শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল-অমিল

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মিল-অমিল

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদর্শিকভাবে প্রবল প্রতিপক্ষ দুটি দল আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী। এ দুটি দলের বিবাদ কেবল যে আদর্শিক তা নয়, রাজনৈতিক বিবাদও যথেষ্ট। আমরা যদি দূর ও কাছের অতীতের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব ব্রিটিশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে শেখ মুজিব ও তাঁর রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং বিশেষ করে তৎকালীন পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ মুসলিম বাঙালি নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগের পতাকাতলে সমবেত হয়ে ভারত ভেঙে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়েছেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের প্রবল জোয়ার সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষিত ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-তে ভারতের কোথাও রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার ঘটনা না ঘটলেও কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম ভয়াবহ দাঙ্গা সংঘটিত হয়। বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিবরণীতে কলকাতায় চার দিনব্যাপী দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৪ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে। ভারতে ব্রিটিশ সরকার এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস দাঙ্গার পেছনে প্ররোচনা দানকারী হিসেবে বাংলার তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে এককভাবে দায়ী করে। এজন্য বাঙালি হিন্দুরা ছেচল্লিশের দাঙ্গার ইতিহাস স্মরণ করে সোহরাওয়ার্দীকে এখনো বাংলার কসাই হিসেবেই জানে। তিনি দাঙ্গার উসকানিদাতা হয়ে থাকলে তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা যে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি তা নিশ্চিত বলা যায়।

অর্থাৎ বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবসহ তাঁর অন্য শিষ্যরা লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান মন্ত্রে অতিমাত্রায় দীক্ষিত ছিলেন এবং পণ করেছিলেন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধানোর মতো নৈরাজ্য সৃষ্টি করে হলেও মুসলমানদের জন্য স্বাধীন পাকিস্তান হাসিল না করে ঘরে ফিরবেন না। তারা পাকিস্তান আদায়ে সক্ষম হয়েছিলেন। অচিরেই তাদের মোহভঙ্গ হয়েছিল। তারা পাকিস্তানের দাবি বাস্তবায়নকারী দল মুসলিম লীগ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীভূত শাসনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠেন। তারা মুসলিম লীগ ত্যাগ করে নতুন দল আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেন। ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগ বিপুলভাবে বিজয় লাভ করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার একক কৃতিত্বের অধিকারী মুসলিম লীগের নামনিশানা পূর্ব পাকিস্তান থেকে কার্যত মুছে যায়। আওয়ামী মুসলিম লীগ তাদের দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটিকে বিদায় দেয় এবং একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয় মূলত হিন্দু ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদর্শিকভাবে প্রবল প্রতিপক্ষ দুটি দল আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীগণতন্ত্রের মানসপুত্র খ্যাত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালে বৈরুতের একটি হোটেলে মারা যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের অধিকতর প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন দাবিকে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে নেন, যা শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয় এবং ১৯৭১ সালে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ নামে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পূর্ববঙ্গের যেসব বাঙালি মুসলিম পাকিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনে শরিক ছিলেন, নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন, শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাদের একটি বড় অংশ তাদেরই অর্জন করা অখণ্ড পাকিস্তানকে ভাঙায় নেতৃত্ব দান করেন। 

অপরদিকে ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ অধিবেশনে পাকিস্তান প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকে ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলো সমন্বয়ে তাদের পৃথক আবাসভূমি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন ১৯৪১ সালে সাইয়িদ আবুল আলা মওদুদীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ভারত বিভাজন প্রতিহত করার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। তিনি ভারতের বুক চিড়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্যে মুসলমানদের কোনো কল্যাণ দেখতে পাননি। ১৯৪১ সালে সাইয়িদ আবুল আলা মওদুদীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ভারতের কোনো ধরনের বিভক্তি প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, মুসলিম পাকিস্তানের জন্য আন্দোলন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, এটা কোনো ইসলামি আন্দোলন নয়। কারণ পাকিস্তানের ধারণা ইসলামের উম্মাহর ধারণার পরিপন্থি। তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে তিনি পাকিস্তান ও মুসলিম লীগের কঠোর সমালোচনা শুরু করেন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক ইতিহাবিদ মহিউদ্দিন আহমদ গত আগস্ট ২০২৪-এ প্রকাশিত তাঁর জামায়াতে ইসলামী : উত্থান বিপর্যয় পুনরুত্থান শীর্ষক গ্রন্থে মওদুদীর ভাষণ, তাঁর বিভিন্ন নিবন্ধ থেকে যেসব উদ্ধৃতি দিয়েছে, তাতে দেখা যায়, তিনি ১৯৪৩ সালে পাকিস্তানকে আহম্মকের বেহেশত এবং মুসলমানদের কাফেরানা রাষ্ট্র অভিহিত করেছেন। পাকিস্তান প্রস্তাব তাঁর হৃদয়ে দুঃখ ও মাতম সৃষ্টি করেছিল। মুসলিম লীগ সম্পর্কে তিনি বলেছেন যে, ওরা আল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ; ওরা পরিবেশকে শৌচাগারের চেয়েও নোংরা করে ফেলেছে। এটি বাজিকরের একটি দল। জিন্নাহ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ছিল- এই ব্যক্তির ত্রুটি বর্ণনা করে শেষ করা যায় না। লীগের কায়দে আজম থেকে শুরু করে কেউই মুসলিম শব্দের অর্থ পর্যন্ত জানে না। মোদ্দা কথা হলো, মাওলানা মওদুদী ভারত বিভাগকে একটি নতুন ভৌগোলিক সীমান্ত সৃষ্টি হিসেবে দেখেছিলেন, যা মুসলমানদের একজনকে আরেকজনের কাছ থেকে বিভক্ত করবে। মাওলানা মওদুদী ও জামায়াতে ইসলামী ভারত বিভক্তির প্রবল বিরোধিতা করা সত্ত্বেও ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি তাঁর অপছন্দনীয় পাকিস্তানকেই জামায়াতের কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্রে পরিণত করেন। পাকিস্তান আনয়নকারী দল মুসলিম লীগ যখন পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সব কটি প্রদেশে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল এবং নতুন জনপ্রিয় দলের অভ্যুদয়ে পাকিস্তানের অখণ্ডতা হুমকির মধ্যে পড়েছিল, তখন জামায়াতে ইসলামী পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে তুলনামূলকভাবে ছোট দল হওয়া সত্ত্বেও দেশের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য কথায় ও কাজে সবচেয়ে বড় বরকন্দাজ হয়ে উঠেছিল।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এক দশকের মধ্যেই পাকিস্তান প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নেতাদের রাজনৈতিক অবস্থান তাদের আগের অবস্থানের চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। যারা ভারত ভেঙে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তাদের জীবন-যৌবন বাজি রেখেছিলেন, তারাই পাকিস্তান সরকারের নানা দুর্বলতা, অনাচার, অবিচারের সুযোগ নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিনষ্ট করতে অর্থাৎ তাদেরই প্রতিষ্ঠিত দেশ ভাঙতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী, যারা ভারতের অখণ্ডতার পক্ষে কাজ করেছে এবং পাকিস্তান চায়নি, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারা তাদের ভোল পাল্টে পাকিস্তানকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রে পরিণত করার আশায় দেশটির স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য জানমাল কোরবানি দিতে প্রস্তুত ছিল। জামায়াতে ইসলামী কীভাবে তাদের ভূমিকা পাল্টে ফেলল, এটাও কম বিস্ময়ের নয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে যত ব্যাখ্যাই দেওয়া হোক না কেন, পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় আধিপত্য বিস্তার হতে পারে আশঙ্কায় ১৯৭১ সালে তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনী, তথা পাকিস্তান সরকারকে সহযোগিতা করেছে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে তারা পাকিস্তান রক্ষায় যেমন ভূমিকা রেখেছিল, তেমনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর থেকে জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরীতে পরিণত হয়েছে। জামায়াতের এহেন দাবির সামনে স্বাধীনতার একচেটিয়া দাবিদার আওয়ামী লীগকেও মুখ আড়াল করতে হয়। কারণ যতবার আওয়ামী ক্ষমতায় এসেছে, তারা সব সময় দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ সাধনের চেষ্টার পরিবর্তে ভারত সরকারকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের মতো একটি অনুগত সরকার ভারতের জন্য সব সময় আশীর্বাদ। ভারতের যে কোনো দলের সরকার বাংলাদেশে বারবার আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। তার সর্বশেষ প্রমাণ গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণহত্যাসহ বহু অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ না করা।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর প্রথম মিলন ঘটে পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আইউব খানের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী দলের (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টিজ-কপ) প্রার্থী পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন দানের ক্ষেত্রে। ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন দেওয়ার আগপর্যন্ত মাওলানা মওদুদী ও তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী এ মর্মে নারী নেতৃত্বের বিরোধিতা করেছে, ইসলামে নারী নেতৃত্বের বিধান নেই। এর পক্ষে মওদুদীর বক্তব্য ছিল : এই নির্বাচনে যদি ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন না করা হয়, তাহলে একনায়ক আবারও জাতির ওপর চেপে বসবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার মতে, এ স্বৈরাচারের চেপে বসার সুযোগ দেওয়া একজন নারী নেতা নির্বাচিত করার চেয়ে দশ গুণ অধিক অপরাধ। জামায়াত নেতারা ফাতিমা জিন্নাহর সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে সারা দেশ সফর ও একই মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের নির্বাচনি রাজনীতিতেও জামায়াতে ইসলামী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব মাথা পেতে গ্রহণ করে ও বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনি জোট গঠন করে এবং সরকারে অংশ নিয়ে নারী নেতৃত্বের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ আস্থার প্রমাণ দিয়েছে। 

জামায়াতে ইসলামী যেহেতু খোলাফায়ে রাশেদিনের আদলে সরকার গঠন ও পরিচালনা করতে চায়, অতএব তারা প্রথমদিকে সংসদীয় পদ্ধতিতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিল। তারা চাইত প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা। আধুনিক গণতন্ত্র সম্পর্কে জামায়াতের বিরূপ মনোভাব ছিল শুরু থেকে। মওদুদী তাঁর এক গ্রন্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচন বিষাক্ত দুধের মাখনের মতো। ইসলাম অনুযায়ী কোনো পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া হারাম। এ ধরনের নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে কুকুরের দৌড়। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী মাওলানা মওদুদীর জীবদ্দশাতেই ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের তত্ত্বের অসারতা প্রমাণ করে। জামায়াতের পক্ষে যেহেতু পাকিস্তানে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের কোনো সম্ভাবনা ছিল না, অতএব পার্লামেন্টে কিছু সদস্য নির্বাচিত হলে অন্তত দলের লক্ষ্য ও আদর্শের পক্ষে প্রচারণার ভালো সুযোগ পাওয়া যাবে বিবেচনায় জামায়াত পরবর্তী প্রায় সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দলের নামে এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ব্যবহৃত তাদের নির্বাচনি প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে ১৯৮৬ সালে সামরিক শাসক এরশাদের অধীনে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। প্রথমে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়। কারণ বিএনপি জামায়াতকে ১০০ আসন ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। জামায়াত নেতারা মনঃক্ষুণ্ন্ন হলেও প্রায় রাতারাতি আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনি সমঝোতায় পৌঁছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা নিয়ে ৭৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জামায়াতের ১০ জন প্রার্থী জয়লাভ করলে তারা জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের পর জাতীয় সংসদে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সামরিক শাসনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অটল ছিল। এমনকি আওয়ামী লীগ এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচন করায় বিএনপি আওয়ামী লীগকে জাতীয় শত্রু বলে উল্লেখ করে। এরশাদের অধীনে সংসদ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না অজুহাতে ১৯৮৭ সালের ৩ ডিসেম্বর জামায়াতের ১০ সংসদ সদস্য দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগের পদত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সদস্যরা পদত্যাগ না করায় জামায়াত বিস্মিত হয়। এ বিস্ময়ের অবসান ঘটে ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট এরশাদ তৃতীয় জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করায়।   

১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে ওঠায় জামায়াতে ইসলামী পুনরায় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পায়। লিয়াজোঁ কমিটির মাধ্যমে তারা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। এরশাদের পতনের পর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দল আশা করেছিল যে গোপনীয়তা বজায় রেখে হলেও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত তাদের সঙ্গে থাকবে। কিন্তু জামায়াত আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপির সঙ্গে গোপন নির্বাচনি জোট বেঁধেছিল। নির্বাচনি ফলাফলে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কারোই সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫১ আসন। বিএনপির প্রাপ্ত ১৪০-এর সঙ্গে জামায়াতের ১৮ সদস্যের সমর্থন পেলে সরকার গঠনে বিএনপির কোনো বিঘ্ন ঘটে না। আওয়ামী লীগও জামায়াতের সমর্থন চেয়ে দুতিয়ালি শুরু করে, তাদের প্রাপ্ত ৮৮, জাতীয় পার্টির ৩৫, জামায়াতের ১৮ সদস্য এবং ছোট দল ও স্বতন্ত্র সদস্য মিলিয়ে তারা কোয়ালিশন সরকার গঠন করে ফেলতে পারবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার গঠনে বিএনপিকেই সমর্থন দেয় জামায়াত। বিএনপিকে সরকার গঠনে সমর্থন দিলেও জামায়াত সরকারে যোগ  দেয়নি একটিমাত্র আশায় যে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সরকার দলের আমির গোলাম আযমের নাগরিকত্ব পুনর্বহাল করবে। সরকার তা না করে গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করে। উচ্চ আদালতের রায়ে গোলাম আযম তাঁর নাগরিকত্ব ফিরে পান। কিন্তু বিএনপির প্রতি জামায়াতের পুষে রাখা ক্ষোভের পরিণতি ছিল ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় ও ২১ বছর পর তাদের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন। কিন্তু আওয়ামী লীগ জামায়াতকে কখনো এ কৃতিত্ব দেয়নি। জামায়াত ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সম্পর্কের এ টানাপোড়েনে উভয় দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে প্রহসনের বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে অতিষ্ঠ, ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন বিদ্রোহে শেখ হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ন্যক্কারজনকভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।

    লেখক : নিউইয়র্কপ্রবাসী, সিনিয়র সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
খেলাপি ঋণের রেকর্ড
খেলাপি ঋণের রেকর্ড
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে
রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা
রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা
আন্দোলনে আগুন জ্বালানো সেই ঘোষণা
আন্দোলনে আগুন জ্বালানো সেই ঘোষণা
ইসরায়েল মার্কা নির্বাচন চায় কারা
ইসরায়েল মার্কা নির্বাচন চায় কারা
শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে
শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা
নির্বাচনের প্রস্তুতি
নির্বাচনের প্রস্তুতি
শাসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নসিহত
শাসকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নসিহত
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির নৈরাজ্য
সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির নৈরাজ্য
কেন দরকার রাজনৈতিক সরকার
কেন দরকার রাজনৈতিক সরকার
হুমকির মুখে ঢাকা
হুমকির মুখে ঢাকা
সর্বশেষ খবর
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত বার্সার সাবেক ফুটবলার
কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত বার্সার সাবেক ফুটবলার

২ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

জিএম কাদেরের উপর নিষেধাজ্ঞা, অব্যাহতপ্রাপ্ত নেতারা স্বপদে বহাল
জিএম কাদেরের উপর নিষেধাজ্ঞা, অব্যাহতপ্রাপ্ত নেতারা স্বপদে বহাল

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
শেখ হাসিনা-রেহানা-জয়-পুতুলের বিচার শুরু, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

থাইল্যান্ডে বন্দি ২০ সেনাকে ফেরত চাইছে কম্বোডিয়া
থাইল্যান্ডে বন্দি ২০ সেনাকে ফেরত চাইছে কম্বোডিয়া

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সব এআই মডেল উন্মুক্ত নাও থাকতে পারে: জাকারবার্গ
সব এআই মডেল উন্মুক্ত নাও থাকতে পারে: জাকারবার্গ

১৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হেয়ার কালারে চুল কি দ্রুত পাকে?
হেয়ার কালারে চুল কি দ্রুত পাকে?

২৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

ঢামেক হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসকসহ দুইজন আটক
ঢামেক হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসকসহ দুইজন আটক

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী, জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি
আমি লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী, জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

‘কীসের ভিত্তিতে পুরস্কার নিচ্ছেন’, প্রশ্ন ওমর সানীর
‘কীসের ভিত্তিতে পুরস্কার নিচ্ছেন’, প্রশ্ন ওমর সানীর

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন এফ-৩৫ বিধ্বস্ত, পাইলট অক্ষত
ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন এফ-৩৫ বিধ্বস্ত, পাইলট অক্ষত

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সাথে বাণিজ্য, ভারতীয় ৬ কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরানের সাথে বাণিজ্য, ভারতীয় ৬ কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেয়ার কালারে চুল কি দ্রুত পাকে?
হেয়ার কালারে চুল কি দ্রুত পাকে?

৫৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

তাসকিনের বিরুদ্ধে জিডি প্রত্যাহার করলেন বন্ধু সৌরভ
তাসকিনের বিরুদ্ধে জিডি প্রত্যাহার করলেন বন্ধু সৌরভ

৫৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই সনদের দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ
জুলাই সনদের দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
আজ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে নিহত অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে নিহত অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল মার্কা নির্বাচন চায় কারা
ইসরায়েল মার্কা নির্বাচন চায় কারা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ফের প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেন জাকা
ফের প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেন জাকা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় অপুষ্টিতে আরও সাতজনের মৃত্যু
গাজায় অপুষ্টিতে আরও সাতজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই দফা বাড়ার পর কমলো স্বর্ণের দাম
দুই দফা বাড়ার পর কমলো স্বর্ণের দাম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বুলাওয়েতে প্রথম দিনেই নিউজিল্যান্ডের দাপট
বুলাওয়েতে প্রথম দিনেই নিউজিল্যান্ডের দাপট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে পর্বতারোহণের সময় দুইবারের স্বর্ণজয়ী অলিম্পিয়ানের মৃত্যু
পাকিস্তানে পর্বতারোহণের সময় দুইবারের স্বর্ণজয়ী অলিম্পিয়ানের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ
দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেসব এলাকায় শুক্রবার ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
যেসব এলাকায় শুক্রবার ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পুঁজিবাজার: সূচকের বড় উত্থানে চলছে লেনদেন
পুঁজিবাজার: সূচকের বড় উত্থানে চলছে লেনদেন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তথ্য যাচাইয়ে সাংবাদিকদের আরও সতর্ক হতে হবে
তথ্য যাচাইয়ে সাংবাদিকদের আরও সতর্ক হতে হবে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাগামহীন খুন সন্ত্রাস চাঁদাবাজি
লাগামহীন খুন সন্ত্রাস চাঁদাবাজি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টির পর ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি
বৃষ্টির পর ঢাকার বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‌‘হিজবুল্লাহ আত্মসমর্পণ করবে না, ছাড়বে না অস্ত্রও’
‌‘হিজবুল্লাহ আত্মসমর্পণ করবে না, ছাড়বে না অস্ত্রও’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের তিন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হুথির ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের তিন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হুথির ড্রোন হামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী
হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার
১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি
কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস
বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে
পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ডাকসুতে স্বতন্ত্র প্যানেলে নির্বাচন করবেন উমামা ফাতেমা
ডাকসুতে স্বতন্ত্র প্যানেলে নির্বাচন করবেন উমামা ফাতেমা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু
অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিয়ানমারের ‘দুর্লভ খনিজে’ চোখ যুক্তরাষ্ট্রের
মিয়ানমারের ‘দুর্লভ খনিজে’ চোখ যুক্তরাষ্ট্রের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ
রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক
মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত
ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামিন পেলেন সেই ফারাবী
জামিন পেলেন সেই ফারাবী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত
জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত
ভূমিকম্পের পর এবার রাশিয়ায় ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন হামলার হুমকিতে উদ্বেগ রাশিয়ার
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় নতুন হামলার হুমকিতে উদ্বেগ রাশিয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের
‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি
সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যেভাবে একদিনে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার খোয়ালেন মেক্সিকান ধনকুবের!
যেভাবে একদিনে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার খোয়ালেন মেক্সিকান ধনকুবের!

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সেমিফাইনালও বয়কট করল ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান
সেমিফাইনালও বয়কট করল ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গত এগারো মাসে কে কি করেছে তা প্রকাশ করুন: জয়নুল আবদিন ফারুক
গত এগারো মাসে কে কি করেছে তা প্রকাশ করুন: জয়নুল আবদিন ফারুক

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু
খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাড়তি সিম ডি-রেজিস্ট্রার করতে হবে
৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাড়তি সিম ডি-রেজিস্ট্রার করতে হবে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘বিশেষ সুবিধা’ নিয়ে মাউশির নির্দেশনা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ‘বিশেষ সুবিধা’ নিয়ে মাউশির নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরকার পরিচালনা করতে চাইলে নাগরিকদের কথা শুনতে হবে: তারেক রহমান
সরকার পরিচালনা করতে চাইলে নাগরিকদের কথা শুনতে হবে: তারেক রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
মুরাদনগর রণক্ষেত্র
মুরাদনগর রণক্ষেত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে
শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে

সম্পাদকীয়

ঐক্য অনৈক্যের জুলাই সনদ
ঐক্য অনৈক্যের জুলাই সনদ

প্রথম পৃষ্ঠা

মাফিয়া আমলার সাতকাহন
মাফিয়া আমলার সাতকাহন

প্রথম পৃষ্ঠা

চালবাজি বন্ধে কঠোর সরকার
চালবাজি বন্ধে কঠোর সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকারের যাওয়ার সময় এসেছে
অন্তর্বর্তী সরকারের যাওয়ার সময় এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘরে ঘরে জ্বরে ভুগছে মানুষ
ঘরে ঘরে জ্বরে ভুগছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মায় ধরা পড়ল এক মণ ওজনের ডলফিন
পদ্মায় ধরা পড়ল এক মণ ওজনের ডলফিন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোটি টাকার সড়কের রেলিং যেন গরু বাঁধার খুঁটি!
কোটি টাকার সড়কের রেলিং যেন গরু বাঁধার খুঁটি!

রকমারি নগর পরিক্রমা

বাফুফের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন
বাফুফের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

পেশাদার চাঁদাবাজ সমন্বয়ক রিয়াদ
পেশাদার চাঁদাবাজ সমন্বয়ক রিয়াদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে
সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন আর নেই
অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন আর নেই

নগর জীবন

কেমন আছেন মিথিলা
কেমন আছেন মিথিলা

শোবিজ

ট্রাম্পশুল্কে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ
ট্রাম্পশুল্কে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

লালমনিরহাটে হাজারো পরিবার পানিবন্দি
লালমনিরহাটে হাজারো পরিবার পানিবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাড়ছে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার
বাড়ছে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ৫২ দেশে
রাশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ৫২ দেশে

প্রথম পৃষ্ঠা

৩৯ আসনে সীমানা পরিবর্তন
৩৯ আসনে সীমানা পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

এ টি এম ভাই বললেন তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে : ইলিয়াস কাঞ্চন
এ টি এম ভাই বললেন তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে : ইলিয়াস কাঞ্চন

শোবিজ

গোলাম আকবরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি
গোলাম আকবরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি

নগর জীবন

কাকে খুঁজছেন তমা
কাকে খুঁজছেন তমা

শোবিজ

রাজনীতির ডামাডোলে নীরবে বাড়ছে ডেঙ্গু
রাজনীতির ডামাডোলে নীরবে বাড়ছে ডেঙ্গু

রকমারি নগর পরিক্রমা

কুসুমের মুগ্ধতা
কুসুমের মুগ্ধতা

শোবিজ

দেশে সোনার রিজার্ভ ২ হাজার ৬১১ কেজি
দেশে সোনার রিজার্ভ ২ হাজার ৬১১ কেজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইউরোপে অবৈধ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
ইউরোপে অবৈধ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

পেছনের পৃষ্ঠা

রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা
রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা

সম্পাদকীয়