শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

কমিউনিটি ক্লিনিক

জাতিসংঘের স্বীকৃতি এক অনন্য অর্জন

বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্ভাবন বলে ভাবা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০০ সালে চালু হয় স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে প্রতিহিংসার শিকার হয় কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মসূচি। বন্ধ করে দেওয়া হয় কয়েক কোটি মানুষকে সেবাদানের বৈপ্লবিক এ ব্যবস্থা। ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে চালু হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। গত ১৬ মে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা : সর্বজনীন স্বাস্থ্যপরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামে গৃহীত এ প্রস্তাবটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়ে এ উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। প্রস্তাবটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনস্বরূপ জাতিসংঘের ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র এ প্রস্তাবে কো-স্পন্সর ছিল। জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক এ প্রস্তাব অনুমোদনকে ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিককে স্বাস্থ্যসেবার বৈশ্বিক মডেল হিসেবে স্বীকৃতিদানের ঘটনায় আরও অনেক দেশ এ সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তনে ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যবিষয়ক মৌলিক অধিকার পূরণে তা হবে এক বিরাট অর্জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর