শনিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্যবিধি

জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ যখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে এবং মৃত্যুশূন্য দিনও পার করেছে, তখনই কয়েকটি দেশে রোগটির নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণের খবর নিঃসন্দেহে আমাদের উৎকণ্ঠায় ফেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বতসোয়ানায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে নেওয়া টিকা ওমিক্রন প্রতিরোধে কার্যকর হবে কি না সে প্রশ্নও উঠেছে। সরকারি হিসাবেই গত কয়েক দিনে করোনায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ডিসেম্বরের শুরুতে যেখানে দেড় শতাংশের কম ছিল, ডিসেম্ব^রের শেষে এসে দেখা যাচ্ছে সে হার ২ দশমিক ৭৪ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে করোনায় মৃত্যুহারও বাড়ছে। এক দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন রোগী শনাক্তের হারও ১২ শতাংশের বেশি। আর ৮৮ দিন পর আবারও এক দিনে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০ ছাড়াল। বৃহস্পতিবার করোনা প্রতিরোধে দেশে নতুন বিধিনিষেধের শুরুর দিনে স্বাস্থ্য অধিদফতর এসব তথ্য জানিয়েছে। বিপরীতে দেশজুড়েই স্বাস্থ্যবিধি মানায় চরম উদাসীনতা দেখা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতের মধ্যে ছয় পুরুষ, ছয় নারী। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নতুন ১১ দফা স্বাস্থ্যবিধি জারি করলেও অনেকে তা মানছেন না। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার, খাবারের দোকান, জনসমাগম বেশি হয় এমন জায়গাসহ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। সরকারি বিধিনিষেধে বলা হয়েছে- অফিস-আদালত, দোকান, শপিং মল, কাঁচাবাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ জনসমাগম বেশি এমন স্থানে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। রাজধানীতে স্বাস্থ্যবিধি মানায় দেখা গেছে উদাসীনতা। সরকারের পক্ষ থেকেও ছিল না কঠোর নজরদারি। রাজধানীর বাজারগুলোয় বিক্রেতার বেশির ভাগই মাস্ক পরতে সরকারি নির্দেশনা জানেনই না। বিক্রেতার পাশাপাশি বেশির ভাগ ক্রেতাকে মাস্ক

পরা অবস্থায় দেখা যায়নি। অনেকের সঙ্গে মাস্ক থাকলেও ব্যবহারে ছিলেন উদাসীন। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর