সংগীতশিল্পী সাবরিনা পড়শী। ঠিক তার আগের অধ্যায়টা ছিল নাচের। নিজেকে শুধু গানেই আটকে রাখেননি, কয়েক বছর ধরে নাটকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। গায়িকা হিসেবে তিনি যেমন, নায়িকা বা অভিনেত্রী হিসেবেও তেমন! মানে পড়শী ভক্তরা ভালোই মেনে নিয়েছেন তাঁর এ ট্রান্সফরমেশন। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
‘পড়শী এন্ড বর্ণমালা’ নিয়ে সংসার কেমন যাচ্ছে?
ভালোই। নিয়মিত শো করছি। সামনে আরও কিছু স্টেজ শো আছে।
অডিও-ভিডিও ও নাটকের গানে ব্যস্ততা?
ঈদের পরে তো নতুন গান ‘এই দুটি চোখ’ রিলিজ পেয়েছিল। জুয়েল মোর্শেদের সুর ও সংগীতে গানের র্যাপ অংশ গেয়েছিলেন জি এম আশরাফ। যেটি লিখেছিলেন সুদীপ কুমার দীপ। এটি আমার ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ পায়। মানুষ অনেক পছন্দও করেছে। এর আগে এসেছিল আরফিন রুমি ভাইয়ের সঙ্গে ‘ওরে মন’। গানটি নিয়ে ভালো সাড়া পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি। আসলে তিন মাস পরপর গান রিলিজের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটাই করছি এখন। আসলে শ্রোতারা আমার কাছ থেকে সব সময় রোমান্টিক ঘরানার গান শুনতে চায়। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভিন্ন ধরনের গান করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আর নাটকের গান তো করছিই। এ পর্যন্ত নাটকের গান করেছি প্রায় ৩০টির মতো। তবে সামনে নিজের চ্যানেল থেকে কিছু গান ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গানগুলো তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলেই রিলিজ হচ্ছে?
হুমম। আমার ইউটিউব চ্যানেল ‘পড়শী’তেই অবমুক্ত হচ্ছে। ‘এই দুটি চোখ’ এর আগে ‘ওরে মন’ রিলিজ হয়েছিল। সামনে যেটি আসবে সেটিতে চমক থাকবে। আসলে একটি গান রিলিজের জন্য প্রায় তিন মাস প্রমোশনের জন্য সময় দিতে হয়। তাই তিন মাস পরপর একটি করে গান ‘পড়শী’তে রিলিজ দিতে চাই।
গান থেকে অভিনয়ে জড়ালেন কীভাবে?
নাচ আর অভিনয়ের প্রতি আমার আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই ছিল। বরং গানের প্রতি ছিল বেশ অনাগ্রহ। একেবারে শিশুবেলা থেকে নাচ শিখতাম খুব আনন্দ নিয়ে। সেই নাচ থেকে একরকম জোর করে গান শেখানো শুরু করে আমায়। এরপর গাইতে গাইতে এতদূর। কিন্তু ওই যে নাচ-অভিনয়ের প্রতি ভালোলাগাটা রয়েই গেল। কিন্তু মাঝের সময়টাতে সাহস হয়নি। তাছাড়া ভাবতাম, গানের এ পরিচিতি থেকে যদি অভিনয় করি মানুষ কীভাবে নেবে। এসব ভেবে কনফিডেন্স ছিল না। তবে এখন গানের পাশাপাশি নিয়মিত অভিনয় করছি।
নাটকে অভিনয়ে ব্যস্ততা কেমন?
করছি ভালো চিত্রনাট্য পেলে। তবে ঈদে কোনো নাটকে কাজ করিনি। আসলে একাধিক চিত্রনাট্য পেলেও পছন্দ না হওয়ায় করা হয় না। তবে নাটকে অভিনয় করছি ব্যাটে-বলে মিলে গেলে। কারণ, সবাই আমার অভিনয় নিয়ে বলেছে। তাই এখন গানের পাশাপাশি গল্প ও চরিত্র মিলে গেলে নাটকে অভিনয় করছি।
পড়শী সংগীতশিল্পী নাকি অভিনয়শিল্পী?
আগে গান, তারপর অভিনয়। গানেই বাঁচি, গানেই স্বপ্ন দেখি। পড়শীর পরিচিতি কিন্তু গায়িকা হিসেবেই। তাই সবাগ্রে গানটাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আর এখন নাটকে অভিনয়ের জন্য মানুষের রেসপন্স ভালো পাচ্ছি। তাই অভিনয়ও করে যেতে চাই। তবে কম। দুটোই যে করতে হবে তা নয়। ভালো গল্প হলে আর বিশেষ দিবসে কিছু করব।
এখন গান মানুষ শোনে না, তাই ভিডিও বানাতে হয়, সত্য?
আমি কিন্তু তা মনে করি না। গানের সঙ্গে এ সময়ে মিউজিক ভিডিও খুবই দরকারি। মানুষ এখন ইউটিউবে শিল্পীদের গান সার্চ করে দেখে। গানের সঙ্গে ভিডিওটা প্রচারের জন্য খুবই ইম্পর্টেন্ট। ২০২৩ সালে এসে এ ধারণা করা সত্যিই অমূলক মনে হয়।
বেলা তো বয়ে যাচ্ছে, বিয়ের বাদ্য বাজবে কবে?
বিয়ে নিয়ে কোনো চাপ নেই। প্ল্যান নেই এ মুহূর্তে। ফ্যামিলি থেকেও তেমন করে ভাবছে না। আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছে সব সিদ্ধান্ত। তাই এখন গান আর অভিনয় নিয়েই ভাবতে চাই। ভাবতে চাই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে।
