শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ আপডেট:

কপিলের বিশ্বকাপ, শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু এবং পন্ডিতদের ভ্রান্তি

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
কপিলের বিশ্বকাপ, শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু এবং পন্ডিতদের ভ্রান্তি

অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষিত হলো। ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের গৌরব, আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু। শত প্রশ্নের এক উত্তর পদ্মা সেতু। অনেক সংশয় উড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় এ পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন আমাদের পন্ডিতদের মধ্যে হাহাকার উঠেছিল। একমাত্র অধ্যাপক আবুল বারকাত ছাড়া আর কেউ সাহস করে বলেননি যে বাংলাদেশ পারে। একজন পন্ডিত অর্থনীতিবিদ, যিনি সারা দিন বাংলাদেশের সর্বনাশের ছিদ্র খোঁজেন, প্রমিত বাংলায় পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করলে কী কী বিপর্যয় হবে তার লম্বা ফিরিস্তি দিয়েছিলেন। ওই ফিরিস্তিতে তিনি বলেছিলেন, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ পড়বে। দারিদ্র্য বাড়বে। অবশ্য তখন আমরা জানতাম না ২০২০ সালে করোনার তান্ডব গোটা বিশ্বকে ল-ভ- করে দেবে। ভাগ্যিস ওই পন্ডিতদের কল্পনায় করোনা ছিল না। থাকলে তো তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণীতে বাংলাদেশ নামে দেশটাকেই বিলীন করে দিতেন। শুধু ওই এক পন্ডিত নন, এ রকম বহু পন্ডিত সেদিন নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। আমরা মূর্খ জনতা পন্ডিতদের অমৃত বাণীতে আস্থা রেখেছি। সরকারের এসব পাগলামি নিয়ে চায়ের আসর গরম করেছি। বুদ্ধিজীবীদের কথায় উদীপ্ত হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়াও। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি। দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে ছাত্রদলের এক সভায় পন্ডিতদের বাণীতে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে সরকার। কিন্তু পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। এ সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। এ সেতুতে কেউ উঠবেন না অনেক রিস্ক আছে।’ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগে পদ্মা সেতু নিয়ে কে কী বলেছিলেন তার ওপর একটা ভালো প্রামাণ্যচিত্র হতে পারে। এ সমাজে কিছু মানুষ আছেন যাঁদের কথার কোনো জবাবদিহি নেই। তাঁরা বাংলাদেশ সম্পর্কে সারাক্ষণ শঙ্কা আর আতঙ্কের কথা বলতে থাকেন। তবে তাঁদের পূর্বাভাস যখন অসত্য প্রমাণিত হয়, তাঁরা দুঃখ প্রকাশটুকু পর্যন্ত করেন না। অবশ্য এই সুধীজনরা বাংলাদেশের জনগণকে খুব একটা পাত্তা দেন না। তাঁদের প্রভুরা থাকেন দূর দেশে। তাঁদের চোখে বাংলাদেশ নিকৃষ্ট, জঘন্য। জাতির পিতার নেতৃত্বে এ দেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই এঁরা বাংলাদেশ নিয়ে শুধু হতাশার কথাই শুনিয়েছেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, ‘স্বাধীনতা অর্জন করলেও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে সব সময় নির্ভর করতে হবে বিদেশি সাহায্যের ওপর।’ বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের ওপর মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ হলো একটা তলাবিহীন ঝুড়ি। এখানে যতই সাহায্য দেওয়া হোক, কোনো কাজে আসবে না।’

১৯৭২-৭৩ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রধান রবার্ট ম্যাকনামারা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশকে সব সময় বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করেই চলতে হবে। এভাবে টিকে থাকা যে কোনো রাষ্ট্রের জন্যই অসম্ভব।’ ১৯৭৩-এ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছি, ‘দেখার বিষয় বাংলাদেশ কত দিন টেকে এবং কীভাবে টেকে। সবচেয়ে ভালো অবস্থায়ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত কঠিন উন্নয়ন সমস্যা বিদ্যমান। জনগণ দরিদ্র। মাথাপিছু আয় ৫০ থেকে ৭০ ডলার। যা গত ২০ বছরে একচুলও বাড়েনি। জনসংখ্যার আধিক্য বাংলাদেশকে ক্রমেই অস্তিত্বের সংকটে ঠেলে দেবে।’ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর দেশটির সম্ভাবনা নিয়ে কথা হয়নি একদম। বরং বিশ্বের বড় বড় পন্ডিত ও অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের টিকে থাকা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন বারবার। মার্কিন অর্থনীতিবিদ ডগলাস মন্তব্য করেছিলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মডেল হবে বাংলাদেশ।’ এ সময় বাংলাদেশ কত দিন টিকবে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদরা রীতিমতো গবেষণা করেছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ডাস্ট ফাল্যান্ড ও পারকিনসন্স। বাংলাদেশকে তাঁরা ‘উন্নয়নের ল্যাবরেটরি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। যৌথ নিবন্ধে তাঁরা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যদি উন্নয়ন সম্ভব হয় তাহলে বিশ্বের যে কোনো দেশেই উন্নয়ন সম্ভব।’ স্বাধীনতার পর থেকে তাই যে বাংলাদেশকে ভয় দেখানো শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান। ’৯৮ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা হলো। এটিকে বলা হয় সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। শেখ হাসিনা তখন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে বলল, ‘অন্তত ২০ লাখ মানুষ মারা যাবে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষ হবে।’

বিশ্বব্যাংক যখন এ কথা বলে তখন তাদের দেশি এজেন্টরা কি বসে থাকে? কথার ফুলঝুরি ছুটল। বাংলাদেশের গণ্যমান্য অর্থনীতিবিদরা বললেন, ‘ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষে ১ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।’ এরপর শুরু হলো হুঁশিয়ার সাবধান! এটা করা যাবে, ওটা করা যাবে না। অর্থনীতির ১২টা বাজার ঘণ্টাও বাজালেন কেউ কেউ। কিন্তু শেখ হাসিনা অন্য ধাতুতে গড়া এক মানুষ। এসব গায়ে না মেখে তিনি দিনরাত একাকার করে কাজ করলেন। কোথায় দুর্ভিক্ষ, কোথায় ক্ষুধা। মানুষ নতুন উদ্যমে জীবনের গান গাইল। বন্যা কাটিয়ে বাম্পার ফলন উপহার দিল কৃষক। তখনো বুদ্ধিজীবী, পন্ডিত আর অর্থনীতিবিদরা ভুল ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য জিবে কামড়টুকু দেননি। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে করোনার প্রকোপ শুরু হলো। মার্চে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় ঢুকল বাংলাদেশ। বাংলাদেশেও বাড়তে থাকল করোনার প্রকোপ। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অযোগ্য নেতৃত্ব, দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে বেশ কিছু সমস্যাও তৈরি হলো। একদল পন্ডিত ঢাকঢোল নিয়ে মাঠে নামলেন। বাংলাদেশে করোনার মহামারি হবে। কোটি মানুষের প্রাণ যাবে। লাশ দাফনের জায়গা পাওয়া যাবে না। এ রকম ভয়ংকর কথাবার্তায় রীতিমতো আঁতকে উঠলাম। দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ভারতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল পরিস্থিতি। আমাদের জ্ঞানীরা বলতে শুরু করলেন বাংলাদেশের অবস্থা ভারতের চেয়েও শোচনীয় হতে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা পরিস্থিতি সামাল দিলেন অসাধারণ দক্ষতায়। তার পরও কেউ ধন্যবাদ দিল না। ওইসব পন্ডিতের কেউ স্বীকার করলেন না ‘আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন’।

বাংলাদেশ নিয়ে অশুভ শঙ্কার প্রলাপ এখনো চলছে। এবার শ্রীলঙ্কা নিয়ে। আবার আমাদের পবিত্র মানুষ নতুন ভবিষ্যদ্বাণী দিচ্ছেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এমনভাবে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে যাতে গোয়েবলসও হয়তো বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতেন। কদিন আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে গিয়েছিলাম জনশুমারি বিষয়ে তাঁর একটি বক্তব্য ধারণ করার জন্য। স্পিকার হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইতিহাসে তিনি অন্যতম সেরা। বিনয়ী, জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত। সাক্ষাৎকার শেষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। একপর্যায়ে একজন শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ ওঠালেন। শান্ত, বিনয়ী মানুষটিও এ কথা শুনে একটু উত্তেজিত হলেন, বললেন, কোন বিচারে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা হয়! দুটো দেশের মধ্যে তুলনা করার মতো কিছুই নেই। জোর করে তুলনা করা হচ্ছে। স্পিকার বললেন, ‘কিছু কিছু মানুষের কথা শুনে মনে হয় তারা যেন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হোক এটা চাইছেন। কেন? আলাপকালে তিনি বলছিলেন, ‘ওপরতলার মানুষ যারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তারাই যেন সবচেয়ে বড় সমালোচক।’ ঘণ্টাখানেক কথা বলে বেরিয়ে এলাম। আপন মনে একা একা তাঁর কথাগুলো ভাবতে থাকলাম। অনেক প্রশ্নের উত্তর পেলাম তাঁর কথায়। তাই তো, ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রাম করেছে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, রিকশাওয়ালারা। সে সময় ধনীদের এক বড় অংশ ছিল মুসলিম লীগ, পাকিস্তানপন্থি। সবাই না, বড়লোকের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশ চায়নি। এরা এখনো সম্পদশালী। এরা এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে নাক সিটকায়। এরাই সুশীল হিসেবে নিজেদের জাহির করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় এরা ব্যথিত। বেদনা লাঘবের জন্য এরা বাংলাদেশ নিয়ে হতাশার বাণী ছড়ায়। আর এদের প্রাতিষ্ঠানিক অভিভাবক হলো বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক এ পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়ে যত ভবিষ্যদ্বাণী করেছে তা সব ভুল হয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিশ্বব্যাংক কৃষিতে ভর্তুকি বন্ধের শর্ত দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ মানেননি। তাই এখন বাংলাদেশে খাদ্য সংকট নেই। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ শুনে বেগম জিয়া আদমজী পাটকল বন্ধ করেছিলেন। এটি ছিল বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভুল এবং বাজে সিদ্ধান্তের একটি। সদ্যস্বাধীন একটি দেশ সম্পর্কে যে ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বব্যাংক ’৭২-এ দিয়েছিল বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো। বিশ্বব্যাংক ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে এক রিপোর্টে বলেছিল, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে টানা ১৫ বছর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে জিডিপি কমতে থাকে। সে সময় মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ৩১০ থেকে ৩১৪ টাকা। ২০ বছরে বৃদ্ধি পায় মাত্র ১ দশমিক ৩ ভাগ।’ বিশ্বব্যাংক এ হার ধরে প্রক্ষেপণ করেছিল বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় দ্বিগুণ হতে ১ হাজার ৫০০ বছর লাগবে। অথচ বাংলাদেশ এখন কোথায়? বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক আট বছর। ভারতে গড় আয়ু ৬৮ দশমিক তিন বছর। আর পাকিস্তানে ৬৬ দশমিক চার বছর। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। দারিদ্র্য হ্রাস, নারী-পুরুষ সমতা ইত্যাদি সব সূচকেই বাংলাদেশ উপমহাদেশে ভালো অবস্থানে আছে। তাহলে ’৭২-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বিশ্বব্যাংকের কি দুঃখ প্রকাশ করা উচিত না? বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে আসার পরও যখন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করল। যখন কানাডার আদালতে প্রমাণিত হলো পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন কি বিশ্বব্যাংকের পন্ডিত অর্থনীতিবিদরা একটুও লজ্জিত নন?

বিশ্বব্যাংক উন্নয়নের জন্য সংগ্রামরত দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শৃঙ্খলে বন্দি রাখার এক প্রকল্প। ঋণের ফাঁদে ফেলে এরা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে উন্নয়ন প্রেসক্রিপশন দেয়। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন গ্রহণ না করে সাহসী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পশ্চিমা খবরদারি কমেছে। নানা রকম চাপ কমেছে। বাংলাদেশ তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বাস্তবায়ন করছে। এতেই পশ্চিমা বিশ্ব বেশ নাখোশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাদের সংকোচন এ দেশে তাদের বাজার হ্রাস করেছে। এজন্য তারা এখন নানা ইস্যুতে ব্যাপক উৎসাহী। আগামী নির্বাচন, গণমাধ্যম, মানবাধিকার ইত্যাদি নিয়ে তারা মাতম করছে। এ মাতমে যুক্ত হয়েছেন পশ্চিমাপ্রেমিক দেশি ভদ্রজনেরা। এঁরা এমন একসময় শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা করছেন যখন পদ্মা সেতু জনগণের জন্য প্রস্তুত। জনগণকে ভয় দেখাচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু পদ্মা সেতু আবারও প্রমাণ করেছে পন্ডিতরা সব সময় ভুল। জনগণ সব সময় সঠিক। বঙ্গবন্ধু যদি পন্ডিত ও সুশীলদের কথা শুনতেন তাহলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। আর শেখ হাসিনা যদি পন্ডিত আর সুশীলদের কথা শুনতেন তাহলে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে আসত না। আমাদের সম্মানিত সুধীজনের ভুল ভবিষ্যদ্বাণী থেকে একটি হিন্দি সিনেমার কথা খুব মনে পড়ছে। সম্প্রতি ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। ছবির নাম ‘৮৩’। কবির খান নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি ১৯৮৩ সালে ভারতের অভাবনীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের ওপর। ’৮৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগের বিশ্বকাপগুলোয় ভারত খুবই খারাপ করেছে। শুধু পূর্ব আফ্রিকাকে হারিয়েছে। ’৮৩-এর বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যখন যুক্তরাজ্যে গেল, তখন ভারতকে রীতিমতো হাসিতামাশা, অবজ্ঞা, অবহেলা। ২৫ জুন বিশ্বকাপ ফাইনাল। অথচ ভারতীয় দল ফেরার টিকিট করে রেখেছিল ২০ জুন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতীয় দলের সংবাদ সম্মেলনে দু-চার জন মাত্র সাংবাদিক। বিখ্যাত ব্রিটিশ ক্রীড়া সাংবাদিক কপিল দেবকে প্রশ্ন করলেন, এবারের বিশ্বকাপে তোমাদের লক্ষ্য কী? কপিল দেব উত্তর দিলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়।’ বিস্ময়ে হতবাক ব্রিটিশ সাংবাদিক। পরে এ নিয়ে ভারতেও বিস্ময়, চাপা কৌতুক। ওই বিশ্বকাপে ভারত একটা করে জয়ী হচ্ছে, বোদ্ধারা বলছেন এটা অঘটন। প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রিঞ্চ তাঁর এক প্রতিবেদনে লিখলেন, ‘ভারত যদি বিশ্বকাপ জেতে তাহলে তিনি তাঁর নিজের লেখা কাগজ খেয়ে ফেলবেন।’ সবাইকে অবাক করে ভারত ’৮৩-এর বিশ্বকাপ জিতে গেল। ভারতেরও খুব কম মানুষ বিশ্বাস করেছিল কপিল দেবের দল বিশ্বকাপ জিতবে। সে জয়ের মহানায়ক ছিলেন কপিল দেব। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাঁচা-মরার ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার যখন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল তখন স্নানঘর থেকে অপ্রস্তুত কপিল দেব মাঠে নামেন; তখন কেউ ভাবেননি কপিল বিশ্বরেকর্ড করবেন। ওই ম্যাচটা একাই জিতিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক। ওই ম্যাচ জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ভারত। সিনেমায় দেখা যায়, ভারতীয় দূতাবাসের রিসিপশনে শ্রীকান্ত বলছেন, ‘আমাদের পাগল অধিনায়ক বিশ্বকাপ জয় ছাড়া আর কিছুতেই খুশি হবে না।’ সিনেমাটা দেখতে দেখতে আমার কেন জানি বাংলাদেশের কথা মনে হয়। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন বাংলাদেশ ধুঁকছে। ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে অনেকে। বিশ্বে মর্যাদাহীন। তুচ্ছতাচ্ছিল্যের এক দেশ। সেখান থেকে গত ১৩ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন, তার একটা প্রতীক হলো পদ্মা সেতু। কিন্তু কপিল দেবের মতোই শেখ হাসিনা যেন সন্তুষ্ট নন। বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরের আগে তিনি কিছুতেই খুশি হবেন না।

তবে ৮৩ চলচ্চিত্রের একদম শেষে ভারতীয় ম্যানেজারের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণা আমাকে সবচেয়ে বেশি তাড়িত করেছে। বিশ্বকাপ জয়ের রাতে ভারতীয় ম্যানেজার ক্রীড়া সাংবাদিক ডেভিড ফ্লিঞ্চকে এক চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি তাঁকে নিজের লেখা কাগজ খাবার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। ফ্লিঞ্চ তাঁর ভুল ভবিষ্যদ্বাণী স্বীকার করে লর্ডসে বসে ওয়াইনের সঙ্গে তাঁর লেখা খেয়েছিলেন। আমাদের যেসব পন্ডিত এখন-তখন বাংলাদেশ সম্পর্কে যেসব কথা বলেছিনেন তা ভুল প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা কি তাঁদের লেখা গলাধঃকরণ করবেন?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সর্বশেষ খবর
মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন বিতর্ক
মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন বিতর্ক

১ সেকেন্ড আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীর পল্লবীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১
রাজধানীর পল্লবীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মুসল্লিকে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মুসল্লিকে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাগুরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ
মাগুরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নবীনগরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি
নবীনগরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের সুযোগ আছে আরও দুইদিন, আবেদন যেভাবে
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের সুযোগ আছে আরও দুইদিন, আবেদন যেভাবে

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

গাজীপুরে সংবর্ধনা পেলেন ৪২ কৃতী শিক্ষার্থী
গাজীপুরে সংবর্ধনা পেলেন ৪২ কৃতী শিক্ষার্থী

২১ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালো চলবে : গভর্নর
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালো চলবে : গভর্নর

২১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে মেটার ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ
যুক্তরাষ্ট্রে মেটার ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ

২৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ দেখল বাংলাদেশি স্বজনরা
ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ দেখল বাংলাদেশি স্বজনরা

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আইসিসিবিতে চলছে ইলেকট্রিক গাড়ি-বাইক ও মেডিকেল প্রযুক্তির প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে চলছে ইলেকট্রিক গাড়ি-বাইক ও মেডিকেল প্রযুক্তির প্রদর্শনী

৩৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৮৩৪
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৮৩৪

৩৭ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

নরসিংদীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের 'টেঁটাযুদ্ধ'
নরসিংদীতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের 'টেঁটাযুদ্ধ'

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লিনিক্যাল বর্জ্যে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রংপুর নগরবাসী
ক্লিনিক্যাল বর্জ্যে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রংপুর নগরবাসী

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

গাইবান্ধায় বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমাবেশ
গাইবান্ধায় বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সমাবেশ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুন্দরবনে পর্যটকবাহী বোট উল্টে নারী নিখোঁজ
সুন্দরবনে পর্যটকবাহী বোট উল্টে নারী নিখোঁজ

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার
জয়পুরহাটে ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তনে দলগুলোকে অঙ্গীকারের আহ্বান দেবপ্রিয়র
বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তনে দলগুলোকে অঙ্গীকারের আহ্বান দেবপ্রিয়র

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু
ঢাকায় আসছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েও সুদানের রাজধানীতে আরএসএফের ড্রোন হামলা
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েও সুদানের রাজধানীতে আরএসএফের ড্রোন হামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় হারে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় হারে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু, আহত ১৩০
ব্রাজিলে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু, আহত ১৩০

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপালগঞ্জে প্রণোদনার বীজ-সার পেল ২৮২০ কৃষক
গোপালগঞ্জে প্রণোদনার বীজ-সার পেল ২৮২০ কৃষক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন নাও করতে পারে পাকিস্তান
অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন নাও করতে পারে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম