দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণ। ইতোমধ্যে নিজস্ব অভিনয়গুণে দর্শকের কাছে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। একের পর এক ভিন্নধর্মী চরিত্রের মাধ্যমে পর্দায় উপস্থিত হচ্ছেন। অভিনেতা পরিচয়ের বাইরে চমৎকার গানও করেন বর্ষণ। এ অভিনেতার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
অভিনেতা হলেও আপনি গায়ক হিসেবেও পরিচিত। সম্প্রতি একটি গান প্রকাশ করেছেন, সেটি নিয়ে বলবেন কি?
গানের শিরোনাম- ‘মিথ্যে বলিনি’। এর কথা লেখার পাশাপাশি সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আহমেদ রাজীব ভাই। এটির লেভেল হলো এনএইচটি মিউজিক। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ শুভ্র। এটি একটি রোমান্টিক সফট মেলোডি সফট রক টাইপের সং। ডুয়েট গান। আমার সঙ্গে ছিল তাসনিম আনিকা।
গানের চর্চা কি আগে থেকেই ছিল?
গান বিষয়টা সবসময়ই আমার সঙ্গে ছিল। বিষয়টা এমন না যে গান হঠাৎ করেই আমার জীবনে এসেছে। অভিনয়জগতে পা রাখার আগে থেকেই গানের চর্চা করছি। বিভিন্ন সময় কিছু গানও গেয়েছি। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমাতে ‘প্রথম’ শিরোনামের গানটির সুরকার হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। গানটি গেয়েছেন আমাদের প্রিয় বেসবাবা সুমন ভাই। কিন্তু অভিনয়ের ব্যস্ততায় নতুন কোনো গান তৈরি ও প্রকাশ করা হয়ে উঠেনি।
আপনি একটি ব্যান্ড দলের সঙ্গেও যুক্ত। এটি নিয়ে সামনে নতুন কোনো পরিকল্পনা রয়েছে?
এ দুই মাস তো আমরা কোনো কাজই করতে পারিনি। তবে আমাদের কিছু গান রেকর্ড করা ছিল। ওগুলোর আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি ছিল। আমরা এখন ওই পোস্টের কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। শেষ করে খুব শিগগিরই এটির অডিও ভার্সন আমরা প্রকাশ করব। যদি কখনো সুযোগ হয় ভিডিও ভার্সনও করব।
ওয়েব-সিনেমা নিয়ে বর্তমান ব্যস্ততা কেমন?
‘ত্রিভুজ প্রেম’ নামে একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করেছি। সিনেমা শেষ করে রেখেছি অনেকগুলোই। তারমধ্যে একটি হলো- ‘একাত্তর করতলে ছিন্ন মাথা’। আরেকটি হলো- ‘যাপিত জীবন’।
রাফির ‘অমীমাংসিত’ ছবিটি সেন্সরে আটকে আছে...
জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ কিংবা সত্যজিৎ রায় একটি সিনেমা বানিয়েছিলেন ‘হীরক রাজার দেশে’। যেটি এখন পর্যন্ত সমসাময়িক। এটির কিছু ভিডিও ক্লিপও এই ছাত্র আন্দোলনের সময় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে লেগেছিল। সত্যজিৎ রায় কিন্তু ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্টের অর্থায়নে এটি বানিয়েছিলেন। তারপরও উনি এমনভাবে স্মার্টলি তার প্রতিবাদটা করেছিলেন এ ছবির মাধ্যমে। সরকারও অবাক হয়েছে ছবিটি দেখে কিন্তু কিছুই বলতে পারেনি। কারণ উনারা সময়ের চেয়েও বেশি স্মার্ট ছিলেন। ইরানের ফিল্মমেকাররা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও তাদের জীবনের গল্প বলেন। আমরা কিন্তু পারি না, সেটা আমাদের ব্যর্থতা। সেই জায়গায় আমাদের যেতে হবে। যদিও এ সময়ে সেই জায়গা থেকে উত্তরণের একটা আশা দেখা দিয়েছে। বিনা কারণে ‘অমীমাংসিত’ আটকে দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। এটি ওয়েব ফিল্ম। ওয়েব ফিল্ম সেন্সরে যাওয়ার এমন কোনো নীতিমালা নেই। এটি জোর করে সেন্সরে নেওয়া হয়েছিল যেন আটকে যায়। যেহেতু নতুনভাবে সেন্সর বোর্ড গঠন করা হয়েছে, সেহেতু আশা রাখছি, সেন্সর বোর্ড নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে।
শিল্পীদের সংস্কার কতটা প্রয়োজন?
সংস্কার তো খুবই দরকার। আমি তো সবসময় সংস্কারের পক্ষে।
জীবনে যা হতে চেয়েছিলেন তা কি পেরেছেন?
যেটা হয়েছি সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট। আবার জন্মালে হয়তো তাই হতে চাইতাম, অভিনেতা। অভিনয় আমার শুধু নেশা নয়, পেশাও।