বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের মাধ্যমে পারমাণবিক যুগের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ রিঅ্যাক্টর উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কমিশনের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেড। তিনি পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুমতি চান। প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দেওয়ার পর রিঅ্যাক্টর ভবনে সেটি স্থাপন করা হয়। ক্রেনের মাধ্যমে রিঅ্যাক্টরটি নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হয়। রিঅ্যাক্টর স্থাপন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মাইলফলক অগ্রগতি। কারণ রিঅ্যাক্টর ভেসেলকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হার্ট বলা হয়। এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর প্রথম ইউনিটে রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হয়। দেশের প্রথম এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরুর পরই বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবের ৩১তম সদস্য হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের ইতিহাসের অন্যতম ব্যয়বহুল মেগাপ্রকল্প। আগামী বছরের মধ্যে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি হিসেবে ইউরোনিয়াম আসবে। করোনাভাইরাস এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ধকল সত্ত্বেও এ প্রকল্পটি যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সোয়া লাখ কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয় হলেও এ কেন্দ্র থেকে অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের জন্য যেভাবে নাকাল হতে হচ্ছে তার কিছুটা হলেও ইতি ঘটানো সম্ভব হবে। সরকার বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে দেশে আরও একাধিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী। তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরিখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে। উন্নয়নের চাকা রাখবে সচল।

সর্বশেষ খবর