হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম ও ফরজ ইবাদত। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা মুকাররামার নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড সম্পাদন করাকে হজ বলা হয়। হজের মৌসুমে পবিত্র মক্কা নগরীতে যাওয়া-আসার এবং ওই সময়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহনের আর্থিক সচ্ছলতা ও হজের সফর করার দৈহিক সক্ষমতা থাকলে জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের উচিত মহান ও ফজিলতপূর্ণ এ আমলটি আদায়ে বিলম্ব না করা। কেননা আজকের শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা পরবর্তী সময়ে না-ও থাকতে পারে। এমনকি যে কোনো সময় এসে যেতে পারে মৃত্যুর ডাক। চিরদিনের জন্য হাতছাড়া হতে পারে এ মহাসৌভাগ্য। তাই সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ এ ইবাদতটি পালনের ব্যাপারে বিলম্ব করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইসলাম যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি হজ পালনে উৎসাহিত করেছে এবং বিলম্বে হজ পালনের প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ফরজ হজ আদায়ে তোমরা বিলম্ব কর না। কেননা তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে। (মুসনাদে আহমদ)। নবী করিম (সা.) আরও ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজের ইচ্ছা করেছে সে যেন তাড়াতাড়ি তা আদায় করে নেয়। (আবু দাউদ)। হজরত রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও যে হজ না করে মারা যায়, সে ইহুদি বা খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক তাতে আমার কোনো পরোয়া নেই। (সুনানে তিরমিজি)।
মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন