সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

টোল যেন বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ প্রায় সমাপ্তির পথে এবং তা চলতি মাসেও চালু করা সম্ভব। বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের উড়ালসড়ক চালু হলে এ পথের অসহনীয় যানজটের ইতি ঘটবে। তবে উড়ালসড়কের সত্যিকারের সুফল পেতে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয় তিন ভাগে। এর মধ্যে মূল উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। ভূমি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানসহ নানা জটিলতায় চারবার পিছিয়ে দেওয়া হয় নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা। এ জন্য বেড়েছে প্রকল্প ব্যয়। তবে শেষ পর্যন্ত যে প্রকল্পটি সমাপ্ত হতে যাচ্ছে এটা একটা স্বস্তির বিষয়। তবে সময় বৃদ্ধির কারণে যে ব্যয় বেড়েছে এতে সরকারের অর্থের অপচয় হয়েছে, যা এড়াতে পারলেই ভালো হতো। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের অভিমত, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল এবং পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট কমবে। কমবে ভ্রমণের সময় এবং খরচ। প্রকল্পের প্রথম অংশ উদ্বোধনের জন্য প্রায় প্রস্তুত হলেও দ্বিতীয় অংশ বনানী থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ এগিয়েছে। তৃতীয় অংশ তেজগাঁও-কুতুবখালীর কাজও চলছে দ্রুতলয়ে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলে টোল আদায় করা হবে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি ২৫ বছর টোল আদায়ের সুযোগ পাবে। তিন বছর অন্তর টোল পুনর্নির্ধারণও করা হবে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে। তবে এ টোল যাতে বোঝা না হয়ে দাঁড়ায় নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেদিকে নজর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর