শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২১ মে, ২০২২

গ্রিনরুমে এক-এগারোর কুশীলবরা

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রিনরুমে এক-এগারোর কুশীলবরা

দেশজুড়ে এক ধরনের অস্থিরতা। ভোজ্য তেল উধাও হচ্ছে বাজার থেকে। জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে মুখর পন্ডিতরা। পি কে হালদারের কাহিনি এখন মুখরোচক আলোচনার বিষয়। সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের ওপর বিদেশযাত্রাসংক্রান্ত এক অদ্ভুত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যার শিরোনামে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রা সীমিতকরণ আবার ভিতরে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রা বন্ধ। এর মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক সংকটকেই কবুল করা হয়েছে। ডলারের বাজার অস্থির। তেলের মতো ডলারের আকাল। সবকিছু দেখে-শুনে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বিপন্ন বিস্ময়- কী হচ্ছে দেশে? সবকিছু কি ঠিক আছে? সবকিছু জানা-বোঝার উপায় হলো গণমাধ্যম। মূলধারার গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ফেসবুক আর ইউটিউব দেখলে মনে হবে দেশে কোনো সরকার নেই। সরকারের পতন বোধহয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবিড় তথ্যসন্ত্রাসে মূলধারার গণমাধ্যমও যেন উজ্জীবিত। দেশের সংবাদপত্রগুলোয় সুখবর নেই। দু-একটি গণমাধ্যম যেন জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর ঠিকাদারি নিয়েছে। ভোজ্য তেল, পিঁয়াজের মধ্যে তারা আর সীমাবদ্ধ নেই। সাবান, টুথপেস্টের মূল্যবৃদ্ধির মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আটা-ময়দার বিশ্ববাজার ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে গণমাধ্যমে খবর বেরোল, বাংলাদেশের ৪৫ ভাগ গম আসে ইউক্রেন থেকে। আর যায় কই। পরদিন আটা-ময়দার দাম বাড়ল ২ টাকা। প্রতিদিন কোনো না কোনো সংবাদপত্রে বাজার নিয়ে আহাজারি, আর্তনাদ। আর টকশো শুনলে মনে হয় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেল বলে! সাদামাটা চোখে মনে হতে পারে, এ সরকার বোধহয় সবকিছু ঠিকঠাকমতো চালাতে পারছে না। সরকার বোধহয় খেই হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি অনাস্থা জানায়। আর এ নীলনকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা। অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। এর শিরোনামে তিনি লিখেছেন- ‘দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’। কিছুদিন ধরে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী শেখ হাসিনাকে একজন দার্শনিক রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিশ্বরাজনীতিতে দার্শনিক রাজনীতিবিদ খুব কমই পাওয়া যায়। ভøাদিমির ইলিচ লেনিন ছিলেন দার্শনিক রাজনীতিবিদ। নেতাজি সুভাষ বোস, মহাত্মা গান্ধী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, নেলসন ম্যান্ডেলা এঁরা প্রত্যেকেই দার্শনিক রাজনীতিবিদ। একটি দর্শনের জন্ম দিয়েছেন এবং সে দর্শন বাস্তবায়নের জন্য সংগ্রাম করেছেন। একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনাও একটি দর্শন ঘিরে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার দর্শন হলো ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’। অনেকেই হয়তো জানেন না, ২০২২ সালে এ দর্শনটি বিশ্বশান্তির দর্শন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যগুলোকে রাজনীতির মেঠো বক্তৃতা ভেবে হালকাভাবে নিলে বড্ড ভুল হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি বক্তব্যেরই একটি গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য ও দর্শন আছে। গত সপ্তাহজুড়ে তিনি তাঁর বক্তব্যে ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গ আনছেন। দু-একটি গণমাধ্যমের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পত্রিকা পড়ে আমি দেশ চালাই না’। শ্রীলঙ্কায় দুর্যোগের পর এ দেশের কিছু গণমাধ্যম কয়েকজন সুশীলের বক্তব্য সামনে নিয়ে আসে। এ বক্তব্যে সুশীল পন্ডিতরা বাংলাদেশের পরিণতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে চাপা উল্লাসে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী তীব্র ভাষায় এর জবাব দেন। এ বিষয়টি তিনি আরও খোলাসা করেন মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভার সূচনা বক্তব্যে। শেখ হাসিনা কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘তারাই বেশি কথা বলেন, তারাই সমালোচনা বেশি করেন যারা ইমারজেন্সি সরকারের পদলেহন করেছেন। চাটুকারি করেছেন।’ পরদিন (১৮ মে) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এ বিষয়টি আরও বিস্তৃত পটভূমিতে তুলে ধরেন। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় তাঁকে দেশে আসতে না দেওয়াসহ ওই সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ এনে দুই সুশীল শিরোমণির সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনার সব বক্তব্য একত্রিত করে বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এখন বেশ জোরেশোরে চলছে। দেশের সুশীলসমাজের একটি অংশ এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছেন। কিছু সুশীল গণমাধ্যমকে সরকারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।

কদিন আগে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় সরকারের এক ফরমুলা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। জাতীয় সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অধ্যাপক রেহমান সোবহান ও ড. কামাল হোসেনের নাম প্রস্তাব করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম প্রস্তাব করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তাঁকে আবার স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। জাতীয় সরকারে রাখার জন্য ডা. জাফরুল্লাহর প্রস্তাবে যাঁদের কথা বলা হয়েছে তাঁদের বেশ কয়েকজন ওয়ান-ইলেভেনের খেলোয়াড়। এ নাম দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের বিভ্রান্ত করার এক সচেতন চেষ্টাও লক্ষ্য করা যায়। জাতির পিতার ছোট কন্যা শেখ রেহানাকে জাতীয় সরকারে রাখার ন্যক্কারজনক ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। আবার লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার কন্যাকে জাতীয় সরকারের হিসসা দেওয়ার উদ্ভট প্রস্তাব আছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটি বোধহয় বার্ধক্যজনিত বালখিল্য। কিন্তু একটু গভীরভাবে তাঁর জাতীয় সরকারের ফরমুলা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এর মাধ্যমে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের মাঠে নামানোর এক পরিকল্পিত প্রয়াস রয়েছে। আরও লক্ষণীয় যে এ-জাতীয় সরকারের তত্ত্ব মাঠে হাজির করার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু ব্যক্তি সরব হয়েছেন, এঁরা এক-এগারোর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত এবং অনির্বাচিত সরকারের সুবিধাভোগী। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এ উচ্চারণে তাঁদের দুঃখের চেয়ে উল্লাসই যেন বেশি। রেমিট্যান্স কমেছে, এ তথ্য দিতে গিয়ে তাঁদের মুখের কোণে হালকা হাসি যেন আর গোপন থাকে না। ওয়ান-ইলেভেনে এসব ব্যক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিত যেসব গণমাধ্যম, তারা এখন সরকারের ছিদ্রান্বেষণে যেন অণুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে নেমেছে। কিছু কিছু গণমাধ্যম যেন এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ওই সমালোচনা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তাহলে তা ভয়ের কারণ বটে। কিছু কিছু পত্রিকা সে কাজটিই করছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দেশটাকে ঝুঁকিপূর্ণ, সংকটময় দেখানোর চেষ্টা চলছে। সরকার ব্যর্থ এটি প্রমাণ করতে মরিয়া একটি মহল। শুধু মুখের কথায় বিভ্রান্ত মানুষ হয় না, এটা বোঝার জন্য তো বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। এ কারণে সরকারের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল সক্রিয়। এরা এমন কিছু কান্ড করছে যাতে সুশীল এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের বক্তব্য সত্য বলে প্রমাণিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যাঁরা আছেন তাঁরা সরকারকে জনগণের প্রতিপক্ষ করার শপথ নিয়েছেন। এমন সব কর্মকান্ড তাঁরা করেছেন যাতে মনে হয় এ সরকার অক্ষম, অযোগ্য ও দুর্বল। বাজারের ওপর তাঁদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার বিভিন্ন কারণে নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণার কী দরকার ছিল? এটি সাধারণ মানুষের কাছে সুশীলদের বক্তব্যকে বিশ্বাসযোগ্য করেছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের বাজারে। ডলারের কেবল দাম বাড়েনি, দুষ্প্রাপ্যও হয়েছে। এ সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা সুযোগসন্ধানী। তারা সব সময় মানুষকে জিম্মি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চায়। এরা ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে ডলার সব মজুদ করে। বিদেশে অর্থ পাচার করে। পি কে হালদার এদের ভালো বিজ্ঞাপন। দেশকে অস্থির-অস্থিতিশীল করতে পারলেই এদের পোয়াবারো। এদের কারণে গণতান্ত্রিক সরকার সংকটে পড়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তি ডালপালা মেলে। এরাও এখন মাঠে সক্রিয়। বাংলাদেশের কিছু উন্নয়ন সহযোগী আছে যারা দেশে শক্তিশালী সরকার চায় না। ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এদের অস্বস্তিতে ফেলে। রাজনীতিবিদদের চেয়ে এরা সুশীল বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পছন্দ করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নয় বরং এ দেশের বাজার দখলই তাদের প্রধান স্বার্থ। মুখে এরা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকারের কথা বলে কিন্তু বাস্তবে এসব বিরোধী শক্তির সঙ্গেই এ দেশগুলো গোপন সখ্য গড়ে তোলে। এসব শক্তি যখন একত্রিত হয় তখনই একটি সরকার সংকটে পড়ে। তখনই অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি হয়। আমরা যদি স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব, একটি সুশীল গোষ্ঠী, কিছু গণমাধ্যম, সরকারের ভিতর থাকা কিছু ষড়যন্ত্রকারী এবং আন্তর্জাতিক চক্র এক হয়েই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ইতিহাসের জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের পর সংবিধানকে বাক্সবন্দি করা হলো। ’৭৫-এর প্রেক্ষাপট একটু খতিয়ে দেখা যাক। হলিডে ও গণকণ্ঠ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। একশ্রেণির ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী দেশ গেল বলে আর্তনাদ করেছিল। মুনাফাখোর, কালোবাজারি, মজুদদাররা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছিল। সরকারের ভিতরের মোশতাকরা অন্তর্ঘাত ঘটাচ্ছিল। আর আন্তর্জাতিক কিছু সম্প্রদায় মুজিবের হিমালয়সম ব্যক্তিত্ব আর জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েছিল। সব মিলিয়ে ’৭৫-এর ট্র্যাজেডি। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভা ছিল একটা আইওয়াশ। জিয়া সামনে আসার পর ’৭৫-এর ৭ নভেম্বর একটি অসাংবিধানিক উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। সে সময়ের নামকরা পন্ডিত ও সুশীলরা ধেইধেই করে নাচতে নাচতে ওই উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের দু-এক জনের নাম উল্লেখ করতেই হয়। ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আকবর কবির (খুশী কবিরের পিতা), ড. মোজাফফর আহমেদ, ড. এম আর খান। সমাজের এই বিশিষ্টজনেরা সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তেলেননি। শিশু রাসেলকে হত্যা যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন সে প্রশ্নটি পর্যন্ত করেননি। ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে তাঁরা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সব ভুলে গিয়েছিলেন। সুশীলদের উপদেষ্টা (মন্ত্রী) হতে ভোট চাইতে হয়নি। জনগণের কথাও চিন্তা করতে হয়নি।

জিয়ার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় দফা সংবিধান লঙ্ঘন হয় তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের নেতৃত্বে। বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। এরশাদের ক্ষমতা দখলের আগে একই ফরমুলার নিবিড় বাস্তবায়ন। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতি। বাজার থেকে আদা-রসুন উধাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। মন্ত্রীর বাসা থেকে খুনের আসামি গ্রেফতার। দেশ চলছে না বলে কিছু গণমাধ্যমের নিরবচ্ছিন্ন ক্যাম্পেইন। কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের বিরামহীন তৎপরতা। তারপর এক প্রত্যুষে উর্দি পরে টেলিভিশনের সামনে হাজির হলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধান স্থগিত হলো। মৌলিক অধিকার হরণ করা হলো। আবার মঞ্চে উদ্ভাসিত হলেন আমাদের পরম পূজনীয় সুশীলরা। এরশাদের উপদেষ্টা পরিষদ যাঁরা অলংকৃত করলেন তাঁদের কয়েকজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, ডা. শাফিয়া খাতুন, ড. এ মজিদ খান, এম সাইদুজ্জামান, সদ্যপ্রয়াত এ এম এ মুহিত, এ আর এস দোহা প্রমুখ। এরশাদ হটাতে নয় বছর আন্দোলন করতে হয়েছে এ দেশের মানুষকে। ২০০৭ সালের অনির্বাচিত সরকার এসেছিল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’সংক্রান্ত সাংবিধানিক ব্যবস্থার ফাঁক গলে। ২০০৭-এর সেনাসমর্থিত অনির্বাচিত সরকারের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য দুটোই ছিল ভিন্ন প্রকৃতির এবং বড় অবয়বে। ’৯০-এর এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ধারার সূচনা হয়। কিন্তু এ গণতন্ত্রের নাটাই ছিল অনির্বাচিত সুশীলদের হাতে। বিধান রাখা হয় যে নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনকালীন এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে দেওয়া হয় অসীম ক্ষমতা। ১৯৯১, ’৯৬, ও ২০০১- তিন মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে দলকে চেয়েছে তাকেই ক্ষমতায় এনেছে। আপাতনিরপেক্ষ নির্বাচনের আড়ালে আসলে ক্ষমতার চাবি চলে গেছে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে। ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাই ধরা যাক। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এ সরকার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল। নির্বাচনের আগেই হেরে গেল আওয়ামী লীগ। তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনই ছিল রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে পরিচালিত। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় ২০০১ সালে। যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতন, নিপীড়ন এমন জায়গায় পৌঁছে যে মানুষ ওই সরকারকে হটাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। জনগণের এ জাগরণ সুশীলদের ভীত করেছিল। এজন্য শুরু হয় প্রচারণা। বিএনপি ভালো না। আওয়ামী লীগও খারাপ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই ব্যর্থ। এ রকম একটি প্রচারণার মাধ্যমে সুশীলদের মাঠে নামানোর মঞ্চ প্রস্তুত হয়। সুশীলদের নেতা নির্বাচন করা হয় আন্তর্জাতিক উদ্যোগে। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় শান্তির নোবেল। চারদিক ব্যর্থতা, হাহাকার দেখিয়ে ভীতির সঞ্চার করা হয় জনমনে। তারপর মঞ্চে আবির্ভূত হন সুশীলরা। সংবিধান অনুযায়ী একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন। কিন্তু সুশীল সংবিধান বিশেষজ্ঞ ফতোয়া দিলেন ‘সব ঠিক আছে’। কিন্তু দার্শনিক শেখ হাসিনা বুঝলেন এটা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সংবিধান লঙ্ঘন। জনগণের অধিকার হরণ। তাই আবার তিনি ডাক দিলেন। জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করলেন। শেখ হাসিনা বুঝেছিলেন জনগণের ক্ষমতার চাবিটা সুশীলদের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ নামে সিন্দুকে বন্দি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলো। তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এত দীর্ঘ দিবস-রজনী ক্ষমতা থেকে দূরে থাকাটা সুশীলদের কীভাবে সহ্য হবে? তাই শুরু হয়েছে সেই পুরনো খেলা। চারদিকে হতাশার নানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে। কয়েকজন সুশীল, তাঁদের নিয়ন্ত্রিত কিছু গণমাধ্যম, কিছু মতলববাজ সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্ত, ক্ষমতার মধু খাওয়া কিছু নব্য মোশতাক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ (যারা এখনো নিজেদের প্রভু ভাবেন) আরেকটি এক-এগারোর আয়োজন করছেন। যেহেতু শেখ হাসিনা একজন দার্শনিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ সেজন্য তিনি আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি জানেন, জনগণই তাঁর শক্তি। এজন্য জনগণকে তিনি আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার আগে কলাকুশলীরা গ্রিনরুমে অপেক্ষা করেন। এক-এগারোর কুশীলবরা গ্রিনরুমে ঢুকে গেছেন। শেখ হাসিনা কি পারবেন তাঁদের মঞ্চে প্রবেশ ঠেকাতে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেপালে নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ
নেপালে নতুন তিন মন্ত্রীর শপথ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন