শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কু-তর্ক এবং এক-এগারোর কুশীলবদের স্বপ্নভঙ্গ

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কু-তর্ক এবং এক-এগারোর কুশীলবদের স্বপ্নভঙ্গ

গোপাল ভাঁড় পড়লেন মহাফাঁপরে। ‘বল তো দেখি গোপাল সত্য থেকে মিথ্যা কত দূর?’ প্রশ্ন করলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। মাথা চুলকিয়ে কাঁচুমাচু হয়ে গোপাল নিবেদন করল ‘আজ্ঞে মহারাজ এদের দূরত্ব খুবই কম।’ ‘কী বলছ তুমি?’ গর্জে উঠলেন কৃষ্ণচন্দ্র ‘তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে?’ ‘অপরাধ মার্জনা করবেন মহারাজ। প্রভুর চোখ থেকে কান যত দূর সত্য থেকে মিথ্যার দূরত্ব তার বেশি নয়। কানে যা শোনা যায় তার বেশির ভাগই সত্য নয়। চোখে যা দেখা যায় তা হলো সত্য।’  গোপালের উত্তরে খুশি হয়ে মহারাজ গোপালকে অনেক ইনাম দিলেন। ভাগ্যিস গোপাল ভাঁড় একালে জন্মগ্রহণ করেননি। তাহলে তিনি দেখতেন, চোখে যা দেখা যায় তাও অধিকাংশ মিথ্যা। ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুধু নয়, মূলধারার কিছু গণমাধ্যম যেন মিথ্যার দোকান খুলে বসেছে। সত্য আর মিথ্যার দূরত্ব সামান্য নয় বরং মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। জ্ঞানী পন্ডিতরাও সত্যের মোড়কে মিথ্যার ব্যবসা করছেন। নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ১৩ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নিন্ডিদ্র গোপনীয়তা নিশ্চিত করেছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও ছিলেন অন্ধকারে। সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যাদের নাম গণমাধ্যমে এসেছে, তারা সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানামুখী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের নিয়ে নানা অবাস্তব, অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রচার করা হয়েছে। স্পষ্টতই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভ-ুল করতে নতুন রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন কেউ কেউ। একটি মহল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এ জন্য নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে জল ঘোলার সব আয়োজন করে রাখা হয়েছিল।

এ কারণেই গোয়েবলসীয় অপপ্রচার থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছিল নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে। এতে ষড়যন্ত্রকারীদের হিসাব-নিকাশ ওলট-পালট হয়ে যায়। অন্ধকারে তথ্য হাতড়াতে থাকেন মহান সুশীলরা। কিন্তু আমাদের সুশীলরা বিরল প্রজাতির মেধাবী। সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। যে কোনো স্বাভাবিক সুন্দর সিদ্ধান্ত বিতর্কিত করতে এরা জুয়েল আইচের চেয়েও বড় জাদুকর। নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। আর সুশীলরা তাঁকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তা কী করে হয়। সাগর সেচে মুক্তা খোঁজার মতো তারা নতুন রাষ্ট্রপতির খুঁত বের করার চেষ্টা শুরু করলেন। এই চেষ্টায় ‘সফল’ হলেন এক-এগারোর কুশীলবদের একজন এবং এক-এগারোর মুখপত্র একটি পত্রিকা। একদিনে একই বিষয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলো। দুটির বিষয়বস্তু একই। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি যেহেতু আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার পদে ছিলেন, সেহেতু দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৯ ধারা তার জন্য প্রযোজ্য হবে। ‘কমিশনারগণের অক্ষমতা’ সংক্রান্ত ৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কার্যাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।’ এ সূত্র ধরে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে ওই সুশীল পন্ডিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের সলতে জ্বালিয়ে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হলো মাতম। শুরু হলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সাংবিধানিক বিতর্ক। অবশ্য আমি একে বিতর্ক না বলে কুন্ডতর্ক বলতে চাই। কারণ একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে গায়ের জোরে তর্ক তো কু-তর্কই। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবে না।’ অর্থাৎ সরকার তাকে কোনো লাভজনক পদে ‘নিয়োগ’ দিতে পারবে না। প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্রপতি কি নিয়োগপ্রাপ্ত? সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশে একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, নিয়োগপ্রাপ্ত হন না। রাষ্ট্রপতি সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে। রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি। তাঁকে কে নিয়োগ দেবে? তাঁর নিয়োগপত্রে কে স্বাক্ষর করবেন? তাই দুদক আইনের ৯ ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

এবার দেখা যাক, রাষ্ট্রপতি পদটি লাভজনক কি না। বিষয়টি সংবিধানের ১৪৭ (৩) অনুচ্ছেদে পরিষ্কার করা হয়েছে। সংবিধানের ১৪৭(৪) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের পদ লাভজনক পদ বা মর্যাদার বলে গণ্য হবে না বলে বলা হয়েছে। কাজেই সংবিধান অনুযায়ীই রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয়।

সংবিধানের ৪৮(৪) খ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য না হন, সেক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা এবং অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। ৬৬(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,... ‘কোনো ব্যক্তি কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী হওয়ার কারণে প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলে গণ্য হবেন না।’ অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি পদ যে লাভজনক নয় তা সংবিধানেই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। এর মধ্যে ন্যূনতম যদি, কিন্তু, তবে নেই। তারপরও কথা থাকে। সংবিধানের বিভিন্ন অস্পষ্টতার ব্যাখ্যা দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে। যেহেতু সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রধান বিচারপতি ছিলেন, তাই তিনি রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না বলে কেউ কেউ দাবি করেন। তাদের মতে, রাষ্ট্রপতি পদটি ‘লাভজনক’। এরকম যুক্তি দিয়ে হাই কোর্টে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। ওই রিটে হাই কোর্ট রায় দেন রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক নয়। এরপর এ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সুশীল বলে কথা। তারা নিজেরা আইনের শাসনের কথা বলেন অথচ তারাই সবচেয়ে আইন লঙ্ঘন করেন। আমাদের সুশীলরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলেন। অথচ যখন কোনো সুশীল নিয়ন্ত্রিত সরকার ক্ষমতায় এসেছে তখনই বিচার বিভাগকে নিজেদের অনুগত করতে চেয়েছে। অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধ করতে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেছে। এক-এগারোর অনির্বাচিত সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু ড. ফখরুদ্দীনের অনির্বাচিত সরকারের অনন্তকাল দেশ পরিচালনার খায়েশ ক্রমশ দৃশ্যমান হতে থাকে। অনির্বাচিত সরকারকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে এক সুশীল শিরোমণি হাই কোর্টে গিয়ে সাংবিধানিক ফতোয়া দিয়ে বলেছিলেন, ‘নতুন নির্বাচন না দেওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে সংবিধানের কোনো লঙ্ঘন হবে না।’ বাস্তবে দুই বছর ড. ফখরুদ্দীন সরকারের ক্ষমতায় থাকা ছিল অসাংবিধানিক। এবার আবারও সেই একইভাবে তাদের মতো করে সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিলেন একই সুশীল গোষ্ঠী। এই সুশীলই কদিন আগে ‘কয়েক বছর নির্বাচিত সরকার থাকলে কোনো অনিষ্ট হবে না’-এই মর্মে জাতিকে জ্ঞান দিয়েছিলেন। সংবিধানে রাষ্ট্রপতি পদ যে লাভজনক নয়, তা সুস্পষ্ট। এ ব্যাপারে সংবিধানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। যিনি বা যারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন, তারা জ্ঞানপাপী বটে, কিন্তু অশিক্ষিত, মূর্খ নন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা অজ্ঞতাপ্রসূত নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আরেকটি এক-এগারো আনার নিরন্তর প্রচেষ্টার অংশ এই কু-তর্ক। প্রায় এক বছর ধরেই এক-এগারোর কুশীলবরা সরব এবং সক্রিয়। তারা দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে নানা রকম অসত্য-বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সুশাসন, গণতন্ত্র, দুর্নীতির মতো দাতাদের জন্য নানা মুখরোচক ইস্যুকে সামনে আনছে। রাষ্ট্র মেরামত কাঠামোর কথা বলে বর্তমান সংবিধানকে বাতিল করতে চাইছে। বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অগ্নিসন্ত্রাস, সহিংসতায় উসকে দিচ্ছে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক অস্থিরতা সৃষ্টিই তাদের লক্ষ্য। সুশীলরা চাইছে রাজনৈতিক সহিংসতা। জ্বালাও-পোড়াও। অগ্নিসন্ত্রাস। একজন সাবেক আমলা, দুর্বলচিত্তের ব্যক্তিত্ব বা সুশীলদের পছন্দের কোনো মানুষ রাষ্ট্রপতি হলে ষড়যন্ত্রের সুড়ঙ্গটা পরিষ্কার হতো। সুশীলরা কেউ কেউ আশা করেছিলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি গোপনে সুশীলদের সঙ্গে আঁতাত করবেন। অথবা ভয়ে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। চাপে ভেঙে পড়বেন। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রপতির নাম সুশীলদের ডায়েরিতে ছিল না। প্রধানমন্ত্রী যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে এভাবে চমকে দেবেন, তা তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। প্রধানমন্ত্রী এমন একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি করেছেন যিনি নতজানু হবেন না। প্রলোভনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। সুশীলদের ক্রীড়নকে পরিণত করা যাবে না নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে। বন্দুকের নলেও তিনি আদর্শ বিকিয়ে দেবেন না। তাঁর অতীত এই বিশ্বাসকে প্রোথিত করেছে। কেউ কেউ মনে করতেই পারেন, রাষ্ট্রপতি পদ তো এখন অলঙ্কারিক। এ নিয়ে এত হিসাব-নিকাশের কী আছে। নির্বাচন, গণতন্ত্র রক্ষায় রাষ্ট্রপতি কী বা করতে পারেন? গণতন্ত্র আক্রান্ত হয় রাষ্ট্রপতিকে ভর করেই। এক-এগারো তার শেষ উদাহরণ। 

নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল। একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ে তাঁকে দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে অভিষিক্ত হতে হবে। দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য তাই নতুন রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে গণতন্ত্র সুরক্ষার জন্য নতুন রাষ্ট্রপতির কিছু যোগ্যতা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে যখন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র। আরেকটি অনির্বাচিত সরকার আনার তোড়জোড়।

এমন একজন রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন ছিল যিনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা। বিশেষ করে মো. আবদুল হামিদের বিচক্ষণ অভিভাবকত্বের পর এই প্রত্যাশার পারদ অনেক বড় হয়েছিল গণতন্ত্রকামী মানুষের মধ্যে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করেছেন, যিনি তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন প্রতিকূল সময়ে। নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে দ্বিতীয় প্রত্যাশা ছিল পরীক্ষিত এবং আদর্শের প্রশ্নে অটল কেউ যেন রাষ্ট্রপতি হন। আদর্শবান এবং দুঃসময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাড়া কেউ রাষ্ট্রপতি হলে কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন না। শেখ হাসিনা এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন, যিনি আদর্শের পরীক্ষায় শুধু উত্তীর্ণই নন, বরং দৃষ্টান্ত। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী ছিলেন বিভ্রান্ত। প্রতিবাদহীন। দিকভ্রান্ত। এ সময় সারা দেশে যে গুটিকয় নেতা জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু অন্যতম। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি নির্যাতিত হয়েছিলেন। কারাবরণ করেছেন। ’৭৫-পরবর্তীতে কোনো সংকটেই তিনি বিভ্রান্ত হননি। সঠিক পথেই হেঁটেছেন আজীবন, অবিচল।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে তৃতীয় প্রত্যাশা ছিল যিনি ব্যক্তিত্ববান, মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেন। হুমকিতে ভয় পান না।  মো. সাহাবুদ্দিন তেমনি একজন ব্যক্তিত্ব। এর প্রমাণ তিনি দিয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে। এ সময় পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের নাটক শুরু হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফর করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে আলোচনার মধ্যমণি ছিলেন কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনিই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্বব্যাংকের চাপে তিনি নতজানু হননি। ভয় পাননি। অতীতে গ্রামের রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী অথবা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের চাকরি করা সুবিধাবাদীরা রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন। এরা এই সর্বোচ্চ পদকে কলঙ্কিত করেছেন। জিল্লুর রহমান, মো. আবদুল হামিদের মতো মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি পদকে দিয়েছেন মর্যাদা। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই যেন রাষ্ট্রের অভিভাবক হন, এই প্রত্যাশা ছিল সবার। নতুন রাষ্ট্রপতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

রাষ্ট্রপতি দলমতের ঊর্ধ্বে। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবকও বটে। তাই রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার দিকে লক্ষ্য রাখাটাও জরুরি। সাধারণ মানুষ কেমন রাষ্ট্রপতি চেয়েছিলেন? সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের পছন্দের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কতটা পূরণ করতে পেরেছেন?

সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি হিসেবে চান, একজন বিতর্কহীন ব্যক্তি। যার কর্মজীবনে বড় কোনো বিতর্ক নেই। মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু তেমনি একজন ব্যক্তি। বিচারক হিসেবে তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিষ্কলুষ এবং বিতর্কহীন। কর্মজীবনে সেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই তিনি নিজেকে উজ্জ্বল করে মেলে ধরেছেন। জনগণের দ্বিতীয় প্রত্যাশা হলো রাষ্ট্রপতি যেন বিনয়ী, কথাবার্তায় মার্জিত হন। মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর কর্মজীবনে এবং অবসরে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। সব সময় তাঁর বাচনভঙ্গি মার্জিত এবং সংযত ছিল। দায়িত্বহীন বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি কখনো হইচই পাকাননি। একজন পরিপাটি রুচিশীল ব্যক্তি হিসেবেই তিনি পরিচিত।

সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দলমতের ঊর্ধ্বে একজন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি চান। তিনি যে কোনো রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী থাকতেই পারেন। যে কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে তাঁর নিজস্ব মত থাকতেই পারে। কিন্তু তিনি এমন একজন ব্যক্তি হবেন, যিনি সবার মতামতের গুরুত্ব দেবেন। সব পক্ষের কথা শুনবেন। বিচারক হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে এরকম একটি অবস্থানেই থাকতে হয়েছে দীর্ঘকাল। তাঁর কর্মজীবনে তিনি দলীয় আদর্শের উগ্র প্রকাশ কখনই দেখাননি। নিজের বিশ্বাসের প্রতি অটল থেকেও তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তার প্রমাণ ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিসের মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়েই পাওয়া যায়।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাই যখন সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় তখন মানুষের মধ্যে বিস্ময় ছিল, হতাশা ছিল না।

দায়িত্ব গ্রহণের পরই বোঝা যাবে মো. সাহাবুদ্দিন কতটা দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কিন্তু তাঁর অতীত বলে তিনি গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য এক অকুতোভয় অভিভাবক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। শেখ হাসিনা আবারও প্রমাণ করলেন তিনি পাকা জহুরি। সবার প্রত্যাশাগুলোকে মাথায় রেখে তিনি যেভাবে নতুন রাষ্ট্রপতির নাম বেছে নিয়েছেন, তা তাঁকে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল।

অনেক হিসাব-নিকাশ করেই শেখ হাসিনা নতুন রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত করেছেন। এতে এক-এগারোর কুশীলবদের পাশার দান উল্টে গেছে। তারা বুঝে গেছেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন হবেন না। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন হবেন না। ভয়ে বা প্রলোভনে তিনি সুশীলদের ক্ষমতা দখল করতে দেবেন না। সুশীলদের আরেকটি এক-এগারোর স্বপ্ন ক্রমশ ধূসর এবং ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। স্বপ্নভঙ্গের বেদনা থেকেই তাদের রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না-সে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা। সুশীলরা ভেবেছিল হুজুগ তুলে যেভাবে তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার সংকটে বলে অপপ্রচারকে বিশ্বাসযোগ্য করেছে ঠিক একইভাবে সংবিধানের ভারী এবং কঠিন ব্যাখ্যা দিয়ে তারা রাষ্ট্রপতিকেও হটিয়ে দেবে।  সুশীলরা ভালো করেই জানেন, আবদুল হামিদের মতো মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি থাকলে আরেকটি এক-এগারো সম্ভব না।

সংবিধানের ৭(ক) যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের পথ চিরতরে বন্ধ করেছেন।  আর নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চমক দেখিয়ে তিনি বঙ্গভবনে ষড়যন্ত্রের দরজা বন্ধ করলেন।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

এই মাত্র | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৮ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

৪০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

৫৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল
সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ
আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি
রায়ের মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে: কর্নেল অলি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার রায় প্রমাণ করেছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় : প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে
রাশিয়ার বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসছে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'
'২৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও চূড়ান্ত করে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার'

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি
বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর চসিকের প্রধান নির্বাহীর বদলি

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন
জামায়াত পিআর চায় আর বিএনপি ফেয়ার ইলেকশন: মোশারফ হোসেন

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১
চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ১

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন কাল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
সোনারগাঁয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ
লাল ড্রাগনে স্বপ্নপূরণ

পেছনের পৃষ্ঠা

রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি
রুনা লায়লা সুরের ইন্দ্রজালে জীবন্ত কিংবদন্তি

শোবিজ

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

কার অপেক্ষায় মাহি?
কার অপেক্ষায় মাহি?

শোবিজ

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী
নিবন্ধন পেল এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের
ঋণ পেতে ঘাম ঝরে নারী উদ্যোক্তাদের

পেছনের পৃষ্ঠা

নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে
নৈরাজ্য রুখে দাঁড়াতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৩ রানে অলআউট ভারত
৯৩ রানে অলআউট ভারত

মাঠে ময়দানে

এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার
এনএসসিতে চিঠি পাঠানোর কথা অস্বীকার শিখার

মাঠে ময়দানে

দর্শক মাতালেন কনা
দর্শক মাতালেন কনা

শোবিজ

১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট
১৩ মাস পর মিরপুরে ফিরছে টেস্ট

মাঠে ময়দানে

সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল
সেনেগালকে প্রথম হারাল ব্রাজিল

মাঠে ময়দানে

শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

শোবিজ

বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন
বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন

মাঠে ময়দানে