শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ আপডেট:

নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হওয়া চাই

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হওয়া চাই

বিএনপি সরকারের আমলে মাগুরায় নিদারুণ ভোট চুরি নির্বাচনী জগতে এক বিরাট কলঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ময়মনসিংহের দাপুনিয়ার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ। মাগুরা সার্কিট হাউস থেকে তিনি চলে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত আসাদুজ্জামানের ছেলে শফিকুজ্জামান বাচ্চু আর বিএনপির ইকোনো বলপেন কোম্পানির মালিক কাজী সলিমুল হক কামাল। সে নির্বাচনকে একটা নির্বাচন বলা চলে না। শালিখা আর মহম্মদপুর দুটি উপজেলা মিলে নির্বাচনী এলাকা। আমি মহম্মদপুরের কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে ভোটের দিন গিয়েছিলাম। সেখানে পরিবেশ বেশ ভালো দেখেছিলাম এবং সে কথা পরিদর্শন বইয়ে লিখে এসেছিলাম। মহম্মদপুরের তিন-চারটি কেন্দ্রে পরিদর্শন করে ভোট ভালো হচ্ছে লিখেছিলাম। সবকটাতে নৌকার প্রার্থী জিতেছিলেন। কিন্তু শালিখায় হয়েছিল ব্যাপক জোরজবরদস্তি। ভোটের পার্থক্য ছিল- ধানের শীষ ২ হাজার হলে নৌকা ২০০। সে ভোটে বিএনপি সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর সখিপুর-বাসাইল উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ একই কাজ করেছিল। এমনকি মাগুরাকে পিছে ফেলে দিয়েছিল নির্বাচনী অসততায়। মাগুরার নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ, সখিপুরে ’৯৯-এর নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা। দারুণ মেরুদন্ডসম্পন্ন মানুষ। ভোটের কারচুপির অভিযোগ আনলে তিনি ভোটের ফলাফল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুধু ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করেনি, ’৯৯ সালের উপনির্বাচনেও তেমনটা করেছিল। প্রায় ৪০ হাজার ভোট রাতেই বাক্সবন্দি করেছিল। তার পরও ভোটে এগিয়ে থাকতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত চারটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে তাতে নৌকার প্রার্থী কয়েক হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। আমি চেয়েছিলাম গামছা। কিন্তু গামছা দেয়নি। তাই প্রতীক বরাদ্দের সময় চলে এসেছিলাম। শেষে আমাকে পিঁড়ি মার্কা দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়েই নির্বাচন করেছিলাম। হাই কোর্টে মামলা হওয়ায় দুই বছর কোনো ফলাফল ঘোষণা হয়নি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত মোমেন শাজাহান ছিলেন বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী এবং আমার একনিষ্ঠ কর্মী। পরবর্তী নির্বাচনের দুই মাস আগে মামলা প্রত্যাহার করে নিলে স্থগিত কেন্দ্রের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১২০০-১৩০০ ভোটে শওকত মোমেন শাজাহানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দেড়-দুই মাসের জন্য শওকত মোমেন শাজাহান হন সখিপুর-বাসাইলের এমপি। পরবর্তী নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। তাতে আমি লক্ষাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই।

১৫ নভেম্বর আমার জীবনের এক পরম সৌভাগ্যের দিন। ২০০৪ সালে আমার চিন্তা-চেতনা-অস্তিত্ব আমার মা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। দেহমন শূন্যতায় ছেয়ে যায়। যেদিকে তাকাই শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। হঠাৎই কাকে ঠুকরে ক্ষতবিক্ষত করা এক মানবসন্তানের খবর পাই। ছুটে যাই ঢাকা মেডিকেলে। ছোট্ট এক টুকরো মাংসখন্ড, যার সারা দেহে ৪০-৪৫টি ক্ষত, কাকের ঠোকরের চিহ্ন। ব্যান্ডেজ আর ব্যান্ডেজ। খুব সম্ভবত দুই দিন বয়সী কুশিমণিকে প্রথম দেখেছিলাম একটা ব্যান্ডেজ আর তুলার টোপলা। তবু তার চোখ ছিল জ্বলজ্বলে। চোখের দিকে তাকাতেই মনে হচ্ছিল সে যেন বলছিল, ‘বাবা, তুমি এসেছ? বড় কষ্ট!’ চোখে পানি রাখতে পারিনি। বাড়ি ফিরে সহধর্মিণী ও ছেলেমেয়েদের বলেছিলাম। ওরাও সেদিনই দেখতে গিয়েছিল। ক্ষতবিক্ষত দুই দিনের বাচ্চাটির চোখ আমার চোখে লেগেছিল। আজ আমার ধ্যান-জ্ঞান-কলিজার টুকরো কুশিমণির জন্মদিন। দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাঁর পবিত্র ছায়াতলে মামণিকে রাখেন।

বহুদিন পর টাঙ্গাইল বড় বেশি বর্ণিল সাজে সেজেছিল। অভাবনীয় সাজ! কিন্তু রাস্তাঘাট, দোকানপাট সব ছিল ফাঁকা। কিছুদিন হলো প্রায় একটা রেওয়াজের মতো হয়ে গেছে বিএনপির সভা হবে রাস্তাঘাট-দোকানপাট-গাড়িঘোড়া-লোক চলাচল বন্ধ থাকবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলনে রাস্তাঘাটে একটাও গাড়ি থাকবে না এটা কেমন কথা? কয়েকদিন আগ থেকে জেলা সম্মেলন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল। টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম ওর আগে কখনো অতটা বর্ণিল সাজে সাজেনি। আর টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে এখন খুব একটা সভা-সমাবেশ হয় না। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে টাঙ্গাইল পার্ক ময়দানে প্রথম জনসভা হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২। কাদেরিয়া বাহিনীর কাছ থেকে সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ত্র নিয়েছিলেন। সে দিনটি টাঙ্গাইলের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ঘটনা। ’৫৭ সালের ফেব্রুয়ারির ৬-৭ তারিখ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে কাগমারী মহাসম্মেলন যেমন ঐতিহাসিক তেমন না হলেও তার কাছাকাছি ছিল ’৭২-এর ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পদতলে কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্রসমর্পণ বা অস্ত্র জমা দেওয়া। সকালে শিবনাথ স্কুলমাঠে পিতাকে নেতাকে সশস্ত্র অভিবাদন, তারপর বিন্দুবাসিনী স্কুলমাঠে অস্ত্র জমা, বিকালে পার্ক ময়দানে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জনসভা। এখন টাঙ্গাইল পার্ক ময়দান দু-তিন ভাগে বিভক্ত। একদিকে স্টেডিয়াম, অন্যদিকে ঈদগাহ ময়দান, তার পাশে র‌্যাবের ক্যাম্প, তার পাশেই ভাসানী হল, পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুল- সব মিলিয়ে জায়গাটি বেশ ছোট হয়ে এসেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপর টাঙ্গাইল পার্কে যে জনসভা করেছিলেন তখন ছিল সবটুকু খোলা। উত্তরে আনসার ক্যাম্প, দক্ষিণে আরফান কোম্পানি বা টিজিটি লৌহজং নদী যা শহরের মধ্য দিয়ে বুড়াই বিলে পড়েছে। বর্ষাকালে শত শত নৌকা আসত শহরে। নানা কিছু বিক্রি হতো। তার মধ্যে আখ-ডাব-নারকেল-কাঁঠাল নানা ধরনের ফলফলারি। জেলেরা মাছ নিয়ে আসত, বাজারে নিয়ে বিক্রি করত সেসব এখন আর নেই। আনসার ক্যাম্প থেকে দক্ষিণে খালপাড় প্রায় ১ কিলোমিটার, পাশেও ৬০০-৭০০ গজের কম নয়। এ বিশাল পার্কে ২৪ জানুয়ারি ’৭২ অস্ত্র জমা নেওয়ার পর এক জনসভায় রাজধানীর বাইরে বঙ্গবন্ধু প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন। মাঠে কোথাও লোক ধরার জায়গা ছিল না। সারা শহর লোকারণ্য। কোনোমতেই ১২-১৫ লাখের কম হবে না। তারপর অনেক অদলবদল হয়েছে। চারদিকে ঘেরা মাঠের অর্ধেক স্টেডিয়াম হয়েছে। হয়তো ৩-৪ লাখ লোক গাদাগাদি করে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে স্থান হতে পারে। সেখানে ’৯১-এর ৫ জানুয়ারি নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পর সদ্যকারামুক্ত হয়ে সভাপতি শেখ হাসিনার পাজেরো গাড়িতে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল গিয়েছিলাম। টাঙ্গাইলের সব নেতা সেখানে ছিলেন। দাবি করেছিলাম বঙ্গবন্ধু হত্যায় আওয়ামী লীগের যে নেতারা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তাদের বিচার করতে হবে। কথাটি আমি প্রথম উচ্চারণ করেছিলাম সিলেট থেকে ফেরার পথে নরসিংদীতে। এখনকার অবস্থা দেখে তখন ’৯১ সালের ওই সময় অতটা জোর দিয়ে ও কথা বলা আমার ঠিক হয়েছিল কি না বলতে পারব না। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁর মন্ত্রিসভার যে যে নেতা মোশতাকের মন্ত্রিসভায় গিয়েছিলেন তারা তেমন কেউ ইচ্ছা করে লাফিয়ে মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যাননি। বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন। তা না হলে ফণীভূষণ মজুমদারের মতো নির্বিবাদী মানুষ খালি পায়ে গেঞ্জি পরা অবস্থায় বঙ্গভবনে কী করে হাজির হন? তিনি তো তখন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হ্যাঁ, দু-এক জন থাকতে পারেন, কিন্তু সবাই নয়। আমরা অনেকেই সেই গোড়া থেকেই ভুল করে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর খুব গভীরভাবে লক্ষ করেছি, সেনাবাহিনীর শতকরা পাঁচজনও বঙ্গবন্ধুর হত্যা সমর্থন করেনি। কত কর্নেল-ব্রিগেডিয়ার যোগাযোগ করেছে বলেছে, যখন আক্রমণ করা হবে জানালেই তারা আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবে। ’৭৫-এ আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটা শক্ত সমর্থ সামরিক দল গঠন করা। যে দলের মাধ্যমে সশস্ত্র সদস্যদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমরা চাচ্ছিলাম দুই ডিভিশন প্রশিক্ষিত দেশপ্রেমিক যোদ্ধা ও কর্মকর্তা তৈরি করতে। তারই প্রস্তুতি চলছিল রাতদিন। আর এটা খুবই সত্য, ’৭৭-এর ফেব্রুয়ারির দিকে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী আমায় দিল্লি ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা কর, তোমাকে ঢাকা পৌঁছে দিই।’ পরে শুনেছি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধেও একেবারে শুরুর দিকে একবার বঙ্গতাজ তাজউদ্দীনকেও ইন্দিরাজি একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী প্রধানকে ডেকে ইন্দিরাজি ঢাকা দখলের কথা যখন বলেছিলেন তখন ভারতীয় সেনাপ্রধান অকপটে বলেছিলেন, এ সময় ঢাকা অভিযানে নামলে শুধু পরাজয় ছাড়া ভারতীয় বাহিনী আর কিছুই অর্জন করতে পারবে না। কথাটা যথার্থ। অপ্রস্তুত সেনাবাহিনী, রাস্তাঘাট ভালো না, সামনেই বর্ষা, ভারতীয় বাহিনী সময় নিয়েছিল আর মুক্তিবাহিনীর হাতে সেই সময় দুর্দান্ত পাকিস্তানি বাহিনী এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। ততদিনে মুক্তিবাহিনীর লাখ লাখ সৈন্য হয়েছিল। তারা মরে মরে অস্ত্র চালানো, যুদ্ধ করা অনেকটা শিখে গিয়েছিল। আর সে সময় ভারতীয় বাহিনী আসায় এক পরম বিজয় অর্জিত হয়েছিল। ইন্দিরাজি আমাকে ঢাকা পৌঁছার কথা বললে আমি অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তাদের কারও কারও খুবই ইচ্ছা ছিল ইন্দিরাজির প্রস্তাব গ্রহণ করার, অনেকের আপত্তিও ছিল। আর আমার মনের ভিতর সব সময় তোলপাড় করছিল স্বাধীনতার পর দুই মাসও লাগেনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে স্বদেশে পাঠাতে। কিন্তু এখন তো বঙ্গবন্ধু নেই, অত উচ্চ মর্যাদার কেউ নেই। তাই ভারতীয় বাহিনীকে কে কীভাবে দেশে পাঠাবে? কত বছর কত বাহিনী কত দেশে বসে আছে, আমাদের দেশেও বসে থাকবে না তো। ইন্দিরাজিকে আর মত দিতে পারিনি। এর পরই হয় ভারতের সাধারণ নির্বাচন। সেখানে কংগ্রেস হেরে যায়। জনতা পার্টি সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই। সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। জিয়াউর রহমান আসেন বাংলাদেশের ক্ষমতায়। লন্ডনে কি এক বৈঠকে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে মোরারজি দেশাইর কথা হয়। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ধরে ধরে জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা বছরের পর বছর জেল খেটে ক্যাম্পে থেকে বাড়ি ফেরে। কিছু যোদ্ধার যাবজ্জীবন, কিছু যোদ্ধার ফাঁসির আদেশ হয়। অনেক খড়কুটো পুড়ে তাদের মুক্ত করা হয়। তারপর নানাভাবে শুধু নির্যাতন আর নির্যাতন, অবহেলা আর উপেক্ষা সহ্য করে ’৯০-এর ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ দেশে ফিরে জেল খেটে হাই কোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সামরিক আদালতের সাজা থেকে মুক্ত হয়েছিলাম। তাই টাঙ্গাইল পার্ক ময়দানে সেদিনের সে সম্মেলন অবশ্যই আগ্রহের সৃষ্টি করেছিল। শুনেছিলাম সব এমপি ১০ হাজার করে কর্মী আনবেন। কোনো এমপিই ১০ হাজার কর্মী আনতে পারেননি। শুনেছি সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম সখিপুর-বাসাইল থেকে অনেকের চাইতে বেশি কর্মী আনতে পেরেছিলেন। ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সফল না ব্যর্থ, সে কথা বলতে যাব না। সম্মেলন যেভাবে হয় সেভাবে ৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলন হয়নি। গায়ে দেওয়া জামাকাপড় নোংরা হলে সাবান-সোডা দিয়ে তা পরিষ্কার করতে হয় অথবা ধোপাকে দিয়ে ধোয়াতে হয়। একটি রাজনৈতিক দলের সম্মেলনও ঠিক তেমনি। সম্মেলনের আগে প্রকাশ্য অধিবেশনে অন্য দলের অন্য মতের নেতা-কর্মী-জনসাধারণ অনেকেই আসেন। কিন্তু সম্মেলনের মূল কথা হচ্ছে কাউন্সিলর ডেলিগেটস। তারা প্রাণ খুলে আলাপ-আলোচনা করে তাদের আনন্দ-বেদনার কথা বলেন। দলকে কী করলে কীভাবে করলে আরও শক্তিশালী হবে তাতে কার নেতা হওয়া উচিত, কার কর্মী হওয়া উচিত এগুলো নির্ধারণ করে। কিন্তু ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাত বছর পর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তার কিছুই হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা ও সাবেক বহাল এই ছিল সম্মেলনের প্রধান ভূমিকা। মূলত সাবেক বহাল জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি সাধারণ সম্পাদক, ফজলুর রহমান খান ফারুক সভাপতি। আওয়ামী লীগ তাদের দল কীভাবে গোছাবে সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু একসময় দলের সঙ্গে ছায়ায় মায়ায় লতায় পাতায় জড়িয়ে ছিলাম তাই মাঝেমধ্যে মনে হয় তাদের ভালোমন্দ আসর করে। গোঁজামিলের অনেক কিছুই ভাবিয়ে তোলে। সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সাটিয়াচরার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় তাঁকে একুশে পদক দেওয়া হয়েছে শত বছর পর এটা যখন খুঁজে পাওয়া যাবে না তখন বিষয়টা ভুয়ায় পরিণত হবে। তখন মুক্তিযুদ্ধের মহিমা কালিমালিপ্ত হবে। ফজলুর রহমান খান ফারুক কখনো প্রত্যক্ষ যোদ্ধা ছিলেন না, এক দিনের জন্যও নয়। সাটিয়াচরা যুদ্ধে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই। কিন্তু একজন নেতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা আছে। তিনি তুরার সাতমাইলের রওশন আরা ক্যাম্পে রাজনৈতিক মোটিভেটর ছিলেন। সেখানে যা করার বলতে গেলে সফলভাবেই করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য যদি একুশে পদক দেওয়া হয় তাহলে যারা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছিলেন তাদের দেওয়া উচিত। সে পদক পাবেন বদিউজ্জামান খান এমপি, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক বিবেচনায় যদি কাউকে পদক দিতে হয় আর সে পদক যদি একটা হয় তাহলে সবার আগে সে পদক পাবেন জননেতা আবদুল মান্নান। তিনি টাঙ্গাইলের রাজনীতি যেমনি বলবান করেছেন মুক্তিযুদ্ধেও অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা, জয় বাংলা পত্রিকা প্রকাশ ও অন্যভাবে মুক্তিযুদ্ধ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এর পরও যদি মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে পদক দিতে হয় সে পদক পাওয়ার অধিকারী শামসুর রহমান খান। তিনি টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ জোনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর কাছে আমরা অস্ত্র দিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগে ২৪ ডিসেম্বর এক বিশাল জনসভার মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ জোনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শামসুর রহমান খান এমএনএর হাতে টাঙ্গাইলের প্রশাসনিক ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ফজলুর রহমান খান ফারুকের নামগন্ধ ছিল না। কথাগুলো এজন্য বলছি, যেকোনো ঘটনার সার্বিকতা বা সঠিকতা না থাকলে পরে এ নিয়ে প্রশ্ন জাগবে এবং তাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ক্ষতিগ্রস্ত হবে। টাঙ্গাইলের সবকজন এমপি- এমএনএ যদি একুশে পদক পান তাহলে জননেতা আবদুল মান্নান, শামসুর রহমান খান শাজাহান, প্রিন্সিপাল হুমায়ুন খালিদ, শওকত আলী খান, হাতেম আলী তালুকদার, বদিউজ্জামান খান, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, মীর্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল, সেতাব আলী খান, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবদুল বাছেত সিদ্দিকী। শুধু দুজনের স্থান হওয়া উচিত নয়। একজন বাসাইলের এমপি শামসুদ্দিন আহমেদ বালু মোক্তার, অন্যজন মধুপুরের ডা. নিজামুল ইসলাম। শামসুদ্দিন আহমেদ বালু মোক্তার পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন আর ডা. নিজামুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে কোনো কাজ করেননি, পালিয়ে ছিলেন।

তাই ফজলুর রহমান খান ফারুক এবং তোফাজ্জল হোসেন মুকুল ভাইকে একুশে পদক দেওয়া অবশ্যই কিছুটা প্রশ্নের অবতারণা করেছে। ক্ষমতা থাকলেই যা খুশি করা উচিত নয়। করলে বিতর্কিত হতে হয়। ৭ নভেম্বরের টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলীয় নেতা-কর্মীর এক বিরাট সমাবেশ হয়েছে এটা খুবই সত্য। একদিন বা দুই দিন পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। তাকে শুভ কামনাও জানিয়েছি। টাঙ্গাইল জেলা সম্মেলনে মনে হয় সব থেকে বড় খবর আমার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগে যোগদানের চেষ্টা। প্রথম প্রথম শুনেছিলাম ৩০-৪০ হাজার লোক নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের হাতে ফুলের মালা দিয়ে আওয়ামী লীগার হবে। সেভাবেই নাকি দু-এক নেতার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তবে মুরাদ ৩০-৪০ হাজার লোক নিয়ে সম্মেলনে যেতে পারেনি এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাতে-গলায় ফুলের মালাও দিতে পারেনি। মুরাদের ব্যাপারটা কতটা কেমন হয়েছে আর বুঝতে পারিনি। ওদের গর্ব আছে অহংকার আছে। মুরাদ, আজাদ মনে করে দেশের জন্য ওদের অনেক ত্যাগ। বেশ কয়েক বছর আগে কী কারণে বড় ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আরও কয়েকজন লোক ছিল। একপর্যায়ে আজাদ, মুরাদের কথা উঠেছিল। ওরা বারবার ওদের ত্যাগের কথা বলে। বড় ভাই মাননীয় মন্ত্রী কেন যেন হঠাৎই বলেছিলেন, ‘আচ্ছা বজ্র, মুরাদ-আজাদের দেশের জন্য কী ত্যাগ কিছু বলতে পারবি?’ আমি তেমন কিছু বলতে পারিনি। তবে বারবার মনে হচ্ছিল ’৯৬-এর ঘূর্ণিঝড়ে বাসাইল-কালিহাতী যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সে সময় আজাদ-মুরাদ দুই ভাই টাঙ্গাইল হাসপাতালে যে সেবা দিয়েছিল, যে শ্রম দিয়েছিল সেটা সত্যিই এক মস্তবড় ত্যাগ। আমি বিস্মিত হয়েছিলাম ১০-১২ বছরের একটি বাচ্চার বুকের বাঁ পাশ দিয়ে একটি আম গাছের ডাল এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল। তাকে যখন টাঙ্গাইল পাঠাই তখন মনে হচ্ছিল রাস্তাতেই বাচ্চাটি মারা যাবে। কিন্তু দুই দিন পর টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি ছেলেটি দৌড়াদৌড়ি করছে। সে আমের ডাল তার বুকে বিঁধে আছে, পরদিন অপারেশন হবে। বাচ্চাটি বেশ হাসিখুশি। পরদিন সত্যিই ডাক্তাররা অপারেশন করে এক-দেড় ইঞ্চি মোটা প্রায় দেড় ফুট লম্বা ডালটি বের করেছিলেন। সে বাচ্চাটিও বেঁচেছিল, এখনো বেঁচে আছে। ’৯৬ সালের সেই ঘূর্ণিঝড়ের কথা, ক্ষয়ক্ষতির কথা এখনো সে অঞ্চলের মানুষ মনে রেখেছে। মিরিকপুর স্কুলের ভাঙা বিল্ডিংয়ের তল থেকে সবুর খান বীরবিক্রমকে নিয়ে ঘটনার তিন দিন পরও আমরা একটি ছেলেকে জীবন্ত বের করেছিলাম। সেও এখনো বেঁচে আছে। টাঙ্গাইল পারদিঘুলিয়ার একজনের ১৪-১৫ বছরের এক ছেলে পড়ত মিরিকপুর স্কুলে। তার বাপ-চাচারা দুই দিন ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন। আমরা যখন স্কুলের পাশে ডোবা থেকে একটি বাচ্চার লাশ তুলি তখন সেই দিঘুলিয়ার লোকজন ছুটে এসে লাশ দেখে তাদের সন্তান হিসেবে শনাক্ত করেন। আমার মাথা পিঠ হাত ধরে বারবার চুমু খেয়ে যে দোয়া করেছিলেন কোনো জীবিতর জন্য এমন দোয়া খুব কম মানুষই করতে পারে। তারা যে তাদের সন্তানের লাশ আমার জন্য আমাদের জন্য পেয়েছে সেটা তাদের জীবনে শ্রেষ্ঠ পাওয়া। এখনো সেই ছেলেটির বাপ-চাচার দোয়ার কথা মনে পড়লে আমি একেবারে জমাট বেঁধে যাই, দেহমন কোনো কিছুই কাজ করে না। কত কিছু হলো, কত দিন চলে গেল। তখন বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তিনিও গিয়েছিলেন মিরিকপুরে। বিএনপি নেত্রী সদ্য পদত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গিয়েছিলেন। রাত ২টায় বাসাইল থেকে ঢাকায় এসেছিলাম তখনকার সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে। তার পরদিন বিকালে খুলনা বা যশোরে তাঁর নির্ধারিত সভা ছিল। তার পরও তিনি বাসাইলের কলিয়া-মিরিকপুর-নাইকানবাড়ী গিয়েছিলেন। তাঁর যাওয়ায় সত্যিই মানুষ খুশি হয়েছিল। নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। তাই নির্বাচনে প্রচ- প্রভাব পড়েছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী
বাবার মৃত্যুতে এতিমখানায় খাবার দিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী

১৯ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১
কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ১

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার
মোহাম্মদপুর থেকে নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার গ্রেফতার

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন
নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২
ময়মনসিংহে ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে নিহত ২

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ
ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ সহোদর শিশু, উদ্ধার চেষ্টা ব্যর্থ

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা
বাগেরহাটে যুবদলের প্রস্তুতি সভা

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো : জামায়াত আমির
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো : জামায়াত আমির

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুগঞ্জে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ১
আশুগঞ্জে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আড়াইহাজারে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ
আড়াইহাজারে অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কসবায় বাল্যবিয়ে বন্ধ, জরিমানা
কসবায় বাল্যবিয়ে বন্ধ, জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু
তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে ৩৯০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ৩৯০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঐতিহাসিক ‘কোরআন দিবস’ উপলক্ষে শিবিরের ছাত্র গণজমায়েত
ঐতিহাসিক ‘কোরআন দিবস’ উপলক্ষে শিবিরের ছাত্র গণজমায়েত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে
রাতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের দৌড়ে এগিয়ে নিউক্যাসল
চেলসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের দৌড়ে এগিয়ে নিউক্যাসল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাগুরায় জিআই স্বীকৃতি পাওয়া হাজরাপুরী লিচু মেলা
মাগুরায় জিআই স্বীকৃতি পাওয়া হাজরাপুরী লিচু মেলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেত্রকোনায় হঠাৎ বৃষ্টি, গরমে স্বস্তি
নেত্রকোনায় হঠাৎ বৃষ্টি, গরমে স্বস্তি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে নিহত ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ২০ যাত্রী
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ২০ যাত্রী

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কর ফাঁকির সুযোগ নেই, সবাইকে কর দিতে হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
কর ফাঁকির সুযোগ নেই, সবাইকে কর দিতে হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বোচাগঞ্জে সীমান্তে ভারত থেকে ফেরার পথে ৪ বাংলাদেশি আটক
বোচাগঞ্জে সীমান্তে ভারত থেকে ফেরার পথে ৪ বাংলাদেশি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ৪
ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ৪

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২১ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে প্রধান উপদেষ্টাকে বার বার পত্র দিয়েছে বিএনপি’

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ বিএনপির

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দেশের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫
বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের ওপর আওয়ামীপন্থিদের হামলা, পুলিশসহ আহত ১৫

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন : নাহিদ ইসলাম
বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন : নাহিদ ইসলাম

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান
পুতিনের শান্তি প্রস্তাব: ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট
ইতিহাসে প্রথম এক দলের ১০ জন রিটায়ার্ড আউট

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা