গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙালি সুরকার ও গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৫তম মৃত্যুদিবস পালিত হলো। প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি হৃদয়ছোঁয়া বাংলা গান তাঁকে অমরত্ব দান করেছে। আর হেমন্ত, মান্না দে, লতা, আশা কিংবা হৈমন্তী শুক্লাসহ প্রায় সব বাংলা গানের শিল্পী তাঁর লেখা গান কণ্ঠে ধারণ করে সংগীতপ্রেমীদের মনে সুখ-দুঃখের আমেজ আর চিন্তাশীলদের মনে চিন্তার খোরাক জুগিয়েছেন অকৃপণভাবে। হৈমন্তী শুক্লার গাওয়া তেমনি একটি গানের শিরোনাম- ‘আমার বলার কিছু ছিল না।’ এ গানের শেষ অন্তরায় লেখা- ‘কোথা থেকে কখন যে কী হয়ে গেল, সাজানো ফুলের বনে ঝড় বয়ে গেল।’ বিগত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া একের পর এক অঘটন দেখেশুনে গানের এ অংশটি কেন যেন বারবার কানে বাজছে। বিশেষত যাত্রাবাড়ীর লাল রঙের সুবিশাল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন সাজানো বাগানই ছিল, আজ তা যেন আফ্রিকা, সিরিয়া বা গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো ভবন।
দেশের সচেতন মহলের সবচেয়ে আশাবাদী মানুষটির মনেও যেন শঙ্কা জাগাচ্ছে একটি প্রশ্ন- এরপর কী? ক্ষমতা হারানোর পর দেশেবিদেশে যে যা-ই বলুক না কেন, দেশে যে ছাত্র-জনতার বিপ্লব হয়েছে এ কথা আর অস্বীকার করার কোনো পথ খোলা নেই। পৃথিবীর কোথাও কোনো বিপ্লব কখনো বিনা কারণে হয়নি, আর হবেও না কোনো দিন। বিপ্লব-পরবর্তী স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া প্রতিবিপ্লব, নব্য স্বৈরতন্ত্র, জিঘাংসার বহিঃপ্রকাশ, মব জাস্টিস, বঞ্চিতদের দাবিদাওয়া মুহূর্তেই পূরণের জন্য নতুন সরকার বা সফল বিপ্লবীদের ওপর যৌক্তিক-অযৌক্তিক চাপ প্রয়োগ এবং দাবিদাওয়া আদায় না হলে চরম পন্থা অবলম্বন ইত্যাদি। আর এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই প্রতিরোধের উপায় হিসেবে সান্ধ্য আইন বা কারফিউ ঘোষণা, ট্রেড ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ, জনমত গঠনে সহায়তার জন্য মিডিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ এমনকি সাময়িকভাবে সংবিধান স্থগিত করাও পৃথিবীর ইতিহাসেরই অংশ। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা বা বিশ্ব মোড়লরা এ নিয়ে অনেক কিছু বললেও এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ যে খুব একটা নেই, এটা সবাই বোঝে এবং সেভাবেই সময়ের সঙ্গে সব নিয়ন্ত্রণে আসে। পৃথিবীর বহু দেশের বিপ্লব-পরবর্তী ইতিহাসটা কমবেশি এ রকমই।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে বিপ্লব হয়ে গেল, যে কোনো বিচারে এটি এক অনন্য মাইলফলক। সামরিক অভ্যুত্থান হয়তো কতিপয় বিপথগামী বা বিপ্লবী সেনাসদস্যের দ্বারা সম্ভব। কারণ পূর্ব থেকে সুসংগঠিত নিয়মিত বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে এবং আদেশ বা কমান্ড প্রদান করে একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীকে স্বল্প সময়ে মাঠে নামানো হয়। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লবে হঠাৎ ঘটে যাওয়া বিরল বা দৈব ঘটনা বলেই ধরা যায়। অধিকাংশ ছাত্র-জনতা বা কৃষক-শ্রমিকের দ্বারা সংঘটিত বিপ্লবের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিপ্লবপিয়াসীরা প্রথমত গোপনে নিজেরা সংগঠিত হয় এবং সমমনাদের গোপনে বা ছদ্মাবরণে সংগঠিত করে। এরপর তারা দেশ, সমাজ, শিক্ষাঙ্গন বা কর্মস্থলে বিরাজমান বৈষম্য, নির্যাতন, অন্যায়, অবিচারের কথা তুলে ধরে নিজেদের দল ভারী করে এবং তাদের দাবির পক্ষে সমর্থন বাড়ায়। এরপর উপযুক্ত সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। আর সুযোগ পেলেই প্রচলিত শাসনব্যবস্থা ভেঙে বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠায় মরণ কামড় বসায়। এর পরের পরিস্থিতি নির্ভর করে বিপ্লব সফল বা ব্যর্থ হওয়ার ওপর। বিপ্লবের পর যে কোনো একদিকে না গিয়ে দুই নৌকায় পা দিলে কী ফলাফল হয় তার একটা উদাহরণ বাংলাদেশের সেনা-সমর্থিত এক-এগারোর সরকার। দেশের বিরূপ পরিস্থিতি ও রাষ্ট্রের এক ক্রান্তিকালে অথবা ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা-সমর্থন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর সামরিক আর বেসামরিক শাসনের মাঝামাঝি কিছু দাঁড় করানো এবং মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি নানাবিধ সমীকরণের মাঝে হাবুডুবু খেতে খেতে পথ হারিয়ে ফেলে ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দিন, বারী ও আমিনের দল। আজ তাদের জন্য দেশের দরজা অঘোষিত হলেও বন্ধ। তারা এখন ভিন্ন রাষ্ট্রে সবুজ একখানা কার্ড পেয়েই যেন তৃপ্ত। তবে কি একটি দেশের সবুজ একখানা কার্ডই ছিল তাদের চাওয়াপাওয়া? এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিন। তবে বাস্তবতা হলো এক-এগারোর সরকার শেষে বাংলাদেশ পেয়েছে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসন। ‘বৃক্ষ তুমি কী? ফলে পরিচয়।’- এমন কথার সূত্র ধরে এমন দাবিও করা যায় যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোই যেন এক-এগারো সরকারের সাফল্যের মাপকাঠি। কারণ প্রথমত আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়ে দাবি করেছিল, এক-এগারো সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। দ্বিতীয়ত অবৈধভাবে বা অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ দণ্ডনীয় অপরাধ মর্মে আইন পাস করলেও আওয়ামী লীগ এক-এগারোর কুশীলবদের নিরাপদে দেশ ছাড়ার এবং তাদের সুখেশান্তিতে বিদেশে থাকার ব্যাপারে নীরব ছিল। তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, বরং উল্টো একজন অন্যতম কুশীলবকে দীর্ঘদিন একটি উন্নত দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়, দেশে ফিরিয়ে তাদেরই অনুগত তথাকথিত বিরোধী দলের সংসদের সদস্যরূপে মহান সংসদে বসার সুযোগ করে দেয় এবং আদম ব্যবসার মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হওয়ার সুযোগ করে দেন। এক-এগারো সরকার ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম তিনটি কারণ ছিল- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও চাপ প্রয়োগ করে তাদের কাছ থেকে নানা যুক্তিতে টাকা আদায় এবং ক্ষেত্রবিশেষ সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতি। শঙ্কার বিষয় হলো, ২০২৪ সালে এসে আমরা যে সরকার দেখছি, তার প্রকৃতি অনুধাবনেও বেগ পেতে হচ্ছে পরতে পরতে। একজন ড. ফখরুদ্দীন আর একজন ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে এক নয়, এটা সবাই বোঝে। একজন জেনারেল মইনুদ্দিন আর একজন জেনারেল ওয়াকার শারীরিকভাবে যেমন হাজার হাজার মাইল দূরে, গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকেও তাঁদের পার্থক্য ব্যাপক। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উভয় সরকারের একই রকম ব্যর্থতা মেনে নেওয়া কঠিন।
মনে পড়ে জেনারেল মইন আলুর দাম অস্বাভাবিক কমে যাওয়া ও অন্য সবকিছুর দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় এক পাঁচ তারকা হোটেলের সেফকে ডেকে মিডিয়ার সামনে নানা প্রকার আলুভিত্তিক খাবার তৈরি করে দেখান এবং সবাইকে বেশি বেশি আলু খেতে বলেন। মানুষ একজন সেনাশাসকের কাছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তার সেনাদের কার্যকরী তৎপরতা দেখতে চায়, কীসের বদলে আলু খেতে হবে, তা শুনতে চায় না। দেশে কোথা থেকে কিছু একটা হচ্ছে- তা সবাই বোঝে। তা নাহলে একজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আলাদিনের দৈত্য ভাবা আর এক্ষুনি সব সমস্যার সমাধান আদায় অন্যথায় রাস্তাঘাট অচল করার ঘটনা ঘটত না। কী ঘটেছে তা সবাই দেখে এবং এ দেখতে পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃতিত্বের কিছু নেই। তবে কোত্থেকে, কেন, কীভাবে এবং কার কারণে এসব হচ্ছে- সেটার স্বরূপ উদ্ঘাটন ও প্রতিকারই সবার চাওয়া। এ জন্যই রাষ্ট্রের বিশাল বিশাল বাহিনী মাঠে আছে এবং সাদা পোশাকের আবরণে নানা নামের গোয়েন্দা সংস্থা আছে। আর দেশের সর্বত্র বিপ্লব সফল হয়েছে বিধায় ধরেই নেওয়া যায় যে মাঠপর্যায়েও তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। বিশেষত যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকা ছিল বিপ্লবকালের একটি হটস্পট। একদিকে পুলিশের নির্মমতা অন্যদিকে পুলিশের ওপর বিপ্লবীদের চরম প্রতিশোধ সারা দেশের নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই আলোচিত হয়েছিল। সুতরাং অন্তত যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকায় বিপ্লবীদের ব্যাপক প্রভাব থাকার বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই। অথচ সেই একই এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এবং আশপাশের এলাকার বিগত সপ্তাহের শনির দশা মেনে নেওয়া যায় না। সেখানে শোডাউন বা প্রতিশোধ নেওয়ার পূর্বঘোষণা দিয়েই ছাত্র নামধারীরা মাঠে নামে। ফলে স্বাভাবিকভাবে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার, পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল, গোয়েন্দাদের তৎপরতা সর্বোপরি ছাত্রসমাজ ও সমন্বয়কারীদের অবস্থান ও বিপ্লব-পরবর্তী ভূমিকা আজ প্রশ্নের মুখে।
একজন বিতর্কিত ধর্মগুরুকে ঠিক এ মুহূর্তে এভাবে জেলে না পাঠিয়ে যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করলে ভালো হতো। কারণ এর ফলে দেশবিদেশে কী প্রতিক্রিয়া হবে, তা সবার জানার কথা। তবে কি সরকারকে কেউ ট্র্যাপে ফেলছে? ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা আগে থেকে না ভাবলে এবং সেই অনুসারে ব্যবস্থা না নিলে জনজীবনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে। শীত মৌসুমে গ্রামগঞ্জে মেলা, যাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে অশ্লীলতা এবং তা প্রতিকারে অপর পক্ষের জোরজবরদস্তি হবে- এটা অবধারিত। যে ছাত্ররা অটো পাস করেছে, এবার তারা অটো পদ্ধতিতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির দাবিতে রাস্তা দখল করবে। অটোরিকশা চালাতে দিলে অবরোধ করবে প্যাডেলচালিত রিকশার মালিক-শ্রমিকরা। আর চালাতে না দিলে হবে তাণ্ডব। নছিমন, করিমন কিংবা গরুর গাড়িও ঢাকায় চলে এলে কী করা হবে, তা ভাবা হাস্যকর হলেও হতে কতক্ষণ? শীতকালজুড়ে মাজারে মাজারে ওরস হবে, আর শামিয়ানা টাঙিয়ে তাবলিগের মুরব্বি আর ইসলামি বক্তারা দেবেন মাজারবিরোধী বয়ান। রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে। পিকনিক আর ঈদে ঘরমুখি যাত্রীর বাস খাদে পড়বে। বাচ্চারা সময়মতো সব বই পাবে না মর্মে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। এমন যা যা হতে পারে, সব মন্ত্রণালয়েরই তা জানা। এসবই যখন জানা, তখন তা ঘটতে না দেওয়াই সময়ের দাবি।
শুরু করেছিলাম পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা দিয়ে। শেষ করব তার প্রসঙ্গ টেনেই। বাংলা অগ্রহায়ণ মাস চলছে। সামনেই পৌষ মাস। বাংলায় প্রবাদ আছে- ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ।’ এমন প্রবাদ আমাদের ভয় ধরায়। আবার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো স্বপ্ন দেখতে দেখতে বলতে ইচ্ছা করে- ‘পৌষের কাছাকাছি রোদমাখা সেই দিন, ফিরে আর আসবে কি কখনো?’ তবে জীবনটা স্বপ্নে চলে না, চলে বাস্তবতায়। সবাই পুলকের মতো ড. ইউনূসকে বলতে চায়, ‘কত দিন পরে এলে, একটু বসো, তোমায় অনেক কথা বলার ছিল, যদি শোন।’ আসলে পৃথিবীতে বলার মানুষ যত আছে শোনার মানুষ তত নেই। তাই সব বলা যাবে না, সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে না- এটিই বাস্তবতা। পুলকের আরেক গানে আছে, ‘এ নদী এমন নদী, জল চাই একটু যদি, দুহাত ভরে উষ্ণ বালুই দেয় আমাকে।’ এমন চরম সত্যকেও মেনে নেওয়াই জীবনের ধরন। পুলক গেয়েছিলেন- ‘আমি মানুষ চেয়ে করেছিলাম ভুল, তুমি ছিলে শুধু রং করা পুতুল।’ মানবাধিকার, সংবিধান, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ যদি প্রশাসন ও সরকারি বাহিনীর রং করা পুতুলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া, তবে পৌষে সর্বনাশের জন্য তৈরি থাকতে হবে। মানবিক পুলিশ আর রং করা পুতুল এক হতে পারে না। যদি এমনটা হয়, তবে সব অর্জন ব্যর্থ হতে সময় লাগবে না। ব্যর্থতা মানা যায় না, ব্যর্থতা বড় কষ্টের। পুলকের মতো সফল গীতিকারও কষ্টই সহ্য করতে না পেরে ২৫ বছর আগে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। অথচ তিনি নিজেই লিখেছিলেন- ‘তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন, সবই তোমার অভিনয়, সিটিজি কিছু নয়, আমি দুঃখ পেলেও সুখী হলাম জেনে।’
লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট
ইমেইল : [email protected]