শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি

বাজার নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে গম, তেল, চিনি, ডালের দাম বেড়ে যাওয়া। করোনার অপপ্রভাবের পর ইউক্রেন যুদ্ধ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে। তবে দেশে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোর মূল্যবৃদ্ধিও সমান অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। দেশে ডিমের ডজন এখন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১০ টাকায় এক ডজন ডিম পাওয়া যায়। মালয়েশিয়ায় মেলে ৯০ টাকায়। ভর মৌসুমে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অতীতে কখনো এ সময়ে আলুর কেজি ১৫ টাকার ওপরে ওঠেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সংকটের স্থায়ী সমাধান চাইলে আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্য দেশে উৎপাদনে জোর দিতে হবে। পিঁয়াজ, আদা, রসুন ও তেলের উৎপাদন দেশেই বাড়ানো সম্ভব। এ জন্য পরিকল্পিত কৃষি সম্প্রসারণে জোর দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের বিষয়েও সরকারকে সজাগ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করলেও পণ্যমূল্যে নিষ্পেষিত মানুষের কাছে তা ততটা গুরুত্ব পাচ্ছে কি না সংশয় রয়েছে। নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। বিশেষ করে আসন্ন রোজার মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাকে নিতে হবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ফলপ্রসূ উদ্যোগে বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। বিশ্ববাজারে দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক নিত্যপণ্যের দাম আগের অবস্থায় ফেরার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সজাগ হতে হবে। পণ্য পরিবহনে যে চাঁদাবাজি হয়, তা রোধের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। আমদানিনির্ভর নিত্যপণ্য দেশে ব্যাপক হারে উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এগুলোর আমদানি শুল্ক শূন্য পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সাধারণ মানুষকে মূল্যবৃদ্ধির দুঃসময় থেকে বাঁচানোর সেটিই প্রকৃষ্ট উপায়।

 

সর্বশেষ খবর