মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন রাষ্ট্রপতি

মর্যাদাপূর্ণ পদটি থাকুক বিতর্কের ঊর্ধ্বে

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু। পাবনা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে। বাকশালের পাবনা জেলা শাখার যুগ্ম মহাসচিব পদেও অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নির্যাতনেরও শিকার হন আপসহীন মনোভাবের জন্য। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পাবনায় আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮২ সালে বিসিএস বিচার ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু। বিচারকের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদে অধিষ্ঠিত হন। ছাত্রনেতা, সাংবাদিকতা, আইনজীবী, বিচারক, দুদক কমিশনারের বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু যখন যে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংকের কথিত পদ্মা সেতুসংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। তদন্তে অভিযোগটি মিথ্যা ও অন্তঃসারশূন্য বলে প্রমাণিত হয়। কানাডার কোর্টেও প্রতিবেদনটি সমর্থিত হয়। বাংলাদেশের মর্যাদা রক্ষায় যা অনন্য ভূমিকা পালন করে। দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. আবদুল হামিদ দুই মেয়াদে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পুর সততা, দায়িত্ববোধ এবং সৎ সাহসের ঐতিহ্য তাঁকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়নে আওয়ামী লীগকে উদ্বুদ্ধ করেছে। রাষ্ট্রপতি পদটি দলনিরপেক্ষ পদ। এ পদে শপথ নেওয়ার পর তিনি কোনো দলের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। তবে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে রাষ্ট্রপতি পদকে তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে পূর্বসূরির মতো সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখবেন আমরা এমন আস্থা রাখতে চাই। ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পুকে আমাদের অভিনন্দন।

সর্বশেষ খবর