শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কু-তর্ক এবং এক-এগারোর কুশীলবদের স্বপ্নভঙ্গ

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কু-তর্ক এবং এক-এগারোর কুশীলবদের স্বপ্নভঙ্গ

গোপাল ভাঁড় পড়লেন মহাফাঁপরে। ‘বল তো দেখি গোপাল সত্য থেকে মিথ্যা কত দূর?’ প্রশ্ন করলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। মাথা চুলকিয়ে কাঁচুমাচু হয়ে গোপাল নিবেদন করল ‘আজ্ঞে মহারাজ এদের দূরত্ব খুবই কম।’ ‘কী বলছ তুমি?’ গর্জে উঠলেন কৃষ্ণচন্দ্র ‘তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে?’ ‘অপরাধ মার্জনা করবেন মহারাজ। প্রভুর চোখ থেকে কান যত দূর সত্য থেকে মিথ্যার দূরত্ব তার বেশি নয়। কানে যা শোনা যায় তার বেশির ভাগই সত্য নয়। চোখে যা দেখা যায় তা হলো সত্য।’  গোপালের উত্তরে খুশি হয়ে মহারাজ গোপালকে অনেক ইনাম দিলেন। ভাগ্যিস গোপাল ভাঁড় একালে জন্মগ্রহণ করেননি। তাহলে তিনি দেখতেন, চোখে যা দেখা যায় তাও অধিকাংশ মিথ্যা। ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুধু নয়, মূলধারার কিছু গণমাধ্যম যেন মিথ্যার দোকান খুলে বসেছে। সত্য আর মিথ্যার দূরত্ব সামান্য নয় বরং মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। জ্ঞানী পন্ডিতরাও সত্যের মোড়কে মিথ্যার ব্যবসা করছেন। নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নিন্ডিদ্র গোপনীয়তা নিশ্চিত করেছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও ছিলেন অন্ধকারে। সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যাদের নাম গণমাধ্যমে এসেছে, তারা সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানামুখী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের নিয়ে নানা অবাস্তব, অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রচার করা হয়েছে। স্পষ্টতই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভ-ুল করতে নতুন রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন কেউ কেউ। একটি মহল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এ জন্য নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে জল ঘোলার সব আয়োজন করে রাখা হয়েছিল।

এ কারণেই গোয়েবলসীয় অপপ্রচার থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছিল নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে। এতে ষড়যন্ত্রকারীদের হিসাব-নিকাশ ওলট-পালট হয়ে যায়। অন্ধকারে তথ্য হাতড়াতে থাকেন মহান সুশীলরা। কিন্তু আমাদের সুশীলরা বিরল প্রজাতির মেধাবী। সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। যে কোনো স্বাভাবিক সুন্দর সিদ্ধান্ত বিতর্কিত করতে এরা জুয়েল আইচের চেয়েও বড় জাদুকর। নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। আর সুশীলরা তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তা কী করে হয়। সাগর সেচে মুক্তা খোঁজার মতো তারা নতুন রাষ্ট্রপতির খুঁত বের করার চেষ্টা শুরু করলেন। এই চেষ্টায় ‘সফল’ হলেন এক-এগারোর কুশীলবদের একজন এবং এক-এগারোর মুখপত্র একটি পত্রিকা। একদিনে একই বিষয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলো। দুটির বিষয়বস্তু একই। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি যেহেতু আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার পদে ছিলেন, সেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৯ ধারা তার জন্য প্রযোজ্য হবে। ‘কমিশনারগণের অক্ষমতা’ সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কার্যাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।’ এ সূত্র ধরে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে ওই সুশীল পন্ডিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের সলতে জ্বালিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হলো মাতম। শুরু হলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সাংবিধানিক বিতর্ক। অবশ্য আমি একে বিতর্ক না বলে কুন্ডতর্ক বলতে চাই। কারণ একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে গায়ের জোরে তর্ক তো কু-তর্কই। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবে না।’ অর্থাৎ সরকার তাকে কোনো লাভজনক পদে ‘নিয়োগ’ দিতে পারবে না। প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্রপতি কি নিয়োগপ্রাপ্ত? সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, নিয়োগপ্রাপ্ত হন না। রাষ্ট্রপতি সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে। রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি। তাঁকে কে নিয়োগ দেবে? তাঁর নিয়োগপত্রে কে স্বাক্ষর করবেন? তাই দুদক আইনের ৯ ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

এবার দেখা যাক, রাষ্ট্রপতি পদটি লাভজনক কি না। বিষয়টি সংবিধানের ১৪৭ (৩) অনুচ্ছেদে পরিষ্কার করা হয়েছে। সংবিধানের ১৪৭(৪) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের পদ লাভজনক পদ বা মর্যাদার বলে গণ্য হবে না বলে বলা হয়েছে। কাজেই সংবিধান অনুযায়ীই রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয়।

সংবিধানের ৪৮(৪) খ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য না হন, সেক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা এবং অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। ৬৬(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,... ‘কোনো ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হওয়ার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলে গণ্য হবেন না।’ অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি পদ যে লাভজনক নয় তা সংবিধানেই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। এর মধ্যে ন্যূনতম যদি, কিন্তু, তবে নেই। তারপরও কথা থাকে। সংবিধানের বিভিন্ন অস্পষ্টতার ব্যাখ্যা দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। যেহেতু সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রধান বিচারপতি ছিলেন, তাই তিনি রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না বলে কেউ কেউ দাবি করেন। তাদের মতে, রাষ্ট্রপতি পদটি ‘লাভজনক’। এরকম যুক্তি দিয়ে হাই কোর্টে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। ওই রিটে হাই কোর্ট রায় দেন রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয়। এরপর এ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সুশীল বলে কথা। তারা নিজেরা আইনের শাসনের কথা বলেন অথচ তারাই সবচেয়ে আইন লঙ্ঘন করেন। আমাদের সুশীলরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলেন। অথচ যখন কোনো সুশীল নিয়ন্ত্রিত সরকার ক্ষমতায় এসেছে তখনই বিচার বিভাগকে নিজেদের অনুগত করতে চেয়েছে। অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধ করতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেছে। এক-এগারোর অনির্বাচিত সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু ড. ফখরুদ্দীনের অনির্বাচিত সরকারের অনন্তকাল দেশ পরিচালনার খায়েশ ক্রমশ দৃশ্যমান হতে থাকে। অনির্বাচিত সরকারকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে এক সুশীল শিরোমণি হাই কোর্টে গিয়ে সাংবিধানিক ফতোয়া দিয়ে বলেছিলেন, ‘নতুন নির্বাচন না দেওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে সংবিধানের কোনো লঙ্ঘন হবে না।’ বাস্তবে দুই বছর ড. ফখরুদ্দীন সরকারের ক্ষমতায় থাকা ছিল অসাংবিধানিক। এবার আবারও সেই একইভাবে তাদের মতো করে সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিলেন একই সুশীল গোষ্ঠী। এই সুশীলই কদিন আগে ‘কয়েক বছর নির্বাচিত সরকার থাকলে কোনো অনিষ্ট হবে না’-এই মর্মে জাতিকে জ্ঞান দিয়েছিলেন। সংবিধানে রাষ্ট্রপতি পদ যে লাভজনক নয়, তা সুস্পষ্ট। এ ব্যাপারে সংবিধানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। যিনি বা যারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন, তারা জ্ঞানপাপী বটে, কিন্তু অশিক্ষিত, মূর্খ নন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা অজ্ঞতাপ্রসূত নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আরেকটি এক-এগারো আনার নিরন্তর প্রচেষ্টার অংশ এই কু-তর্ক। প্রায় এক বছর ধরেই এক-এগারোর কুশীলবরা সরব এবং সক্রিয়। তারা দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে নানা রকম অসত্য-বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সুশাসন, গণতন্ত্র, দুর্নীতির মতো দাতাদের জন্য নানা মুখরোচক ইস্যুকে সামনে আনছে। রাষ্ট্র মেরামত কাঠামোর কথা বলে বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করতে চাইছে। বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অগ্নিসন্ত্রাস, সহিংসতায় উসকে দিচ্ছে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক অস্থিরতা সৃষ্টিই তাদের লক্ষ্য। সুশীলরা চাইছে রাজনৈতিক সহিংসতা। জ্বালাও-পোড়াও। অগ্নিসন্ত্রাস। একজন সাবেক আমলা, দুর্বলচিত্তের ব্যক্তিত্ব বা সুশীলদের পছন্দের কোনো মানুষ রাষ্ট্রপতি হলে ষড়যন্ত্রের সুড়ঙ্গটা পরিষ্কার হতো। সুশীলরা কেউ কেউ আশা করেছিলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি গোপনে সুশীলদের সঙ্গে আঁতাত করবেন। অথবা ভয়ে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। চাপে ভেঙে পড়বেন। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রপতির নাম সুশীলদের ডায়েরিতে ছিল না। প্রধানমন্ত্রী যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে এভাবে চমকে দেবেন, তা তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। প্রধানমন্ত্রী এমন একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি করেছেন যিনি নতজানু হবেন না। প্রলোভনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। সুশীলদের ক্রীড়নকে পরিণত করা যাবে না নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে। বন্দুকের নলেও তিনি আদর্শ বিকিয়ে দেবেন না। তাঁর অতীত এই বিশ্বাসকে প্রোথিত করেছে। কেউ কেউ মনে করতেই পারেন, রাষ্ট্রপতি পদ তো এখন অলঙ্কারিক। এ নিয়ে এত হিসাব-নিকাশের কী আছে। নির্বাচন, গণতন্ত্র রক্ষায় রাষ্ট্রপতি কী বা করতে পারেন? গণতন্ত্র আক্রান্ত হয় রাষ্ট্রপতিকে ভর করেই। এক-এগারো তার শেষ উদাহরণ। 

নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল। একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ে তাঁকে দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে অভিষিক্ত হতে হবে। দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য তাই নতুন রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে গণতন্ত্র সুরক্ষার জন্য নতুন রাষ্ট্রপতির কিছু যোগ্যতা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যখন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র। আরেকটি অনির্বাচিত সরকার আনার তোড়জোড়।

এমন একজন রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন ছিল যিনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা। বিশেষ করে মো. আবদুল হামিদের বিচক্ষণ অভিভাবকত্বের পর এই প্রত্যাশার পারদ অনেক বড় হয়েছিল গণতন্ত্রকামী মানুষের মধ্যে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করেছেন, যিনি তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন প্রতিকূল সময়ে। নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে দ্বিতীয় প্রত্যাশা ছিল পরীক্ষিত এবং আদর্শের প্রশ্নে অটল কেউ যেন রাষ্ট্রপতি হন। আদর্শবান এবং দুঃসময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাড়া কেউ রাষ্ট্রপতি হলে কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন না। শেখ হাসিনা এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, যিনি আদর্শের পরীক্ষায় শুধু উত্তীর্ণই নন, বরং দৃষ্টান্ত। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী ছিলেন বিভ্রান্ত। প্রতিবাদহীন। দিকভ্রান্ত। এ সময় সারা দেশে যে গুটিকয় নেতা জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু অন্যতম। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি নির্যাতিত হয়েছিলেন। কারাবরণ করেছেন। ’৭৫-পরবর্তীতে কোনো সংকটেই তিনি বিভ্রান্ত হননি। সঠিক পথেই হেঁটেছেন আজীবন, অবিচল।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে তৃতীয় প্রত্যাশা ছিল যিনি ব্যক্তিত্ববান, মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেন। হুমকিতে ভয় পান না।  মো. সাহাবুদ্দিন তেমনি একজন ব্যক্তিত্ব। এর প্রমাণ তিনি দিয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে। এ সময় পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের নাটক শুরু হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে আলোচনার মধ্যমণি ছিলেন কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনিই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্বব্যাংকের চাপে তিনি নতজানু হননি। ভয় পাননি। অতীতে গ্রামের রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী অথবা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের চাকরি করা সুবিধাবাদীরা রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন। এরা এই সর্বোচ্চ পদকে কলঙ্কিত করেছেন। জিল্লুর রহমান, মো. আবদুল হামিদের মতো মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি পদকে দিয়েছেন মর্যাদা। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই যেন রাষ্ট্রের অভিভাবক হন, এই প্রত্যাশা ছিল সবার। নতুন রাষ্ট্রপতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

রাষ্ট্রপতি দলমতের ঊর্ধ্বে। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবকও বটে। তাই রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার দিকে লক্ষ্য রাখাটাও জরুরি। সাধারণ মানুষ কেমন রাষ্ট্রপতি চেয়েছিলেন? সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের পছন্দের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কতটা পূরণ করতে পেরেছেন?

সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি হিসেবে চান, একজন বিতর্কহীন ব্যক্তি। যার কর্মজীবনে বড় কোনো বিতর্ক নেই। মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু তেমনি একজন ব্যক্তি। বিচারক হিসেবে তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিষ্কলুষ এবং বিতর্কহীন। কর্মজীবনে সেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই তিনি নিজেকে উজ্জ্বল করে মেলে ধরেছেন। জনগণের দ্বিতীয় প্রত্যাশা হলো রাষ্ট্রপতি যেন বিনয়ী, কথাবার্তায় মার্জিত হন। মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর কর্মজীবনে এবং অবসরে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। সব সময় তাঁর বাচনভঙ্গি মার্জিত এবং সংযত ছিল। দায়িত্বহীন বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি কখনো হইচই পাকাননি। একজন পরিপাটি রুচিশীল ব্যক্তি হিসেবেই তিনি পরিচিত।

সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দলমতের ঊর্ধ্বে একজন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি চান। তিনি যে কোনো রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী থাকতেই পারেন। যে কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে তাঁর নিজস্ব মত থাকতেই পারে। কিন্তু তিনি এমন একজন ব্যক্তি হবেন, যিনি সবার মতামতের গুরুত্ব দেবেন। সব পক্ষের কথা শুনবেন। বিচারক হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে এরকম একটি অবস্থানেই থাকতে হয়েছে দীর্ঘকাল। তাঁর কর্মজীবনে তিনি দলীয় আদর্শের উগ্র প্রকাশ কখনই দেখাননি। নিজের বিশ্বাসের প্রতি অটল থেকেও তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তার প্রমাণ ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিসের মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়েই পাওয়া যায়।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাই যখন সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় তখন মানুষের মধ্যে বিস্ময় ছিল, হতাশা ছিল না।

দায়িত্ব গ্রহণের পরই বোঝা যাবে মো. সাহাবুদ্দিন কতটা দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কিন্তু তাঁর অতীত বলে তিনি গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য এক অকুতোভয় অভিভাবক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। শেখ হাসিনা আবারও প্রমাণ করলেন তিনি পাকা জহুরি। সবার প্রত্যাশাগুলোকে মাথায় রেখে তিনি যেভাবে নতুন রাষ্ট্রপতির নাম বেছে নিয়েছেন, তা তাঁকে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল।

অনেক হিসাব-নিকাশ করেই শেখ হাসিনা নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করেছেন। এতে এক-এগারোর কুশীলবদের পাশার দান উল্টে গেছে। তারা বুঝে গেছেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন হবেন না। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন হবেন না। ভয়ে বা প্রলোভনে তিনি সুশীলদের ক্ষমতা দখল করতে দেবেন না। সুশীলদের আরেকটি এক-এগারোর স্বপ্ন ক্রমশ ধূসর এবং ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। স্বপ্নভঙ্গের বেদনা থেকেই তাদের রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না-সে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা। সুশীলরা ভেবেছিল হুজুগ তুলে যেভাবে তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার সংকটে বলে অপপ্রচারকে বিশ্বাসযোগ্য করেছে ঠিক একইভাবে সংবিধানের ভারী এবং কঠিন ব্যাখ্যা দিয়ে তারা রাষ্ট্রপতিকেও হটিয়ে দেবে।  সুশীলরা ভালো করেই জানেন, আবদুল হামিদের মতো মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি থাকলে আরেকটি এক-এগারো সম্ভব না।

সংবিধানের ৭(ক) যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের পথ চিরতরে বন্ধ করেছেন।  আর নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চমক দেখিয়ে তিনি বঙ্গভবনে ষড়যন্ত্রের দরজা বন্ধ করলেন।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

১৪ মিনিট আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ
ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

'রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে'
'রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে স্বৈরাচারের পুনঃপ্রবর্তন ঠেকানো যাবে'

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব
উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব

নগর জীবন

হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়
হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়

মাঠে ময়দানে

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে

উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল
উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল

দেশগ্রাম

মানুষ আর কত জীবন দেবে
মানুষ আর কত জীবন দেবে

নগর জীবন

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে

নগর জীবন

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসীর লাশ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় ভাইসহ নিহত ২
প্রবাসীর লাশ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় ভাইসহ নিহত ২

দেশগ্রাম

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই
পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল
শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল

দেশগ্রাম