আমাদের পিছিয়ে থাকা ক্ষেত্রগুলোর তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। জাতিসংঘের বিশেষায়িত বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তারই খণ্ডচিত্র উঠে এলো। দেখা গেল গবেষণা ও উদ্ভাবনে দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে রয়েছে। নিকট প্রতিবেশী দেশগুলো এ ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও আমাদের অগ্রগতি নেই। বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক ২০২৫-এ ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬তম। যেখানে ভারত ৩৮, শ্রীলঙ্কা ৯৩ এবং পাকিস্তান ৯৯তম। গত বছর প্রযুক্তিগত গবেষণায় ভারতে অর্ধলক্ষাধিক, এমনকি পাকিস্তানে পাঁচ হাজারের বেশি গবেষণা পেটেন্ট হলেও, বাংলাদেশ থেকে হয়েছে মাত্র দশ-বারোটি। এর অন্যতম কারণ গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদি বরাদ্দ এবং তার ফল মানুষের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেই। অথচ ১০ মিনিটে ক্যানসার শনাক্তকরণ ডিভাইস আবিষ্কার করে সাড়া জাগানো অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. আবু আলি ইবনে সিনা একজন বাংলাদেশি। এই কৃতী বিজ্ঞানী আক্ষেপ করে বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের পিছিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক একটা ‘ফ্যাক্টর’। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শৃঙ্খলাচর্চার অভাব রয়েছে। দীর্ঘদিনের অনিয়মও শিক্ষার মান হ্রাসের বড় কারণ। অপ্রিয় হলেও সত্য, পাশ্চাত্যের গবেষণা থেকে আমরা কয়েক শ বছর পিছিয়ে আছি। ইংল্যান্ড-আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলো নিয়মিত কোটি কোটি ডলার খরচ করছে গবেষণায়। সেখানে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকরা রয়েছেন, আছেন অধ্যবসায়ী শিক্ষার্থী। তাঁরা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রয়োজনীয় পরিবেশ, প্রযুক্তি এবং অকৃপণ পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে থাকেন। তাঁদের গবেষণার ফল মানুষের সামনে তুলে ধরে তার বাণিজ্যিকীকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসব বিচারেই আমরা যোজন যোজন দূরে পিছিয়ে আছি। এ দূরত্ব ও পশ্চাৎপদতা অতিক্রমে দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা প্রাথমিক কর্তব্য। সেখানে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ, প্রযুক্তি ও পৃষ্ঠপোষকতা বিশ্বমানে উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। গবেষণার লক্ষ্য নির্ধারিত হওয়া উচিত দেশের সমস্যা ও জাতির সংকট নিরসন এবং কৃষি-শিল্প-স্বাস্থ্য, বিজ্ঞানের উন্নয়ন। আর চাই প্রকৃত জ্ঞানব্রতী নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও মেধাবী অধ্যবসায়ী শিক্ষার্থী। এসবের সমন্বয় হলে, পিছিয়ে থাকার কোনো যুক্তি নেই। জগদীশ চন্দ্র বসু, কুদরাত-এ-খুদা, প্রফুল্ল চন্দ্র রায় প্রমুখ এ দেশেরই সন্তান; যাঁরা বিজ্ঞান-গবেষণার উজ্জ্বল সাফল্যে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁরা শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পথ দেখিয়ে গেছেন। আমরা আজও ‘ব্যাকবেঞ্চার’ হয়ে থাকব কেন?
শিরোনাম
- যাত্রাবাড়ীতে বাসে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
- বাংলাদেশের বিদায়, ভারত–পাকিস্তানের ফাইনাল
- গাজাগামী সুমুদ ফ্লোটিলার বহরকে সুরক্ষা দেওয়ার ঘোষণা স্পেন- ইতালির
- স্বাস্থ্যসেবা অর্থ উপার্জনকারীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় : প্রধান উপদেষ্টা
- আতঙ্কে অনেক দেশের আকাশসীমা এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু
- নেতানিয়াহুর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল স্লোভেনিয়া
- নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
- ঢাকা-ইসলামাবাদ অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার
- শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন সিভাসু’র অধ্যাপক হুমায়ুন
- কেন শান্তিতে নোবেল পাবেন না ট্রাম্প, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- কালকিনিতে গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতন, দোষীদের শাস্তি দাবি
- সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজির পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
- পাকিস্তানকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ
- নওগাঁয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা
- আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে শুরু হচ্ছে গ্র্যান্ড সুফী নাইট
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৩২
- কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার
- মানুষের আস্থা অর্জন করাই বিচার বিভাগের কাজ : প্রধান বিচারপতি
- হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেহবাজ শরিফ
- সারা দেশে পুলিশের অভিযান, গ্রেফতার ১৬৪৪
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা
চাই পরিবেশ, প্রযুক্তি ও পৃষ্ঠপোষকতা
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর