মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

শসার গুণ

শসা আমাদের দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ সবজি ও ফল। শসা চাষের জন্য পানি জমে না এ রকম উঁচু মাটি নির্বাচন করতে হবে। দোঁআশ মাটিতে এর চাষ ভালো হয়। জৈবিক সার প্রয়োগ করে এঁটেল মাটিতেও শসা চাষ করা যায়। অবশ্য মাটিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালোভাবে থাকা দরকার। দেশের কৃষিবিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা উচ্চফলনশীল কয়েক জাতের শসাকে অনুমোদন করেছেন। সেগুলো হলো- চায়নিজ গ্রিন, পুচা সংযোগ, পইনসেটি, এ এইউসি-১, ২, ৩, ৪। এ ছাড়া বাজারে অনেক উচ্চফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের শসা পাওয়া যায়। শীতের শেষ থেকেই বর্ষাকালীন শসার বীজ বপন করা যায়, অবশ্য মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত বীজ বপন করা চলে। শসার চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ৩০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন। বীজ সাধারণত সারিতে বুনতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ৪ ফুট। সাধারণত শসার বীজ মাদায় বপন করা হয়। এর জন্য প্রথমে উঁচু ভিটা সারিসারিভাবে তৈরি করে নিতে হয়। প্রতি ভিটায় মাদা থেকে মাদার দূরত্ব হবে ৩ ফুট। প্রতি মাদায় ২-৩টি বীজ বপন করতে হয়। মাটি প্রস্তু‘তির সময়ই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। শসা চাষের জন্য জমি ভালোভাবে চাষ করে বিঘাপ্রতি ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩৬ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট ও ১৬ কেজি মিউরিট অব পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। তারপর চাষ দিয়ে মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে নেওয়া দরকার। চারার বয়স এক মাস হওয়ার পর বিঘাপ্রতি ৬ কেজি ইউরিয়া গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর