মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নতুন উদ্যোগ আলাউদ্দীন মাজিদ

‘সিনেমা হল বাঁচাতে শুধু বিদেশি ছবি আমদানি করলে চলবে না। একই সঙ্গে শিল্পের সব সুবিধা এই খাতে শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এ সুবিধা বাস্তবায়ন করতে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়া আলাউদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল বলেন, ভারতের হিন্দি বা বাংলা ছবি এ দেশে একসঙ্গে মুক্তির দাবি পুরনো। সাফটা চুক্তির নীতিমালা সহজীকরণ করে তা যে কোনো সময় বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এখন আমাদের দরকার সিনেমা হলের বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে শিল্প হারে পরিশোধের ব্যবস্থা করা। কারণ বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসে। যেহেতু চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করা হয়েছে সেহেতু এর বিদ্যুৎ বিল তৎক্ষণাৎ শিল্প হারে নেওয়া উচিত ছিল। এজন্য প্রদর্শক সমিতি একই সঙ্গে তথ্য, শিল্প, বাণিজ্য ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনার ছবি আবারও নিয়মিত নির্মাণে নীতিমালা সহজীকরণ করতে সরকারের কাছে আবেদন জানাব। তিনি বলেন, প্রদর্শক সমিতি চায় সীমিত আকারে এ দেশে ভারতীয় ছবি মুক্তি আর যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ বৃদ্ধি পাক। মিয়া আলাউদ্দীন বলেন, আগে অন্য চলচ্চিত্র সংগঠনগুলো ভারতীয় ছবি আমদানির বিরোধিতা করলেও বর্তমানে যেহেতু স্থানীয় নির্মাতারা পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ছবি দিতে পারছেন না এবং এতে সিনেমা হল বন্ধও ঠেকানো যাচ্ছে না তাই বাস্তব অবস্থা বুঝতে পেরে সব সমিতিই এখন ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা ছবি ভারত ও বাংলাদেশে একসঙ্গে মুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সরকারও এক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আশা করছি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী বছরই দুই দেশে একসঙ্গে ছবি মুক্তির দুয়ার খুলবে। তিনি বলেন, শুধু ভারতীয় ছবি আমদানি করলে সমস্যার সমাধান হবে না। একই সঙ্গে যৌথ ও স্থানীয় মানসম্মত ছবি নির্মাণ বৃদ্ধি এবং সিনেমা হলকে শিল্পের শতভাগ সুবিধা দিলেই দেশীয় চলচ্চিত্রশিল্প আবার সচল হবে।

 

সর্বশেষ খবর