মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড় মোখা

বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের ওপর তান্ডব চালাতে পারেনি। কক্সবাজারের কোলঘেঁষে মিয়ানমারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজারের টেকনাফে মোখার থাবা অনুভূত হলেও বাদবাকি বাংলাদেশ থাকে নিরাপদে। মোখা যখন সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ অতিক্রম করে তখন সাগরে ছিল ভাটার টান। ফলে জলোচ্ছ্বাস থেকে বেঁচে যায় উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাটা আর বাতাসের দিক ও গতির কারণে সেন্টমার্টিনে ১৪৭ কিলোমিটার বেগে মোখা আঘাত হানলেও বিপর্যয় ঘটেনি। তবে কাঁচা ঘর আর গাছপালার ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। মূল ভূভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন বঙ্গোপসাগরের এই প্রবাল দ্বীপে ঝড় শুরু হয় রবিবার সকালের পর থেকে। ঝড়ের প্রভাব দেশের মূল ভূখন্ডে টেকনাফ ছাড়া আর কোথাও পড়েনি। টেকনাফ ও উখিয়ায় ১২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সেন্টমার্টিনে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি। ঘূর্ণিঝড় মোখার থাবায় মিয়ানমারের উপকূল এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ঘূর্ণিঝড়ের পর মিয়ানমারের সিত্তে বন্দরের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাখাইনের সিত্তে উপকূলে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে আঘাত না হানায় রক্ষা পেয়েছে খেতের বোরো ধান। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ধান উৎপাদন ব্যাপকহারে মার খেত। ক্ষতিগ্রস্ত হতো দেশের অর্থনীতি। বিদেশ থেকে মাত্রাতিরিক্ত চাল আমদানি অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ ডেকে আনত। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল প্রশংসার দাবিদার। সম্ভাব্য দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার এ কৃতিত্ব ভবিষ্যতেও অনুসৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর