সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা। রিয়েলিটি শো ‘সেরাকণ্ঠ’র মাধ্যমে লাইমলাইটে আসেন তিনি। এরপর শুধুই এগিয়ে চলা। এখন একক, দ্বৈত, নাটকের গান, স্টেজ শো ও প্লেব্যাকে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন-
বর্তমান ব্যস্ততা কেমন?
বরাবরের মতো গান নিয়ে ব্যস্ত আছি। নিজের ইউটিউব চ্যানেল, মঞ্চ, নাটকের গান ও স্টেজ শো নিয়ে সময়টা ভালোই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটে যাচ্ছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘পূজা’ নিয়ে পরিকল্পনা?
এখন থেকে একে একে নিজের গাওয়া নতুন গানগুলো রিলিজ দিচ্ছি। আসলে অনেক আগেই চ্যানেলটি খুলেছিলাম। তবে গান প্রকাশ করা হয়নি। এরপর করোনার সময় থেকে প্ল্যান করি কিছু গান ভিডিও আকারে প্রকাশ করতে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুটি গান- ‘নগদ প্রেম’ ও ‘আসছে মা দূর্গা’ নামে প্রকাশ হয়েছে। এরপর আরেকটি গান করেছি আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে। যেটির শিরোনাম- ‘আমার পৃথিবী তুমি’।
‘গান হয়ে পড়ছে মিউজিক ভিডিওসর্বস্ব’-মন্তব্য কী?
যেহেতু এখন ইউটিউবের যুগ, তাই এটাকে অবজ্ঞা করারও কিছু নেই। তবে গানটা ভালো হওয়া জরুরি। ব্যয়বহুল মিউজিক ভিডিও নয়; গানটা শ্রুতিমধুর হতে হবে। গানের দিকে নজর দেওয়া দরকার।
গায়িকা হওয়ারই ইচ্ছা ছিল?
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম সংগীতশিল্পী হব। তবে বাবার স্বপ্ন ছিল আমি যেন ডাক্তার হই। আমি কিন্তু পড়াশোনা করেছি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। তবে হয়েছি এখন শিল্পী। আসলে ছোটবেলা থেকেই গান, নাচ ও আর্ট শিখতাম। তবে গানে আলাদা একটা মায়া কাজ করত। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই গান গাইতাম; সেটা দেখে বাবা হাসতেন।
বর্তমান অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বা পৃষ্ঠপোষকরা কোনদিকে ঝুঁকছে?
ভিউ অর্থাৎ টাকার দিকে। এখন তো এক ঢিলে দুই পাখি মারার ধান্দা সবার। তাই তারা নাটকে লগ্নি করছে। যেন নাটকের সঙ্গে সঙ্গে একটি গানও পাওয়া যায়। নাটক ও গান আলাদা আলাদা করে রিলিজ হলে ব্যবসায়িক লাভ বেশি তাদের। এটা কিন্তু ক্ষতিকর ইন্ডাস্ট্রির জন্য। আমি সারভাইব করতে পারছি কিন্তু নতুনরা তো পারছে না নিজেকে তুলে ধরতে।
পূজার আগামীর ভাবনা?
আমি সবসময় টিকে থাকায় বিশ্বাসী। হুট করে আগালাম, টিকলাম না-সেটা শিল্পীর জন্য ঠিক নয়। আমি ভালো কাজ দিয়ে আস্তে আস্তে নিজের অবস্থান শক্ত করতে চাই।
জীবন আসলে কেমন?
জীবন সুন্দর! জীবন মানে হলো নিজের ওপর নিজেকে আমি কীভাবে দেখছি, থাকছি।