শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২

নির্বাচন কমিশনে নতুন হুদা-আজিজ যেন না আসে

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
নির্বাচন কমিশনে নতুন হুদা-আজিজ যেন না আসে

ঘটনাটি লিখেছেন ড. আকবর আলি খান। তাঁর ‘অবাক বাংলাদেশ, বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি’ শিরোনামে গ্রন্থের একটি প্রবন্ধের শিরোনাম ‘নির্বাচন পরিচালনা : আমার ভোট আমি দেব’। এ প্রবন্ধে আকবর আলি খান লিখেছেন, ‘উনিশ শ ষাটের দশকে তদানীন্তন মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী সম্পর্কে একটি গল্প প্রচলিত ছিল। তার নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক ব্যক্তি বাস করতেন। তাদের কাছে ফজলুল কাদের চৌধুরীর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই তারা কোনোমতেই ফজলুল কাদের চৌধুরীকে ভোট দেবেন না। অন্যদিকে সব সংখ্যালঘু ভোট তার বিপক্ষে চলে গেলে তার নির্বাচনে পাস করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হয়ে যায়। চৌধুরীর চেলারা তাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে ভোটারদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। চৌধুরী এ পরামর্শ গ্রহণ করেননি। তিনি সরাসরি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় যান এবং সেখানে তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ব্যবস্থা নেন। গ্রামের বৈঠকে তিনি প্রথমেই তার নিজের এলাকায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ এবং স্বাস্থ্য খাতে যেসব কাজ করেছেন সেগুলো তুলে ধরেন এবং প্রশ্ন করেন যে তিনি কি সত্যি কথা বলেছেন? সবাই এক সুরে বলে উঠলেন- চৌধুরী সাহেব যা বলেছেন তা ঠিক। এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন, এত কাজ করার পর জনসাধারণের পক্ষে তাকে ভোট দেওয়া ঠিক হবে কি হবে না। সবাই সমস্বরে বলে উঠলেন- তাকেই নির্বাচনে ভোট দেওয়া উচিত। এরপর চৌধুরী সাহেব বললেন, জনগণের স্বীকৃতিতে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত এবং তিনি মনে করেন যে তিনি ভোট পেয়ে গেছেন। তিনি তখন তাদের পরামর্শ দেন, আপনাদের কষ্ট করে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। আমি আপনাদের ভোট পেয়ে গেছি। আর সঙ্গের চামুন্ডাদের বলে দিলেন এ অঞ্চলের কোনো ভোটার যেন কষ্ট করে কেন্দ্রে না যায় তা নিশ্চিত করতে। সংখ্যালঘু ভোটাররা তার ইঙ্গিত বুঝতে পারেন এবং ভয়ে কেউ কেন্দ্রে হাজির হননি। বিপুল ভোটে ফজলুল কাদের চৌধুরী নির্বাচিত হন।’ (পৃষ্ঠা : ৩১৭, অবাক বাংলাদেশ : বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি)

ফ কা চৌধুরী ষাটের দশকে যে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের’ ফরমুলা আবিষ্কার করেছিলেন, নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গত প্রায় পাঁচ বছরে তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার এমন কোনো পথ নেই যা তাঁর নেতৃত্বে কমিশন পরীক্ষা করেনি। কারচুপি, ভোটাধিকার হরণের যত ফরমুলা আছে সবই প্রয়োগ হয়েছে হুদা কমিশনের আমলে বিভিন্ন নির্বাচনে। এখন নির্বাচন, ভোটের ফলাফল নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই। নির্বাচন কমিশনের কোনো কথা মানুষ এখন বিশ্বাস করে না। এ রকম ব্যর্থ ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন বিদায় নিচ্ছে এটাই হলো জাতির সব থেকে স্বস্তি। (ভাগ্যিস প্রধান নির্বাচন কমিশনারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিধান নেই।)

বিদায়ের আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশন শেষ বড় নির্বাচনের তদারকি করছে নারায়ণগঞ্জে। আগামীকাল (১৬ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ভোটে যখন মানুষের তীব্র অরুচি, ভোট দেওয়ার ফ কা ফরমুলা যখন আবার জাঁকিয়ে বসেছে তখন হুদা কমিশনের জন্য নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচন এক বিরাট সুযোগ। নিরুত্তাপ হওয়ার হাত থেকে এ নির্বাচন রক্ষা করেছেন বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি প্রার্থী হওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জে ভোটের উত্তাপ তৈরি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান আর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর দীর্ঘদিনের বিরোধ এ নির্বাচনে নতুন সমীকরণ তৈরি করে। নির্বাচন কমিশন যদি অন্তত এ নির্বাচনে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াত, সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করত তাহলে একটা সুখস্মৃতি নিয়ে তারা বিদায় নিতে পারত। যাওয়ার আগে তাদের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা ও দায়িত্বহীনতার বিপরীতে একটা ভালো নির্বাচনের উদাহরণ থাকত। কিন্তু নির্বাচন জমে উঠতেই কমিশন দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। নির্বাচন সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে ধরপাকড়ের অভিযোগ উঠেছে। সংসদ সদস্য হওয়ার পরও শামীম ওসমানের নৌকার পক্ষে প্রচারণার ঘোষণা আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যা বলেছেন তা রীতিমতো ভিরমি খাওয়ার মতো। তিনি বলেছেন, ‘শামীম ওসমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেননি।’ অবুঝ সিইসিকে কে বোঝাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব অভিযোগ ও বিতর্কের মুখেই কাল নির্বাচন।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা স্টালিন ভোট সম্পর্কে এক মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘জনগণ যারা ভোট দেয়, তারা কিছুই নির্ধারণ করে না, যারা ভোট গণনা করে তারাই সবকিছু নির্ধারণ করে।’ একনায়ক স্টালিনের কথার প্রতিধ্বনি দেখা যায় হুদা কমিশন পরিচালিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয়। জনগণ ভোট দিল কি দিল না, কাকে দিল এসব আজকাল আর ব্যাপার নয়। ভোটের শেষে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি রিটার্নিং অফিসাররা যা বলেন তা-ই আসল। কেন্দ্র জনশূন্য থাকার পরও রিটার্নিং অফিসাররা দেখাচ্ছেন ৭০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এটাই এখন ভোট। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাবান প্রার্থী ঘোষণা করছেন তার বাইরে কাউকে ভোট দিতে চাইলে কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। অনেক স্থানে বলা হচ্ছে, নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট না দিলে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। ইদানীং এসব কথা লুকিয়ে, গোপনে কেউ বলে না। প্রকাশ্যে বলে। এসব বলার পরও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বরং যে কোনো বাজে নির্বাচনের পরও দাঁত কেলিয়ে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে’ বলাটা নির্বাচন কমিশনের এক রোগে পরিণত হয়েছে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন এসব সমালোচনা মোটেও গায়ে মাখে না। কে কী বলল না বলল তা নির্বাচন কমিশনের কিছুই যায় আসে না। বিশ্বে এই প্রথম একটি নির্বাচন কমিশন যেখানে সরকারি দল ও বিরোধী দল আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা আর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার গত পাঁচ বছর একে অন্যের সমালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। নূরুল হুদা যেন আওয়ামী লীগকে জেতাতে মরিয়া। আর তালুকদার বিএনপির ভাষায় কথা বলতে ব্যাকুল। মাহবুব তালুকদারকে অবশ্য আমার নির্বাচন কমিশনার মনে হয় না। তাঁকে আমার বিরোধী দলের নেতা মনে হয়। একটি সাংবিধানিক পদে থাকা একজন ব্যক্তি এত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অনৈতিক হন কীভাবে তা আমার এক বড় প্রশ্ন। প্রতিটি নির্বাচনের পরই তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। নির্বাচন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন না করার ব্যর্থতা তাঁরও। তিনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করেন না কেন? গাড়ি, বাড়ি, বেতন, পিয়ন-চাপরাশি নিয়ে তিনি শুধু সমালোচনা করেন। এটা কি নৈতিক?

এ নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা এখন ধ্বংসস্তূপ। হুদা কমিশনের রাজত্বে বাংলাদেশের নির্বাচনগুলোকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, ভোট ছাড়া নির্বাচন। একে বলা যেতে পারে ফজলুল কাদের চৌধুরী ফরমুলার নির্বাচন। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার হয় না। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভোটারদের ‘মনের ভাব’ বুঝে ফেলেন। সে অনুযায়ী ভোট হয়ে যায়। এ ভোটে কোনো রক্তারক্তি নেই, খুনোখুনি নেই। নির্বাচন কর্তারাই নির্ধারণ করেন ভোটের ফলাফল। হুদা কমিশন আবিষ্কৃত দ্বিতীয় ধরনের ভোট আরও নিরাপদ। এখানে একাধিক প্রার্থী ফরম কিনছেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন দেখা যায় একজন ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। অন্য প্রার্থীদের ‘ম্যানেজ’ করা হয়। ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন ওই একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এটা অত্যন্ত আধুনিক ও ঝুঁকিহীন ভোটব্যবস্থা। এ ভোটে অর্থ খরচ কম, ভোট নিয়ে প্রচারণার জন্য শব্দদূষণের ঝুঁকি নেই। লোকজনের অযথা পরিশ্রমের দরকার নেই। হুদা কমিশন উদ্ভাবিত তৃতীয় ধরনের ভোটব্যবস্থা একটু সহিংস, ঝুঁকিপূর্ণ। একে ভোট না বলে যুদ্ধ বলা ভালো। এখানে মোটা দাগে দুটি পক্ষ থাকে। এরা নির্বাচনী প্রচারণা, জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনায় খুব একটা আগ্রহী থাকে না। চর দখলের মতো এরা এদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এলাকা দখলে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর চড়াও হয়। বেশ কিছু নিরীহ মানুষের প্রাণও যায়। তাতে কী, ভোটের অধিকারের জন্য রক্তদানের নজির তো এ দেশের পুরনো ইতিহাস। দুই পক্ষের খুনোখুনি-মারামারিতে যে পক্ষ জয়ী হয় কেন্দ্র তার। তিনিই ভোটে বিজয়ী। এ সহিংসতার সময় নির্বাচন কর্মকর্তারা খানিকটা বিশ্রামে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে যে কোনো একটা পক্ষকে সমর্থন দেয়। জনগণ ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। যুদ্ধ শেষে বিজয়ীকে কমিশন নির্বাচিত ঘোষণা করে।

নির্বাচন কমিশনের এ বেহাল দশার মধ্যেই শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশন বিদায় নেবে। হুদা কমিশনের বিদায়ের দিন দেশে ভোটমুক্তির উৎসবের দিন হতে পারে। এ কমিশন যেন মানুষের ভোটাধিকার বোতলবন্দি করে রেখেছিল। কিন্তু হুদা কমিশন বিদায় নিলেই কি মানুষ দলবেঁধে, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট উৎসব করবে? বর্তমান কমিশন চলে গেলেই কি জনগণের ভোটের অনীহা কেটে যাবে? আমি তা মনে করি না। হুদা কমিশনের পর আবার যদি একই ধরনের একটা নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় তাহলে হয়তো আমাদের ভোটব্যবস্থা আরও অন্ধকারে চলে যাবে। তা যদি হয় তাহলে গণতন্ত্র সংকটে পড়বে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংলাপ শুরু করেছেন। ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে এ সংলাপ শেষ হবে। কিন্তু এ সংলাপ নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপিসহ দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এ সংলাপে যায়নি। আমি মনে করি বিএনপির এটি আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সব দলের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ভোটব্যবস্থার এই হালের জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোও কম দায়ী নয়। যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা নির্বাচনব্যবস্থা কলুষিত করেছে। জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। বিএনপি আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করে ভোটে জয়ী হতে চেয়েছিল। এরশাদ অনুগতদের নির্বাচন কমিশনে বসিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তামাশায় পরিণত করেছিলেন। বর্তমান সরকারও রকিব-হুদাদের কমিশনে বসিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছে। এবার আরেকটা হুদা কমিশন হলে তা হবে গোটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশে বহু যোগ্য ব্যক্তি আছেন। সরকারকে এখন সবার আস্থাভাজন ব্যক্তিদের নিয়ে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করতেই হবে। নূরুল হুদার মতো নির্বাচন কমিশন যদি আওয়ামী লীগ সরকার আবার গঠন করে তাহলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগই। এ দেশে গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে ত্যাগ স্বীকার করা দল আওয়ামী লীগ। এবার নির্বাচন কমিশন গঠন তাই আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। তবে একটি কথা মনে রাখা দরকার, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশন ও ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব নয়। বিরোধী দলেরও দায়িত্ব। বিরোধী দল যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, ভোটে উদ্বুদ্ধ করতে পারে তাহলে ক্ষমতাসীনরা কারচুপি করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনও যা খুশি করতে পারে না। এ নারায়ণগঞ্জেই ২০০৩ সালের পৌরসভা নির্বাচন তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তখনো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন হয়নি। পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। সে সময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করা হলো। নির্বাচনী প্রচারে গেলেই বাধা, হামলা। নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের দেড় শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু আইভী দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে নির্বাচনের মাঠে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আইভী বিজয়ী হন। চট্টগ্রামে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী, ঢাকায় প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ মাটি কামড়ে থেকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেই জিতেছিলেন। ইদানীং বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হতে ‘জনগণ’ নয় ক্ষমতাসীন দলের ওপর নির্ভর করে। তারা মনে করে সরকার আদর-আপ্যায়ন করে তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দেবে। কিন্তু নির্বাচনে কেউ তো কাউকে জামাই আদর করবে না। নির্বাচনে কীভাবে জয়ী হতে হয় সে শিক্ষা পাওয়া যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি থেকে। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু তাঁর নির্বাচনের বিবরণ দিয়েছেন এভাবে- ‘ঢাকা থেকে পুলিশের প্রধানও গোপালগঞ্জে হাজির হয়ে পরিষ্কারভাবে তার কর্মচারীদের হুকুম দিলেন মুসলিম লীগকে সমর্থন করতে। ফরিদপুর জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আলতাফ গওহর সরকারের পক্ষে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় সরকার তাকে বদলি করে আরেকজন কর্মচারী আনলেন। তিনি আমার এলাকায় গিয়ে নিজেই বক্তৃতা করতে শুরু করলেন এবং ইলেকশনের তিন দিন আগে সেন্টারগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গেলেন, যেখানে জামান সাহেবের সুবিধা হতে পারে। আমার পক্ষে জনসাধারণ, ছাত্র ও যুবকরা কাজ করতে শুরু করল নিঃস্বার্থভাবে। নির্বাচনের চার দিন আগে শহীদ সাহেব সরকারি দলের ওইসব অপকীর্তির খবর পেয়ে হাজির হয়ে দুটো সভা করলেন। আর নির্বাচনের একদিন আগে মওলানা সাহেব হাজির হয়ে একটা সভা করলেন। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে খন্দকার শামসুল হক মোক্তার সাহেব, রহমত জান, শহীদুল ইসলাম ও ইমদাদকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে ফরিদপুর জেলে আটক করা হলো। একটা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে আরও প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দেওয়া হয়। শামসুল হক মোক্তার সাহেবকে জনসাধারণ ভালোবাসত। তাঁর কর্মীরা খুব নামকরা ছিল। আরও অনেককে গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র আমার কানে এলে তাদের আমি শহরে আসতে নিষেধ করে দিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা ছাড়া আশপাশের দুই এলাকাতে আমাকে যেতে হয়েছিল- যেমন যশোরের আবদুল হাকিম সাহেবের নির্বাচনী এলাকায়, ইনি পরে স্পিকার হন; এবং আবদুল খালেকের এলাকায়, ইনি পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন।

নির্বাচনে দেখা গেল ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব প্রায় ১০ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জনসাধারণ আমাকে শুধু ভোটই দেয়নি, প্রায় পাঁচ হাজার টাকা নজরানা হিসেবে দিয়েছিল নির্বাচনে খরচ চালানোর জন্য। আমার ধারণা হয়েছিল, মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবনও দিতে পারে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী-শেখ মুজিবুর রহমান, পৃষ্ঠা : ১৫৬-৫৭)।

রাজনীতি এবং নির্বাচনের মূল কথা এটাই, জনগণকে ভালোবাসতে হবে। জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কিন্তু এখন রাজনীতিতে তা কতটা আছে? রাজনীতিবিদরা জনগণের ওপর আস্থা কতটা রাখেন। জনগণের ওপর আস্থা থাকলে কেউ নির্বাচনে নয়ছয়ের কথা ভাবে না। হুদা কমিশনের মতো দৈত্যও রাষ্ট্রের ঘাড়ে চেপে বসে না। জনগণের ওপর আস্থাহীন রাজনীতি নির্বাচন কমিশনে হুদাদেরই খুঁজবে।

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন
দিনাজপুরে ফারিয়ার মানববন্ধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু
ওয়েস্টিনে অ্যারাবিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ
গাইান্ধায় আইএলএসটি শিক্ষার্থীদের টেবিল-চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর
মুন্সীগঞ্জে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল নারীর

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার
ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ
চাপে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করছে ইইউ

পূর্ব-পশ্চিম

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলার জালে শোবিজ তারকারা
মামলার জালে শোবিজ তারকারা

শোবিজ

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা