দেশে হৃদ্রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসাব্যবস্থা তুলনামূলক উন্নত হলেও জনসচেতনতা ও সামর্থ্যরে ঘাটতিতে রোগ শনাক্তে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে শুধু চিকিৎসার ওপর নির্ভর না করে, আশঙ্কাজনকহারে বাড়তে থাকা হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির সমান্তরাল কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। চিকিৎসা ব্যয় বহনে অপারগ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে স্বাস্থ্যবিমা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এসব নিয়ে ভাবতে হবে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে। এই তাৎপর্যপূর্ণ সুপারিশগুলো উচ্চারিত হয়েছে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে। সেখানে বিশিষ্টজনরা বক্তব্য দেন। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, দেশে হৃদ্রোগ চিকিৎসার সক্ষমতায় যথেষ্ট অপূর্ণতা রয়েছে। সেটা পর্যালোচনা করেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া চাই। চিকিৎসা ছাড়াও কীভাবে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়, সেদিকে বেশি জোর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। নাহলে অকালে, অনভিপ্রেত মৃত্যুর ঝুঁকি বহন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো রক্তনালি ব্লক হয়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়া। আবার হৃদ্রোগে বেশি ঝুঁকিতে তরুণরা। অথচ কার্যকর সচেতনতায় এই ঝুঁকি কমানো অসম্ভব নয়। গবেষণা তথ্য বলে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় দুই কোটি মানুষ হৃদ্রোগ মারা যায়, যার ৮০ শতাংশ প্রতিরোধযোগ্য। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদ্যন্ত্রের অনেক সমস্যা এড়ানো যায়। নিয়মিত পরীক্ষায় শুরুতেই অসুখ শনাক্ত করা হলে সহজে আরোগ্যও সম্ভব হয়। সঙ্গে যদি স্বাস্থ্যবিমার আর্থিক সহায়তার নিশ্চয়তা থাকে, দীর্ঘ রোগভোগ থেকে বেঁচে, আয়ু বৃদ্ধির উপযোগ তৈরি হতে পারে। মনে রাখা প্রয়োজন যে জীবন একটাই, হৃৎপিণ্ডও একটি। একটা দীর্ঘ সুস্থ জীবনের জন্য চাই নীরোগ-সবল হৃৎপিণ্ড। যার যথাযথ যত্ন ব্যক্তির দায়িত্ব। কিন্তু রাষ্ট্র এবং সমাজের এখানে বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। রাষ্ট্রকে তার স্বাস্থ্যসেবা সক্ষমতা বিশ্বমানে উন্নীত করতে হবে। তৃণমূল পর্যন্ত সে সেবা পৌঁছাতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবার প্রতিজ্ঞা কার্যক্ষেত্রে প্রতিপালনে স্বতঃপ্রণোদিত হওয়া তাদের নৈতিক দায়িত্ব। বেসরকারি চিকিৎসা খাতকে শুধু স্বাস্থ্যবাণিজ্য নয়, শিরোধার্য করতে হবে সেবার ব্রত। সামাজিক সংগঠনকেও ভূমিকা রাখতে হবে সবটা সামর্থ্য নিয়ে। সবার সমন্বিত সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টায় এ ক্ষেত্রে গণমানুষের কাক্সিক্ষত সুস্থ জীবনের অনুকূল নিরাপত্তাবলয় রচিত হোক।
শিরোনাম
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
- নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
- ‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
- প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
- ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
- গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
- ‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
- একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র্যালি
- ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত
- ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
- চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে যত কারণ
- খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
- মাগুরায় ১৬ ক্লাবের অংশগ্রহণে জমজমাট ক্রিকেট আসর