ভালো নেই দেশের অর্থনীতি। অর্থনীতি হলো সবকিছুর প্রাণ। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতারও পূর্বশর্ত অর্থনীতি ভালো থাকা না-থাকার বিষয়টি। অর্থনীতি ভালো না থাকায় রাজনীতিতেও চলছে অস্থির অবস্থা। জুলাই গণ অভ্যুত্থানে মানুষ রাজপথে নেমেছিল দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালে আসবে এই আশায়। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে সে প্রত্যাশায়। লীগ নামধারীদের বাড়াবাড়ি ও অসহিষ্ণুতা তারা পছন্দ করেনি। কিন্তু প্রায় ১০ মাসে দেশবাসীর যা অর্জন, তা হতাশার। দেশ হতদরিদ্র অবস্থা থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে ব্যবসাবাণিজ্যের বদৌলতে। কিন্তু আবার হতদরিদ্র অবস্থায় ফিরে যাবে কি না, যে শঙ্কা এখন জনমনে। দেশ উন্নয়নের কারিগর যারা, সে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও হতাশায় ভুগছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক থেকে দেড় মাস ধরে চলা প্রকট গ্যাসসংকটে দেশের রপ্তানিনির্ভর ও স্থানীয় টেক্সটাইল মিল, পোশাকসহ অনেক খাতের কারখানার উৎপাদন আংশিক অথবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্পকারখানা নিয়ে এখন চরমভাবে শঙ্কিত, উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। নতুন করে বিনিয়োগ হচ্ছে না। শিল্পবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্পকারখানা গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে। চাঁদাবাজি চলছে, দুর্নীতিও শেষ হয়নি। দেশের অর্থনীতি কীভাবে বাঁচবে, সেটি নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। নতুন কর্মসংস্থান না হলে কোথায় যাবে দেশ- এমন প্রশ্নও তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতির পরও শিল্পে গ্যাসের সরবরাহ বাড়েনি। শিল্পকারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে। শিল্পকারখানায় ব্যাংকগুলোরও বিনিয়োগ রয়েছে। শিল্প-ব্যবসা বন্ধ হলে বিপুল জনগোষ্ঠী কর্মসংস্থান হারাবে। ব্যাংকগুলো বিতরণ করা ঋণের কিস্তির টাকা পাবে না। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে দেশিবিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ গত বছরের চেয়ে অনেক কম। অর্থাৎ দেশে পৌনে ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটলেও আইনশৃৃঙ্খলার অবনতি ও নৈরাজ্যের জন্য বিনিয়োগের পরিবেশ যে আরও খারাপ হয়েছে, তা স্পষ্ট। এ অবস্থার অবসানে কথামালা নয় সরকারকে সঠিক পথে চলতে হবে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।
শিরোনাম
- আয়কর রিটার্ন ছাড়া মিলবে না ৩৯ ধরনের সেবা
- মার্কিন শুল্ক আলোচনার বাস্তবসম্মত সমাধানের আহ্বান জার্মানির
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাদ থেকে পড়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- ক্রাইম জোন তিন সিটি
- ২৭ বছর পর গানে ফিরলেন আমির খান
- জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে : মির্জা ফখরুল
- গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আজ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
- রিটার্নিং-প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আসছে : সিইসি
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে : ম্যাক্রোঁ
- চ্যাটবট জেমিনিতে এলো নতুন ফিচার
- এখনো স্বজনদের খুঁজে ফেরেন বসনিয়ার মুসলিমরা
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ জুলাই)
- উইম্বলডনে আলকারাজকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন সিনার
- লঙ্কানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সমতায় ফিরল টাইগাররা
- কর্নেল ইভাল হত্যা: রুশ গুপ্তচরদের হত্যা করল ইউক্রেন
- শেষ মুহূর্তের গোলে নেপালকে হারাল বাংলাদেশ
- ঝিনাইগাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর
- সংস্কার কমিশন মানুষের মনের ভাষা বুঝবে না : আমীর খসরু
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি গ্রেফতার
- সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল