বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোখার ক্ষয়ক্ষতি

পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিন

ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের ওপর পূর্বাভাস অনুযায়ী তান্ডব চালাতে পারেনি। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেশ ক্ষয়ক্ষতি ঘটালেও জলোচ্ছ্বাসের ঘটনা ঘটেনি। দেশের মূল ভূখন্ডে টেকনাফে এর তান্ডব অনুভূত হয়েছে। কক্সবাজারের মহেশখালীতে তিন লবণ চাষির মৃত্যু হয়েছে। অনুমিত হিসাবে কক্সবাজারে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২ হাজার ৮০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোখায় ক্ষতিগ্রস্তরা এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১ হাজার ২০০ ঘর ও কটেজ ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সোমবার দ্বীপ পরিদর্শনে এসে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। দ্বীপের ২ হাজারের বেশি গাছ ভেঙে যাওয়ায় প্রবাল দ্বীপ তার শ্রী হারিয়েছে। মোখার আঘাতে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ হাজার ৮২৬টি ঘর ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার হাত থেকে জীবন বাঁচাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল কক্সবাজার উপকূলের প্রায় ৩ লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করার পর স্বস্তি ফিরেছে বাসিন্দাদের মধ্যে। গবাদিপশু নিয়ে নিজ বসতভিটায় ফিরেছেন তারা। আতঙ্ক কাটিয়ে স্বাভাবিক চেহারায় ফিরছে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। মোখা যে আশঙ্কা বিস্তার করেছিল সেভাবে আঘাত হানলে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ত দেশ।  বিশেষ করে বোরো ধানের একাংশ মাঠে কাটার অপেক্ষায় থাকায় লাখ লাখ টন ধান উৎপাদন হ্রাস পেত। রবিশস্যের আবাদও ক্ষতিগ্রস্ত হতো। মোখা দেশের যেসব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রশাসন দ্রুত দাঁড়ানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষত ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা দুনিয়ার সেরা। এটিকে আত্মপ্রসাদের বিষয় না ভেবে দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজেদের আরও বেশি সক্ষম করে তুলতে হবে।  দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্বাসনেও নিতে হবে যৌক্তিক উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর