মেরিলিন মনরোর রূপের জাদুতে নাকি মগ্ন ছিল গোটা বিশ্ব। আর নগ্নতা ছিল অপরূপ দেহসৌষ্ঠবের অধিকারী এ অভিনেত্রীর অন্যতম প্যাশন। 'সৌন্দর্য্য বিশ্লেষক'রা অন্তত তাই লিখে গেছেন ইতিহাসের পাতায়। ইন্টারনেট দুনিয়ায় মনরোর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ন্যুড ফটোও সেই সাক্ষ্যই বহন করে। কিন্তু সারাবিশ্ব যার সৌন্দর্য্যের পূজারি সেই মনরো কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন সেই প্রশ্নের উত্তর ভক্তকূল কখনও পায়নি। তবে হঠাৎই ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে জে মারগুইজ এবং রিচার্ড বাস্কিনের লেখা বই ‘মার্ডার অব মেরিলিন মনরোঃকেইস ক্লোজড’। এই বইয়ে লেখা হয়েছে আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছিলেন মনরো।
দ্যা ডেইলি এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বইটির লেখক দাবি করেছেন রবার্ট কেনেডি, রাফ গ্রিনসন এবং পিটার লোফরড পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে ৩৬ বছর বয়সী এ অভিনেত্রীকে।
বইটিতে আরো বর্ণনা করা হয়েছে সাম লাইক ইট হট চলচ্চিত্রের এই তারকার জে এফ কে এবং পরবর্তীতে তার ভাই ববির সঙ্গে গোপন সম্পর্ক ছিল। আরো জানা যায়, ড. গ্রিনসনের সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল। তারা এগুলো প্রকাশ করার হুমকিও দিয়েছিলেন তাকে।
এমনিতেই মনরো তার তিনটি বিবাহ বিচ্ছেদ এবং তার পেশাগত জীবন নিয়ে অনেক হতাশ ছিলেন। তারমধ্যে তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে তিনি অনেক ভয়েও ছিলেন।
মারগুইজ বলেছেন, ‘গত এক শতক ধরে চলে আসা মনরোর মৃত্যুর এই ব্যাপারটি কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। অনেক মানুষ মনে করেন, এটি একটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র। তারা মানতেই চায় না এটি একটি হত্যাকান্ড’। যদিও বইটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো বর্ণনা করা হয়নি।