থিয়েটার চর্চায় যুক্ত হয়েছিলেন কীভাবে?
স্কুলজীবনে স্কাউট নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। স্কাউটের এক বড় ভাই ইশতিয়াক বাবু, তিনিই আমাকে তাদের নাটকের দল তীর্যকে যুক্ত হতে বললেন। আমিও যুক্ত হলাম- অভিনয় করব বলে নয়, সাংগঠনিক কাজ করব বলে। শুরুর দিকে তাই ছিলাম। রিহার্সেলে কেউ না এলে প্রক্সিদিতাম। এভাবেই '৭৫-এর মার্চে আলী আনোয়ারের নাটক 'স্টেইজ রিহার্সেল'-এ প্রথম অভিনয় করি।
প্রথম নির্দেশিত নাটকের কথা বলুন।
যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন ঢাকায় সেলিম আল দীনের নাটক 'কীর্ত্তনখোলা' চলছিল। নাটকটি দেখতে ঢাকায় গেলাম এবং আমাদের দলের নাটক 'সমাপ্তি অন্যরকম'র ২৫তম মঞ্চায়নে তাকে চট্টগ্রাম আসার আমন্ত্রণ জানালে সেলিম আল দীন ও পীযূষ দা চট্টগ্রামে এসে চার দিন ছিলেন। ওই চার দিনেই সেলিম আল দীন একটি নাটক লিখেছিলেন, মূলত তিনি বলতেন আমি লিখতাম- এভাবেই লেখা হলো নাটক 'আততায়ী'। এটাই আমার প্রথম নির্দেশিত নাটক। তবে এ নাটকের কারিগরি নির্দেশক ছিলেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। এ সময়টাতেই আমার নাটকের প্রতি আরও আগ্রহ ও পড়ালেখার সুযোগ হয়। বিশেষ করে সে সময় তারিক আনাম খান, গোলাম সরওয়ার, সালেক খান তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয় বলে আমার বেশ লাভও হয়েছে।
থিয়েটারে পেশাদারিত্ব সম্পর্কে বলুন।
নাটকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেলে একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিই নাটকই করব। ৩৮ বছর ধরে তাই করছি। এখন থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আছি।
এ পর্যন্ত কতটি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন?
৪৩টি নাটকের নির্দেশনা দিয়েছি এবং মলিয়েরের একটি, সফদার হাশমির দুটি নাটক রূপান্তর করেছি। এ ছাড়া নৃত্য, গীত, বাদ্য ও অভিনয় সহযোগে চট্টগ্রামের লোকগান নিয়ে 'চট্টলনামা' ও ছড়া-কবিতায় অভিনয়শৈলী প্রয়োগে 'ছন্দ নাটক' হিসেবে কিছু পরীক্ষামূলক কাজ করেছি। যা বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে কখনো ভেবেছেন?
যেটুকু সময় ব্যয় করেছি, সেই পরিমাণ প্রাপ্তি নেই। আমরা মঞ্চে কাজ করি। আমাদের সবকিছু যখন ঢাকাকেন্দ্রিক, চট্টগ্রামে আমরা গায়ের ঘাম নয়, রক্ত ঝরিয়েও ন্যায্য প্রাপ্তিটুকু পাই না।
ফারুক তাহের