রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সিদ্ধান্তটি ভালো তবে...

মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হোক

হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে আমাদের দেশে যে তামাশা চলছে দেরিতে হলেও তাতে লাগাম পরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংকের সাইনবোর্ডে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখসহ লাইসেন্স নম্বর যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার অধিদফতরের এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনুমোদনহীন চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধের অভিযানের মধ্যেই সুনির্দিষ্ট এ নির্দেশনা দেওয়া হলো। নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাডব্যাংক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ২৯ আগস্ট থেকে অভিযান পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ পর্যন্ত ৮৫০টি অবৈধ ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধ করেছে অধিদফতর। নানা অনিয়মে জরিমানা করা হয়েছে ১৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। দেশে লাইসেন্স ছাড়া কেউ যাতে অবৈধভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাতে না পারে সে উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশটি তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে কোনটি অনুমোদিত আর কোনটি অনুমোদিত নয় অর্থাৎ কোনটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান তা চিহ্নিত করা সেবাপ্রার্থীদের পক্ষে সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধের তাগিদ সৃষ্টি হবে। তবে চিকিৎসাসেবার বদলে যেভাবেই হোক অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে যথারীতি লাইসেন্স নিয়ে যেসব চিকিৎসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এত জারিজুরির পরও সেগুলোর সেবার মান আদৌ নিশ্চিত হবে কি না তা এক প্রশ্ন। দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও তার সিংহভাগই মানহীন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে রয়েছে বড় মাপের প্রশ্ন। লাইসেন্সধারী হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে ভুয়া ডাক্তারদের ডাক্তার সাজিয়ে বেশি লাভের কসরতও ওপেন সিক্রেট। সাধারণ মানুষের মানসম্মত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সচেতন হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর