মনে পড়ে ‘দেবদাস’ ছবির ‘ডোলা রে ডোলা রে...’ গান? ‘তাল’ ছবির ‘জঙ্গল মে কোয়েল বোলে...’? ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির ‘নিম্বুরা নিম্বুরা নিম্বুরা...’ গানের সেই দৃশ্যের কথা? ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সৌন্দর্য, রূপ-লাবণ্যে ‘ফিদা’ হয়েছিলেন তামাম দর্শক। তাঁর আবেদনে দুলে উঠেছিল কোটি যুবকের হৃদয়। তাঁর রূপের ছটার আতশে জ্বলে উঠেছিল লক্ষ-কোটি যুবকের মন। কিন্তু কী তাঁর সেই রূপ-লাবণ্যের গোপন-গহিন রহস্য, যা হিল্লোল তোলে কোটি পুরুষ-মনে? সম্প্রতি সেই গোপন রহস্য নিজেই ফাঁস করেছেন বিশ্বসুন্দরী। বলিউডের সুন্দরী নায়িকাদের মধ্যেই শুধু নন, সারা বিশ্বের সুন্দরী নায়িকার মধ্যে যাঁর পেলব ত্বক, কোমল শরীরের রহস্য জানতে সবাই উন্মুখ, সেই সুন্দরী ঐশ্বরিয়া নিজেই জানান দিয়েছেন তাঁর রূপ-সৌন্দর্যের গোপন রহস্যকথা। ‘বিগ বি’-এর পুত্রবধূ জানিয়েছেন তিনি প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন। কারণ তিনি অন্তর থেকে বিশ্বাস করেন প্রচুর পরিমাণে জল পান করলে তা ত্বককে কোমল, পেলব রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। কারণ শরীরে জমে থাকা টক্সিন, এই জল পানের কারণে শরীর থেকে বেরিয়ে আসায় ত্বক সজীব, সুস্থ হয়ে ওঠে। তাঁর চোখধাঁধানো রূপ বিস্ময় জাগায় তামাম সুন্দরীদের চোখে। তাঁর সেই রূপ-রহস্যের গোপন কথা নিজেই জানাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। এই সময় অবলম্বনে এই সুন্দরীর রূপ রহস্যের হদিস যেভাবে ফুটে উঠল তাতে দেখা যায়- নিয়মিত জল পান করলে তাতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। ত্বক ঝকঝকে-তকতকে দেখায়। ফলে সারা দিনে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, নিয়ম করে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে কখনো ভুল করেন না তিনি। প্রচুর পরিমাণে জল পান যদি তাঁর পেলব-মসৃণ ত্বকের প্রথম কারণ হয়ে থাকে, তাহলে দ্বিতীয় কারণ ফেসপ্যাক। যে ফেসপ্যাক বাজার চলতি নয়, নিজেই বাড়িতে তৈরি করেন তিনি। কী সেই ঘরোয়া ফেসপ্যাক? একটা বাটিতে কিছুটা দুধ নিয়ে, তাতে বেসন আর হলুদবাটা পাউডার ভালো করে মেশাতে হবে। এবার সেই দুধ-বেসন-হলুদবাটার প্যাক মুখে, সারা শরীরে ভালো করে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রাখতে হবে। সেটা শুকিয়ে গেলে, স্নান করে তা তুলে ফেলতে হবে। এতেই নাকি তাঁর ত্বক এমন সুন্দর থাকে- জানান ঐশ্বরিয়া। শুধু এটাই নয়, ফেসপ্যাক হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন শসার রস, টকদই। কখনো শসার রস, কখনো টকদইও মুখে, সারা শরীরে ভালো করে লাগিয়ে, তা কিছুক্ষণ পরে স্নান করে ধুয়ে নিলে নাকি তা তাঁর ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে দারুণ সাহায্য করে। জানা গেছে বিশ্বসুন্দরী তাঁর ত্বক-পরিচর্যায় ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করেন দুধ-বেসন-হলুদবাটা। কখনো শসা-দই। ঐশ্বরিয়া মনে করেন আপনি কী খাচ্ছেন, কত পরিমাণে খাচ্ছেন তার ওপর ভীষণভাবে নির্ভর করে আপনার শারীরিক সৌন্দর্য। যে কারণে শরীর ঠিক রাখতে অনেকে দুই-তিনবার খান, কিন্তু পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেলেন। আবার কেউ বা প্রয়োজনের তুলনায় কম খান। সেক্ষেত্রে তিনি দিনে ছয়-সাতবার খান। কিন্তু পরিমাণে কম। একেবারে প্রয়োজন মতো। আর তা তেল-মসলা বর্জিত। প্রায় সেদ্ধ খাবার। তিনি মনে করেন এই তেল-মসলা ছাড়া, সেদ্ধ পরিমিত খাবারই তাঁর ত্বক-শরীরী সৌন্দর্যের গোপন রহস্য। তাঁর মতে, যদি অন্যের চোখে নিজেকে বিস্ময় হিসেবে মেলে ধরতে চান, তাহলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ভীষণই জরুরি। কারণ এই খাদ্যগুণই আপনার শরীরকে ভিতর থেকে সুন্দর করে তোলে। ফলে সুন্দর শরীরের অধিকারী হয়ে উঠতে চাইলে, অবশ্যই খাদ্যাভ্যাস ঠিক করা উচিত। যা নিয়ম করে মেনে চলেন তিনি। ঐশ্বরিয়া বেশি সময় জিমে কাটান না। ফিটনেস বজায় রাখতে তিনি জোরে হাঁটায় বিশ্বাস করেন। আর যোগাসনে ভরসা রাখেন। তাঁর কথায়, মন সুন্দর রাখুন আর এই সামান্য যত্ন্নটুকু নিন। তাতেই আপনি হয়ে উঠবেন অন্যের চোখে অনন্যা।