বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবাজারে আগুন

ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের ৫ হাজার দোকান পুড়ে গেছে ৬ ঘণ্টার আগুনে। মঙ্গলবার দিনটি যেন অমঙ্গলের রাহুগ্রাস নিয়ে হাজির হয়েছিল ৫ হাজার দোকান মালিক এবং প্রায় বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর জীবনে। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিটি দোকানে ব্যবসায়ীরা উঠিয়েছিলেন বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রী। ঈদকে সামনে রেখে তারা দেখছিলেন সমৃদ্ধি অর্জনের স্বপ্ন। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে ছাই হয়েছে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার সামগ্রী। রক্ষা পায়নি পুলিশ সদর দফতরও। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তলব করা হয়েছিল সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপক ইউনিটকে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয় সেনা, নৌ, বিমান, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সবার একাগ্র চেষ্টায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তবে সন্ধ্যার দিকেও এনেক্সকো ভবনের পাঁচ ও ছয়তলা থেকে থেমে থেমে ধোঁয়া এবং আগুনের ফুলকি বের হচ্ছিল। সান্ত¡না শুধু এটুকু যে, আগুনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। ১৯৯৫ সালে একবার ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার। পরে নতুন করে গড়ে তোলা হয় ওই মার্কেট। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সেখানে আবার আগুন লাগে। পুড়ে যায় মার্কেটের গুলিস্তান ইউনিটের কয়েকটি দোকান। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট কাজ করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমত, প্রথমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এনেক্সকো টাওয়ারে। পর্যায়ক্রমে তা অন্যান্য মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে।  অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে চার বছর আগেই বঙ্গবাজার মার্কেটকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। তারা একটি সতর্কতামূলক ব্যানারও লাগিয়ে দিয়েছিল। এ পর্যন্ত দশবার সতর্ক করা হলেও তা পাত্তা দেননি বঙ্গবাজার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের সহানুভূতি। তবে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের ওপর ব্যবসায়ীদের চড়াও হওয়া শুধু নিন্দনীয় নয়, এটি চরম কান্ডজ্ঞানহীনতারই পরিচায়ক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর