অবশেষে ঢালিউডের বিউটি কুইন খ্যাত অভিনেত্রী শাবানার প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। এই অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ তথ্য দিয়েছে। ৯ অথবা ১০ মে ঢাকা আসবেন শাবানা এবং তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক। এসেই তারা নতুন করে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করতে শাবানার ঘনিষ্ঠজন অর্থাৎ যিনি তাকে চলচ্চিত্রে এনেছেন সেই প্রখ্যাত নির্মাতা আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উলি্লখিত সময়ে শাবানা দেশে ফিরবেন সত্যি, কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন এমনটি নিশ্চিত নয়। কারণ এর আগে বার বার উদ্যোগ নিয়েও চলচ্চিত্রের ব্যবসা মন্দা থাকায় সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ৫ মে আমি ও আমার স্ত্রী ওমরাহ হজ পালনে যাব। ৬ মে শাবানা ও তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকও যুক্তরাষ্ট্র থেকে হজ পালনে মক্কা শরিফ আসছেন। সেখান থেকে ৯ অথবা ১০ মে শাবানা ও সাদিক ঢাকা আসবেন। আর আমি কানাডায় আমার মেয়ের কাছে যাব। ঢাকায় এসে শাবানা চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এটুকুই শুধু জানি।
এদিকে ২০০৮ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছর দেশে ফিরে শাবানা চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে আসছেন। পত্রিকায় ফলাও করে খবরও প্রকাশ হয়। ব্যাপক তোড়জোড় শেষে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে। চলচ্চিত্র নির্মাণ আর হয় না। তবে ২০১২ সালে ঢাকায় এসে দুজন আবারও চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দেন এবং বলতে গেলে কোমর বেঁধে নামেন তারা। কাকরাইলের তাদের প্রযোজনা সংস্থা এস এস প্রডাকশন অফিস আবার খুলে বসেন। একেবারে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যাপক আয়োজন করেন। গল্প, নির্মাতা, শিল্পী, সবই ঠিক করে ফেলেন। যৌথ প্রযোজনার একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন মো. রফিকুজ্জামান। নির্মাতা ছিলেন নার্গিস আক্তার। গল্প গড়ে উঠে দুই বাংলার দুই তরুণ-তরুণীর প্রেমকে ঘিরে। এখান থেকে শিল্পী নির্বাচন করা হয় শাকিব খানকে। এ জন্য শাবানা-সাদিক কলকাতার কয়েকটি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আলাপও চূড়ান্ত করেন। অন্য দুটি চলচ্চিত্র পরিচালনার দায়িত্ব দেন শাহিন-সুমন এবং এমবি মানিককে। কথা ছিল কলকাতার দেব, কোয়েল মলি্লকসহ আরও কয়েকজন নামিদামি শিল্পী এসব চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন। সবই বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান ওয়াহিদ সাদিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবারও উড়ো খবরে পরিণত হয় সব। ডিসেম্বরে হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান ওয়াহিদ সাদিক। যাওয়ার আগে বলে যান সবই ঠিক আছে, জরুরি কাজে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হচ্ছে তাকে। শীঘ্রই ফিরে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু এরপর কেটে গেল পুরো ২০১৩ সাল। আর ঢাকায় ফিরেননি তারা। এক বছরেরও বেশি সময় পর মে মাসে দেশে ফিরে সত্যি তারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন নাকি আবারও ফাঁকা আওয়াজ তুলে ফিরে যাবেন। চলচ্চিত্রকারদের কথায় এটিই এখন দেখার বিষয়।