রবিবার, ৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীর খাল

উদ্ধারের উদ্যোগ নিতে হবে

রাজধানীর বেদখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে গত দুই বছর দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো সাফল্যই দেখাতে পারেনি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। রাজধানীর খালের সংখ্যা ৬৯টি। তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত খাল ২৬টি। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশন এসব খালের দায়িত্ব বুঝে নেয়। এরপর শুরু হয় খাল জঞ্জালমুক্ত করার অভিযান। ঘোষণা করা হয় অবৈধ দখলও উচ্ছেদ করা হবে। এরপর দুই বছরের বেশি সময়ে খাল উদ্ধারে বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণাই দিয়ে গেছেন দুই মেয়র, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় তালিকাভুক্ত রয়েছে- কাঁটাসুর, হাজারীবাগ, ইব্রাহিমপুর, কল্যাণপুর, আবদুল্লাহপুর, রামচন্দ্রপুর, বাউনিয়া, দ্বিগুণ, দিয়াবাড়ী, ধোলাইখাল, রায়েরবাজার, বাইশটেকি ও শাহজাহানপুর খাল। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে- জিরানী, মান্ডা, মেরাদিয়া, গজারিয়া, কসাইবাড়ী, শাহজাদপুর, সুতিভোলা, ডুমনি, বোয়ালিয়া, রামপুরা, গোবিন্দপুর, সেগুনবাগিচা ও খিলগাঁও-বাসাবো খাল। এসব খালের একটিও উদ্ধার করতে পারেনি দুই সিটি করপোরেশন। তবে ২০২১ সালের শুরুতে মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খাল উদ্ধার করে রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বাস্তবায়িত হয়নি অন্য সব খাল উদ্ধারের কাজ। দুই সিটি করপোরেশনের এলাকাধীন যেসব খাল ইতোমধ্যে খালখেকোরা গিলে ফেলেছে সেগুলোর ব্যাপারেও কারও কোনো কথা নেই। ঢাকা ওয়াসার অবস্থান প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে বিতর্কিত। দুর্নীতিবাজদের কাছে সেখানে সবাই অসহায়। ওয়াসার কাছে খালের দায়িত্ব দেওয়া ছিল শিয়ালের কাছে মুরগি পোষার ভ্রান্তি। সে ভুল থেকে সরে এলেও দুই সিটি  করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রহস্যজনক নিস্পৃহতায় খাল উদ্ধারের কার্যক্রম এগোচ্ছে না। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সিটি মেয়রদের সুনাম। রাজধানীর পানি নিষ্কাশনে খালগুলোর ভূমিকা অনন্য। খাল উদ্ধারে দুই সিটির প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় হতে হবে।

সর্বশেষ খবর