এবার কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলবেন অভিনেত্রী মিম। চার বছর পর মুহম্মদ মোস্তাফা কামাল রাজের 'তারকাঁটা' দিয়ে বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। যদিও এপ্রিলে তার 'জোনাকির আলো' মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু সেটি ছিল চলচ্চিত্রকারদের ভাষায় অফট্রাক মুভি। তাই বাণিজ্যিক ধারায় আবার সফল হয়ে সমালোচকদের দাঁতভাঙা জবাব দেবেন তিনি। কারণ ২০০৯ সালে মিম অভিনীত জাকির হোসেন রাজু নির্মিত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র 'আমার প্রাণের প্রিয়া' মুক্তির পর প্রায় চার বছর ধরে এ ধারার চলচ্চিত্রে তার কোনো উপস্থিতি ছিল না। কিন্তু শাকিব খানের বিপরীতে তার অভিনীত এ চলচ্চিত্রটি বড় মাপের সফলতার মুখ দেখে। তখন সবার ধারণা ছিল বাণিজ্যিক ধারায় নিয়মিত হয়ে একের পর এক সাফল্যের চমক দেখাবেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘদিন তার অনপুস্থিতির কারণে নিন্দুকেরা সুযোগ পেয়ে বলছিলেন, সামান্য ঝলকানি দিয়ে মিমের আলো নিভে গেছে। তাকে দিয়ে আর বণিজ্যিক ছবি হবে না। তা না হলে এ ধারার নির্মাতারা তাকে নিচ্ছেন না কেন? বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের জন্য পারফেক্ট নন মিম ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব কানাঘুষা চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে হজম করে গেছেন তিনি। অপেক্ষায় ছিলেন সময় হলেই এসবের জবাব দেওয়ার। তবে কথায় নয়, কাজে। আজ সেই সময় এসে গেছে তার। ২৩ মে মুক্তি পাচ্ছে মিম অভিনীত 'তারকাঁটা'। বিভিন্ন সাইটে ইতিমধ্যে যারা এ ছবির প্রমো দেখেছেন তারা একবাক্যে স্বীকার করেন, অসাধারণ কাজ করেছেন মিম। মানে 'তারকাঁটা'র কাঁটা দিয়ে নিন্দুকদের ছড়ানো কাঁটা তোলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
২০০৭ সালের লাঙ্-চ্যানেল আই সুন্দরী হয়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। এরপর বড় পর্দায় যাত্রা ছিল তার বেশ জমকালো। শুরুতেই ২০০৮ সালে কাজ করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত 'আমার আছে জল' চলচ্চিত্রে। মৌলিক ধারার এই চলচ্চিত্রে কাজ করে বোদ্ধাশ্রেণীর প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি বাচসাসসহ নানা পুরস্কার জিতে নেন তিনি। পরের বছরই কাজ করেন বাণিজ্যিক ধারার 'আমার প্রাণের প্রিয়া' চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রটি বড় মাপের সফলতা পায়। এর জন্য ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড বাংলা সম্মাননাও পান তিনি। তারপর প্রচুর প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও চলচ্চিত্রের পরিবর্তে ছোট পর্দায় মনোযোগী হন মিম। এতে সমালোচকরা মুখর হয়ে ওঠে মিমের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে অভিনয় ভবিষ্যৎ নিয়ে। অবশেষে রাজের 'তারকাঁটা'র গল্প মনের মতো হওয়ায় তা লুফে নেন তিনি এবং নিন্দুকদের সমুচিত জবাব দিতে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার সুযোগ পেয়ে যান সুন্দরী মিম। এখন মিমের হাতে আছে তন্ময় তানসেনের 'পদ্ম পাতার জল', সাফিউদ্দীন সাফির 'ড্রিম গার্ল', রাজের নাম চূড়ান্ত না হওয়া আরেকটিসহ বেশ কয়েকটি ছবির কাজ। মানে বাণিজ্যিক এবং মৌলিক, উভয় ধারায় কাজ করছেন মিম। এগিয়ে যাচ্ছেন নিজের গন্তব্যে। এখন শুধু অপেক্ষা, সফলতা উপভোগের।