খুব ব্যস্ত সময় পাড় করছেন?
হুম খুব। কিন্তু ব্যস্ততা আমি খুব উপভোগ করি। কারণ, কর্মই জীবন। তাই জীবন মানেই ব্যস্ততা। উপরওয়ালা যেন আমাকে সুস্থ রাখেন।
হঠাৎ স্কুল কেন গড়লেন?
এটা অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। আমাদের দেশে স্কুলের ক্ষেত্রে সংস্কৃতিচর্চা একটু উপেক্ষিত। তাই ভিন্ন ধরনের স্কুল গড়েছি। আমরা উত্তরায় 'অল সেন্টস ইউকে ইন্টারন্যাশনাল' নামে স্কুলটি গড়েছি। স্বপ্নটা সত্যি হয়েছে। এখন শুধু সফলভাবে এগিয়ে নেওয়ার পালা। আর বলে রাখি, স্বপ্নটা আমার একার নয়, স্বপ্নের সঙ্গে আছেন আমার স্ত্রী অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদও।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো। আসলে ভালো কিছু কিংবা ভিন্নস্বাদের নতুন কিছু হলে মানুষ সাড়া দিয়ে থাকে। এ সত্যটাই আবার নতুন করে উপলব্ধি করলাম। মনে হচ্ছে আমরা অনেক স্টুডেন্ট পাব।
পড়ালেখার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চা। বিষয়টি পরিষ্কার করুন।
আমাদের এখানে শুধু পড়ালেখা করানো হবে না, সংস্কৃতিচর্চাও করানো হবে। একটি শিশু শুধু পড়ালেখা শিখে বড় হলে সে সত্যিকার মানুষ হতে পারবে না। তার মধ্যে সংস্কৃতির বীজও বুনে দিতে হবে। তাই আমরা পড়ালেখার পাশাপাশি রেখেছি চিত্রশিল্পী, সংগীত, নৃত্য ও ভাষা শিক্ষা। সবই শিশুদের জন্য। সঙ্গে বড়দের জন্য রয়েছে ভাষা শিক্ষা। যে কেউ এ কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন সেশন চলছে। এ সেশন থেকেই চাইলে কেউ পাঠ নিতে পারবেন।
এবার আপনার আসল পরিচয়ে আসি। গানের খবর কী?
ভালো বলেছেন, আসল পরিচয়। হ্যাঁ, যত কিছুই করি, গান থেকে তো বিচ্ছিন্ন হতে পারব না। সংগীত আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এখন গান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। অনেকের গান করছি।
আর নিজের গান?
হুম, নিজের গানও করছি। পাশাপাশি আমাদের ব্যান্ড ধ্রুবতারার গানও করছি। ধ্রুবতারার অ্যালবাম আসছে ঈদে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে। অ্যালবামের শিরোনাম আপাতত ঠিক করেছি 'নীলকষ্ট'। এটা প্রকাশের ব্যাপারে ইমপ্রেস অডিও ভিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে।
এখন তো ব্যান্ড গানের চর্চায় ভাটা চলছে। আপনি কী মনে করেন?
কথাটা একেবারে মিথ্যা নয়। এর মূল কারণ, শিল্পীদের একক ক্যারিয়ার। নিজে যখন নাম কুড়াচ্ছেন, তখন দলীয়ভাবে কাজ করে সুনামে ভাগ বসাতে চান না অনেকে। তবে আমি মনে করি, দলগতভাবে করলে কাজের মান কিন্তু ভালো হয়। সবার ক্রিয়েটিভিটি একসঙ্গে যোগ হয়ে ভালো কিছু হয়।
আর সংগীতের দুর্দিন?
আমি পজিটিভ মানুষ। তাই আশা করি দুর্দিন থাকবে না। সুদিন আসবেই।
শোবিজ প্রতিবেদক