শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২১ মে, ২০২২

গ্রিনরুমে এক-এগারোর কুশীলবরা

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
গ্রিনরুমে এক-এগারোর কুশীলবরা

দেশজুড়ে এক ধরনের অস্থিরতা। ভোজ্য তেল উধাও হচ্ছে বাজার থেকে। জিনিসপত্রের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে মুখর পন্ডিতরা। পি কে হালদারের কাহিনি এখন মুখরোচক আলোচনার বিষয়। সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের ওপর বিদেশযাত্রাসংক্রান্ত এক অদ্ভুত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যার শিরোনামে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রা সীমিতকরণ আবার ভিতরে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রা বন্ধ। এর মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক সংকটকেই কবুল করা হয়েছে। ডলারের বাজার অস্থির। তেলের মতো ডলারের আকাল। সবকিছু দেখে-শুনে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বিপন্ন বিস্ময়- কী হচ্ছে দেশে? সবকিছু কি ঠিক আছে? সবকিছু জানা-বোঝার উপায় হলো গণমাধ্যম। মূলধারার গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ফেসবুক আর ইউটিউব দেখলে মনে হবে দেশে কোনো সরকার নেই। সরকারের পতন বোধহয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবিড় তথ্যসন্ত্রাসে মূলধারার গণমাধ্যমও যেন উজ্জীবিত। দেশের সংবাদপত্রগুলোয় সুখবর নেই। দু-একটি গণমাধ্যম যেন জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর ঠিকাদারি নিয়েছে। ভোজ্য তেল, পিঁয়াজের মধ্যে তারা আর সীমাবদ্ধ নেই। সাবান, টুথপেস্টের মূল্যবৃদ্ধির মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আটা-ময়দার বিশ্ববাজার ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে গণমাধ্যমে খবর বেরোল, বাংলাদেশের ৪৫ ভাগ গম আসে ইউক্রেন থেকে। আর যায় কই। পরদিন আটা-ময়দার দাম বাড়ল ২ টাকা। প্রতিদিন কোনো না কোনো সংবাদপত্রে বাজার নিয়ে আহাজারি, আর্তনাদ। আর টকশো শুনলে মনে হয় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেল বলে! সাদামাটা চোখে মনে হতে পারে, এ সরকার বোধহয় সবকিছু ঠিকঠাকমতো চালাতে পারছে না। সরকার বোধহয় খেই হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি অনাস্থা জানায়। আর এ নীলনকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা। অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। এর শিরোনামে তিনি লিখেছেন- ‘দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’। কিছুদিন ধরে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী শেখ হাসিনাকে একজন দার্শনিক রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিশ্বরাজনীতিতে দার্শনিক রাজনীতিবিদ খুব কমই পাওয়া যায়। ভøাদিমির ইলিচ লেনিন ছিলেন দার্শনিক রাজনীতিবিদ। নেতাজি সুভাষ বোস, মহাত্মা গান্ধী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, নেলসন ম্যান্ডেলা এঁরা প্রত্যেকেই দার্শনিক রাজনীতিবিদ। একটি দর্শনের জন্ম দিয়েছেন এবং সে দর্শন বাস্তবায়নের জন্য সংগ্রাম করেছেন। একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনাও একটি দর্শন ঘিরে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার দর্শন হলো ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’। অনেকেই হয়তো জানেন না, ২০২২ সালে এ দর্শনটি বিশ্বশান্তির দর্শন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যগুলোকে রাজনীতির মেঠো বক্তৃতা ভেবে হালকাভাবে নিলে বড্ড ভুল হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি বক্তব্যেরই একটি গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য ও দর্শন আছে। গত সপ্তাহজুড়ে তিনি তাঁর বক্তব্যে ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গ আনছেন। দু-একটি গণমাধ্যমের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পত্রিকা পড়ে আমি দেশ চালাই না’। শ্রীলঙ্কায় দুর্যোগের পর এ দেশের কিছু গণমাধ্যম কয়েকজন সুশীলের বক্তব্য সামনে নিয়ে আসে। এ বক্তব্যে সুশীল পন্ডিতরা বাংলাদেশের পরিণতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে বলে চাপা উল্লাসে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী তীব্র ভাষায় এর জবাব দেন। এ বিষয়টি তিনি আরও খোলাসা করেন মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভার সূচনা বক্তব্যে। শেখ হাসিনা কারও নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘তারাই বেশি কথা বলেন, তারাই সমালোচনা বেশি করেন যারা ইমারজেন্সি সরকারের পদলেহন করেছেন। চাটুকারি করেছেন।’ পরদিন (১৮ মে) আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এ বিষয়টি আরও বিস্তৃত পটভূমিতে তুলে ধরেন। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় তাঁকে দেশে আসতে না দেওয়াসহ ওই সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ এনে দুই সুশীল শিরোমণির সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনার সব বক্তব্য একত্রিত করে বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায় তা হলো, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এখন বেশ জোরেশোরে চলছে। দেশের সুশীলসমাজের একটি অংশ এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছেন। কিছু সুশীল গণমাধ্যমকে সরকারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।

কদিন আগে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় সরকারের এক ফরমুলা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। জাতীয় সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অধ্যাপক রেহমান সোবহান ও ড. কামাল হোসেনের নাম প্রস্তাব করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম প্রস্তাব করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। তাঁকে আবার স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। জাতীয় সরকারে রাখার জন্য ডা. জাফরুল্লাহর প্রস্তাবে যাঁদের কথা বলা হয়েছে তাঁদের বেশ কয়েকজন ওয়ান-ইলেভেনের খেলোয়াড়। এ নাম দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের বিভ্রান্ত করার এক সচেতন চেষ্টাও লক্ষ্য করা যায়। জাতির পিতার ছোট কন্যা শেখ রেহানাকে জাতীয় সরকারে রাখার ন্যক্কারজনক ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। আবার লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার কন্যাকে জাতীয় সরকারের হিসসা দেওয়ার উদ্ভট প্রস্তাব আছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটি বোধহয় বার্ধক্যজনিত বালখিল্য। কিন্তু একটু গভীরভাবে তাঁর জাতীয় সরকারের ফরমুলা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এর মাধ্যমে ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের মাঠে নামানোর এক পরিকল্পিত প্রয়াস রয়েছে। আরও লক্ষণীয় যে এ-জাতীয় সরকারের তত্ত্ব মাঠে হাজির করার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু ব্যক্তি সরব হয়েছেন, এঁরা এক-এগারোর সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত এবং অনির্বাচিত সরকারের সুবিধাভোগী। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এ উচ্চারণে তাঁদের দুঃখের চেয়ে উল্লাসই যেন বেশি। রেমিট্যান্স কমেছে, এ তথ্য দিতে গিয়ে তাঁদের মুখের কোণে হালকা হাসি যেন আর গোপন থাকে না। ওয়ান-ইলেভেনে এসব ব্যক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিত যেসব গণমাধ্যম, তারা এখন সরকারের ছিদ্রান্বেষণে যেন অণুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে নেমেছে। কিছু কিছু গণমাধ্যম যেন এখন বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ওই সমালোচনা যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়, তাহলে তা ভয়ের কারণ বটে। কিছু কিছু পত্রিকা সে কাজটিই করছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দেশটাকে ঝুঁকিপূর্ণ, সংকটময় দেখানোর চেষ্টা চলছে। সরকার ব্যর্থ এটি প্রমাণ করতে মরিয়া একটি মহল। শুধু মুখের কথায় বিভ্রান্ত মানুষ হয় না, এটা বোঝার জন্য তো বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন নেই। এ কারণে সরকারের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল সক্রিয়। এরা এমন কিছু কান্ড করছে যাতে সুশীল এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের বক্তব্য সত্য বলে প্রমাণিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যাঁরা আছেন তাঁরা সরকারকে জনগণের প্রতিপক্ষ করার শপথ নিয়েছেন। এমন সব কর্মকান্ড তাঁরা করেছেন যাতে মনে হয় এ সরকার অক্ষম, অযোগ্য ও দুর্বল। বাজারের ওপর তাঁদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সরকার বিভিন্ন কারণে নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। কিন্তু বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণার কী দরকার ছিল? এটি সাধারণ মানুষের কাছে সুশীলদের বক্তব্যকে বিশ্বাসযোগ্য করেছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের বাজারে। ডলারের কেবল দাম বাড়েনি, দুষ্প্রাপ্যও হয়েছে। এ সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা সুযোগসন্ধানী। তারা সব সময় মানুষকে জিম্মি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চায়। এরা ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে ডলার সব মজুদ করে। বিদেশে অর্থ পাচার করে। পি কে হালদার এদের ভালো বিজ্ঞাপন। দেশকে অস্থির-অস্থিতিশীল করতে পারলেই এদের পোয়াবারো। এদের কারণে গণতান্ত্রিক সরকার সংকটে পড়ে। অগণতান্ত্রিক শক্তি ডালপালা মেলে। এরাও এখন মাঠে সক্রিয়। বাংলাদেশের কিছু উন্নয়ন সহযোগী আছে যারা দেশে শক্তিশালী সরকার চায় না। ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এদের অস্বস্তিতে ফেলে। রাজনীতিবিদদের চেয়ে এরা সুশীল বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পছন্দ করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নয় বরং এ দেশের বাজার দখলই তাদের প্রধান স্বার্থ। মুখে এরা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকারের কথা বলে কিন্তু বাস্তবে এসব বিরোধী শক্তির সঙ্গেই এ দেশগুলো গোপন সখ্য গড়ে তোলে। এসব শক্তি যখন একত্রিত হয় তখনই একটি সরকার সংকটে পড়ে। তখনই অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় আসার পথ তৈরি হয়। আমরা যদি স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব, একটি সুশীল গোষ্ঠী, কিছু গণমাধ্যম, সরকারের ভিতর থাকা কিছু ষড়যন্ত্রকারী এবং আন্তর্জাতিক চক্র এক হয়েই সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। ইতিহাসের জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের পর সংবিধানকে বাক্সবন্দি করা হলো। ’৭৫-এর প্রেক্ষাপট একটু খতিয়ে দেখা যাক। হলিডে ও গণকণ্ঠ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল। একশ্রেণির ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী দেশ গেল বলে আর্তনাদ করেছিল। মুনাফাখোর, কালোবাজারি, মজুদদাররা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তুলেছিল। সরকারের ভিতরের মোশতাকরা অন্তর্ঘাত ঘটাচ্ছিল। আর আন্তর্জাতিক কিছু সম্প্রদায় মুজিবের হিমালয়সম ব্যক্তিত্ব আর জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েছিল। সব মিলিয়ে ’৭৫-এর ট্র্যাজেডি। ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভা ছিল একটা আইওয়াশ। জিয়া সামনে আসার পর ’৭৫-এর ৭ নভেম্বর একটি অসাংবিধানিক উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। সে সময়ের নামকরা পন্ডিত ও সুশীলরা ধেইধেই করে নাচতে নাচতে ওই উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের দু-এক জনের নাম উল্লেখ করতেই হয়। ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আকবর কবির (খুশী কবিরের পিতা), ড. মোজাফফর আহমেদ, ড. এম আর খান। সমাজের এই বিশিষ্টজনেরা সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তেলেননি। শিশু রাসেলকে হত্যা যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন সে প্রশ্নটি পর্যন্ত করেননি। ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে তাঁরা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সব ভুলে গিয়েছিলেন। সুশীলদের উপদেষ্টা (মন্ত্রী) হতে ভোট চাইতে হয়নি। জনগণের কথাও চিন্তা করতে হয়নি।

জিয়ার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় দফা সংবিধান লঙ্ঘন হয় তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদের নেতৃত্বে। বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। এরশাদের ক্ষমতা দখলের আগে একই ফরমুলার নিবিড় বাস্তবায়ন। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতি। বাজার থেকে আদা-রসুন উধাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। মন্ত্রীর বাসা থেকে খুনের আসামি গ্রেফতার। দেশ চলছে না বলে কিছু গণমাধ্যমের নিরবচ্ছিন্ন ক্যাম্পেইন। কয়েকজন রাষ্ট্রদূতের বিরামহীন তৎপরতা। তারপর এক প্রত্যুষে উর্দি পরে টেলিভিশনের সামনে হাজির হলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধান স্থগিত হলো। মৌলিক অধিকার হরণ করা হলো। আবার মঞ্চে উদ্ভাসিত হলেন আমাদের পরম পূজনীয় সুশীলরা। এরশাদের উপদেষ্টা পরিষদ যাঁরা অলংকৃত করলেন তাঁদের কয়েকজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, ডা. শাফিয়া খাতুন, ড. এ মজিদ খান, এম সাইদুজ্জামান, সদ্যপ্রয়াত এ এম এ মুহিত, এ আর এস দোহা প্রমুখ। এরশাদ হটাতে নয় বছর আন্দোলন করতে হয়েছে এ দেশের মানুষকে। ২০০৭ সালের অনির্বাচিত সরকার এসেছিল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’সংক্রান্ত সাংবিধানিক ব্যবস্থার ফাঁক গলে। ২০০৭-এর সেনাসমর্থিত অনির্বাচিত সরকারের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য দুটোই ছিল ভিন্ন প্রকৃতির এবং বড় অবয়বে। ’৯০-এর এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ধারার সূচনা হয়। কিন্তু এ গণতন্ত্রের নাটাই ছিল অনির্বাচিত সুশীলদের হাতে। বিধান রাখা হয় যে নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনকালীন এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে দেওয়া হয় অসীম ক্ষমতা। ১৯৯১, ’৯৬, ও ২০০১- তিন মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে দলকে চেয়েছে তাকেই ক্ষমতায় এনেছে। আপাতনিরপেক্ষ নির্বাচনের আড়ালে আসলে ক্ষমতার চাবি চলে গেছে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে। ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাই ধরা যাক। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এ সরকার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল। নির্বাচনের আগেই হেরে গেল আওয়ামী লীগ। তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনই ছিল রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে পরিচালিত। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় ২০০১ সালে। যখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতন, নিপীড়ন এমন জায়গায় পৌঁছে যে মানুষ ওই সরকারকে হটাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। জনগণের এ জাগরণ সুশীলদের ভীত করেছিল। এজন্য শুরু হয় প্রচারণা। বিএনপি ভালো না। আওয়ামী লীগও খারাপ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই ব্যর্থ। এ রকম একটি প্রচারণার মাধ্যমে সুশীলদের মাঠে নামানোর মঞ্চ প্রস্তুত হয়। সুশীলদের নেতা নির্বাচন করা হয় আন্তর্জাতিক উদ্যোগে। অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় শান্তির নোবেল। চারদিক ব্যর্থতা, হাহাকার দেখিয়ে ভীতির সঞ্চার করা হয় জনমনে। তারপর মঞ্চে আবির্ভূত হন সুশীলরা। সংবিধান অনুযায়ী একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন। কিন্তু সুশীল সংবিধান বিশেষজ্ঞ ফতোয়া দিলেন ‘সব ঠিক আছে’। কিন্তু দার্শনিক শেখ হাসিনা বুঝলেন এটা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সংবিধান লঙ্ঘন। জনগণের অধিকার হরণ। তাই আবার তিনি ডাক দিলেন। জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করলেন। শেখ হাসিনা বুঝেছিলেন জনগণের ক্ষমতার চাবিটা সুশীলদের ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ নামে সিন্দুকে বন্দি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলো। তিন মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। এত দীর্ঘ দিবস-রজনী ক্ষমতা থেকে দূরে থাকাটা সুশীলদের কীভাবে সহ্য হবে? তাই শুরু হয়েছে সেই পুরনো খেলা। চারদিকে হতাশার নানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে। কয়েকজন সুশীল, তাঁদের নিয়ন্ত্রিত কিছু গণমাধ্যম, কিছু মতলববাজ সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্ত, ক্ষমতার মধু খাওয়া কিছু নব্য মোশতাক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ (যারা এখনো নিজেদের প্রভু ভাবেন) আরেকটি এক-এগারোর আয়োজন করছেন। যেহেতু শেখ হাসিনা একজন দার্শনিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ সেজন্য তিনি আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তিনি জানেন, জনগণই তাঁর শক্তি। এজন্য জনগণকে তিনি আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার আগে কলাকুশলীরা গ্রিনরুমে অপেক্ষা করেন। এক-এগারোর কুশীলবরা গ্রিনরুমে ঢুকে গেছেন। শেখ হাসিনা কি পারবেন তাঁদের মঞ্চে প্রবেশ ঠেকাতে?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ
কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!
মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা

৩৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ
টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান
তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত
ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে
বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক
আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান
বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর
কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত
রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে প্রতি ১০ শিশুর চারজনের রক্তে ‘উদ্বেগজনক’ মাত্রায় সিসা
দেশে প্রতি ১০ শিশুর চারজনের রক্তে ‘উদ্বেগজনক’ মাত্রায় সিসা

৩ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগে উচ্ছ্বসিত সাইফ
আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগে উচ্ছ্বসিত সাইফ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের ইসরায়েলি গুলি
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের ইসরায়েলি গুলি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বান্দরবানে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
বান্দরবানে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষায় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছে সরকার
প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষায় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছে সরকার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার
দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে
সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে

নগর জীবন

নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক
নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক

নগর জীবন

গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ
গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ

নগর জীবন

বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ
বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি
লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি

পেছনের পৃষ্ঠা

বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম
বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম

নগর জীবন

অবহিতকরণ সভা
অবহিতকরণ সভা

দেশগ্রাম

তিন মাসে পাঁচ বার চুরি
তিন মাসে পাঁচ বার চুরি

দেশগ্রাম

বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা
বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে
চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে

পূর্ব-পশ্চিম

লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ
লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ

দেশগ্রাম

জলবায়ু অর্থায়ন দয়া বা ঋণ হিসেবে চাই না
জলবায়ু অর্থায়ন দয়া বা ঋণ হিসেবে চাই না

নগর জীবন

তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

দেশগ্রাম

প্রবীণ ও অসহায় গণি জমাদ্দার দম্পতির পাশে তারেক রহমান
প্রবীণ ও অসহায় গণি জমাদ্দার দম্পতির পাশে তারেক রহমান

নগর জীবন

আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ীরা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের শাস্তি চান
ব্যবসায়ীরা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের শাস্তি চান

পেছনের পৃষ্ঠা