শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

নির্বাচন কমিশনে নতুন হুদা-আজিজ যেন না আসে

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
নির্বাচন কমিশনে নতুন হুদা-আজিজ যেন না আসে

ঘটনাটি লিখেছেন ড. আকবর আলি খান। তাঁর ‘অবাক বাংলাদেশ, বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি’ শিরোনামে গ্রন্থের একটি প্রবন্ধের শিরোনাম ‘নির্বাচন পরিচালনা : আমার ভোট আমি দেব’। এ প্রবন্ধে আকবর আলি খান লিখেছেন, ‘উনিশ শ ষাটের দশকে তদানীন্তন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী সম্পর্কে একটি গল্প প্রচলিত ছিল। তার নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক ব্যক্তি বাস করতেন। তাদের কাছে ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই তারা কোনোমতেই ফজলুল কাদের চৌধুরীকে ভোট দেবেন না। অন্যদিকে সব সংখ্যালঘু ভোট তার বিপক্ষে চলে গেলে তার নির্বাচনে পাস করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হয়ে যায়। চৌধুরীর চেলারা তাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে ভোটারদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। চৌধুরী এ পরামর্শ গ্রহণ করেননি। তিনি সরাসরি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় যান এবং সেখানে তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ব্যবস্থা নেন। গ্রামের বৈঠকে তিনি প্রথমেই তার নিজের এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ এবং স্বাস্থ্য খাতে যেসব কাজ করেছেন সেগুলো তুলে ধরেন এবং প্রশ্ন করেন যে তিনি কি সত্যি কথা বলেছেন? সবাই এক সুরে বলে উঠলেন- চৌধুরী সাহেব যা বলেছেন তা ঠিক। এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন, এত কাজ করার পর জনসাধারণের পক্ষে তাকে ভোট দেওয়া ঠিক হবে কি হবে না। সবাই সমস্বরে বলে উঠলেন- তাকেই নির্বাচনে ভোট দেওয়া উচিত। এরপর চৌধুরী সাহেব বললেন, জনগণের স্বীকৃতিতে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত এবং তিনি মনে করেন যে তিনি ভোট পেয়ে গেছেন। তিনি তখন তাদের পরামর্শ দেন, আপনাদের কষ্ট করে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। আমি আপনাদের ভোট পেয়ে গেছি। আর সঙ্গের চামুন্ডাদের বলে দিলেন এ অঞ্চলের কোনো ভোটার যেন কষ্ট করে কেন্দ্রে না যায় তা নিশ্চিত করতে। সংখ্যালঘু ভোটাররা তার ইঙ্গিত বুঝতে পারেন এবং ভয়ে কেউ কেন্দ্রে হাজির হননি। বিপুল ভোটে ফজলুল কাদের চৌধুরী নির্বাচিত হন।’ (পৃষ্ঠা : ৩১৭, অবাক বাংলাদেশ : বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি)

ফ কা চৌধুরী ষাটের দশকে যে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের’ ফরমুলা আবিষ্কার করেছিলেন, নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গত প্রায় পাঁচ বছরে তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার এমন কোনো পথ নেই যা তাঁর নেতৃত্বে কমিশন পরীক্ষা করেনি। কারচুপি, ভোটাধিকার হরণের যত ফরমুলা আছে সবই প্রয়োগ হয়েছে হুদা কমিশনের আমলে বিভিন্ন নির্বাচনে। এখন নির্বাচন, ভোটের ফলাফল নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই। নির্বাচন কমিশনের কোনো কথা মানুষ এখন বিশ্বাস করে না। এ রকম ব্যর্থ ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন বিদায় নিচ্ছে এটাই হলো জাতির সব থেকে স্বস্তি। (ভাগ্যিস প্রধান নির্বাচন কমিশনারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিধান নেই।)

বিদায়ের আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশন শেষ বড় নির্বাচনের তদারকি করছে নারায়ণগঞ্জে। আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ভোটে যখন মানুষের তীব্র অরুচি, ভোট দেওয়ার ফ কা ফরমুলা যখন আবার জাঁকিয়ে বসেছে তখন হুদা কমিশনের জন্য নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচন এক বিরাট সুযোগ। নিরুত্তাপ হওয়ার হাত থেকে এ নির্বাচন রক্ষা করেছেন বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি প্রার্থী হওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জে ভোটের উত্তাপ তৈরি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান আর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর দীর্ঘদিনের বিরোধ এ নির্বাচনে নতুন সমীকরণ তৈরি করে। নির্বাচন কমিশন যদি অন্তত এ নির্বাচনে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াত, সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করত তাহলে একটা সুখস্মৃতি নিয়ে তারা বিদায় নিতে পারত। যাওয়ার আগে তাদের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা ও দায়িত্বহীনতার বিপরীতে একটা ভালো নির্বাচনের উদাহরণ থাকত। কিন্তু নির্বাচন জমে উঠতেই কমিশন দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। নির্বাচন সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে ধরপাকড়ের অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য হওয়ার পরও শামীম ওসমানের নৌকার পক্ষে প্রচারণার ঘোষণা আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যা বলেছেন তা রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার মতো। তিনি বলেছেন, ‘শামীম ওসমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেননি।’ অবুঝ সিইসিকে কে বোঝাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব অভিযোগ ও বিতর্কের মুখেই কাল নির্বাচন।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা স্টালিন ভোট সম্পর্কে এক মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘জনগণ যারা ভোট দেয়, তারা কিছুই নির্ধারণ করে না, যারা ভোট গণনা করে তারাই সবকিছু নির্ধারণ করে।’ একনায়ক স্টালিনের কথার প্রতিধ্বনি দেখা যায় হুদা কমিশন পরিচালিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয়। জনগণ ভোট দিল কি দিল না, কাকে দিল এসব আজকাল আর ব্যাপার নয়। ভোটের শেষে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি রিটার্নিং অফিসাররা যা বলেন তা-ই আসল। কেন্দ্র জনশূন্য থাকার পরও রিটার্নিং অফিসাররা দেখাচ্ছেন ৭০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এটাই এখন ভোট। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাবান প্রার্থী ঘোষণা করছেন তার বাইরে কাউকে ভোট দিতে চাইলে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। অনেক স্থানে বলা হচ্ছে, নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট না দিলে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। ইদানীং এসব কথা লুকিয়ে, গোপনে কেউ বলে না। প্রকাশ্যে বলে। এসব বলার পরও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বরং যে কোনো বাজে নির্বাচনের পরও দাঁত কেলিয়ে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে’ বলাটা নির্বাচন কমিশনের এক রোগে পরিণত হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন এসব সমালোচনা মোটেও গায়ে মাখে না। কে কী বলল না বলল তা নির্বাচন কমিশনের কিছুই যায় আসে না। বিশ্বে এই প্রথম একটি নির্বাচন কমিশন যেখানে সরকারি দল ও বিরোধী দল আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা আর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গত পাঁচ বছর একে অন্যের সমালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। নূরুল হুদা যেন আওয়ামী লীগকে জেতাতে মরিয়া। আর তালুকদার বিএনপির ভাষায় কথা বলতে ব্যাকুল। মাহবুব তালুকদারকে অবশ্য আমার নির্বাচন কমিশনার মনে হয় না। তাঁকে আমার বিরোধী দলের নেতা মনে হয়। একটি সাংবিধানিক পদে থাকা একজন ব্যক্তি এত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অনৈতিক হন কীভাবে তা আমার এক বড় প্রশ্ন। প্রতিটি নির্বাচনের পরই তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। নির্বাচন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন না করার ব্যর্থতা তাঁরও। তিনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করেন না কেন? গাড়ি, বাড়ি, বেতন, পিয়ন-চাপরাশি নিয়ে তিনি শুধু সমালোচনা করেন। এটা কি নৈতিক?

এ নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা এখন ধ্বংসস্তূপ। হুদা কমিশনের রাজত্বে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, ভোট ছাড়া নির্বাচন। একে বলা যেতে পারে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফরমুলার নির্বাচন। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার হয় না। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভোটারদের ‘মনের ভাব’ বুঝে ফেলেন। সে অনুযায়ী ভোট হয়ে যায়। এ ভোটে কোনো রক্তারক্তি নেই, খুনোখুনি নেই। নির্বাচন কর্তারাই নির্ধারণ করেন ভোটের ফলাফল। হুদা কমিশন আবিষ্কৃত দ্বিতীয় ধরনের ভোট আরও নিরাপদ। এখানে একাধিক প্রার্থী ফরম কিনছেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন দেখা যায় একজন ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। অন্য প্রার্থীদের ‘ম্যানেজ’ করা হয়। ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন ওই একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এটা অত্যন্ত আধুনিক ও ঝুঁকিহীন ভোটব্যবস্থা। এ ভোটে অর্থ খরচ কম, ভোট নিয়ে প্রচারণার জন্য শব্দদূষণের ঝুঁকি নেই। লোকজনের অযথা পরিশ্রমের দরকার নেই। হুদা কমিশন উদ্ভাবিত তৃতীয় ধরনের ভোটব্যবস্থা একটু সহিংস, ঝুঁকিপূর্ণ। একে ভোট না বলে যুদ্ধ বলা ভালো। এখানে মোটা দাগে দুটি পক্ষ থাকে। এরা নির্বাচনী প্রচারণা, জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনায় খুব একটা আগ্রহী থাকে না। চর দখলের মতো এরা এদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এলাকা দখলে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর চড়াও হয়। বেশ কিছু নিরীহ মানুষের প্রাণও যায়। তাতে কী, ভোটের অধিকারের জন্য রক্তদানের নজির তো এ দেশের পুরনো ইতিহাস। দুই পক্ষের খুনোখুনি-মারামারিতে যে পক্ষ জয়ী হয় কেন্দ্র তার। তিনিই ভোটে বিজয়ী। এ সহিংসতার সময় নির্বাচন কর্মকর্তারা খানিকটা বিশ্রামে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে যে কোনো একটা পক্ষকে সমর্থন দেয়। জনগণ ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। যুদ্ধ শেষে বিজয়ীকে কমিশন নির্বাচিত ঘোষণা করে।

নির্বাচন কমিশনের এ বেহাল দশার মধ্যেই শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশন বিদায় নেবে। হুদা কমিশনের বিদায়ের দিন দেশে ভোটমুক্তির উৎসবের দিন হতে পারে। এ কমিশন যেন মানুষের ভোটাধিকার বোতলবন্দি করে রেখেছিল। কিন্তু হুদা কমিশন বিদায় নিলেই কি মানুষ দলবেঁধে, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট উৎসব করবে? বর্তমান কমিশন চলে গেলেই কি জনগণের ভোটের অনীহা কেটে যাবে? আমি তা মনে করি না। হুদা কমিশনের পর আবার যদি একই ধরনের একটা নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় তাহলে হয়তো আমাদের ভোটব্যবস্থা আরও অন্ধকারে চলে যাবে। তা যদি হয় তাহলে গণতন্ত্র সংকটে পড়বে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংলাপ শুরু করেছেন। ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এ সংলাপ শেষ হবে। কিন্তু এ সংলাপ নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপিসহ দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এ সংলাপে যায়নি। আমি মনে করি বিএনপির এটি আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সব দলের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ভোটব্যবস্থার এই হালের জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোও কম দায়ী নয়। যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা নির্বাচনব্যবস্থা কলুষিত করেছে। জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। বিএনপি আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করে ভোটে জয়ী হতে চেয়েছিল। এরশাদ অনুগতদের নির্বাচন কমিশনে বসিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তামাশায় পরিণত করেছিলেন। বর্তমান সরকারও রকিব-হুদাদের কমিশনে বসিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছে। এবার আরেকটা হুদা কমিশন হলে তা হবে গোটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশে বহু যোগ্য ব্যক্তি আছেন। সরকারকে এখন সবার আস্থাভাজন ব্যক্তিদের নিয়ে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করতেই হবে। নূরুল হুদার মতো নির্বাচন কমিশন যদি আওয়ামী লীগ সরকার আবার গঠন করে তাহলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগই। এ দেশে গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে ত্যাগ স্বীকার করা দল আওয়ামী লীগ। এবার নির্বাচন কমিশন গঠন তাই আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। তবে একটি কথা মনে রাখা দরকার, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব নয়। বিরোধী দলেরও দায়িত্ব। বিরোধী দল যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, ভোটে উদ্বুদ্ধ করতে পারে তাহলে ক্ষমতাসীনরা কারচুপি করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনও যা খুশি করতে পারে না। এ নারায়ণগঞ্জেই ২০০৩ সালের পৌরসভা নির্বাচন তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তখনো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হয়নি। পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। সে সময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করা হলো। নির্বাচনী প্রচারে গেলেই বাধা, হামলা। নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের দেড় শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু আইভী দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে নির্বাচনের মাঠে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আইভী বিজয়ী হন। চট্টগ্রামে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী, ঢাকায় প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ মাটি কামড়ে থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেই জিতেছিলেন। ইদানীং বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হতে ‘জনগণ’ নয় ক্ষমতাসীন দলের ওপর নির্ভর করে। তারা মনে করে সরকার আদর-আপ্যায়ন করে তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেবে। কিন্তু নির্বাচনে কেউ তো কাউকে জামাই আদর করবে না। নির্বাচনে কীভাবে জয়ী হতে হয় সে শিক্ষা পাওয়া যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি থেকে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনের বিবরণ দিয়েছেন এভাবে- ‘ঢাকা থেকে পুলিশের প্রধানও গোপালগঞ্জে হাজির হয়ে পরিষ্কারভাবে তার কর্মচারীদের হুকুম দিলেন মুসলিম লীগকে সমর্থন করতে। ফরিদপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আলতাফ গওহর সরকারের পক্ষে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় সরকার তাকে বদলি করে আরেকজন কর্মচারী আনলেন। তিনি আমার এলাকায় গিয়ে নিজেই বক্তৃতা করতে শুরু করলেন এবং ইলেকশনের তিন দিন আগে সেন্টারগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেলেন, যেখানে জামান সাহেবের সুবিধা হতে পারে। আমার পক্ষে জনসাধারণ, ছাত্র ও যুবকরা কাজ করতে শুরু করল নিঃস্বার্থভাবে। নির্বাচনের চার দিন আগে শহীদ সাহেব সরকারি দলের ওইসব অপকীর্তির খবর পেয়ে হাজির হয়ে দুটো সভা করলেন। আর নির্বাচনের একদিন আগে মওলানা সাহেব হাজির হয়ে একটা সভা করলেন। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে খন্দকার শামসুল হক মোক্তার সাহেব, রহমত জান, শহীদুল ইসলাম ও ইমদাদকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে ফরিদপুর জেলে আটক করা হলো। একটা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে আরও প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়। শামসুল হক মোক্তার সাহেবকে জনসাধারণ ভালোবাসত। তাঁর কর্মীরা খুব নামকরা ছিল। আরও অনেককে গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র আমার কানে এলে তাদের আমি শহরে আসতে নিষেধ করে দিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা ছাড়া আশপাশের দুই এলাকাতে আমাকে যেতে হয়েছিল- যেমন যশোরের আবদুল হাকিম সাহেবের নির্বাচনী এলাকায়, ইনি পরে স্পিকার হন; এবং আবদুল খালেকের এলাকায়, ইনি পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন।

নির্বাচনে দেখা গেল ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব প্রায় ১০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জনসাধারণ আমাকে শুধু ভোটই দেয়নি, প্রায় পাঁচ হাজার টাকা নজরানা হিসেবে দিয়েছিল নির্বাচনে খরচ চালানোর জন্য। আমার ধারণা হয়েছিল, মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবনও দিতে পারে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী-শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা : ১৫৬-৫৭)।

রাজনীতি এবং নির্বাচনের মূল কথা এটাই, জনগণকে ভালোবাসতে হবে। জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কিন্তু এখন রাজনীতিতে তা কতটা আছে? রাজনীতিবিদরা জনগণের ওপর আস্থা কতটা রাখেন। জনগণের ওপর আস্থা থাকলে কেউ নির্বাচনে নয়ছয়ের কথা ভাবে না। হুদা কমিশনের মতো দৈত্যও রাষ্ট্রের ঘাড়ে চেপে বসে না। জনগণের ওপর আস্থাহীন রাজনীতি নির্বাচন কমিশনে হুদাদেরই খুঁজবে।

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার
হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি
টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে