সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

উসকানিমূলক আচরণ

মিয়ানমারকে সংযত হতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের সংঘাতের প্রভাব নিজ এলাকার ওপর পড়ার পরও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংযম দেখাচ্ছে। শনিবার ব্রিটিশ বিরোধীদলীয় নেতা ও লেবার পার্টি প্রধান স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠককালে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি কীভাবে বাংলাদেশের ওপর বোঝা হয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে ব্রিটিশ নেতাকে অভিহিত করেন। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে যুক্তরাজ্য সফরে আছেন। প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময়ে মিয়ানমারের সংঘাত সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যখন সে দেশ থেকে আসা গোলাগুলিতে বাংলাদেশের একজন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। শনিবারও কক্সবাজারের উখিয়ার পার্শ¦বর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। সারা রাত ভয়ে ঘুমাতে পারেনি সীমান্ত এলাকার মানুষ। আতঙ্কগ্রস্ত অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। সীমান্ত এলাকার ৭০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরিস্থিতি সামলাতে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে গতকাল তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতিতে বিশ্বাসী। বন্ধু পাল্টানো যায় কিন্তু প্রতিবেশী পাল্টানো যায় না। ছোট হোক বড় হোক প্রতিবেশীর সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রেখে ভালো থাকা যায় না। যে কারণে মিয়ানমারের ১২ লাখ মানুষ সে দেশের সেনা অভিযানে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও বাংলাদেশ সংযত আচরণ করছে। রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখলেও সহনশীলতা দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাগুলি সত্ত্বেও সংযম প্রদর্শন করছে। মিয়ানমারের সুবুদ্ধির উদয় না হলে এক সময় বাংলাদেশকেও অনাকাক্সিক্ষত সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে হবে। তা মিয়ানমারের জন্য কাম্য হবে কি না তা সময় থাকতেই ভেবে দেখতে হবে। সুসম্পর্ক চাইলে উসকানিমূলক কার্যকলাপ থেকে তারা দূরে থাকবেন- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর