বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

দৃঢ়প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

কারও কাছে মাথানত নয়

জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে তিনি বা তাঁর দল ভয়ের মধ্যে নেই। কারও কাছে মাথানত না করার প্রত্যয়ও প্রকাশ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, পাশাপাশি বিএনপির আন্দোলন জোরদার করায় সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না-এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনস্টার টাইপ অব ডেমোক্র্যাসি অনুসরণ করে। তাই ব্রিটেনে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে হবে। এর মধ্যে আমরা এটুকু উদারতা দেখাতে পারি, পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যারা আছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা প্রকাশ করে নির্বাচনকালীন সময়ে তারা সরকারে আসতে চান, আমরা রাজি আছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপিকেও এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেনি। এখন যেহেতু তারা পার্লামেন্টেও নেই, তাদের নিয়ে চিন্তারও কারণ নেই। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায়, তখন রিজার্ভ ছিল ০.৭৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার, অর্থাৎ ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম। আর এখন ৩১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। কাজেই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার খুব বেশি কারণ নেই। বৈশ্বিক দুঃসময়ে সংকট এড়াতে দেশের সব অনাবাদি জমিতে ফসল ফলানো হবে। অন্যের ওপর আর নির্ভরশীল হব না। উৎপাদন করে আমরা নিজেরাই চলব। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট করা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে এবং বিএনপি যেহেতু সংসদে নেই সেহেতু সংবিধানের আওতায় আপসের কোনো সুযোগ নেই। বৈশ্বিক সংকটের মোকাবিলায় জনমনে সৃষ্ট উদ্বেগ নিরসনে তিনি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে খাদ্য আমদানির বদলে দেশে খাদ্য উৎপাদনের প্রতি জোর দিয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস, বিগত দুটি নির্বাচনের ত্রুটি এড়িয়ে পরবর্তী নির্বাচন যাতে শতভাগ স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করা হবে।  নির্বাচনে সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগও নেওয়া হবে।  নির্বাচন কমিশন যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপযোগী হয়ে ওঠে সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের মদদ জোগানো হবে।

সর্বশেষ খবর