শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২১ মে, ২০২২

গ্রিনরুমে এক-এগারোর কুশীলবরা

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রিনরুমে এক-এগারোর কুশীলবরা

দেশজুড়ে এক ধরনের অস্থিরতা। ভোজ্য তেল উধাও হচ্ছে বাজার থেকে। জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে মুখর পন্ডিতরা। পি কে হালদারের কাহিনি এখন মুখরোচক আলোচনার বিষয়। সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের ওপর বিদেশযাত্রাসংক্রান্ত এক অদ্ভুত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যার শিরোনামে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রা সীমিতকরণ আবার ভিতরে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রা বন্ধ। এর মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক সংকটকেই কবুল করা হয়েছে। ডলারের বাজার অস্থির। তেলের মতো ডলারের আকাল। সবকিছু দেখে-শুনে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বিপন্ন বিস্ময়- কী হচ্ছে দেশে? সবকিছু কি ঠিক আছে? সবকিছু জানা-বোঝার উপায় হলো গণমাধ্যম। মূলধারার গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ফেসবুক আর ইউটিউব দেখলে মনে হবে দেশে কোনো সরকার নেই। সরকারের পতন বোধহয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবিড় তথ্যসন্ত্রাসে মূলধারার গণমাধ্যমও যেন উজ্জীবিত। দেশের সংবাদপত্রগুলোয় সুখবর নেই। দু-একটি গণমাধ্যম যেন জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর ঠিকাদারি নিয়েছে। ভোজ্য তেল, পিঁয়াজের মধ্যে তারা আর সীমাবদ্ধ নেই। সাবান, টুথপেস্টের মূল্যবৃদ্ধির মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আটা-ময়দার বিশ্ববাজার ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে গণমাধ্যমে খবর বেরোল, বাংলাদেশের ৪৫ ভাগ গম আসে ইউক্রেন থেকে। আর যায় কই। পরদিন আটা-ময়দার দাম বাড়ল ২ টাকা। প্রতিদিন কোনো না কোনো সংবাদপত্রে বাজার নিয়ে আহাজারি, আর্তনাদ। আর টকশো শুনলে মনে হয় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেল বলে! সাদামাটা চোখে মনে হতে পারে, এ সরকার বোধহয় সবকিছু ঠিকঠাকমতো চালাতে পারছে না। সরকার বোধহয় খেই হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি অনাস্থা জানায়। আর এ নীলনকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা। অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। এর শিরোনামে তিনি লিখেছেন- ‘দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’। কিছুদিন ধরে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী শেখ হাসিনাকে একজন দার্শনিক রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিশ্বরাজনীতিতে দার্শনিক রাজনীতিবিদ খুব কমই পাওয়া যায়। ভøাদিমির ইলিচ লেনিন ছিলেন দার্শনিক রাজনীতিবিদ। নেতাজি সুভাষ বোস, মহাত্মা গান্ধী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, নেলসন ম্যান্ডেলা এঁরা প্রত্যেকেই দার্শনিক রাজনীতিবিদ। একটি দর্শনের জন্ম দিয়েছেন এবং সে দর্শন বাস্তবায়নের জন্য সংগ্রাম করেছেন। একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনাও একটি দর্শন ঘিরে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার দর্শন হলো ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’। অনেকেই হয়তো জানেন না, ২০২২ সালে এ দর্শনটি বিশ্বশান্তির দর্শন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যগুলোকে রাজনীতির মেঠো বক্তৃতা ভেবে হালকাভাবে নিলে বড্ড ভুল হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি বক্তব্যেরই একটি গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য ও দর্শন আছে। গত সপ্তাহজুড়ে তিনি তাঁর বক্তব্যে ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গ আনছেন। দু-একটি গণমাধ্যমের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পত্রিকা পড়ে আমি দেশ চালাই না’। শ্রীলঙ্কায় দুর্যোগের পর এ দেশের কিছু গণমাধ্যম কয়েকজন সুশীলের বক্তব্য সামনে নিয়ে আসে। এ বক্তব্যে সুশীল পন্ডিতরা বাংলাদেশের পরিণতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে চাপা উল্লাসে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী তীব্র ভাষায় এর জবাব দেন। এ বিষয়টি তিনি আরও খোলাসা করেন মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভার সূচনা বক্তব্যে। শেখ হাসিনা কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘তারাই বেশি কথা বলেন, তারাই সমালোচনা বেশি করেন যারা ইমারজেন্সি সরকারের পদলেহন করেছেন। চাটুকারি করেছেন।’ পরদিন (১৮ মে) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এ বিষয়টি আরও বিস্তৃত পটভূমিতে তুলে ধরেন। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় তাঁকে দেশে আসতে না দেওয়াসহ ওই সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ এনে দুই সুশীল শিরোমণির সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনার সব বক্তব্য একত্রিত করে বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এখন বেশ জোরেশোরে চলছে। দেশের সুশীলসমাজের একটি অংশ এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছেন। কিছু সুশীল গণমাধ্যমকে সরকারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।

কদিন আগে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় সরকারের এক ফরমুলা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। জাতীয় সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অধ্যাপক রেহমান সোবহান ও ড. কামাল হোসেনের নাম প্রস্তাব করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম প্রস্তাব করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তাঁকে আবার স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। জাতীয় সরকারে রাখার জন্য ডা. জাফরুল্লাহর প্রস্তাবে যাঁদের কথা বলা হয়েছে তাঁদের বেশ কয়েকজন ওয়ান-ইলেভেনের খেলোয়াড়। এ নাম দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের বিভ্রান্ত করার এক সচেতন চেষ্টাও লক্ষ্য করা যায়। জাতির পিতার ছোট কন্যা শেখ রেহানাকে জাতীয় সরকারে রাখার ন্যক্কারজনক ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। আবার লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার কন্যাকে জাতীয় সরকারের হিসসা দেওয়ার উদ্ভট প্রস্তাব আছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটি বোধহয় বার্ধক্যজনিত বালখিল্য। কিন্তু একটু গভীরভাবে তাঁর জাতীয় সরকারের ফরমুলা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এর মাধ্যমে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের মাঠে নামানোর এক পরিকল্পিত প্রয়াস রয়েছে। আরও লক্ষণীয় যে এ-জাতীয় সরকারের তত্ত্ব মাঠে হাজির করার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু ব্যক্তি সরব হয়েছেন, এঁরা এক-এগারোর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত এবং অনির্বাচিত সরকারের সুবিধাভোগী। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এ উচ্চারণে তাঁদের দুঃখের চেয়ে উল্লাসই যেন বেশি। রেমিট্যান্স কমেছে, এ তথ্য দিতে গিয়ে তাঁদের মুখের কোণে হালকা হাসি যেন আর গোপন থাকে না। ওয়ান-ইলেভেনে এসব ব্যক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিত যেসব গণমাধ্যম, তারা এখন সরকারের ছিদ্রান্বেষণে যেন অণুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে নেমেছে। কিছু কিছু গণমাধ্যম যেন এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ওই সমালোচনা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তাহলে তা ভয়ের কারণ বটে। কিছু কিছু পত্রিকা সে কাজটিই করছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দেশটাকে ঝুঁকিপূর্ণ, সংকটময় দেখানোর চেষ্টা চলছে। সরকার ব্যর্থ এটি প্রমাণ করতে মরিয়া একটি মহল। শুধু মুখের কথায় বিভ্রান্ত মানুষ হয় না, এটা বোঝার জন্য তো বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। এ কারণে সরকারের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল সক্রিয়। এরা এমন কিছু কান্ড করছে যাতে সুশীল এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের বক্তব্য সত্য বলে প্রমাণিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যাঁরা আছেন তাঁরা সরকারকে জনগণের প্রতিপক্ষ করার শপথ নিয়েছেন। এমন সব কর্মকান্ড তাঁরা করেছেন যাতে মনে হয় এ সরকার অক্ষম, অযোগ্য ও দুর্বল। বাজারের ওপর তাঁদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার বিভিন্ন কারণে নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণার কী দরকার ছিল? এটি সাধারণ মানুষের কাছে সুশীলদের বক্তব্যকে বিশ্বাসযোগ্য করেছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের বাজারে। ডলারের কেবল দাম বাড়েনি, দুষ্প্রাপ্যও হয়েছে। এ সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা সুযোগসন্ধানী। তারা সব সময় মানুষকে জিম্মি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চায়। এরা ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে ডলার সব মজুদ করে। বিদেশে অর্থ পাচার করে। পি কে হালদার এদের ভালো বিজ্ঞাপন। দেশকে অস্থির-অস্থিতিশীল করতে পারলেই এদের পোয়াবারো। এদের কারণে গণতান্ত্রিক সরকার সংকটে পড়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তি ডালপালা মেলে। এরাও এখন মাঠে সক্রিয়। বাংলাদেশের কিছু উন্নয়ন সহযোগী আছে যারা দেশে শক্তিশালী সরকার চায় না। ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এদের অস্বস্তিতে ফেলে। রাজনীতিবিদদের চেয়ে এরা সুশীল বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পছন্দ করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নয় বরং এ দেশের বাজার দখলই তাদের প্রধান স্বার্থ। মুখে এরা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকারের কথা বলে কিন্তু বাস্তবে এসব বিরোধী শক্তির সঙ্গেই এ দেশগুলো গোপন সখ্য গড়ে তোলে। এসব শক্তি যখন একত্রিত হয় তখনই একটি সরকার সংকটে পড়ে। তখনই অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি হয়। আমরা যদি স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব, একটি সুশীল গোষ্ঠী, কিছু গণমাধ্যম, সরকারের ভিতর থাকা কিছু ষড়যন্ত্রকারী এবং আন্তর্জাতিক চক্র এক হয়েই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ইতিহাসের জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের পর সংবিধানকে বাক্সবন্দি করা হলো। ’৭৫-এর প্রেক্ষাপট একটু খতিয়ে দেখা যাক। হলিডে ও গণকণ্ঠ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। একশ্রেণির ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী দেশ গেল বলে আর্তনাদ করেছিল। মুনাফাখোর, কালোবাজারি, মজুদদাররা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছিল। সরকারের ভিতরের মোশতাকরা অন্তর্ঘাত ঘটাচ্ছিল। আর আন্তর্জাতিক কিছু সম্প্রদায় মুজিবের হিমালয়সম ব্যক্তিত্ব আর জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েছিল। সব মিলিয়ে ’৭৫-এর ট্র্যাজেডি। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভা ছিল একটা আইওয়াশ। জিয়া সামনে আসার পর ’৭৫-এর ৭ নভেম্বর একটি অসাংবিধানিক উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। সে সময়ের নামকরা পন্ডিত ও সুশীলরা ধেইধেই করে নাচতে নাচতে ওই উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের দু-এক জনের নাম উল্লেখ করতেই হয়। ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আকবর কবির (খুশী কবিরের পিতা), ড. মোজাফফর আহমেদ, ড. এম আর খান। সমাজের এই বিশিষ্টজনেরা সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তেলেননি। শিশু রাসেলকে হত্যা যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন সে প্রশ্নটি পর্যন্ত করেননি। ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে তাঁরা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সব ভুলে গিয়েছিলেন। সুশীলদের উপদেষ্টা (মন্ত্রী) হতে ভোট চাইতে হয়নি। জনগণের কথাও চিন্তা করতে হয়নি।

জিয়ার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় দফা সংবিধান লঙ্ঘন হয় তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের নেতৃত্বে। বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। এরশাদের ক্ষমতা দখলের আগে একই ফরমুলার নিবিড় বাস্তবায়ন। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতি। বাজার থেকে আদা-রসুন উধাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। মন্ত্রীর বাসা থেকে খুনের আসামি গ্রেফতার। দেশ চলছে না বলে কিছু গণমাধ্যমের নিরবচ্ছিন্ন ক্যাম্পেইন। কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের বিরামহীন তৎপরতা। তারপর এক প্রত্যুষে উর্দি পরে টেলিভিশনের সামনে হাজির হলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধান স্থগিত হলো। মৌলিক অধিকার হরণ করা হলো। আবার মঞ্চে উদ্ভাসিত হলেন আমাদের পরম পূজনীয় সুশীলরা। এরশাদের উপদেষ্টা পরিষদ যাঁরা অলংকৃত করলেন তাঁদের কয়েকজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, ডা. শাফিয়া খাতুন, ড. এ মজিদ খান, এম সাইদুজ্জামান, সদ্যপ্রয়াত এ এম এ মুহিত, এ আর এস দোহা প্রমুখ। এরশাদ হটাতে নয় বছর আন্দোলন করতে হয়েছে এ দেশের মানুষকে। ২০০৭ সালের অনির্বাচিত সরকার এসেছিল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’সংক্রান্ত সাংবিধানিক ব্যবস্থার ফাঁক গলে। ২০০৭-এর সেনাসমর্থিত অনির্বাচিত সরকারের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য দুটোই ছিল ভিন্ন প্রকৃতির এবং বড় অবয়বে। ’৯০-এর এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ধারার সূচনা হয়। কিন্তু এ গণতন্ত্রের নাটাই ছিল অনির্বাচিত সুশীলদের হাতে। বিধান রাখা হয় যে নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনকালীন এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে দেওয়া হয় অসীম ক্ষমতা। ১৯৯১, ’৯৬, ও ২০০১- তিন মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে দলকে চেয়েছে তাকেই ক্ষমতায় এনেছে। আপাতনিরপেক্ষ নির্বাচনের আড়ালে আসলে ক্ষমতার চাবি চলে গেছে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে। ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাই ধরা যাক। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এ সরকার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল। নির্বাচনের আগেই হেরে গেল আওয়ামী লীগ। তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনই ছিল রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে পরিচালিত। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় ২০০১ সালে। যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতন, নিপীড়ন এমন জায়গায় পৌঁছে যে মানুষ ওই সরকারকে হটাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। জনগণের এ জাগরণ সুশীলদের ভীত করেছিল। এজন্য শুরু হয় প্রচারণা। বিএনপি ভালো না। আওয়ামী লীগও খারাপ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই ব্যর্থ। এ রকম একটি প্রচারণার মাধ্যমে সুশীলদের মাঠে নামানোর মঞ্চ প্রস্তুত হয়। সুশীলদের নেতা নির্বাচন করা হয় আন্তর্জাতিক উদ্যোগে। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় শান্তির নোবেল। চারদিক ব্যর্থতা, হাহাকার দেখিয়ে ভীতির সঞ্চার করা হয় জনমনে। তারপর মঞ্চে আবির্ভূত হন সুশীলরা। সংবিধান অনুযায়ী একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন। কিন্তু সুশীল সংবিধান বিশেষজ্ঞ ফতোয়া দিলেন ‘সব ঠিক আছে’। কিন্তু দার্শনিক শেখ হাসিনা বুঝলেন এটা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সংবিধান লঙ্ঘন। জনগণের অধিকার হরণ। তাই আবার তিনি ডাক দিলেন। জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করলেন। শেখ হাসিনা বুঝেছিলেন জনগণের ক্ষমতার চাবিটা সুশীলদের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ নামে সিন্দুকে বন্দি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলো। তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এত দীর্ঘ দিবস-রজনী ক্ষমতা থেকে দূরে থাকাটা সুশীলদের কীভাবে সহ্য হবে? তাই শুরু হয়েছে সেই পুরনো খেলা। চারদিকে হতাশার নানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে। কয়েকজন সুশীল, তাঁদের নিয়ন্ত্রিত কিছু গণমাধ্যম, কিছু মতলববাজ সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্ত, ক্ষমতার মধু খাওয়া কিছু নব্য মোশতাক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ (যারা এখনো নিজেদের প্রভু ভাবেন) আরেকটি এক-এগারোর আয়োজন করছেন। যেহেতু শেখ হাসিনা একজন দার্শনিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ সেজন্য তিনি আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি জানেন, জনগণই তাঁর শক্তি। এজন্য জনগণকে তিনি আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার আগে কলাকুশলীরা গ্রিনরুমে অপেক্ষা করেন। এক-এগারোর কুশীলবরা গ্রিনরুমে ঢুকে গেছেন। শেখ হাসিনা কি পারবেন তাঁদের মঞ্চে প্রবেশ ঠেকাতে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
চূড়ান্ত বিজয় সত্যের আশুরা ও কারবালার বড় শিক্ষা
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
গণতন্ত্র : কোথায় তারে পাই
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মার্কিন শুল্ক তাণ্ডব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
মানবকল্যাণ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
আমলাতন্ত্রের ছায়াতলে আমজনতা
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
নির্বাচনের ধোঁয়াশা কাটছে, প্রস্তুত জনগণ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সিরাজদীখানে জমির বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেই আলফি পাস করেছে
সেই আলফি পাস করেছে

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল
শেরাটনে কোস্টাল কার্নিভাল

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি
চমেক শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার
শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে আসা হাজতি নারায়ণগঞ্জে গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা
মুকসুদপুরে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক
পুশইনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে : বিজিবি মহাপরিচালক

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ শিক্ষকের ৫ পরীক্ষার্থী, পাস করেছে মাত্র একজন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য
পটুয়াখালীর চারটি স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় পাস শূন্য

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস
বিএনপির সাবেক সেক্রেটারিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী খালাস

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২
মাঝআকাশে দুই প্রশিক্ষণ প্লেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভারতীয় পাইলটসহ নিহত ২

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে
বেনাপোল দিয়ে উপহারের আম গেল ভারতে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫
একই স্কুলের ৩২০ জনের সবাই পেল জিপিএ-৫

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য
মোংলা বন্দরে গত অর্থবছরে সকল লক্ষমাত্রায়ই সাফল্য

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা
কুলাউড়ায় বর্জ্য অপসারণে পৌরসভা-ব্যবসায়ীদের সভা

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’ 
বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
খুবিতে ‘ট্রান্সফরমেটিভ রিসার্চ’  বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৬৮.৪৫, যেভাবে জানবেন ফলাফল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি
আরও একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৮.৪৫

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন
দুই সপ্তাহ তেল ছাড়া খাবার খেলেই শরীরে দেখা দেবে যেসব পরিবর্তন

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বন্যায় তিন বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়
পরিচালকের সঙ্গে পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা ও ৭৫ লাখ দাবি: ‘বাহুবলীর রাজমাতার’ পুরনো বিতর্ক ফের চর্চায়

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য
এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাফল্য

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
সেপটিক ট্যাংক থেকে ৪ তরুণের মরদেহ উদ্ধার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা
ইসরায়েলি সামরিক বহরে কাসাম বিগ্রেডের হামলা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!
ঝাড়খণ্ডে ট্রেন থেমে রইল দুই ঘণ্টা; রেললাইনে সন্তান জন্ম দিল মা হাতি!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজটে চরম ভোগান্তি

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
পাস ও জিপিএ-৫ কমার কারণ জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্যে জাতিসংঘ দূতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই
হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দিতে আসছে বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল
পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার
১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে
দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যে সাত অঞ্চলে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস
ইসরায়েলের ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হামাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর
ইংরেজিতে ফেল করলেও ফের পরীক্ষা দেওয়ার সংকল্প ৫২ বর্ষী দুলুর

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩
লোহিত সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৩

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশনায় ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
গাজায় আধুনিক ‘বন্দিশিবির’ গড়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি
মেসির রেকর্ড গড়া রাতে জয় পেল ইন্টার মায়ামি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন
পিআর পদ্ধতি সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিবন্ধকতা : নাসির উদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা
পাঁচ আঙুল হারানো মারুফ পাচ্ছেন ২৮ কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা
পদকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়িকাদের অন্য পেশা
নায়িকাদের অন্য পেশা

শোবিজ

তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল
রেকর্ড ৩২ শতাংশ ফেল

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সন্ত্রাসীদের রক্ষক যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের
তিন গভর্নরের নথি তলব দুদকের

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে
ঘুম ভাঙে ছেঁড়া পলিথিন ভিজে গেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু
মোবাইল খুঁজতে সেপটিক ট্যাংকে চারজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল
নারী কর্মকর্তাদের স্যার সম্বোধনের নির্দেশিকা বাতিল

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের তিন দরবার স্কয়ার
নেপালের তিন দরবার স্কয়ার

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই
বাংলাদেশে অবিলম্বে নির্বাচন চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে সিআইডি

প্রথম পৃষ্ঠা

এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়
এসএসসিতে কেন এ ফল বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সবাই খুশি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন
বাংলাদেশের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে চায় চীন

প্রথম পৃষ্ঠা

চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ
চার কারণে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসি নিয়োগ
ডিসি নিয়োগ

সম্পাদকীয়

দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী
দিল্লির কাছে ক্ষতিপূরণ চান ত্রিপুরার মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী
জি এম কাদের একজন কর্তৃত্ববাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
তালাবদ্ধ ঘর থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে দুই বিষয়ে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি
ভোট বাতিল ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা
ভোটে ১১৫ প্রতীক নেই শাপলা

পেছনের পৃষ্ঠা

শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ
শুল্ক প্রত্যাহারে এখনো আশাবাদী বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন
জিয়ার দর্শন : ন্যায়ের শাসন

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি

সম্পাদকীয়

পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে
পালিয়ে গেছে দস্যি ছেলে

ডাংগুলি