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৯ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম