আজ ফের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলো হালের অন্যতম আলোচিত ও বিতর্কিত সংগীতশিল্পী আরফিন রুমিকে। প্রথম স্ত্রী অনন্যার দায়ের করা মামলার তারিখ ছিল আজ। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আগামী মাসের ১৭ তারিখ ধার্য করা হয়েছে এ মামলার পরবর্তী তারিখ। এর আগে সকালেই আদালতে উপস্থিত হয় দুই পক্ষ। অনন্যার সঙ্গে আসেন তার মা ও সন্তান আরিয়ান। অন্যদিকে ভাই ও এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আসেন রুমি।
আদালতে আজ দেখা যায়নি রুমির মাকে, যিনি বরাবরই রুমির সঙ্গে আসেন। শুনানিতে সময় চান রুমির আইনজীবী। প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আপসের। আদালত তাদের কিছু সময় দেন। জানানো হয় ৩০ মিনিট পর ফের শুনানি হবে। এর মধ্যে দুই পক্ষের আইনজীবী আপসের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে থাকে। ফের শুনানি শুরু হলে রুমির পক্ষে নিয়মিত আইনজীবীর সঙ্গে দাঁড়ান আরেক সিনিয়র আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারের পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় ১৭ মে। এ সময়ের মধ্যে আপস করে ফেলবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসামি পক্ষ।
অন্যদিকে আদালত শুরুর আগে রুমির আইনজীবীদের মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। কারণ মামলার প্রথম থেকেই একের পর এক আইনজীবী বদলাচ্ছেন তিনি। আজও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু বাদ সাধেন সদ্য বদলকৃত আইনজীবী। তিনি এসে বর্তমান আইনজীবীকে অনেকটা অভিযোগের সুরে জানান, গত তারিখে জামিনের পর কোনোরকম যোগাযোগ করেননি রুমি। অবশেষে নতুন আইনজীবী তাকে শান্ত করেন। এ ছাড়া কাঠগড়ায় ওঠার সময় এক ভক্ত রুমির ছবি তুলতে গেলে তেড়ে আসেন রুমির বন্ধু। অনেকটা জোর করেই সেই ভক্তের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। মুছে ফেলা হয় ছবিগুলো। এতে করে সেই ভক্ত ও রুমির বন্ধুর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় ঝুট-ঝামেলা মিটে যায়।
মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যা বলেন, আজও সময় চেয়েছেন রুমি। জানিয়েছেন আপসের কথা। যেটা তিনি বরাবরই করে আসছেন। তারপরও প্রত্যাশা রাখছি এ কলহ যেন শীঘ্রই মিটে যায়। রুমিও যেন আপসনামা অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ করেন।
অন্যদিকে যোগাযোগ করা হলে আরফিন রুমির মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দম্পতির শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রত্যাশা রাখছেন, এবার হয়তো বরফ গলতে শুরু করেছে। কারণ আজ আদালতে দুই পক্ষকেই কিছুটা নরম হতে দেখা গেছে। এরপর অনেকেই নাকি তাদের ফোনে বুঝিয়েছেন। কিন্তু এর আগে যতটুকু প্রত্যাশা নিয়ে তাদের বোঝানো হয়েছে ঠিক ততটুকু হতাশা নিয়েই ব্যর্থ হতে হয়েছে। একে অন্যের বিপক্ষে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রুমি-অনন্যা। দোষারোপ করতে থাকেন একে অন্যকে।
রুমি-অনন্যার এ দাম্পত্য কলহের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রুমির শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা। তাদের প্রত্যাশা এ দম্পতি যেন শীঘ্রই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলে। কারণ তারাও চান না রুমির মতো একজন উদীয়মান শিল্পীকে নিয়ে সংগীতপাড়ায় কোনো রকম তর্ক-বিতর্ক হোক।
উল্লেখ্য, রুমি ও অনন্যার মধ্যে একটি আপসনামা হয়। এতে লেখা ছিল, সন্তান আরিয়ানের ভরণপোষণের জন্য রুমি অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করবেন, যা ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখা হবে। এ ছাড়া অনন্যার সঙ্গে তিনি আর খারাপ ব্যবহার করবেন না।