সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভোগান্তির নাম পেট্রাপোল

অব্যবস্থার ইতি ঘটাতে উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের উল্টোপাশে ভারতের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল। দেশের সর্বাধিক নাগরিক চিকিৎসা ও ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে ভারত সফর করেন এই পথে। কিন্তু পেট্রাপোলে প্রয়োজনের তুলনায় কাস্টমসের লোকবল কম থাকায় ইমিগ্রেশনের কাজে সময় নষ্ট হচ্ছে। বেনাপোলে একজন যাত্রীর ইমিগ্রেশনে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। অন্যদিকে ভারতের পেট্রাপোলে লেগে যাচ্ছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। এ জন্য খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। রোগী হোক কিংবা কোনো অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বা বয়স্ক মানুষ, রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। নেই মাথার ওপর ছাউনি, বসার জায়গা, টয়লেটের ব্যবস্থা। আশপাশে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির কাউন্টারে টয়লেট থাকলেও যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ, লাইন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। সব মিলিয়ে এক দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে ভারত যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। তবে ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, প্রতিদিনের চিত্র। ফলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময় নষ্ট হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে তাদের নাকাল হতে হচ্ছে। সময়মতো ট্রেন-বাস না পাওয়ায় চিকিৎসকের অ্যাপয়েনমেন্ট বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বাতিল হয়ে যাচ্ছে বিমানের টিকিটও। সঙ্গে রয়েছে কাস্টমস অফিসারদের উৎপাত। টাকা না দিলে পার হওয়া কষ্টকর। ব্যাগের ওজন বেশি হলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা না দেওয়া পর্যন্ত পারাপারের সুযোগ নেই। ইমিগ্রেশনে ডেস্কের সংখ্যা ১৪টির বেশি হলেও খোলা থাকে মাত্র দু-চারটে। জানতে চাইলে বলা হয়, কর্মীর সংখ্যা কম। ফলে সব ডেস্ক খোলা সম্ভব হচ্ছে না। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশের যাত্রীদের এমন ভোগান্তি অপ্রত্যাশিত এবং দুর্ভাগ্যজনক। তা দুই দেশের মানুষের মৈত্রীবন্ধনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। ভারতের উচিত হবে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে যে অব্যবস্থা রয়েছে তার অবসান ঘটানো।

সর্বশেষ খবর