বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ উৎপাদন

গ্যাস ও জ্বালানি তেল নির্ভরতা কমছে

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী হওয়ার পরও তা কাজে লাগানো যাচ্ছিল না সঞ্চালন লাইনের অভাবে। আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের ফলে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ। একই সঙ্গে রামপাল কেন্দ্রের বিদ্যুৎ নিয়েও শঙ্কা কেটেছে। ইতোমধ্যে অভিন্ন সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে তারা। আগামী বছরের শুরুতেই ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে আসবে আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু হলে গ্যাস ও জ্বালানি তেলনির্ভর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা অনেকাংশে কমবে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ। আগামী বছর জুনে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই ভাবে পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে নির্মিত টাওয়ারের মাধ্যমে ঢাকার আমিনবাজার সাবস্টেশনের সংযোগ হয়েছে। জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ। পায়রায় উৎপাদিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হবে ৮০০ থেকে ১ হাজার মেগাওয়াট। বাকি বিদ্যুৎ যাবে বরিশাল ও খুলনার আঞ্চলিক লাইনে। চলতি বছর ৩ মার্চ পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের নয় মাস পর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ তৈরি করে তা আমদানির বিষয়ে ভাবছে। এ ব্যাপারে ভারতের দিক থেকে নমনীয় মনোভাব দেখানো হয়েছে। এটি সম্ভব হলে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা বিকশিত হবে। লাভবান হবে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী চারটি দেশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর