শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ আপডেট:

কপিলের বিশ্বকাপ, শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু এবং পন্ডিতদের ভ্রান্তি

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
কপিলের বিশ্বকাপ, শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু এবং পন্ডিতদের ভ্রান্তি

অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষিত হলো। ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের গৌরব, আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু। শত প্রশ্নের এক উত্তর পদ্মা সেতু। অনেক সংশয় উড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় এ পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন আমাদের পন্ডিতদের মধ্যে হাহাকার উঠেছিল। একমাত্র অধ্যাপক আবুল বারকাত ছাড়া আর কেউ সাহস করে বলেননি যে বাংলাদেশ পারে। একজন পন্ডিত অর্থনীতিবিদ, যিনি সারা দিন বাংলাদেশের সর্বনাশের ছিদ্র খোঁজেন, প্রমিত বাংলায় পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করলে কী কী বিপর্যয় হবে তার লম্বা ফিরিস্তি দিয়েছিলেন। ওই ফিরিস্তিতে তিনি বলেছিলেন, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ পড়বে। দারিদ্র্য বাড়বে। অবশ্য তখন আমরা জানতাম না ২০২০ সালে করোনার তান্ডব গোটা বিশ্বকে ল-ভ- করে দেবে। ভাগ্যিস ওই পন্ডিতদের কল্পনায় করোনা ছিল না। থাকলে তো তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণীতে বাংলাদেশ নামে দেশটাকেই বিলীন করে দিতেন। শুধু ওই এক পন্ডিত নন, এ রকম বহু পন্ডিত সেদিন নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। আমরা মূর্খ জনতা পন্ডিতদের অমৃত বাণীতে আস্থা রেখেছি। সরকারের এসব পাগলামি নিয়ে চায়ের আসর গরম করেছি। বুদ্ধিজীবীদের কথায় উদীপ্ত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়াও। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি। দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে ছাত্রদলের এক সভায় পন্ডিতদের বাণীতে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার। কিন্তু পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। এ সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। এ সেতুতে কেউ উঠবেন না অনেক রিস্ক আছে।’ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগে পদ্মা সেতু নিয়ে কে কী বলেছিলেন তার ওপর একটা ভালো প্রামাণ্যচিত্র হতে পারে। এ সমাজে কিছু মানুষ আছেন যাঁদের কথার কোনো জবাবদিহি নেই। তাঁরা বাংলাদেশ সম্পর্কে সারাক্ষণ শঙ্কা আর আতঙ্কের কথা বলতে থাকেন। তবে তাঁদের পূর্বাভাস যখন অসত্য প্রমাণিত হয়, তাঁরা দুঃখ প্রকাশটুকু পর্যন্ত করেন না। অবশ্য এই সুধীজনরা বাংলাদেশের জনগণকে খুব একটা পাত্তা দেন না। তাঁদের প্রভুরা থাকেন দূর দেশে। তাঁদের চোখে বাংলাদেশ নিকৃষ্ট, জঘন্য। জাতির পিতার নেতৃত্বে এ দেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই এঁরা বাংলাদেশ নিয়ে শুধু হতাশার কথাই শুনিয়েছেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ‘স্বাধীনতা অর্জন করলেও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে সব সময় নির্ভর করতে হবে বিদেশি সাহায্যের ওপর।’ বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের ওপর মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ হলো একটা তলাবিহীন ঝুড়ি। এখানে যতই সাহায্য দেওয়া হোক, কোনো কাজে আসবে না।’

১৯৭২-৭৩ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রধান রবার্ট ম্যাকনামারা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে সব সময় বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করেই চলতে হবে। এভাবে টিকে থাকা যে কোনো রাষ্ট্রের জন্যই অসম্ভব।’ ১৯৭৩-এ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছি, ‘দেখার বিষয় বাংলাদেশ কত দিন টেকে এবং কীভাবে টেকে। সবচেয়ে ভালো অবস্থায়ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত কঠিন উন্নয়ন সমস্যা বিদ্যমান। জনগণ দরিদ্র। মাথাপিছু আয় ৫০ থেকে ৭০ ডলার। যা গত ২০ বছরে একচুলও বাড়েনি। জনসংখ্যার আধিক্য বাংলাদেশকে ক্রমেই অস্তিত্বের সংকটে ঠেলে দেবে।’ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর দেশটির সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়নি একদম। বরং বিশ্বের বড় বড় পন্ডিত ও অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের টিকে থাকা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন বারবার। মার্কিন অর্থনীতিবিদ ডগলাস মন্তব্য করেছিলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মডেল হবে বাংলাদেশ।’ এ সময় বাংলাদেশ কত দিন টিকবে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদরা রীতিমতো গবেষণা করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ডাস্ট ফাল্যান্ড ও পারকিনসন্স। বাংলাদেশকে তাঁরা ‘উন্নয়নের ল্যাবরেটরি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। যৌথ নিবন্ধে তাঁরা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যদি উন্নয়ন সম্ভব হয় তাহলে বিশ্বের যে কোনো দেশেই উন্নয়ন সম্ভব।’ স্বাধীনতার পর থেকে তাই যে বাংলাদেশকে ভয় দেখানো শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান। ’৯৮ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা হলো। এটিকে বলা হয় সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। শেখ হাসিনা তখন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে বলল, ‘অন্তত ২০ লাখ মানুষ মারা যাবে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষ হবে।’

বিশ্বব্যাংক যখন এ কথা বলে তখন তাদের দেশি এজেন্টরা কি বসে থাকে? কথার ফুলঝুরি ছুটল। বাংলাদেশের গণ্যমান্য অর্থনীতিবিদরা বললেন, ‘ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষে ১ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।’ এরপর শুরু হলো হুঁশিয়ার সাবধান! এটা করা যাবে, ওটা করা যাবে না। অর্থনীতির ১২টা বাজার ঘণ্টাও বাজালেন কেউ কেউ। কিন্তু শেখ হাসিনা অন্য ধাতুতে গড়া এক মানুষ। এসব গায়ে না মেখে তিনি দিনরাত একাকার করে কাজ করলেন। কোথায় দুর্ভিক্ষ, কোথায় ক্ষুধা। মানুষ নতুন উদ্যমে জীবনের গান গাইল। বন্যা কাটিয়ে বাম্পার ফলন উপহার দিল কৃষক। তখনো বুদ্ধিজীবী, পন্ডিত আর অর্থনীতিবিদরা ভুল ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য জিবে কামড়টুকু দেননি। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে করোনার প্রকোপ শুরু হলো। মার্চে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় ঢুকল বাংলাদেশ। বাংলাদেশেও বাড়তে থাকল করোনার প্রকোপ। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অযোগ্য নেতৃত্ব, দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে বেশ কিছু সমস্যাও তৈরি হলো। একদল পন্ডিত ঢাকঢোল নিয়ে মাঠে নামলেন। বাংলাদেশে করোনার মহামারি হবে। কোটি মানুষের প্রাণ যাবে। লাশ দাফনের জায়গা পাওয়া যাবে না। এ রকম ভয়ংকর কথাবার্তায় রীতিমতো আঁতকে উঠলাম। দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ভারতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল পরিস্থিতি। আমাদের জ্ঞানীরা বলতে শুরু করলেন বাংলাদেশের অবস্থা ভারতের চেয়েও শোচনীয় হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা পরিস্থিতি সামাল দিলেন অসাধারণ দক্ষতায়। তার পরও কেউ ধন্যবাদ দিল না। ওইসব পন্ডিতের কেউ স্বীকার করলেন না ‘আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন’।

বাংলাদেশ নিয়ে অশুভ শঙ্কার প্রলাপ এখনো চলছে। এবার শ্রীলঙ্কা নিয়ে। আবার আমাদের পবিত্র মানুষ নতুন ভবিষ্যদ্বাণী দিচ্ছেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এমনভাবে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে যাতে গোয়েবলসও হয়তো বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতেন। কদিন আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে গিয়েছিলাম জনশুমারি বিষয়ে তাঁর একটি বক্তব্য ধারণ করার জন্য। স্পিকার হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইতিহাসে তিনি অন্যতম সেরা। বিনয়ী, জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত। সাক্ষাৎকার শেষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। একপর্যায়ে একজন শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ ওঠালেন। শান্ত, বিনয়ী মানুষটিও এ কথা শুনে একটু উত্তেজিত হলেন, বললেন, কোন বিচারে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা হয়! দুটো দেশের মধ্যে তুলনা করার মতো কিছুই নেই। জোর করে তুলনা করা হচ্ছে। স্পিকার বললেন, ‘কিছু কিছু মানুষের কথা শুনে মনে হয় তারা যেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হোক এটা চাইছেন। কেন? আলাপকালে তিনি বলছিলেন, ‘ওপরতলার মানুষ যারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তারাই যেন সবচেয়ে বড় সমালোচক।’ ঘণ্টাখানেক কথা বলে বেরিয়ে এলাম। আপন মনে একা একা তাঁর কথাগুলো ভাবতে থাকলাম। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলাম তাঁর কথায়। তাই তো, ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রাম করেছে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, রিকশাওয়ালারা। সে সময় ধনীদের এক বড় অংশ ছিল মুসলিম লীগ, পাকিস্তানপন্থি। সবাই না, বড়লোকের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশ চায়নি। এরা এখনো সম্পদশালী। এরা এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে নাক সিটকায়। এরাই সুশীল হিসেবে নিজেদের জাহির করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় এরা ব্যথিত। বেদনা লাঘবের জন্য এরা বাংলাদেশ নিয়ে হতাশার বাণী ছড়ায়। আর এদের প্রাতিষ্ঠানিক অভিভাবক হলো বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক এ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়ে যত ভবিষ্যদ্বাণী করেছে তা সব ভুল হয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিশ্বব্যাংক কৃষিতে ভর্তুকি বন্ধের শর্ত দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ মানেননি। তাই এখন বাংলাদেশে খাদ্য সংকট নেই। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ শুনে বেগম জিয়া আদমজী পাটকল বন্ধ করেছিলেন। এটি ছিল বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভুল এবং বাজে সিদ্ধান্তের একটি। সদ্যস্বাধীন একটি দেশ সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বব্যাংক ’৭২-এ দিয়েছিল বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো। বিশ্বব্যাংক ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে এক রিপোর্টে বলেছিল, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ১৫ বছর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে জিডিপি কমতে থাকে। সে সময় মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ৩১০ থেকে ৩১৪ টাকা। ২০ বছরে বৃদ্ধি পায় মাত্র ১ দশমিক ৩ ভাগ।’ বিশ্বব্যাংক এ হার ধরে প্রক্ষেপণ করেছিল বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় দ্বিগুণ হতে ১ হাজার ৫০০ বছর লাগবে। অথচ বাংলাদেশ এখন কোথায়? বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক আট বছর। ভারতে গড় আয়ু ৬৮ দশমিক তিন বছর। আর পাকিস্তানে ৬৬ দশমিক চার বছর। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। দারিদ্র্য হ্রাস, নারী-পুরুষ সমতা ইত্যাদি সব সূচকেই বাংলাদেশ উপমহাদেশে ভালো অবস্থানে আছে। তাহলে ’৭২-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বিশ্বব্যাংকের কি দুঃখ প্রকাশ করা উচিত না? বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে আসার পরও যখন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করল। যখন কানাডার আদালতে প্রমাণিত হলো পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন কি বিশ্বব্যাংকের পন্ডিত অর্থনীতিবিদরা একটুও লজ্জিত নন?

বিশ্বব্যাংক উন্নয়নের জন্য সংগ্রামরত দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শৃঙ্খলে বন্দি রাখার এক প্রকল্প। ঋণের ফাঁদে ফেলে এরা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে উন্নয়ন প্রেসক্রিপশন দেয়। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন গ্রহণ না করে সাহসী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পশ্চিমা খবরদারি কমেছে। নানা রকম চাপ কমেছে। বাংলাদেশ তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বাস্তবায়ন করছে। এতেই পশ্চিমা বিশ্ব বেশ নাখোশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের সংকোচন এ দেশে তাদের বাজার হ্রাস করেছে। এজন্য তারা এখন নানা ইস্যুতে ব্যাপক উৎসাহী। আগামী নির্বাচন, গণমাধ্যম, মানবাধিকার ইত্যাদি নিয়ে তারা মাতম করছে। এ মাতমে যুক্ত হয়েছেন পশ্চিমাপ্রেমিক দেশি ভদ্রজনেরা। এঁরা এমন একসময় শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা করছেন যখন পদ্মা সেতু জনগণের জন্য প্রস্তুত। জনগণকে ভয় দেখাচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু পদ্মা সেতু আবারও প্রমাণ করেছে পন্ডিতরা সব সময় ভুল। জনগণ সব সময় সঠিক। বঙ্গবন্ধু যদি পন্ডিত ও সুশীলদের কথা শুনতেন তাহলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। আর শেখ হাসিনা যদি পন্ডিত আর সুশীলদের কথা শুনতেন তাহলে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে আসত না। আমাদের সম্মানিত সুধীজনের ভুল ভবিষ্যদ্বাণী থেকে একটি হিন্দি সিনেমার কথা খুব মনে পড়ছে। সম্প্রতি ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। ছবির নাম ‘৮৩’। কবির খান নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি ১৯৮৩ সালে ভারতের অভাবনীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের ওপর। ’৮৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগের বিশ্বকাপগুলোয় ভারত খুবই খারাপ করেছে। শুধু পূর্ব আফ্রিকাকে হারিয়েছে। ’৮৩-এর বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যখন যুক্তরাজ্যে গেল, তখন ভারতকে রীতিমতো হাসিতামাশা, অবজ্ঞা, অবহেলা। ২৫ জুন বিশ্বকাপ ফাইনাল। অথচ ভারতীয় দল ফেরার টিকিট করে রেখেছিল ২০ জুন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতীয় দলের সংবাদ সম্মেলনে দু-চার জন মাত্র সাংবাদিক। বিখ্যাত ব্রিটিশ ক্রীড়া সাংবাদিক কপিল দেবকে প্রশ্ন করলেন, এবারের বিশ্বকাপে তোমাদের লক্ষ্য কী? কপিল দেব উত্তর দিলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়।’ বিস্ময়ে হতবাক ব্রিটিশ সাংবাদিক। পরে এ নিয়ে ভারতেও বিস্ময়, চাপা কৌতুক। ওই বিশ্বকাপে ভারত একটা করে জয়ী হচ্ছে, বোদ্ধারা বলছেন এটা অঘটন। প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রিঞ্চ তাঁর এক প্রতিবেদনে লিখলেন, ‘ভারত যদি বিশ্বকাপ জেতে তাহলে তিনি তাঁর নিজের লেখা কাগজ খেয়ে ফেলবেন।’ সবাইকে অবাক করে ভারত ’৮৩-এর বিশ্বকাপ জিতে গেল। ভারতেরও খুব কম মানুষ বিশ্বাস করেছিল কপিল দেবের দল বিশ্বকাপ জিতবে। সে জয়ের মহানায়ক ছিলেন কপিল দেব। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাঁচা-মরার ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার যখন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল তখন স্নানঘর থেকে অপ্রস্তুত কপিল দেব মাঠে নামেন; তখন কেউ ভাবেননি কপিল বিশ্বরেকর্ড করবেন। ওই ম্যাচটা একাই জিতিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। ওই ম্যাচ জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ভারত। সিনেমায় দেখা যায়, ভারতীয় দূতাবাসের রিসিপশনে শ্রীকান্ত বলছেন, ‘আমাদের পাগল অধিনায়ক বিশ্বকাপ জয় ছাড়া আর কিছুতেই খুশি হবে না।’ সিনেমাটা দেখতে দেখতে আমার কেন জানি বাংলাদেশের কথা মনে হয়। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন বাংলাদেশ ধুঁকছে। ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে অনেকে। বিশ্বে মর্যাদাহীন। তুচ্ছতাচ্ছিল্যের এক দেশ। সেখান থেকে গত ১৩ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন, তার একটা প্রতীক হলো পদ্মা সেতু। কিন্তু কপিল দেবের মতোই শেখ হাসিনা যেন সন্তুষ্ট নন। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরের আগে তিনি কিছুতেই খুশি হবেন না।

তবে ৮৩ চলচ্চিত্রের একদম শেষে ভারতীয় ম্যানেজারের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণা আমাকে সবচেয়ে বেশি তাড়িত করেছে। বিশ্বকাপ জয়ের রাতে ভারতীয় ম্যানেজার ক্রীড়া সাংবাদিক ডেভিড ফ্লিঞ্চকে এক চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি তাঁকে নিজের লেখা কাগজ খাবার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। ফ্লিঞ্চ তাঁর ভুল ভবিষ্যদ্বাণী স্বীকার করে লর্ডসে বসে ওয়াইনের সঙ্গে তাঁর লেখা খেয়েছিলেন। আমাদের যেসব পন্ডিত এখন-তখন বাংলাদেশ সম্পর্কে যেসব কথা বলেছিনেন তা ভুল প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা কি তাঁদের লেখা গলাধঃকরণ করবেন?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার কতবার ফাঁসি হবে তা কেউ বলতে পারবে না : আমান
শেখ হাসিনার কতবার ফাঁসি হবে তা কেউ বলতে পারবে না : আমান

৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

চুয়েটে জাতীয় কর্মশালা
চুয়েটে জাতীয় কর্মশালা

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কুয়াকাটা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস থকে জাটকা জব্দ
কুয়াকাটা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস থকে জাটকা জব্দ

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পটুয়াখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট চাইতে কর্মীদের ঘরে ঘরে যাওয়ার আহ্বান কাজী আলাউদ্দিনের
ধানের শীষে ভোট চাইতে কর্মীদের ঘরে ঘরে যাওয়ার আহ্বান কাজী আলাউদ্দিনের

১৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বাঞ্ছারামপুরে ওয়ালী আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী পালন
বাঞ্ছারামপুরে ওয়ালী আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

মাদারীপুরে ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে টাকা ছিনতাই
মাদারীপুরে ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে টাকা ছিনতাই

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ে ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, আটক চার
পঞ্চগড়ে ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ, আটক চার

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যশোর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
যশোর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

২১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নেশার টাকা না পেয়ে বাড়িতে আগুন, পিতার অভিযোগে পুত্রের কারাদণ্ড
নেশার টাকা না পেয়ে বাড়িতে আগুন, পিতার অভিযোগে পুত্রের কারাদণ্ড

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
শততম টেস্টে মুশফিককে সম্মাননা জানালেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

প্রত্যেক জেলায় জেলা ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা হবে: আসিফ আকবর
প্রত্যেক জেলায় জেলা ক্রিকেট সংস্থা গঠন করা হবে: আসিফ আকবর

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
গাজীপুরে জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রিভলভার হাতে রহস্য ভেদে ফিরছেন কোয়েল
রিভলভার হাতে রহস্য ভেদে ফিরছেন কোয়েল

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা
গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিরামপুরে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন
বিরামপুরে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টিফিন বক্সে অমিতাভকে নিয়মিত চিঠি লিখতেন জয়া
টিফিন বক্সে অমিতাভকে নিয়মিত চিঠি লিখতেন জয়া

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রুশ গুপ্তচর জাহাজ থেকে ব্রিটিশ পাইলটদের ওপর নজরদারির অভিযোগ
রুশ গুপ্তচর জাহাজ থেকে ব্রিটিশ পাইলটদের ওপর নজরদারির অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

১০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৮ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন