বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের হাতে পাসপোর্ট

জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনুন

জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা পাওয়া পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের সর্বনাশ ঘটিয়ে নিজেদের পকেটপূর্তির মহোৎসবে মেতেছেন। নির্বাচন কমিশনের কিছু অসৎ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় তারা দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করে দিচ্ছে। টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দানের বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেট। তবে বিষয়টি হঠাৎ করেই দেশজুড়ে আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মিয়ানমারভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আরাকান স্যালভেশন আর্মি তথা আরসা নেতা আসাদ উল্লাহ সৌদি আরব যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পর। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ উল্লাহর পাসপোর্টটি ইস্যু করা হয় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে। এ অফিস থেকে আগেও ইস্যু হওয়া বেশ কিছু পাসপোর্ট জব্দ করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এ অফিসে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট; যার নেতৃত্বে রয়েছেন এক পাসপোর্ট কর্মকর্তা। তার সহযোগী রয়েছেন পাসপোর্ট অফিসের একাধিক কর্মকর্তা, কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য। তারা টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট। এ জন্য আবেদনকারীকে একবারের জন্যও পাসপোর্ট অফিসে যেতে হয় না। এ সিন্ডিকেটের এক সদস্যের বাসায় আবেদনকারীদের নিয়ে সম্পন্ন হয় যাবতীয় কার্যক্রম। পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকেন্দ্রিক এ চক্রটি টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের এনআইডি এবং জাতীয়তা সনদপত্র নিয়ে দেওয়ার কাজটিও করে। তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে এনআইডি দেওয়ার অন্যতম হোতা এক ব্যক্তি ও নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তার।

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গারা টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও মালয়েশিয়ায় গিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত হচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তারা। এ চক্রের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর